Tag: Bengali news

Bengali news

  • Madhya Pradesh: প্রেমের টোপে ধর্মান্তকরণ! লাভ জেহাদের সাজা এবার মৃত্যুদণ্ড, আইন আনছে মধ্যপ্রদেশ

    Madhya Pradesh: প্রেমের টোপে ধর্মান্তকরণ! লাভ জেহাদের সাজা এবার মৃত্যুদণ্ড, আইন আনছে মধ্যপ্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু জেল বা জরিমানা নয়, জোর করে ধর্মান্তকরণ বা লাভ জেহাদের শাস্তির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি (Madhya Pradesh) সরকার। এই অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা হতে চলেছে মৃত্যুদণ্ড! আগামী দিনে কড়া আইন এনে এটাকে নিশ্চিত করা হবে। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব (Mohan Yadav)।

    কী বললেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?

    মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ‘‘আমাদের নিষ্পাপ মেয়েদের প্রলোভন বা ভালোবাসার টোপ দিয়ে ধর্মান্তকরণের মতো অত্য়াচার চালালে বিজেপি সরকার তা মেনে নেবে না। অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য অত্যন্ত কঠোর আইমন রয়েছে। যারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করবে তাদের আমরা ছাড় দেব না। এই ধরনের লোকদের বাঁচতে দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধানের জন্য কাজ করছি।’’

    ধর্মান্তকরণ রুখতে অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়েছিলেন শিবরাজ

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগেই মধ্যপ্রদেশে ধর্মান্তকরণ রুখতে একটি অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়েছিল বিজেপি সরকার। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান (Madhya Pradesh)। সেই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়, কেউ জোর করে ধর্মান্তকরণ করেছে এটা প্রমাণ হলে, তার ১০ বছর পর্যন্ত জেলের সাজা হতে পারে। বিজেপি সরকার পুনরায় নির্বাচিত হয়ে এলে সেই অর্ডিন্যান্সটিকেই বিল আকারে পেশ করা হয়। পরে তা আইনে পরিণত করা হয়।

    বর্তমান আইনে কী রয়েছে?

    বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে লাগু হয়েছে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন। লাভ জেহাদের (Madhya Pradesh) ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে যে আইনে রয়েছে, সেখানে অবৈধ ধর্মান্তকরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রতারণা, বিয়ের লোভ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, হুমকি, বলপ্রয়োগ, প্রভাব খাটানোর মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই আইনে। আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির এধরনের বিবাহকে প্রথমেই বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। ধর্ম গোপন করে বিবাহের ক্ষেত্রে, লঙ্ঘনকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন অনুসারে ধর্মান্তরিত ব্যক্তির বাবা-মা, আইনি অভিভাবক বা ভাই বোনদের অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার এই আইনেই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড আসতে চলেছে। এমনটাই আশ্বাস মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Mohan Yadav)।

  • RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    RSS: “ভারতকে ভারতই বলা উচিত, ইংরেজি নাম নয়,” বললেন আরএসএস কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে (Bharat) ভারতই বলা উচিত, এর ইংরেজি নাম নয়।” এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তাঁর এই বক্তব্যের জেরে ফের সামনে চলে এল ‘ভারত’ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ বিতর্ক। হোসাবলের প্রশ্ন, ‘গত বছর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনে জি২০ নৈশভোজের সময় দেশকে ভারত প্রজাতন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন, তখনও কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা সংবিধানের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইংরেজি নাম ব্যবহার করা হচ্ছে?’

    ভারতের সংজ্ঞা (RSS)

    তিনি বলেন, “ভারত শুধুমাত্র একটি ভৌগলিক সত্তা বা সাংবিধানিক কাঠামো নয়, এটি একটি গভীর দর্শন ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক।” সুরুচি প্রকাশন দ্বারা প্রকাশিত “বিমর্শ ভারত কা” বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হোসেবল ভারতের এই পরিচয়ের কথা বলেন। পঞ্চশীল বালক ইন্টার কলেজের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল “প্রেরণা গবেষণা সংস্থান ন্যাস” নামে একটি সংস্থা। এটি আরএসএস-প্রাণিত একটি সংস্থা। আরএসএস কর্তা বলেন, “দেশের নাম ভারত। তাই ভারতই বলো। ইন্ডিয়া তো ইংরেজি নাম। ভারতের সংবিধান ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও ঔপনিবেশিক নাম বহন করছে। এটা এক ধরনের বৈপরীত্যের দিকে ইঙ্গিত করে।”

    ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তি

    হোসাবলে এই (RSS) বিষয়টিকে ‘মানসিক ঔপনিবেশিকতা’ থেকে মুক্তির বৃহত্তর প্রয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তাঁর যুক্তি, ব্রিটিশ শাসন ভারতীয় চেতনায় গভীর ছাপ ফেলেছে। এটা আজও রয়ে গেছে। তিনি সাংস্কৃতিক নিশ্চিহ্নকরণের ঐতিহাসিক উদাহরণেরও উল্লেখ করেন। আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মুঘলরা ভারত আক্রমণ করেছিল। আমাদের মন্দির, গুরুকুল ও প্রাচীন সংস্কৃতি ধ্বংস করেছিল। আমাদের দমন করেছিল। কিন্তু তারা আমাদের ব্রিটিশদের মতো এই পরিমাণে হীনমন্যতায় ভোগায়নি। ব্রিটিশ শাসন আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিল যে তারা আমাদের চেয়ে শ্রেয়। ‘ইংরাজিয়ত’-এর ধারণা এখনো বর্তমান।” তিনি বলেন, “এই জন্যই দেশে এখনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ব্যবসা এত সফল।” হোসাবলে বলেন, “ঔপনিবেশিক যুগের মানসিকতা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে (Bharat)।”

    হোসাবলের বক্তব্য

    আরএসএস কর্তা বাম-উদারপন্থী ঐতিহাসিক বর্ণনাকে ‘ভ্রান্তিকর’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তারা (RSS) ভরতের অতীত শাসকদের অত্যাচারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে আমাদের সব রাজাই ছিল অত্যাচারী। তারা সেই বর্ণনা তৈরি করেছে, যা আসলে বিভ্রান্তিকর।” ভিএস নাইপলের ঔপনিবেশোত্তর সমাজের সমালোচনা তুলে ধরে বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন হোসাবলে। তিনি বলেন, “একটি নতুন ঢেউ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে হবে, যা অন্যদের ছোট করবে না বা অন্য জাতিগুলিকে অবমূল্যায়ন করবে না, বরং আমাদের নিজস্ব পরিচয় পুনরুদ্ধার করবে।”

    দাদাগিরি নয়

    তিনি বলেন, “ভারত কখনই দাদাগিরি করার জন্য দাঁড়াবে না, বা অন্য দেশকে ধ্বংস করার জন্যও নয়। ভারত সর্বদাই বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য অটল থাকবে। তবে তার আগে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং উদাহরণ হয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের জোটের নামকরণের পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এরই মাঝে স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ইন্ডিয়া (RSS) মুছে ফেলে তার জায়গায় ভারত যুক্ত করার সুপারিশও করেছিল এনসিইআরটি। আবার (Bharat) রেলমন্ত্রকের নথিতে ইন্ডিয়া শব্দটি তুলে দেওয়া হয়।

    ইন্ডিয়া জোট

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বাঁধে। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। তার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে জি২০ সম্মেলনেও ইন্ডিয়ার জায়গা নেয় ভারত। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেশ কিছু জনসভায় একবারও ইন্ডিয়া উচ্চারণ করেননি মোদি (RSS)। বিরোধীদের এই জোটকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রথম থেকেই ময়দানে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই জোটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে তিনি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম উল্লেখ করেছিলেন।

    এই আবহে বিরোধী জোটের নামকরণের জেরেই দেশের নাম পরিবর্তন করা হতে পারে বলে (Bharat) সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিকতার গন্ধ মুছতেই ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন আরএসএস কর্তার মুখেও সেই একই যুক্তি (RSS)।

  • Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজনের ঝামেলা কিংবা কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্তে দুশ্চিন্তা! সব মুশকিল সহজেই মেটাতে পারে এক চামচ চিয়া বীজ। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কম বয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো নানান রোগ দেখা দিচ্ছে। যার ফলে খুব‌ কম বয়স থেকেই শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চল্লিশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা বাড়ছে। পাশপাশি মহিলাদের হাড়ের সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরে তিরিশের আগেই মহিলারা হাঁটু ও কোমরের সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই ধরনের নানান রোগের মোকাবিলা করতে পারে চিয়া (Chia seeds)! এখন দেখা যাক, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ সাহায্য করে। চিয়া বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। চিয়ার বীজ খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। পাশপাশি চিয়া বীজে থাকে ওমেগা থ্রি। এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ থাকে। এর ফলে নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হাড় মজবুত হয়। হাড়ের ক্ষয়রোগ কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে বিশেষত মহিলারা হাড়ের ক্ষয় রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিয়া‌ বীজ তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    স্থূলতা ভারতের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা একটা বড় সমস্যা। এই স্বাস্থ‌্য সমস্যা একাধিক রোগের জন্ম দিচ্ছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের কারণ হিসেবেও স্থূলতাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে চিয়া (Chia seeds)। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান শরীরের অপ্রয়োজনীয় মেদ তৈরি করে না। বরং ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।

    হজম শক্তি বাড়ায় চিয়া বীজ

    অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং লিভার, পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে চিয়া বীজ। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই খাবার হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল কমে যায়। লিভার এবং পাকস্থলীও সুস্থ থাকে‌।

    কীভাবে খাবেন চিয়া বীজ (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে একাধিক উপকার হয়। তাঁদের পরামর্শ, সারারাত এক চামচ চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া, যে কোনও খাবার, যেমন দুধ কিংবা ফলের রসের সঙ্গেও ভেজানো চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে দুধ কর্নফ্লেক্স খান। তাঁরা কাজু, কিসমিস জাতীয় নানান ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে সেটা খান। সেই খাবারেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া যে কোনও রকম স্যালাডের সঙ্গে চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। শশা, গাজর, টমেটোর উপরেও এক চামচ চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার স্যান্ডুইচের ভিতরেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়াপ্রেমীদের ওপর হিংসার ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে (Mhow Violence Case), তাদের মধ্যে রয়েছে তায়্যুব, বাবলু, গোলু, আহমেদ দরবারি, পাপ্পু, আজহার নূর, জামশাদ রেইন, আবদুল রশিদ কুরেশি ওরফে মালাও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারাগুলি বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, আঘাত করা এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর মতো বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। এফআইআরে নাম রয়েছে আনিস, শেরু, লাল্লু, সৈয়দ নাজিম, ইমরান, আফজল, সোহেল, রফিক এবং আর একজন ইমরান সহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের (MP)।

    জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল (Mhow Violence Case)

    গত ৯ মার্চ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয় টিম ইন্ডিয়া। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মহোয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল বের করেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিল এলাকার একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হিংসার ঘটনা ঘটে। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা (Mhow Violence Case)। তাঁদেরই কয়েকজনের পড়ে থাকা বাইকে এবং বাসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দুদের কয়েকটি দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার জেরে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অভিযোগকারীর মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য মিছিলে থাকা লোকজনের উদ্দেশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করছিল।

    ‘আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব’

    তারা বারবার চিৎকার করে বলছিল, “আমরা এ জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। তোমরা চিৎকার করবে, আনন্দ করবে, আর আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব।” মিছিলে থাকা লোকজন এর প্রতিবাদ করলে, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকজন আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা ইট-পাথর ছুড়তে থাকে মিছিল লক্ষ্য করে। ইটের ঘায়ে জখম হন মিছিলে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রীড়াপ্রেমী। অভিযোগকারী স্বয়ং কাঁধে চোট পেয়েছেন। অভিযোগকারী বলেন, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকগুলো বলছিল আজ তোমরা বেঁচে গেলে। কিন্তু এর পর আমাদের সামনে আর কখনও কোনও শোভাযাত্রা করলে তোমাদের একেবারে শেষ করে দেব।” ইন্দোরের (MP) পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “গত রাতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৭ জনের নাম রয়েছে। আমরা ১২ জনকে হেফাজতে নিয়েছি (Mhow Violence Case)।”

  • Science News: জীবনকে আলোকিত করে এক অদৃশ্য শক্তি, রয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, দাবি হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীর

    Science News: জীবনকে আলোকিত করে এক অদৃশ্য শক্তি, রয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, দাবি হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঈশ্বরের উপস্থিতি সত্যিই রয়েছে! এমনটা আর কোনও ধর্মগুরু নয়, বলছেন নামকরা বিজ্ঞানী (Science News)। অলমাইটি গড কিংবা ঈশ্বর যে নামই হোক না কেন! মানুষ সমস্যায় পড়লে তাঁকেই স্মরণ করে। এবার ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়েই অবাক দাবি করলেন বিজ্ঞানী উইলি সুন। প্রথমে এই বিজ্ঞানীর একটু পরিচয় জেনে নেওয়া যাক। ডঃ উইলি সুন আসলে একজন একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ তথা এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। হার্ভার্ড অ্যান্ড স্মিথসন সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে দীর্ঘ সময়ে কর্মরত ছিলেন তিনি, এমনটাই জানা যায়।

    ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষে কী বললেন বিজ্ঞানী?

    সৃ্ষ্টির সূচনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে রয়েছে ভিন্ন মত (Science News)। একইভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়েও নানা মত রয়েছে। এই আবহে হার্ভার্ডের বিজ্ঞানী (Harvard Scientist) এবার ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে সওয়াল করলেন। জানালেন, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে গাণিতিক সূত্রও তুলে ধরেন বিজ্ঞানী। Tuckert Carlson Network-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঈশ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করেন এই বিজ্ঞানী। নিজের দাবির সপক্ষে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জীবনকে সর্বদা আলোকিত করে চলেছে কিছু শক্তি। ঈশ্বর (Science News) আমাদের এই আলো দিয়েছেন, যথাসাধ্য সেই আলোকে অনুসরণ করতে পারি আমরা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি একটু দুর্বল হলেই গ্রহের সৃষ্টি হতো না। আবার একটু বেশি হলে গ্রহ কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হত। ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুতেই ঈশ্বরের হাত রয়েছে।’’

    Fine Tuning Arguement তত্ত্ব আসলে কী

    উইলি ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব (Science News) নিয়ে তাঁর যে তত্ত্ব, তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে Fine Tuning Arguement. অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডে ভৌত সমীকরণ প্রাণসৃষ্টির জন্য এতটাই নিখুঁত যে তা কোনও অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পারে না। কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। Tucker Carlson Network-এ উপস্থিত হয়ে তিনি Fine-Tuning Argument নিয়ে আলোচনা করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্বের ভৌত আইন ও ধ্রুবকগুলির মান অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সজ্জিত। যা জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে পৃথিবীতে। বিজ্ঞানী উইলির মতে, এই নিখুঁত সামঞ্জস্য নিছক কোনও দুর্ঘটনা হতে পারে না, বরং এর পিছনে একটি ঐশ্বরিক পরিকল্পনা থাকতে পারে।

    ১৯৬৩ সালে বিজ্ঞানী পল ডিরাক প্রথম এই দাবি করেন

    তবে উইলির আগে এই সূত্রটি প্রথম কেমব্রিজের গণিতবিদ পল ডিরাক উপস্থাপন করেন। ১৯৬৩ সালে পল ডিরাক প্রথম এই তত্ত্ব তুলে ধরেন। ওই বিজ্ঞানীর মত ছিল, কিছু মহাজাগতিক ধ্রুবক এতটাই নিখুঁত, তা নেহাত কোনও আকস্মিক ঘটনা হতে পারে না। ১৯৬৩ সালে ডিরাক লেখেন, ‘‘প্রকৃতির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল, মৌলিক ভৌত সমীকরণগুলিকে গাণিতিক সূত্রের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর ও বলিষ্ঠ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বোঝার জন্য গণিতের যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।। প্রকৃতির গঠন অত্যন্ত সুন্দর। এটা মানতেই হবে। কেউ বলতেই পারেন যে ঈশ্বর আসলে গণিতবিদ, অত্যধিক উন্নত (Science News) গণিত প্রয়োগ করে ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করেছেন তিনি।’’ ডিরাক আরও লিখেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর একজন উচ্চমানের গণিতবিদ হতে পারেন, যিনি উন্নত গণিতের সাহায্যে মহাবিশ্ব গঠন করেছেন।’’

    জীবনকে আলোকিত করতে কাজ করে এক অদৃশ্য শক্তি

    Tucker Carlson Network-এ ডক্টর উইলি সুন ডিরাকের তত্ত্বের ভিত্তিতেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জীবনকে আলোকিত করার জন্য সর্বদা এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করে। ঈশ্বর আমাদের এই আলো দিয়েছেন, যা আমাদের অনুসরণ করা উচিত।’’ তাঁর মতে, ‘‘মহাবিশ্ব যে সুনির্দিষ্ট গাণিতিক নিয়ম অনুসরণ করে, তা ঈশ্বরের উপস্থিতির প্রমাণ হতে পারে।’’ উইলি সুনের এই বক্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেউ কেউ মনে করেন, বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। আবার অনেকে মনে করছেন, বিজ্ঞান নিজেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারে।

    ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে স্টিফেন হকিং কী লিখেছিলেন

    ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে স্টিফেন হকিং-ও মুখ খুলেছিলেন। নিজের অসুস্থতা নিয়ে শেষ বই Brief Answwers to the Big Questions-তে হকিং লেখেন, ‘‘আমার মতো প্রতিবন্ধীরা ঈশ্বরের অভিশাপের ফলে দুর্দশা ভোগ করছেন বলে বহু শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন মানুষজন। হতে পারে উপরের কাউকে আমি কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু আমার মনে হয়, প্রকৃতির নিয়ম মেনেই প্রত্যেকটি বিষয়কে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। আমার মতো আপনি যদি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন, কিছু নীতিনিয়ম সর্বদা মেনে চলি আমরা। এই নীতি-নিয়ম ঈশ্বরের বলা যেতে পারে, কিন্তু তা ঈশ্বরের সংজ্ঞা, তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ নয়।’’

  • Mahakumbh 2025: ‘‘পুণ্যস্নানের জন্য মহাকুম্ভের জল উপযুক্ত ছিল’’, রিপোর্ট কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের

    Mahakumbh 2025: ‘‘পুণ্যস্নানের জন্য মহাকুম্ভের জল উপযুক্ত ছিল’’, রিপোর্ট কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ত্রিবেণী সঙ্গমের জল স্নানের উপযুক্ত ছিল। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে এই রিপোর্ট জমা করল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। একটি পরিসংখ্যানগত পর্যালোচনায় এই তথ্য উঠেছে এসেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (CPCB Report)।

    কী ভাবে হল পরীক্ষা (Mahakumbh 2025)

    কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, প্রথমে আলাদা আলাদা দিনে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমের (Mahakumbh 2025) একটি ঘাটের জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর একই দিনে আলাদা আলাদা ঘাট থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর ফলে পরিসংখ্যানগত তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল। পরিবর্তনশীল এমন নমুনা থেকে সম্পূর্ণ সঙ্গমের গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব ছিল না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    রিপোর্ট প্রকাশ পায় ২৮ ফেব্রুয়ারি

    ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের ওয়েবসাইটে ৭ মার্চ এই রিপোর্টটি আপলোড করা হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১২ জানুয়ারি থেকে প্রতি সপ্তাহে দু’বার করে ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে পুণ্যস্নান তিথিগুলিতেও নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাকুম্ভের জল সংগ্রহ করা হয়। গঙ্গার পাঁচটি ঘাট এবং যমুনার দু’টি ঘাটের জল বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    কী বলছে রিপোর্ট

    কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট বলছে, ‘‘বিভিন্ন মাপকাঠিতে জলের নমুনায় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। পিএইচ লেভেল, অক্সিজেন, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড এবং ফিকাল কলিফর্ম কাউন্ট প্রতিটি নমুনার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ছিল। আলাদা আলাদা দিনে একটি ঘাট থেকে সংগ্রহ করা নমুনা এবং ভিন্ন ভিন্ন ঘাট থেকে একই দিনে সংগ্রহ করা নমুনার রেজাল্টে পার্থক্য দেখা গিয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, এই রিপোর্ট তৈরি করেছে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি।

    ৭ এপ্রিল মামলার শুনানি (Mahakumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমের যে ১০টি ঘাটে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্নান সেরেছেন, সেগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ১২ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ১০টি ঘাটের নমুনার জন্য ২০ রাউন্ড পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভের জল স্নানের উপযুক্ত ছিল না এই দাবিতে মামলা হয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে।

  • Daily Horoscope 11 March 2025: বিবাদ-বিতর্ক এড়িয়ে চলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 March 2025: বিবাদ-বিতর্ক এড়িয়ে চলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) দিনটা কোনও মতেই ভালো না।

    ২) যা কিছু করুন না কেন – প্রথমভাগে কোনও অপ্রীতিকর কষ্টদায়ক ঘটনা ঘটতে পারে।

    ৩) মানসিক চাপ বেড়েই চলবে।

    বৃষ

    ১) দিনটা যোগাযোগের পক্ষে অনুকূল হলেও প্রবল মানসিক উদ্বেগ ও অশান্তি মনকে বিষাদাচ্ছন্ন করে তুলবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র থাকবে ঝঞ্ঝাট ও নৈরাশ্যপূর্ণ।

    ৩) সামান্য অর্থ হাতে এলেও তা হবে প্রয়োজনের তুলনায় হতাশাসূচক।

    মিথুন

    ১) সামান্য অর্থাগম হলেও প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম।

    ২) বিবাদ-বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

    ৩) শরীর চলনসই থাকবে দিনভর।

    কর্কট

    ১) কর্ম ও আয়ের ক্ষেত্র থাকবে চলনসই।

    ২) টুকটাক কিছু অর্থ হাতে আসবে।

    ৩) অন্যের গৃহে আতিথ্য গ্রহণ।

    সিংহ

    ১) অন্যের অপ্রিয় হয়ে কথা শুনবেন।

    ২) নিকট কারও সাথে মতবিরোধ দেখা দেবে।

    ৩)  কর্মক্ষেত্র চলনসই ব্যবহার পাবেন সকলের কাছে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্র কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করবে।

    ২) উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে সামান্য আর্থিক উন্নতি ও অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসবে।

    ৩)  নিকট আত্মীয়ের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা ও পরিবারে কারও সাথে মতবিরোধ দেখা দেবে।

    তুলা

    ১) বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে নতুন যোগাযোগ দেখা দেবে।

    ৩)  আয় ও আর্থিকক্ষেত্র আশানুরূপ আলো দেখাবে না।

    বৃশ্চিক

    ১)  আয়ের ক্ষেত্র নৈরাশ্যজনক।

    ২) ঘনিষ্ঠজনের জন্য দুশ্চিন্তা ও গৃহে মতবিরোধজনিত অশান্তি দেখা দিতে পারে।

    ৩) কোনও কাজে বেড়িয়ে অযথা ঘোরাঘুরি ও অর্থ ব্যয় হবে।

    ধনু

    ১) নতুন যোগাযোগ ও বন্ধুর সাহচর্য আনন্দ দেবে।

    ২) অযথা অর্থ ব্যয় ও পারিবারিক ব্যাপারে হঠাৎ কলহ দেখা দেবে।

    ৩) স্বজন বিষয়ক দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    মকর

    ১) কোনও চাঞ্চল্যকর সংবাদ পেতে পারেন।

    ২) নিকট সম্পর্কের কারও সাথে মতবিরোধ ও অকারণ কারও বিরক্তিভাজন হবেন।

    ৩) গৃহে অতিথির আগমন ও নিজ দোষে কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা।

    কুম্ভ

    ১) নিজ দোষে অর্থ কিংবা দ্রব্য ক্ষতি হতে পারে।

    ২) পূর্বসূত্রে অর্থলাভ ও কোনও বয়স্ক ব্যক্তির সাহায্য পাবেন।

    ৩) হঠাৎ কোনও বিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    মীন

    ১) কোনও সাদা দ্রব্য লাভ হবে।

    ২) কোনও স্বজনের জন্য দুর্ভাবনা দেখা দেবে।

    ৩) উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সাথে পরিচয় হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Holi: ১৪ নাকি ১৫ মার্চ, কবে রঙের উৎসব? কখন লাগছে তিথি? কী বলছে পঞ্জিকা?

    Holi: ১৪ নাকি ১৫ মার্চ, কবে রঙের উৎসব? কখন লাগছে তিথি? কী বলছে পঞ্জিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্মে দোল পূর্ণিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বাংলায় পালিত হয় দোল ও দেশের অন্যান্য অংশে পালিত হয় হোলি (Holi)। এদিন রঙ আবিরের (Dol Purnima) পিচকারি নিয়ে মজায় মেতে ওঠেন হিন্দুরা। সঙ্গে থাকে মিষ্টি। পাশাপাশি অন্যান্য খাবার-পানীয়ের সঙ্গে হালকা গান এবং খুশিতে নাচও চলে। হোলি বা দোল সাধারণত দুটি ফেজে হয়। হোলিকা দহন যা বাংলায় ন্যাড়া পোড়া নামে পরিচিত, আর রঙ্গোলি হোলি বা রঙের খেলা। প্রথমটিকে বলে ছোটি হোলি, দ্বিতীয়টিকে ধুলন্ডি বা ফাগুয়া। চলতি বছরে ১৩ মার্চ হবে হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া (Holi)। ভক্তদের বিশ্বাস হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ার মাধ্যমে মনের পাপ, লোভ, হিংসার শেষ হয়। রঙের উৎসব পালিত হবে ১৪ মার্চ। পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৩ মার্চ সকাল ১০.৩৫ মিনিট থেকে। আর তা শেষ হবে ১৪ মার্চ ১২.২৩ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে পূর্ণিমা পালিত হবে ১৪ মার্চ শুক্রবার। ১৪ মার্চ দোল এবং হোলি, দুই-ই এক দিনে পালিত হবে। এছাড়া চৈত্র কৃষ্ণ প্রতিপদে উদয়া তিথি পড়ছে বলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫ মার্চও হোলি পালিত হবে।

    কী বলছে পঞ্জিকা

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–

    পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ হবে (Holi)

    ইংরেজি– ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার।

    বাংলা– ২৯ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবার।

    সময়– সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট।

    পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে (Holi)

    ইংরেজি– ১৪ মার্চ, শুক্রবার।

    বাংলা– ৩০ ফাল্গুন, শুক্রবার।

    সময়– সকাল ১২টা ২৫ মিনিট।

     

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে–

    পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ হবে

    ইংরেজি– ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার।

    বাংলা– ২৮ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবার।

    সময়– সকাল ১০টা ২২ মিনিট ২৩ সেকেন্ড।

    পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে (Holi)

    ইংরেজি– ১৪ মার্চ, শুক্রবার।

    বাংলা– ২৯ ফাল্গুন, শুক্রবার।

    সময়– সকাল ১১টা ৩৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড।

    মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবেরও জন্মতিথি দোলপূর্ণিমা (Holi)

    দোলযাত্রা প্রধানত বৈষ্ণব ধর্মীয় মানুষদের উৎসব হলেও সকলেই মেতে ওঠেন এই উৎসবে (Holi)। দোলযাত্রা (Dol Purnima) পালিত হয় ফাল্গুনী পূর্ণিমায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে শ্রীধাম বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা এবং অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই কারণে দোলপূর্ণিমার তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীরাধার বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা বিভিন্ন জায়গায়। এর পাশাপাশি আবির খেলায় মেতে ওঠেন বৈষ্ণব সমাজের লোকজন। দোল উৎসব ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হলেও এই উৎসব ন্যাড়া পোড়া থেকেই শুরু হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দোলপূর্ণিমার পুণ্য তিথি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবেরও জন্মতিথি।

  • Ramakrishna 293: “যে অবধি গেছে বিশ্বরূপ, প্রাণ মম কাঁপে নিরন্তর, পাছে হয় নিমাই সন্ন্যাসী”

    Ramakrishna 293: “যে অবধি গেছে বিশ্বরূপ, প্রাণ মম কাঁপে নিরন্তর, পাছে হয় নিমাই সন্ন্যাসী”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    চৈতন্যলীলাদর্শন—গৌরপ্রেমে মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণ

    মণি ঠাকুরের কাছে বসিয়া আছেন। বলিতেছেন (Kathamrita), আহা!

    ঠাকুর (Ramakrishna) আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। ‘আহা’ বলিতে বলিতে মণির দিকে তাকাইয়া প্রেমাশ্রু বির্সজন করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বাবুরাম ও মাস্টারকে)—দেখ, যদি আমার ভাব কি সমাধি হয়, তোমরা গোলমাল করো না। ঐহিকেরা ঢঙ মনে করবে।

    নিমাই-এর উপনয়ন। নিমাই সন্ন্যাসী সাজিয়াছেন। শচী ও প্রতিবাসিনিগণ চতুর্দিকে দাঁড়াইয়া। নিমাই গান গাইয়া ভিক্ষা করিতেছেন:

          দে গো ভিক্ষা দে।
    আমি নূতন যোগী ফিরি কেঁদে কেঁদে।
    ওগো ব্রজবাসী তোদের ভালবাসি,
    ওগো তাইতো আসি, দেখ মা উপবাসী।
    দেখ মা দ্বারে যোগী বলে ‘রাধে রাধে’।
    বেলা গেল যেতে হবে ফিরে,
    একাকী থাকি মা যমুনাতীরে
    আঁখিনীরে মিশে নীরে,
    চলে ধীরে ধীরে ধারা মৃদু নাদে।

    সকলে চলিয়া গেলেন (Kathamrita)। নিমাই একাকী আছেন। দেবগণ ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী বেশে তাঁহাকে স্তব করিতেছেন।

    পুরুষগণ—চন্দ্রকিরণ অঙ্গে, নমো বামনরূপধারী।
    স্ত্রীগণ—গোপীগণ মনোমোহন, মঞ্জুকুঞ্জচারী।
    নিমাই — জয় রাধে শ্রীরাধে।
    পুরুষগণ — ব্রজবালক সঙ্গ, মদন মান ভঙ্গ।
    স্ত্রীগণ— উন্মাদিনী ব্রজকামিনী, উন্মাদ তরঙ্গ।
    পুরুষগণ — দৈত্যছলন, নারায়ণ, সুরগণভয়হারী।
    স্ত্রীগণ — ব্রজবিহারী গোপনারী-মান-ভিখারী।
    নিমাই — জয় রাধে শ্রীরাধে।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই গান শুনিতে শুনিতে সমাধিস্থ হইলেন। যবনিকা পতন হইল। কনসার্ট বাজিতেছে।

    “সংসারী লোক দুদিক রাখতে বলে”—গঙ্গাদাস ও শ্রীবাস 

    অদ্বৈতের বাটীর সম্মুখে শ্রীবাসাদি কথা কহিতেছেন। মুকুন্দ মধুর কণ্ঠে গান গাইতেছেন:

    আর ঘুমাইও না মন। মায়াঘোরে কতদিন রবে অচেতন।
    কে তুমি কি হেতু এলে, আপনারে ভুলে গেলে
    চাহরে নয়ন মেলে ত্যজ কুস্বপন ॥
    রয়েছো অনিত্য ধ্যানে নিত্যানন্দ হের প্রাণে,
    তম পরিহরি হের তরুণ তপন ॥

    মুকুন্দ বড় সুকণ্ঠ। শ্রীরামকৃষ্ণ মণির নিকট প্রশংসা করিতেছেন।

    নিমাই বাটীতে আছেন। শ্রীবাস দেখা করিতে আসিয়াছেন (Kathamrita)। আগে শচির সঙ্গে দেখা হইল। শচী কাঁদিতে লাগিলেন। বলিলেন, পুত্র আমার গৃহধর্মে মন দেয় না।

          ‘যে অবধি গেছে বিশ্বরূপ,
    প্রাণ মম কাঁপে নিরন্তর, পাছে হয় নিমাই সন্ন্যাসী।’

    এমন সময় নিমাই আসিতেছেন। শচী শ্রীবাসকে (Ramakrishna)  বলিতেছেন —

          ‘আহা দেখ দেখ পাগলের প্রায়,
    আঁখিনীরে বুক ভেসে যায়, বল বল এ ভাব কেমনে যাবে?’

    নিমাই শ্রীবাসকে দেখিয়া তাঁহার পায়ে জড়াইয়া কাঁদিতেছেন—আর বলিতেছেন (Kathamrita) —

    কই প্রভু কই মম কৃষ্ণভক্তি হলো,
    অধম জনম বৃথা কেটে গেল।
    বল প্রভু, কৃষ্ণ কই, কৃষ্ণ কোথা পাব,
    দেহ পদধূলি বনমালী যেন পাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি (Syria Unrest)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি গৃহযুদ্ধে দীর্ণ। সম্প্রতি সেই যুদ্ধ উঠেছে তুঙ্গে। হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। লড়াই চলছে মূলত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগামীদের। ডিসেম্বরেই আসাদ সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল সাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল-ইজ্জার যৌথবাহিনী।

    সংঘাতের শিকার আলাওয়াইটরা (Syria Unrest)

    সিরিয়ার এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের শিকার হচ্ছে আলাওয়াইট নামে একটি সংখ্যালঘু শ্রেণি। এঁরা মূলত বাস করেন সিরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা লাটাকিয়া এবং টারটসে। অভিযোগ, পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের মানুষকে। লাশের পাহাড় জমছে আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। প্রশ্ন হল, কেন বেছে বেছে আলাওয়াইটদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সরকারের সামরিক বাহিনী? এ দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন এই সম্প্রদায়ের। তাঁর আমলে প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের উচ্চপদে ঠাঁই দেওয়া হয় আলাওয়াইটদের। এই পক্ষপাতিত্ব সহ্য হয়নি সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত সিরিয়ার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা পুঞ্জীভূত এই ক্ষোভের গনগনে আগুনেই এখন পুড়ছে সিরিয়া।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    সিরিয়ার লাটাকিয়ায় বাস করেন বছর ছত্রিশের আলি কোশমার। তিনি বলেন, “মধ্য রাতে বেশ কিছু সশস্ত্র ব্যক্তির চিৎকারে ঘুমে ভেঙে যায় আমার। আগন্তুকরা বলছে, ঘর থেকে বেরিয়ে এসো তোমরা আলাওয়াইট শূকর, নাসাইরি!” প্রসঙ্গত, এই নুসাইরি ইবন নুসাইরের অনুগামীদের বোঝায়। তিনি এই আলাওয়াইটদের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বলেন, “ওরা আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলল, অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করল, এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল। ওরা আমার ভাইকে নিয়ে গেছে। আমাকেও ওরা তিন-তিনবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। কোনক্রমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণে বাঁচি (Syria Unrest)।” তিনি বলেন, “জানি না আমার পরিবার এবং আমি আর কতদিন বেঁচে থাকব। আমাদের নাম আমাদের সম্প্রদায়ের পরিচয় প্রকাশ করে। আমাদের উচ্চারণ আমাদের পরিচয় ফাঁস করে। আমাদের উৎপত্তিস্থলও আমাদের ঝুঁকিতে ফেলে।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ

    মিশ্র ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মিস্টার সালামাহ। তাঁর মা সুন্নি মুসলমান, বাবা আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের। তাঁদের অনেক আত্মীয় আবার খ্রিস্টান। তিনি বলেন, “আসাদের শাসনে আমরাও সব সিরিয়ানের মতোই ভুগেছি।” জানা গিয়েছে, অত্যাচারীরা কেবল আসাদ সমর্থক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মীদেরই টার্গেট করছে না, তারা সাধারণ মানুষ, কৃষক এবং খ্রিস্টান ও শিয়া মুসলমান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ করছে।

    সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান

    সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল গত ডিসেম্বরেও। মিস্টার সালামাহ নামে এক সিরিয়ান বলেন, “সেবার সশস্ত্র লোকজন হামলা চালিয়ে একটি মাজারের প্রহরীদের হত্যা করে। পরে মাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আলাওয়াইটরা প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। যার ফলে হোমসে একজন নিহত হন, জখমও হন বেশ কয়েকজন।” কোশমার বলেন, “যা ঘটছে, তা একটি চলমান সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা। এরা যে কাউকে আলাওয়াইট হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের টার্গেট করছে। তা তাদের ধর্ম, ভাষা বা উৎপত্তি স্থানের ভিত্তিতেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণে।” তিনি বলেন, “এই যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তা কেবল আসাদ পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নেবার জন্য নয়। এর সঙ্গে আসাদ পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই (Syria Unrest)। সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র জনগণের অন্তর্ভুক্ত। তারা নিরীহ নাগরিক — টেকনোলজিস্ট, ডাক্তার এবং কৃষক। তবুও আসাদের অবশিষ্টদের খোঁজার অজুহাতে একটি পুরো সম্প্রদায়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।”

    গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়া!

    এই গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মিস্টার খালাফ। তিনি বলেন, “ওরা (রাশিয়া) আসাদ শাসনের অবশিষ্টদের পাল্টা আক্রমণের জন্য উৎসাহিত করেছিল, উপকূল ও আলাওয়াইটদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পরে তাদের ছেড়ে পালায়।”  তিনি বলেন, “এর ফলে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় আল-জুলানি। যদিও তখন রাশিয়া তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার নামে অপরাধ তদন্ত করার দাবি করেছিল।” তিনি বলেন, “যাঁরা হিংসার শিকার হয়েছেন, আমি তাঁদের সাহায্য করতে একটি আর্থিক অনুদানের প্রচার চালাতে চাই। এজন্য আমি ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছি (Syria Unrest)।”

    প্রসঙ্গত, সিরিয়া সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ৬ মার্চ, ২০২৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে তদন্ত ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে (Syria Unrest)।

LinkedIn
Share