Ramakrishna 443: পণ্ডিতদের ও সাধুদের শিক্ষা ভিন্ন

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-393th-copy

শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বৈঠকখানায় কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গে বসিয়া আছেন। মাস্টারমশাই উপস্থিত। কথোপকথন চলছে। ভক্তির কথা ঘিরে। এই দিনটি—সোমবার, ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ১২৯১ সালের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি। ঠাকুর তখন কলকাতার ভক্তমন্দিরে এসেছেন। সেখান থেকে পরে যাবেন ফণি গোস্বামীর গলির দেবেন্দ্রর বাড়িতে।

সত্য কথা — শ্রী রামকৃষ্ণ (ছোট নরেন, বাবুরাম, পূর্ণ)

ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। অনুক্ষণ ভাবাবিষ্ট, বহির্জগতের প্রতি তাঁর মনে আদৌ কোনও আকর্ষণ নেই। কেবল অন্তরঙ্গজনদের কথা ভাবেন। যতদিন না তাঁরা তাঁকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন, ততদিন তাঁদের জন্য তিনি ব্যাকুল থাকেন। যেমন বাবা-মা অক্ষম সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ভাবেন—‘কী করে এরা মানুষ হবে?’ অথবা যেমন পাখি ব্যাকুল হয় তার শাবকদের লালন-পালনের জন্য।

শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারমশায়কে উদ্দেশ করে বললেন, “তিনটের সময় যাব, তাই আসছি, কিন্তু ভারী ধূপ।”

মাস্টারমশায় বিনয়ভরে বলেন, “আজ্ঞে, হ্যাঁ, আপনার তো অনেক কষ্ট হয়েছে।”

ভক্তেরা ঠাকুরকে হাওয়া করিতেছেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ: ছোটন নরেন আর বাবুরামের জন্য এলাম। পূর্ণকে কেন আনলে না?

মাস্টার: সভায় আসতে চায় না। তার ভয় হয়—আপনি পাঁচজনের সাক্ষাতে সুখ্যাতি করেন, পাশে বাড়িতে জানতে পারে।

শ্রী রামকৃষ্ণ: পণ্ডিতদের ও সাধুদের শিক্ষা ভিন্ন—সাধুসঙ্গ।

শ্রী রামকৃষ্ণ: হ্যাঁ, তা বটে। যদি বলে ফেলি, তো আর বলব না। আচ্ছা, পূর্ণকে তুমি ধর্মশিক্ষা দিচ্ছ? এ তো বেশ।

মাস্টার: তাছাড়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বইতে, সিলেকশন-এ ওই কথাই আছে—“ঈশ্বরকে দেহ, মন, প্রাণ দিয়ে ভালবাসবে।” একথা শেখালে কর্তারা যদি রাগ করেন, তো কী করা যায়?

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share