Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Snoring: ঘুমের পরেই নাক ডাকার আওয়াজে হিমশিম! কোনও রোগের ইঙ্গিত কি?

    Snoring: ঘুমের পরেই নাক ডাকার আওয়াজে হিমশিম! কোনও রোগের ইঙ্গিত কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরের ভুরিভোজের পরের স্বল্প সময়ের সুখ নিদ্রায় হোক কিংবা দিনভরের ক্লান্ত শরীরে রাতের বিছানায় গভীর ঘুমে, ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে নিজের নাক! এমন নাকের ডাক, যে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের তো বটেই, নিজের ঘুম ও অনেক সময় ভেঙে যাচ্ছে। নাক ডাকার বিচিত্র অদ্ভুত আওয়াজ নিয়ে রসিকতা ও করছেন পরিবার। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিছক মজার বিষয় মনে হলেও ব্যাপারটা আসলে খুবই গুরুতর। স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই একটি সমস্যা। তাই পরিবারের কেউ মারাত্মক নাক ডাকলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন নাক ডাকার সমস্যা হয়?

    স্থূলতার সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন। দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ঘুমের সময় নাক দিয়ে আওয়াজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ তৈরি হয়ে যাওয়া। গলা এবং ঘাড়ের অংশে অতিরিক্ত মেদ তৈরি হয়ে যাওয়ার কারণে শ্বাসনালীতে চাপ পড়ে। আর সেই জন্য নাক ডাকার সমস্যা দেখা যায়।

    অ্যালার্জিজনিত সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যালার্জির কারণেও নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই অনেকে নানান অ্যালার্জিতে ভোগেন। যার জেরে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর তার জেরেই নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস!

    মদ্যপান ও ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। লিভার, ফুসফুসের একাধিক রোগের কারণ এই দুই অভ্যাস। আবার নাক ডাকার মতো সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধুমপান করলে ঘুমের সময় মুখ ও গলার পেশি শিথিল হয়ে যায়। এর ফলেই নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় অদ্ভুত একটা আওয়াজ তৈরি হয়। ফলে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়।

    ভিটামিন ডি অভাব!

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নাক ডাকার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি-র অভাব। ওই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক-গবেষকদের একাংশ বলছেন, ভিটামিন ডি যেমন শরীরের হাড় মজবুত করতে প্রয়োজনীয়। তেমনি শরীরে গভীর ঘুমের জন্য ও ভিটামিন ডি জরুরি। শরীরের সমস্ত পেশি, স্নায়ুর বিশ্রাম প্রয়োজন। তবেই শরীর আবার নতুনভাবে কাজের শক্তি পাবে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে ঘুমের গুণগত মান বাড়ে। অর্থাৎ শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শরীরে ভিটামিন ডি অভাব থাকলে ঠিকমতো ঘুম হয় না।‌ ফলে পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমে। নাক ডাকার মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

    কেন নাক ডাকার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকার সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালীতে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছয় না। নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাধা‌ তৈরি হয়। তার জেরেই নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হয়। তাই অতিরিক্ত নাসিকা‌ গর্জনে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ ও ঘটতে পারে। ঘুমের ভিতরে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ ঘটনার পিছনেও থাকে নাক ডাকার সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের জন্ম দেয়। তাই নাক ডাকার মতো সমস্যা মোটেও অবহেলা করা উচিত নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ সেনা নাকি তাঁকে দেখে পালিয়েছে, এরই প্রতিবাদে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। সেই মঞ্চে বৃহস্পতিবার যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেনাকে কেন অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন শুভেন্দু। তিনি বললেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু আরও বলেন, “সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে ডোরিনা ক্রসিং। আমাদের দেশের সেনাকে দেখে চিন পালায়, পাকিস্তান পা ধরে।”

    আগেও সেনাকে অপমান করেছেন মমতা

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “প্রত্যেক ঘটনাতে সেনাকে অপমান করা হয়েছে। অবন্তিপোরায় জঙ্গি হামলার পর যখন আমাদের বায়ুসেনা যখন ভিতরে ঢুকে মেরে এসেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, প্রমাণ কোথায়?” শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) একবার সারা রাত নবান্নে কাটিয়েছেন। কেন জানেন? আর্মি একটা সার্ভে করে। বড় বড় ব্রিজে কত গাড়ি যাতায়াত করে ইন্টারন্যাশানালি, সেটাকে কাউন্ট করার একটা সার্ভে হয় কয়েক বছর অন্তর অন্তর। এক বছর গাড়ি কাউন্ট করছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, আর্মি ঢুকে পড়েছে!” ঘটনার রেশ ধরেই শুভেন্দু বলতে থাকেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যেন আলাদা দেশ, যে সেনা ঢুকে পড়ল? কেন? তার প্রতিবাদে তিনি সেই রাতে নবান্নে ছিলেন।” শুভেন্দুর প্রশ্ন, “এটা কোন ধরনের মানসিকতা? এটা দেশ বিরোধীদের মানসিকতা।” তখনই তিনি অভিযোগ করেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর।”

    প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়েছে। আমি বললাম আপনারা কেন পালাচ্ছেন। আপনারা বিজেপির কথায় এটা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের আগে জানাতে পারতেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মেয়ো রোডে প্রতিবাদে বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ তাঁদের অনুমতি দিচ্ছে না, এমন অভিযোগও ওঠে। সে প্রসঙ্গেও এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওঁদের কেউ পঁচিশ বছর, কেউ কুড়ি বছর, জীবনের যে প্রাইম টাইম, তাঁরা দেশের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। এখনও দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছেন। তাঁদের যে অপমান করা হয়েছে, তাঁরা প্রতিবাদ করতে এখানে বসতে চান। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকার অনেক শর্ত চাপিয়েছে, যাতে এখানে কোনওভাবেই করতে না পারেন।”

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-র (SSC Scam) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (SSC Scam) গঠন করল আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ এই চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন

    এই মামলায় শুধুই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর কন্যা, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান-সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নাম। আদালত সূত্রে খবর, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (IPC 120B), প্রমাণ নষ্ট করা (IPC 201), প্রতারণা (IPC 420), নথি জাল করা (IPC 467, 468) ও জাল নথি ব্যবহার (IPC 471)— এই ধারাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে।

    কারা রয়েছেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় এই প্রথমবার চার্জ গঠন হলো। মামলার শুনানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মামলার নথি অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সমরজিৎ আচার্য, নিয়োগ কর্তা (SSC Scam) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, আধিকারিক অশোক সাহা ও পর্ণা বসু। নাম রয়েছে বেশ কিছু এজেন্টেরও, পাশাপাশি নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনশল ও নীলাদ্রি দাসের।

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে (SSC Scam) দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে সওয়াল করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য— “আমায় মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন। জেলের অন্ধকারে আমাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।” তবে আদালত তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দেয়। একইভাবে পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানালেও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি ছিল— তাঁরা নির্দোষ। আইনজীবীর সওয়ালে বলা হয়, অঙ্কিতা নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। তখন পরেশ অধিকারী কোনও পদে ছিলেন না, তাই প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই ওঠে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে আরেক প্রার্থী। ২০২২ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেয় এবং প্রাপ্ত বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

  • Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশ করার ঘটনায় স্পিকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা (Contempt Of Court) দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশেই বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল— মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না।

    স্পিকারের আদালত অবমাননা (Contempt Of Court)!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে স্পিকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন। শুধু তাই নয়, আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী আবেদন করেছেন যাতে বিধানসভার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে। তার আগেই রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যদিও তৃণমূল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বিজেপির অভিযোগ— স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করার সামিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়

    বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়— তাহলে কি বিধানসভায় আইন সমানভাবে প্রযোজ্য নয়? শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর যুক্তি, বিধানসভার স্পিকার নিজেই জানিয়েছিলেন কোনও বিধায়ক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষীসহ প্রবেশ করেছেন, যা আদালত অবমাননার সমান।

    শুভেন্দুর মামলায় কী রায় দিয়েছিলেন বিতারপতি অমৃতা সিনহা?

    এর আগে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল— তৃণমূল বিধায়কদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশাধিকার রয়েছে, অথচ বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সে সময় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, বিধানসভার আইন অনুযায়ী সেই নোটিস বহাল থাকবে। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল— বিধানসভার সচিবকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নিয়ম সব দলের বিধায়কদের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।

  • PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ৭৫তম জন্মদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), আরএসএসের সর সংঘচালককে নিয়ে একটি লেখা লেখেন। নিজের লেখায় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন মোহন ভাগবতের জীবন ও ব্যক্তিত্বের নানা দিক।

    অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের ৭৫তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছেন— মোহন ভাগবত একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাজীবন সমাজ পরিবর্তন, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা শক্তিশালী করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

    জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি প্রবন্ধে তাঁকে জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন— “মোহনজি (Mohan Bhagwat) তাঁর কাজের ধারা ও মননে দুটি বিষয় সবসময় ধরে রেখেছেন— ধারাবাহিকতা ও অভিযোজনক্ষমতা। সংঘকে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবুও কখনও মূল আদর্শে আপস করেননি। একইসঙ্গে সমাজের পরিবর্তিত চাহিদার প্রতিও সাড়া দিয়েছেন। যুবসমাজের সঙ্গে তাঁর সহজ যোগাযোগ আছে, তাই তিনি সবসময় বেশি সংখ্যক তরুণকে সংঘ পরিবারে যুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি নিয়মিত আলোচনা ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, যা আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল যুগে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।”

    ভারতের এক অন্ধকার সময়ে সংঘকাজে যোগ দেন মোহন ভাগবত

    মোদির (PM Modi) বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, মোহন ভাগবতের সংঘজীবনের শুরু হয়েছিল ভারতের এক অন্ধকার সময়ে—জরুরি অবস্থার সময়। মোদি লিখছেন, “তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল দেশের উপর। যাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করতেন, তাঁদের কাছে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার কাজ মোহনজি এবং অসংখ্য স্বয়ংসেবক করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ ও অনুন্নত অঞ্চল, বিদর্ভে অনেক কাজ করেছেন তিনি। এতে তিনি গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝতে শিখেছিলেন।”

    মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) তাঁর ও মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি সৌভাগ্যবান যে মোহনজির বাবা, প্রয়াত মধুকররাও ভাগবতজির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। দেশ গঠনের কাজে তিনি নিজের ছেলেকে নিবেদিত করেছিলেন। যেন এক পরশপাথর আরেকটি পরশপাথর গড়ে তুলেছিলেন।”

    সরসংঘচালকের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, মোহন ভাগবত (PM Modi) গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘের দিশারি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আরএসএস-এর ইতিহাসে তিনি তৃতীয় দীর্ঘতম সময়ের প্রধান। তাঁর আগে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন বালাসাহেব দেওরস ও এম এস গোলওয়ালকর। মোহন ভাগবতের বাবা মধুকর রাও ভাগবত ছিলেন একনিষ্ঠ স্বয়ংসেবক এবং আরএসএস-এর প্রচারক। মোহন ভাগবত তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর আরও দুই ভাই ও এক বোন আছে। প্রথমে তিনি ‘লোকমান্য তিলক বিদ্যালয়’-এ পড়াশোনা করেন। এরপর চন্দ্রপুরের জনতা কলেজে পড়েন। পরে আকোলার ‘পাঞ্জাবরাও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পশুচিকিৎসা ও পশুপালনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে তিনি পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে আরএসএস-এর প্রচারক হন। সেই সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।

    ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের কঠোর দমননীতির বিরুদ্ধে তিনি আত্মগোপনে থেকে কাজ করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মোহন ভাগবত ‘অখিল ভারতীয় শারীরিক প্রধান’ ছিলেন (আরএসএস-এর শারীরিক প্রশিক্ষণের জাতীয় দায়িত্বে)। পরে তিনি ‘অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান’ হন, যেখানে পূর্ণকালীন কর্মীদের দায়িত্ব তাঁর হাতে ছিল। ২০০০ সালে তিনি আরএসএস-এর সরকার্যবাহ (সাধারণ সম্পাদক) নিযুক্ত হন। এরপর ২০০৯ সালের ২১ মার্চ মোহন ভাগবত আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ষষ্ঠ সরসংঘচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    তিনি আরএসএস-এর ইতিহাসে অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধান। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, কার্যকর্তাদের প্রতি আন্তরিকতা এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা মর্যাদা এনে দেয়। লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবক, অসংখ্য শাখা এবং নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে একসঙ্গে চালানোই সরসংঘচালকের প্রধান দায়িত্ব। মোহন ভাগবত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ সামলাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখেনি, বরং সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন দিশাও খুঁজে পেয়েছে। তিনি যুবসমাজের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্মকে সংঘের কাজে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সম্প্রীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজের বিস্তার ঘটিয়েছে। শুধু সংগঠন বিস্তার নয়, সমাজে সংঘের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করা এবং বৃহত্তর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোও তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব।

  • Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১১ সেপ্টেম্বর, স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) শিকাগো ভাষণের ১৩২তম বর্ষপূর্তি। ১৮৯৩ সালের এই দিনেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শিকাগো ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’ এখানেই প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে করতালি চলতে থাকে। কারণ প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসীকে কেউ ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করেন শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে। তাঁর আগের বক্তারা প্রত্যকেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সেখানে তুলে ধরেন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা (Vivekananda Chicago Speech)। ভারতের সীমাহীন সভ্যতার কথা। ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরার কথা। সেখানেই শোনান এদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা। ভারতবর্ষ কোনও ধর্মের ওপর কখনও আঘাত হানেনি, সে কথাও সেখানে তুলে ধরেন স্বামীজি। বিশ্ব মঞ্চে স্বামীজির ভাষণ সেদিন আলোড়ন তৈরি করে। ভারতীয় সভ্যতার মর্যাদা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন স্বামীজি তাঁর নিজের ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর সেদিনের ভাষণের নির্বাচিত কিছু অংশের বিশ্লেষণ নীচে করা হল।

    পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি

    ‘‘হে আমার আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি (Swami Vivekananda) আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’’

    আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি

    ‘‘এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভাষায় ইংরেজি ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি (Swami Vivekananda) সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’’

    আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি

    ‘‘আমি আপনাদের এ কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদিদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিলেন। জরাথুষ্ট্রের অনুগামী মহান পারসিক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বীগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’’

    যত মত তত পথের কথা (Vivekananda Chicago Speech)

    ‘‘বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনই হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসম্মেলনে গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।’ (যে কোনও ব্যক্তি যে ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে)।’’

    সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে

    ‘‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।’’

    খেতড়ির রাজা অজিত সিংহের সাহায্যে স্বামীজি পৌঁছান আমেরিকা

    খুব সহজে অবশ্য স্বামীজির (Swami Vivekananda) আমেরিকা সফর সম্পন্ন হয়নি। উত্তর-পূর্ব রাজস্থানে খেতড়ির রাজা অজিত সিং স্বামী বিবেকানন্দকে শিকাগো যাওয়ার জন্য ‘ওরিয়েন্ট’ জাহাজে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনে দেন বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল দারুণ দুঃখ-কষ্ট। তিনি শিকার হন বর্ণ-বিদ্বেষের। কারণ তৎকালীন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের লোকেদের কাছে এই ভারত ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। শিকাগো পৌঁছে শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন (Vivekananda Chicago Speech)।

  • ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নাশকতার জাল বিছাচ্ছে ইসলামিক স্টেট! ভারতে বসেই সন্ত্রাসের ছক কষছে ইসলামিক স্টেট! দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দুই আইএস জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস

    ভারতে বড়সড় নাশকতামূলক হামলা হওয়ার আগেই বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস করল দেশের গোয়েন্দাবাহিনী। খবরে প্রকাশে, বিশেষ সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে দেশের দুটি শহরের দুটি ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। একদিকে, ঝাড়খণ্ড সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (এটিএস) এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ সহায়তায় রাঁচির ইসলামনগর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজহার দানিশ। আদতে সে বোকারো জেলার পেটওয়ারের বাসিন্দা। অন্যদিকে, রাজধানী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামে আর এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, এই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

    আইএস-এর এজেন্ট আজহার-আফতাব

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধৃত আফতাব ও দানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পুরনো এক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে দানিশকে খুঁজছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই মতো, তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায় দানিশের। সঙ্গে আফতাবরও। দিল্লি পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইএসআইএস-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত অভিযুক্তরা। ফলে, এই দুজনের গ্রেফতারি সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য। সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে জেরা করে ভারতে আইসিস নেটওয়ার্কের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস

    ইরাক ও সিরিয়া থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার পর ইসলামিক স্টেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এশিয়ার নানা প্রান্তে। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বহু সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করছে। পূর্বে ভারতের কেরল-সহ আরও একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের তৎপরতা নজরে এসেছে।
    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে বেশ সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ১ মার্চ থেকে ৩১ মে-এর মধ্যে কমিশনের কাছে নতুন ভোটারের বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। এসআইআর-এর (SIR) খবর আসতেই অনেকেই ফর্ম ৬ ও ফর্ম ৮-এর মাধ্যমে আবেদন করছিলেন। ফর্ম ৬ হল নতুন ভোটারের আবেদন, আর ফর্ম ৮ হলো ঠিকানা বা তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন। অন্যদিকে, কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ আবেদনপত্রে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। বাকি বাতিল হয়েছে।

    মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন

    জানা গিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন (SIR)। এই তিন মাসে মোট ২ লক্ষ ৩৩ হাজার আবেদন এসেছে, যার মধ্যে ১ লক্ষ ১৬ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। আবেদন বেশিরভাগ এসেছে বাংলার সীমান্তবর্তী জেলা—মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনা থেকে। বিশেষত মুর্শিদাবাদ থেকে ৩০ হাজার, দুই ২৪ পরগনা থেকে যথাক্রমে ২০ ও ২৫ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফর্ম পূরণের সময় কয়েকটি কলাম এবং নির্দিষ্ট নথি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। যদি কোথাও খামতি থাকে বা কোনও কলাম ফাঁকা থাকে, তবে আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।

    ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে

    রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় (SIR) ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৬.০৫ লক্ষ আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বাকি ৪০.২৩ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়েছে কারণ সেগুলিতে ভুয়ো নথি ছিল। বিভিন্ন জেলায় বাতিলের হারও অনেকটাই বেড়েছে। মুর্শিদাবাদে বাতিলের হার ৫৬.৪৪ শতাংশ, কোচবিহার ৪৪.৮৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর ৪৪.৮১ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪৪.৬৮ শতাংশ, মালদা ৪১.২৫ শতাংশ এবং নদিয়ায় ৪২.১১ শতাংশ।

    এসআইআর-এর আগে তালিকায় নাম তুলতে হিড়িক

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর (SIR) ভয়ে অনেকেই হঠাৎ করেই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে না পারায় আবেদনের একটি বড় অংশ বাতিল হয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে অনেকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে অনলাইনে ভোটার কার্ডের আবেদন করলে তা সরাসরি বাড়িতে পৌঁছাত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি আবেদন শুনানি-এর মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে।

  • iPhone 17: নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনল অ্যাপল, কত টাকা থেকে শুরু দাম?

    iPhone 17: নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনল অ্যাপল, কত টাকা থেকে শুরু দাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ লঞ্চ করল অ্যাপল (iPhone 17)। এ বছর মোট চারটি মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে এই সংস্থা। সবচেয়ে বড় কথা হল, দীর্ঘদিনের প্লাস মডেলকে বাদ দিয়ে আনা হয়েছে একেবারে নতুন আইফোন এয়ার (iPhone)। ফলে এ বছরের লাইনআপে রয়েছে আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ প্রো, আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স এবং নতুন আইফোন এয়ার।

    আইফোন ১৭ এর দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে

    নতুন সিরিজের (iPhone 17) দামও এবার বেশ চোখে পড়ার মতো। আইফোন ১৭ এর দাম শুরু হয়েছে ৮২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে। তবে এ বছর আর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট থাকছে না। সরাসরি ২৫৬ জিবি স্টোরেজ দিয়ে শুরু হচ্ছে মডেল। অন্যদিকে ৫১২ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা (iPhone)।

    আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে

    প্রো সিরিজের (iPhone 17) ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং এক টেরাবাইট ভ্যারিয়েন্টের দাম এক লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম শুরু হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ ভ্যারিয়েন্টে পৌঁছেছে ২ টেরাবাইটে, যার দাম ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকা। এভাবে সংস্থার সবচেয়ে দামী আইফোন হয়ে উঠেছে এই নতুন প্রো ম্যাক্স।

    নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে

    সবচেয়ে নজর কেড়েছে নতুন আইফোন এয়ার। এটি এসেছে প্রিমিয়াম নকশা এবং প্রো-মানের হার্ডওয়্যার নিয়ে। দাম শুরু হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং সর্বাধিক এক টেরাবাইট ভ্যারিয়েন্টের দাম এক লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা। সংস্থার ধারণা, এয়ার মডেল প্লাসের বিকল্প হলেও তার মান অনেকটাই প্রো সিরিজের কাছাকাছি। ফলে দামও প্রো স্তরের কাছেই রাখা হয়েছে (iPhone 17)। অ্যাপলের দাবি, নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে নতুন এয়ার মডেল এ বছরের লাইনআপে বড় সংযোজন হিসেবে বাজারে নজর কাড়তে প্রস্তুত।

  • Asia Cup 2025: দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আজ ভারতের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি

    Asia Cup 2025: দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আজ ভারতের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) যাত্রা শুরু করছে ভারত। আজ বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মাঠে টিম ইন্ডিয়া মুখোমুখি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। এশিয়া কাপে অন্যতম ফেভারিট হল টিম ইন্ডিয়া (India) এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় সময় রাত ৮টা থেকে এই ম্যাচ দেখা যাবে।

    এশিয়া কাপেই মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, এই এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ভারত এবং পাকিস্তান মুখোমুখি খেলবে। হাই-ভোল্টেজ ওই ম্যাচের আগে আজকের ম্যাচকে বড় প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে ভারত। ২০২৪ সালে, ঠিক এক বছর আগে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত (India)। তারপর থেকে তারা ২৪টি ম্যাচ জিতেছে এবং মাত্র তিনটিতে হেরেছে। ইতিমধ্যে আটবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত—যা একটি বড় রেকর্ড। যদি ২০২৫ সালের এশিয়া কাপও জিততে পারে, তবে এটি হবে ভারতের নবম শিরোপা।

    কী বললেন ক্যাপ্টেন?

    অন্যদিকে, আরব আমিরশাহিকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে ওই খেলোয়াড়রা খুবই পরিচিত। ম্যাচের আগেই ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন— “ইউএই দুর্দান্ত খেলছে। সাম্প্রতিক একটি টুর্নামেন্টে তারা জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত পারেনি। আমি আশা করি এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) তারা আরও ভালো করবে। আমরা তাদের বিপক্ষে খেলতে পেরে রোমাঞ্চিত।” এই টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, নেপাল এবং হংকং-সহ আটটি দল রয়েছে।গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে—অলরাউন্ডারদের তিনি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর ফলেই ভারতের ব্যাটিং গভীরতা প্রায় ৮ নম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে, যা টি-২০ ফরম্যাটে অত্যন্ত জরুরি।সূর্যকুমার যাদব আরও বলেন, “ক্রিকেটে আগ্রাসন অপরিহার্য এবং আগ্রাসন ছাড়া এই খেলায় জয়লাভ করা কঠিন। “আগ্রাসন সবসময় মাঠে থাকবে, আগ্রাসন ছাড়া, এই খেলা খেলা সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। আর মাঠে নামার জন্য খুবই আগ্রহী।”

LinkedIn
Share