মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ
শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো
ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন
শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম
পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন
শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?
(মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।
(পল্টুর প্রতি) — তুই কী বললি, পল্টু?
পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”
(ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)
পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।
শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি):
না কিগো, অত দূর?
মাস্টার:
আজ্ঞে, না — অত দূর ভালো নয়।
(ঠাকুরের হাস্য)
শ্রীরামকৃষ্ণ (বিনোদের প্রতি):
তুই কেমন আছিস? সেখানে গেলি না?
বিনোদ: আগে যাচ্ছিলাম, আবার ভয় — গেলাম না। একটু অসুখ করেছে, শরীর ভালো নয়।
শ্রীরামকৃষ্ণ: জনা, সেইখানে বেশ হওয়া সেরে যাবি।
ছোট নরেন আছেন। ঠাকুর মুখ ধুতে যেতে চান। ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন। মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন।
ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।
Leave a Reply