Ramakrishna 470: শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) — “হ্যাঁগা, আমার কি অপরাধ হল?

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 460th copy

গিরিশ, মাস্টার প্রভৃতির প্রতি —
“আমার বালক স্বভাব। হৃদয় বললে, মাথা, মস্তক কিছু স্থির কথা বলে, — আমাতে মাথা বলে চলল না! এমন অবস্থায় রয়েছে যে, যে ব্যক্তির কাছে থাকবে তার কথা শুনতে হবে। ছোট ছেলেদের যেমন আছে লোক না থাকলে অন্ধকার দেখে — আমারও সেইরূপ হত! হৃদয়ে কাছে না থাকিলে প্রাণ যায় যায় হত। ওই দেখো! ওই ভাবটা আসছে!… কথা কইতে কইতে উদ্দীপন হয়।”

এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হয়েছেন। দেশ কাল বোধ চলিয়া গিয়াছে। অতি কষ্টে ভাব সংবরণ করিতে চেষ্টা করিতেছেন। ভাব বলিতেছেন, “এখনও তোমাদের দেখিতেছি, — কিন্তু বোধ হচ্ছে যেন চিরকাল তোমার বনে আছি, কখন এসেছি, কোথায় এসেছি এ-সব কিছু মনে নাই।”

ঠাকুর কিঞ্চিৎকাল প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিতেছেন, “জল খাব।”
সমাধিভঙ্গের পর মন নামাযিবার জন্য ঠাকুর এই কথা প্রায় বলিয়া থাকেন। গিরিশ নতুন আসিতেছেন, জানেন না তাই জল আনিতে উদ্দত ইলিশেন। ঠাকুর বারণ করিতেছেন আর বলিতেছেন, “না বাপু, এখন খেতে পারব না।”

অল্পক্ষণকাল চুপ করিয়া আছেন। এবার ঠাকুর কথা কইতেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) —
“হ্যাঁগা, আমার কি অপরাধ হল? এ-সব (গুরুতর) কথা বলা?”

মাস্টার কি বলিবেন চুপ করিয়া আছেন। তখন ঠাকুর আবার বলিতেছেন, “না, অপরাধ কেন হবে, আমি লোকের বিস্ময়স্বরূপ জন্য বলিতেছি।” কিন্তু পরে যেন কত অনুতাপ করিয়া বলিতেছেন, “ওদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে?” (অর্থাৎ পূর্বের সঙ্গে)

মাস্টার (সঙ্কুচিতভাবে) —
“আজ্ঞে, এক্ষুণি খবর পাঠাব।”

শ্রীরামকৃষ্ণ (সাহসে) —
“ওইখানে খুঁজে মিলছে।”

ঠাকুর কি বলিতেছেন যে অল্পর দণ্ডের ভিতর পূর্ণ শেষ দণ্ড, তাই আর পর প্রায় কেহ নাই?

১. নাম্মামহর্ষিসঙ্গমে।
২. কৃষ্ণকুমারী — বলরামের বালিকা কন্যা।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share