Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকার অধিবেশনে আয়কর বিলের জন্য সংসদের অনুমোদন চাইবে। আটটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সুশাসন ব্যবস্থার (New Bills) মাধ্যমে খেলাধুলোয় নৈতিক অনুশীলন নিশ্চিত করার একটি বিল এবং ভূ-ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আরও একটি বিল। মঙ্গলবার লোকসভার একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিনেই এ খবর জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই অধিবেশনে পেশ হবে মোট ১২টি বিল।

    বিলের অবস্থা (PM Modi)

    এর মধ্যে কয়েকটি বিল ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ হয়েছে। কয়েকটি বিল এখনও সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। সেগুলি সরকার পক্ষের আইন প্রণয়নের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই বাদল অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। ২১ জুলাই শুরু হওয়া এই অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট। জানা গিয়েছে, এই অধিবেশনে সরকার মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উভয় কক্ষের অনুমোদন চাইবে। উত্তর-পূর্বের ওই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সংসদে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ‘ইমপিচমেন্ট মোশান’ও উঠতে পারে।

    জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫

    প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, “জিওহেরিটেজ সাইটস ও জিও-রেলিকস বিল, ২০২৫”-এর লক্ষ্য হল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিওহেরিটেজ সাইট ও জিও-রেলিকসগুলিকে ঘোষণা, সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিকাঠামো দেওয়া যাতে করে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এই অধিবেশনেই পেশ হবে জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫। এই বিলের উদ্দেশ্য হল, “ক্রীড়ার বিকাশ ও প্রচার, ক্রীড়াবিদদের কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলির প্রসার, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈতিকতা রক্ষার জন্য সুশাসনের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন পরিচালনার জন্য এমন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও বিধিসম্মত মানদণ্ড গঠন করা, যা অলিম্পিক ও ক্রীড়া আন্দোলনের নৈতিকতা, ন্যায্যতা ও সুশাসনের সর্বজনীন মৌলিক বিধিগুলির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।

    বিল পেশের কারণ

    যেমন, অলিম্পিক চার্টার, প্যারালিম্পিক চার্টার, ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্র্যাকটিসেস, এবং এস্টাবলিশ লিগ্যাল স্ট্যান্ডার্ড। এছাড়াও, ক্রীড়া সংক্রান্ত অভিযোগ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা (New Bills) গঠন করাই এই বিলের অন্যতম লক্ষ্য।” জানা গিয়েছে (PM Modi), এই বিলটি শীঘ্রই সংসদে উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিতর্ক উঠেছে। উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। সেই প্রেক্ষাপটেই আনা হয়েছে এই বিল।কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুর পণ্য ও পরিষেবা কর (সংশোধন) বিল, ২০২৫-কে একটি অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তে পাস করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বলেও খবর। এই বিলের লক্ষ্য হল, কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে কোনও বিরোধ এড়ানো। সহজে যাতে ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি ও জীবনযাপন সহজতর করা যায় তাই সংশোধন আনা হবে “জন বিশ্বাস বিলে”।

    লোকসভা বুলেটিন

    লোকসভা বুলেটিন (New Bills) অনুযায়ী, “ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষ (সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিল, ২০২৫” অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, “এই বিলের উদ্দেশ্য হল ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করতে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষগুলির ঘোষণার মাধ্যমে সেগুলিকে সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের আইন করা (PM Modi)।” সরকারের আরও পরিকল্পনা, “খনিজ ও খনি (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল, ২০২৫” এবং “জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং আইনে” আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশোধন আনার।

    আয়কর বিল, ২০২৫

    লোকসভার বুলেটিন অনুযায়ী, খনিজ সংক্রান্ত বিলটির উদ্দেশ্য হল – সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ খনিজের কার্যকর পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা, গভীরে থাকা খনিজের বৈজ্ঞানিক ও সর্বোত্তম খনন নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী এলাকা লিজে অন্তর্ভুক্ত করা, জাতীয় খনিজ অনুসন্ধান ট্রাস্টের কাজের পরিসর বাড়ানো, এবং সেই খনিজের পুরানো মজুত যেগুলি ব্যবহারের উপযুক্ত নয়, সেগুলির বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ (New Bills) রাখা। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হয়েছিল আয়কর বিল, ২০২৫। এটি আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ভাষা ও কাঠামো সহজতর করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিলটি বর্তমানে রয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির পর্যালোচনার আওতায়। এই কমিটি বুধবার তাদের রিপোর্ট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার বাদল অধিবেশনেই বিলটি পাসের জন্য উপস্থাপন করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, প্রথমে ঠিক ছিল বাদল অধিবেশন চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। পরে সেটাই বাড়িয়ে করা (New Bills) হয় ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। অর্থাৎ এবার অধিবেশনের মেয়াদ হবে পুরোপুরি এক মাস (PM Modi)।

  • Ramakrishna 410: অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    Ramakrishna 410: অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

    অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    স্কুলের ছুটির পর মাস্টার আসিয়া দেখিতেছেন। ঠাকুর বলরামের বৈঠকখানায় ভক্তের মজলিস করিয়া বসিয়া আছেন। ঠাকুরের মুখে মধুর হাসি, সেই হাসি ভক্তদের মুখে প্রতিবিম্বিত হইতেছে। মাস্টারকে ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া, তিনি প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাকে তাহার কাছে আসিয়া বসিতে ইঙ্গিত করিলেন।

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষ, মিত্র, বলরাম, লাডু, চুনিলাল ইত্যাদি ভক্ত উপস্থিত আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “তুমি একবার নরেন্দ্রের সঙ্গে বিচার করে দেখো, সে কি বলে।”

    গিরিশ: “স্বাচ্ছন্দ্যে—নরেন্দ্র বলে, ঈশ্বর অনন্ত। যা কিছু আমরা দেখি, শুনি—জিনিসটি কি, ব্যক্তিটি কি—সবই তাঁর অংশ। এপর্যন্ত আমাদের বলবার জো নাই।
    অনন্ত আকাশ, তার আবার অংশ কী? অংশ হয় না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ঈশ্বর অনন্ত, হোন আর যত বড়—তিনি ইচ্ছা করলে তাঁর ভিতরের সারবস্তু মানুষের ভিতর দিয়ে আসতে পারেন, ও আসেন। তিনি অবতার হয়ে থাকেন। এটি উপমা দিয়ে বুঝানো যায় না, অনুভব হওয়া চাই, প্রত্যক্ষ হওয়া চাই।
    উপমার দ্বারা কতটা আভাস পাওয়া যায়। গরুর মধ্যে সিমটা যদি ছোঁয়াও, গরুকে ছোঁয়া হলো। পা-টা বা লেজটা ছুঁলেও গরুটাকে ছোঁয়া হলো।
    কিন্তু আমাদের পক্ষে গরুর ভিতরের সারপদার্থ হচ্ছে দুধ। সেই দুধ বাটিতে দিয়ে আসে।
    সেইরূপ, প্রেমেও ভক্ত শেখাবার জন্য ঈশ্বর মানুষ-দেহ ধারণ করে, সময়ে সময়ে অবতীর্ণ হন।”

  • Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইয়েমেনে (Yemen) ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল কেরলের মেয়ে পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya)। তার ঠিক একদিন আগে এল চমকে দেওয়ার মতো খবর। জানা গিয়েছে, আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের তারিখ। প্রিয়াকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছিল ভারত। ফাঁসির ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার আসরে নেমে পড়েন সুন্নি মৌলানা কান্থাপূরম এপি আবুবাকার মুসলিয়ার। তিনি ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, ইয়েমেনের তালাব আবদো মাহাদির নামে যে নাগরিককে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে প্রিয়ার, তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ওই মৌলানা। ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    ময়দানে ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ (Nimisha Priya)

    বছর চুরানব্বইয়ের এই মৌলানা ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও কথা বলেছেন। মঙ্গলবার ধামার এলাকায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত তথা সুফি নেতা শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজাও। মৌলানার অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের এক আত্মীয় হুদেইয়া স্টেট কোর্টের বিচারক। তিনি ইয়েমেনি সুরা কাউন্সিলেরও সদস্য। ধামারের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফলে সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই মৌলানা। তাঁর দেখা করার কথা সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও। যাতে কোনওভাবে অন্তত প্রিয়ার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া যায়। ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে গেলে ব্লাড মানি জোগাড় করার সময় মিলবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ইয়েমেন সরকার আপাতত (Nimisha Priya) স্থগিত করেছে কেরলের নার্সের ফাঁসি।

    ‘ব্লাড মানি’

    প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবার ধামার গোষ্ঠীর সদস্য। এতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনও উপায় ছিল না। এই প্রথম মৌলানার হস্তক্ষেপে প্রিয়ার হয়ে আর্জি জানানো সম্ভব হল। ‘ব্লাড মানি’ হল এমন এক ধরনের ক্ষতিপূরণ যা একজন অপরাধী সাধারণত খুনি, যাঁকে খুন করেন, তাঁর পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে থাকে। ইয়েমেনে (Yemen) এটি একটি আইনি প্রথা যেখানে রক্তের প্রতিশোধের পরিবর্তে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় (Nimisha Priya)।

  • President Murmu: তিনজন নয়া রাজ্যপাল-উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি

    President Murmu: তিনজন নয়া রাজ্যপাল-উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজন নয়া রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। ১৪ জুলাই, সোমবার নিয়োগ করা হয় তাঁদের। এঁদের মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছেন একজন। তিনি প্রাক্তন অধ্যাপক আসীম কুমার ঘোষ (Prof Ghosh)। তাঁকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার রাজ্যপালের দায়িত্ব। গোয়ার রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয়েছে পুসাপতি অশোক গজপতি রাজুকে। আর লাদাখের উপরাজ্যপাল করা হয়েছে কবিন্দর গুপ্তকে। হরিয়ানার বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র জায়গায় যাচ্ছেন অসীম। ২০২১ সাল থেকে হরিয়ানার রাজ্যপাল রয়েছেন দত্তাত্রেয়। গোয়ার রাজ্যপাল রয়েছেন পিএস শ্রীধরন পিল্লাই। তাঁর জায়গায় বসানো হচ্ছে পুসাপতি অশোক গজপতি রাজুকে।

    অসীম কুমার ঘোষ (President Murmu)

    প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম কুমার ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা। শিক্ষাবিদ হিসেবেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। নানা সময়ে তিনি অলঙ্কৃত করেছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক, রাজ্য সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের পদ। সাম্প্রতিক কালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। তবে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে প্রবীণ চিন্তক হিসেবে জায়গা পেতেন তিনি। এহেন এক শিক্ষাবিদকেই বসানো হল হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে (President Murmu)।

    অশোক গজপতি রাজু

    পুসাপতি অশোক গজপতি রাজু টিডিপির একজন প্রবীণ নেতা। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম রাজ পরিবারের সদস্য। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে টিডিপি এনডিএ সঙ্গ ছাড়লে পদত্যাগ করেন রাজু। তিনি বিজয়নগরম থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন সাতবার।

    কবিন্দর গুপ্ত

    প্রবীণ বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্তকে দেওয়া হল লাদাখের উপরাজ্যপালের পদ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পরপর তিনবার জম্মুর মেয়র হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। প্রবীণ এই বিজেপি নেতা ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের শেষ উপমুখ্যমন্ত্রী। এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে (Prof Ghosh) জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। সেই লাদাখেরই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে (President Murmu)।

  • TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপক রক্ত ঝরেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বিরোধীদের ওপর প্রচুর অত্যাচার হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই রাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার।

    খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের ৩ (TMC)

    এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) তৃণমূলের স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলেরই পাপিয়া ঘোষ। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। তৃণমূলের এই নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছে থাকলেও, সিবিআই হঠাৎই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করায় তাঁরা আদালতের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, সিবিআই ইতিমধ্যেই ওই তিন তৃণমূল নেতাকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওই তৃণমূল নেতাদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে।

    বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত তাঁরা

    কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হয় ২ মে। তার পরেই কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ফেসবুক লাইভে এসে অভিজিৎ অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি ও পোষ্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তাতেই নাম জড়ায় ওই তিন তৃণমূল নেতার। খুনের প্রেক্ষিতে অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা (TMC)। সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে পরেশ, স্বপন এবং পাপিয়ার নাম।

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় জড়িত শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু শেষমেশ সামনে আসছে সত্য। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাংকশাল কোর্টে হাজিরা এড়িয়েছিলেন (Calcutta High Court) তৃণমূলের এই তিন অভিযুক্ত নেতা (TMC)।

  • Love Jihad: উত্তরপ্রদেশে ফের লাভ জিহাদের পর্দা ফাঁস, হিন্দুর ভেক ধরে প্রতারণা করে চলেছিল মুসলিম যুবক

    Love Jihad: উত্তরপ্রদেশে ফের লাভ জিহাদের পর্দা ফাঁস, হিন্দুর ভেক ধরে প্রতারণা করে চলেছিল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খোঁজ মিলল ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) চক্রের হদিশ। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক হিন্দু তরুণীর দাবি, মহম্মদ নাভেদ ওরফে কাসিব পাঠান (Muslim Man Arrested) তার ধর্ম গোপন করে তাঁকে ফাঁদে ফেলে এবং তারপর ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেল এবং পরে ইসলাম ধর্ম নিতে বাধ্য করে। ওই তরুণীর দাবি, বছর দুয়েক আগে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে তাঁর পরিচয় হয় কাসিব পাঠানের সঙ্গে। পাঠান মুসলমান পরিচয় লুকিয়ে ‘শিব ভার্মা’ নাম দিয়ে একটি ভুয়ো আইডি খোলে। ওই তরুণীর সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন সে সব সময় নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিত। তিলক এবং কলাওয়া পরে এবং হিন্দু দেব-দেবীর নামে শপথ নিয়ে পাঠান ওই তরুণীর বিশ্বাস অর্জন করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠানের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেম গাঢ় হয়।

    তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Love Jihad)

    অভিযোগ, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঠান ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। এজন্য পাঠান শাহজাহানপুরের মহল্লা সিনজাইয়ে একটি ঘরও ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেও সে নিজেকে শিব ভার্মা বলেই পরিচয় দিয়েছিল। ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সে তাকে ব্ল্যাকমেলও করতে শুরু করেছিল। পাঠান ওই তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতেও চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে, শারীরিক সম্পর্কের কারণে ওই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যরা যার মধ্যে তার ভাই কাইফ ও সামান এবং তাদের বাবা-মা আলম খান এবং উজমা খান সবাই মিলে ওই তরুণীকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। গর্ভপাত করতে অস্বীকার করলে পাঠান তাঁর পেটে লাথি মারে। তিন মাসের মাথায় গর্ভপাত হয়ে যায় ওই তরুণীর।

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়

    এর পর তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। পাঠান তাঁর সঙ্গে মালিক এবং চাকরের সম্পর্কের মতো আচরণ করত। ওই তরুণী এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে খুন করে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তার পরেও নিতান্তই নিরুপায় হয়ে ওই তরুণী থেকে যান পাঠানের (Muslim Man Arrested) সঙ্গেই। ১১ জুলাই সুযোগ বুঝে ওই তরুণী পাঠানের মোবাইল পরীক্ষা করতে থাকেন। তখনই তিনি জানতে পারেন, পাঠান, তার ভাই কাইফ এবং তাদের বন্ধু আকিল হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। পাঠানের ফোনে লক্ষ্মী, মেধা এবং শত শত হিন্দু তরুণীর অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও-ও দেখতে পান। পরে ওই তরুণী সে সব নিয়ে পাঠানকে প্রশ্ন করলে, সে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পাঠান তাঁকে বলেছিল, হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Love Jihad) স্থাপন করা মুসলমানদের কাছে খুবই পুণ্যের কাজ। তাই ওই তরুণী পাঠানকে নিরস্ত করতে পারবে না।

    লাভ জিহাদের মুখোশ

    পাঠানের লাভ জিহাদের মুখোশ খুলে পড়তেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। গত ১২ জুলাই তিনি প্রধান অভিযুক্ত কাসিব পাঠান, তার দুই ভাই কাইফ ও সমন, কাসিবের বন্ধু আকিল এবং কাসিবের বাবা-মা আলম খান ও উজমা খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পাঠানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পাঠান শিব ভার্মা নামে হিন্দু যুবকের ছদ্মবেশ ধারণ করে অন্তত ১৮ জন হিন্দু মেয়েকে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এবং পরে চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করে (Love Jihad)। তদন্তকারীরা এও জানতে পারেন, পাঠান একা এই কাজ করছিল না। এই চক্রের সঙ্গে (Muslim Man Arrested) জড়িত ছিল তার ভাই কাইফ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

    পাঠানের চারটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রামের হদিশ

    তদন্তকারীরা পাঠানের চারটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রামের হদিশ পেয়েছেন। এগুলিতে সব মিলিয়ে ১৯০০-রও বেশি ছবি ছিল, যার অনেকগুলিতেই বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে পাঠানের ছবি ছিল। তাঁদের ধারণা, এই প্রোফাইলগুলি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হত, মানসিকভাবে প্রভাবিত করা হত এবং পরে তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে সেই ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে ধর্মান্তরিত করা হত। পুলিশ সুপার অশোক কুমার মিনা বলেন, “অভিযুক্ত পাঠান জেরায় কবুল করেছে যে সে একই কৌশলে ১৮জন হিন্দু মেয়েকে টার্গেট করেছিল।” এই চক্রের সঙ্গে সম্প্রতি বললামপুরে ধরা পড়া আর একটি গ্রুমিং চক্রের (Muslim Man Arrested) সঙ্গে যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Love Jihad)।

  • S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে চলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! সোমবার বেজিংয়ে চিনা (China) বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ওই বৈঠকে বাধাদানকারী বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন বাধা সরানোর আহ্বানও জানান তিনি। জয়শঙ্কর দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দুই দেশই।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “এই প্রসঙ্গে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে দুই দেশের বাণিজ্যে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিবন্ধকতা যেন আরোপ না করা হয়। আমি আশা করি, এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করতে পারব।” তিনি জানান, গত ন’মাসে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে। জয়শঙ্করের এই চিন সফর হচ্ছে পাঁচ বছর পরে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর। ওই সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক

    প্রসঙ্গত, জয়শঙ্করের ওই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এল যখন চিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সার-সহ ভারতের বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “গত ন’মাসে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি করেছি। এটি সীমান্তে উত্তেজনার অবসান এবং সেখানে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার ফল।”  তিনি বলেন, এই হল পারস্পরিক কৌশলগত আস্থার মৌলিক ভিত্তি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মসৃণ বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখন আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের মোকাবিলা করা, যার মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিও।”

    চিনের সংবেদনশীল খাতগুলিতে রফতানি নিয়ন্ত্রণের নাম না করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ভর করবে উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা থেকে সরে আসে কি না, তার ওপর। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিশ্চিতভাবেই পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা বাড়াতে পারে (China)। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতা এড়ানো।”

  • Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুরক্ষার (Passengers Safety) পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের ধরতে এবার ট্রেনের সব কামরাতেই সিসি ক্যামেরা লাগাতে চলেছে রেল (Indian Railways)। রবিবার রেলমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। উত্তর রেলের আওতায় থাকা লোকো ইঞ্জিন এবং কামরায় পরীক্ষামূলকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সেখানে ইতিবাচক সাড়া মিলতেই এবার রেলের সব জোনের কামরা ও লোকো ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক।

    খতিয়ে দেখলেন রেলমন্ত্রী (Indian Railways)

    শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রেল প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু ট্রেনের কামরা এবং লোকো ইঞ্জিনগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ খতিয়ে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রেলবোর্ডের কর্তারাও। জানা গিয়েছে, অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্ত্রক খুব শীঘ্রই ১৫ হাজার লোকো ইঞ্জিন এবং ৭৪ হাজার কোচে সিসি ক্যামেরা লাগাবে। প্রতিটি কোচে থাকবে ৪টি করে সিসি ক্যামেরা। আর লোকোমোটিভে থাকবে ৬টি। রবিবার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। যাত্রীদের সারল্যের সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার সাহায্যে এই ধরনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো যাবে। রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত পরিসর সুরক্ষিত রাখতে ক্যামেরা লাগানো হবে কেবল কামরায় ঢোকার মুখে।

    গম্বুজ সিসিটিভি

    রেল সূত্রে খবর, লোকোমোটিভের ভেতরে, সামনে এবং পিছনের দিকে একটি করে গম্বুজ সিসিটিভি থাকবে। দুটি ডেস্ক মাউন্ট করা মাইক্রোফোনও থাকবে। রেলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ট্রেনের বগিতে দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের সব জোনের কোচে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Indian Railways)।” ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিতে এবং কম আলোয়ও স্পষ্ট ফুটেজ দেখাবে এই উচ্চমানের ক্যামেরাগুলি। রেল সূত্রে খবর, উন্নতমানের ও আধুনিক এসটিকিউসি সার্টিফায়েড সিসি ক্যামেরায় বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের রেলমন্ত্রীর নির্দেশ, এমন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো (Passengers Safety) হোক যা এআই-পাওয়ার্ড এবং ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিবেগেও স্থিতিশীল ভিডিও তুলতে পারে (Indian Railways)।

  • Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম,  ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে):
    “হ্যা গা, ছোট নরেন এসেছে। আশা করছে, বাড়িতে গিয়ে কিছু বলবে। খুব শুদ্ধ ছেলে— মেয়েদের সঙ্গ সে করে না।”

    মাস্টার: “আর খোলটা খুব বড়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “হ্যাঁ। আবার বলি, ঈশ্বরের কথা একবার শুনলে আমার মনে থেকে যায়। ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ‘ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না?’ ”

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

  • PM Modi: মিজোরামে বৈরাবি-সাইরাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মিজোরামে বৈরাবি-সাইরাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালে, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায়। এতদিনে পূরণ হতে চলেছে স্বপ্ন, মোদি (PM Modi) জমানায়। ২৬ বছর পরে বাস্তবে রূপ নিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত (Mizoram) বৈরাবি-সাইরাং রেলপথ। ট্রেন চলাচল চালু হয়ে গেলে ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি মিজোরামের রাজধানী আইজলকে প্রথমবারের মতো নিয়ে আসবে ভারতের রেল মানচিত্রে। শীঘ্রই রেলপথটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্চাশ কিলোমিটারের খানিক বেশি দীর্ঘ এই রেললাইনে পড়বে ৪৮টি টানেল। প্রধান সেতু পড়বে ৫৫টি, ছোট সেতু ৮৭টি। ৫টি সড়ক ওভারব্রিজ এবং ৯টি সড়ক আন্ডারব্রিজ। রেলপথটি কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি উঁচু। এর উচ্চতা ১০৪ মিটার। সুউচ্চ সেতুর তালিকায় এর ঠাঁই ১৯৬ নম্বরে।

    একাধিক প্রতিবন্ধকতা (PM Modi)

    উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ির রাজ্যের রাজধানীকে রেলপথের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়তে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়। তখনই সামনে চলে আসে একাধিক প্রতিবন্ধকতা – ঘন বন, কম দৃশ্যমানতা এবং কঠিন ভূখণ্ড। প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ করতেই কেটে যায় বেশ কিছুটা সময়। ২০০৩ সালে ফের একবার সমীক্ষা হয়। ২০১১ সালে রাইটস (RITES) কর্তৃক চূড়ান্ত প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার একে একটি জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর আর কাজ এগোয়নি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই ২৯ নভেম্বর এই রেলপথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় জমি অধিগ্রহণের কাজ। নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হয় ২০১৫-’১৬ সালে।

    কী বললেন প্রধান টেকনোলজিস্ট?

    প্রকল্পের (PM Modi) প্রধান টেকনোলজিস্ট বিনোদ কুমার বলেন, “এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষাকালীন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খানিক ব্যাহত হয়েছিল নির্মাণকাজ। এই রেলপথটি গিয়েছে খাড়া পাহাড়, গভীর গিরিখাত এবং উপত্যকার মধ্যে দিয়ে। তাই প্রচুর টানেল খনন এবং সেতু নির্মাণের প্রয়োজন হয়েছিল।” জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন মিজোরামের (Mizoram) মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা। সেখানেই এই রেলপথ উদ্বোধন নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরেই জানা যায় রেলপথটির উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

LinkedIn
Share