Tag: Bengali news

Bengali news

  • SC on Hijab Row: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Hijab Row: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিখদের পাগড়ি (Turban) কিংবা কৃপাণের (Kirpan) সঙ্গে হিজাবের (Hijab) তুলনা চলে না। হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) রায় গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বর্তমানে দেশের শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে হিজাব মামলার শুনানি। ওই মামলায় রায় দিয়ে গিয়ে আদালতে জানায়, শিখদের পাগড়ি এবং কৃপাণ ব্যবহারের অনুমতি সংবিধান স্বীকৃত।

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা কর্নাটক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুসলিম পড়ুয়ারা। অশান্তির জেরে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিক্ষোভের মাঝেই ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে বহাল রেখে দেয় হাইকোর্ট। 

    কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। কেবল অপরিহার্য ধর্মীয় আচরণই সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষা পেতে পারে। সেই ভিত্তিতেই কর্নাটক হাইকোর্ট সেই রাজ্যের মুসলিম পড়ুয়াদের ক্লাসে হিজাব পরার আবেদন খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন : রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী নিজামউদ্দিন পাশা। তিনি নিজেও একজন আবেদনকারী। তিনি ইসলাম এবং অ্যারাবিকের ছাত্র। তিনিই শিখদের পাগড়ি এবং কৃপাণের সঙ্গে হিজাবের তুলনা টানার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর যুক্তি, হিজাব পরিধান মুসলিম মহিলাদের একটি ধর্মীয় অনুশীলন। তাই তাঁদের হিজাব পরে স্কুলে আসতে নিষেধ করা যায় না। তিনি বলেন, শিখ ছাত্ররা তো পাগড়ি পরেন। তাঁর যুক্তি, সাংস্কৃতিক আচার রক্ষা করা উচিত। তথনই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেন, শিখদের সঙ্গে এ ব্যাপারে তুলনা টানা যায় না। কারণ শিখদের কৃপাণ ব্যবহার সংবিধান স্বীকৃত। আদালতের মন্তব্য, তাই দুটোর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বিচারপতি গুপ্তা বলেন, পাগড়ি পরার প্রয়োজন রয়েছে। এবং এগুলি দেশের সংস্কৃতির অঙ্গীভূত। আইনজীবী পাশা তখন এ ব্যাপারে ফ্রান্সের রেফারেন্স টানতে যান। বিচারপতি গুপ্তা সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ফ্রান্স কিংবা অষ্ট্রিয়ার সঙ্গে তুলনা চাই না। আমরা ভারতীয় এবং ভারতেই থাকতে চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BJP Attacks Nitish: বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    BJP Attacks Nitish: বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার গেরুয়া শিবিরের তরফে বিষয়টিকে সুযোগ সন্ধানীদের জোট (Opportunistic Alliance) বলে নিশানা করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ। তাই বিরোধীদের উদ্যোগ দানা বাঁধবে না বলেই মনে করে গেরুয়া শিবির।

    বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। তার পরেই তিনি উদ্যোগী হয়েছেন বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে। বিহারে গিয়ে নীতীশের সঙ্গে দেখা করেছেন কেসিআর। দিন কয়েক আগে দিল্লি এসে নীতীশ দেখা করেছেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে।

    নীতীশ যখন বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চলেছেন, তখন বিহার ঘুরে এসে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, খরায় জর্জরিত বিহার। খুন জখমের ঘটনা সেখানে প্রতিদিনের ঘটনা। বিহারের কুর্সিতে নীতীশ রয়েছেন দীর্ঘ দিন। কখনও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কখনও বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। সেই তিনিই ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা সেরেছেন। নীতীশের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, উনি (নীতীশ) বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশ এই সুযোগ সন্ধানী জোটকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এবং এদের আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর দেশে স্থায়ী সরকার এসেছে। মোদির নেতৃত্বে আশা-আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে জনতার। সমাজে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। তিনি বলেন, মোদি বিশ্বে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নীতীশ সবার শেষে বলেও মন্তব্য করেন রবিশঙ্কর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lumpy Skin Disease: চোখ রাঙাচ্ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, সংক্রমিত হতে পারে মানুষও?

    Lumpy Skin Disease: চোখ রাঙাচ্ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ, সংক্রমিত হতে পারে মানুষও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভাইরাস (Virus)। নাম লাম্পি স্কিন ডিজিজ (Lumpy Skin Disease)। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের সংক্রমণে ভারতে (India) মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজার গবাদি পশুর (Cattle)। সম্প্রতি এ খবর জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। রোগটি থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নয়া এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৫.২১ লক্ষ গবাদি পশু। দেশের সাতটি রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সংক্রমণ। এই রাজ্যগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং দিল্লি।

    যেহেতু এটি সংক্রমক ব্যাধি, তাই লাম্পি স্কিন ডিজিজে  সংক্রমিত পশুকে পালের অন্য পশুদের থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরামর্শ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সংক্রমণ যাতে দ্রুত না ছাড়ায়, তাই এই ব্যবস্থা। আরও জানা গিয়েছে, লাম্পি স্কিন ডিজিজ সব চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে রাজস্থান এবং গুজরাটে। পরিস্থিতি বিচার করে এই দুই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কেবল অগাস্টেই এই দুই রাজ্যে লাম্পি স্কিন ডিজিজে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি গবাদি পশুর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে। দাবি জানিয়েছেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার। গুজরাট সরকার সংক্রমিত ১৪টি জেলায় গবাদি পশু পরিবহণে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির মতে, লাম্পি স্কিন জিজিজ একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এটি পশুদেহে সংক্রমিত হয়। রক্তচোষা পোকামাকড় যেমন মশা, মাছি প্রভৃতির মাধ্যমে এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর দেহে সংক্রমণ ছড়ায়। কোনও পশু লাম্পি স্কিন ডিজিজে সংক্রমিত হলে তার জ্বর হবে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গজাবে আব। নাক এবং চোখ দিয়ে জল গড়াবে। কমে যাবে দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা। খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা দেখা দেবে। রোগের কারণে গর্ভপাত হতে পারে সংক্রমিত পশুর। মারণ ভাইরাস কেড়ে নিতে পারে পশুর প্রাণও। তবে আশার কথা একটাই। সেটি হল, গবাদি পশু থেকে এই রোগ সংক্রমিত হয় না মানবদেহে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Hijab Row: যেখানে ইউনিফর্ম রয়েছে, পড়ুয়ারা কি ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    Hijab Row: যেখানে ইউনিফর্ম রয়েছে, পড়ুয়ারা কি ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে কি পড়ুয়ারা ইচ্ছে মতো পোশাক পরে আসতে পারে? মঙ্গলবার হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) মামলাকারীকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কের জেরে উত্তপ্ত হয়েছিল কর্নাটকের পাশাপাশি গোটা দেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। আর কিছু মামলা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেই শুনানি চলাকালীনই জনৈক মামলাকারীকে এই প্রশ্ন করে আদালত।

    বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও শুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ এদিন মন্তব্য করেন, প্রস্তাবিত ইউনিফর্ম নিয়ে কর্নাটক সরকারের যে নির্দেশ রয়েছে, তা শিক্ষার অধিকারকে অমান্য করে না। বিচারপতি গুপ্ত বলেন, আপনারা বলেন কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনও নিয়ম জারি করতে পারে না। কিন্তু রাজ্যের নির্দেশে যেখানে ড্রেসকোড রয়েছে, সেখানে কি কোনও পড়ুয়া মিনিস্কার্ট, মিডি কিংবা যা খুশি তা পরে আসতে পারে?

    আরও পড়ুন : কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    প্রত্যেকের যে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে, তাও মেনে নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালাত। বেঞ্চ বলে, এটা সত্য যে প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার রয়েছে তাঁর নিজের ধর্ম পালনের। কিন্তু বিষয়টা হল, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে এটা করা যায় কি? বেঞ্চের মন্তব্য, আপনার ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে আপনি তা করতে পারেন না। আপনি হিজাব কিংবা স্কার্ফ পরতেই পারেন। কিন্তু যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাক বিধি রয়েছে, সেখানে কি আপনি তা করতে পারেন? যেহেতু রাজ্যের এ ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে, তাই নির্দিষ্ট পোশাক পরেই আসতে হবে। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে ফের এই মামলার শুনানি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Forecast: রাজ্যে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে কোন কোন জেলা, জেনে নিন

    Weather Forecast: রাজ্যে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে কোন কোন জেলা, জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের নিম্নচাপের (Low Pressure) ভ্রুকুটি। আসন্ন নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে মার খেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের পুজোর বাজার। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather Forecast), বৃষ্টি শুরু হবে শনিবার। চলবে সেই মঙ্গলবার পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তই শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে চলেছে নিম্নচাপে। তার জেরেই রাজ্যের উপকূল ও ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rainfall)।

    এ যাত্রায় দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শনিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশেও হতে পারে নিম্নচাপের বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। রবিবার বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে সোমবার এবং মঙ্গলবারেও। নিম্নচাপের জেরে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই সতর্কতা রয়েছে। রবি ও সোমবার এই সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং হাওড়ায়। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর লাগোয়া ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদেও। মঙ্গলবার বৃষ্টি হতে পারে দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদহ, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে।

    আরও পড়ুন : ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি অসম-মেঘালয়ে! আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন, জানুন…

    রাজ্যের কয়েকটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হলেও, মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আগামী ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে তাঁদের। আবহাওয়াবিদদের মতে, প্রবল বর্ষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফসলের। যার প্রভাব পড়তে পারে কাঁচা আনাজের বাজারের ওপর। এক লপ্তে সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে বেশ খানিকটা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অকৃতজ্ঞ! মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বুয়া-ভাতিজার সরকার, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: অকৃতজ্ঞ! মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে বুয়া-ভাতিজার সরকার, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নিরলস চেষ্টায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) পায়ের নীচে মাটি পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। অথচ এতটুকুও কৃতজ্ঞতা বোধ নেই। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে রাজ্যের বুয়া ভাতিজার সরকার। অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID) অযথা বিরোধীদের হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। 
    বাম আমলে নন্দীগ্রামে হয় ভূমি আন্দোলন। সেই সময় প্রবল পরাক্রান্ত বামেদের একাই রুখে দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে নন্দীগ্রামে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারেননি তিনি। শেষমেশ সহায় হন শুভেন্দু। তাঁরই নির্দেশে এক দলীয় কর্মীর বাইকে সওয়ার হয়ে নন্দীগ্রামে ঢোকেন মমতা। বাকিটা তো ইতিহাস। পরে দলনেত্রীর সঙ্গে মনান্তরের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই জোড়াফুল শিবিরের তরফে নানাভাবে এই পদ্ম নেতাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন : চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন, আমার নিরলস পরিশ্রমে যে জেলায় পা রাখার জায়গা পেয়েছিল তৃণমূল, প্রথম তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন করতে পেরেছিল আমার জন্য, সেখানেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে মামলা করছে বুয়া-ভাতিজা সরকার। তিনি বলেন, ২০১৫ অগাস্ট থেকে ২০২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে আমার নিরাপত্তা রক্ষায় যেসব রক্ষীকে নিয়োগ করা হয়েছিল, ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে সিআইডি চেষ্টা করছে তাঁদের দিয়ে আমার নামে মিথ্যে বিবৃতি দেওয়াতে। যাতে করে আরও বেশি করে মিথ্যে মামলা সাজানো যায় আমার বিরুদ্ধে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এটা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্থা করতে সিআইডি কত নীচে নামতে পারে। শুভেন্দু লেখেন, চালিয়ে যাও। রাজ্যবাসীকে হেনস্থা করতে মূল্যবান সময় এবং সম্পদ নষ্ট কর। অথচ যেখানে তদন্ত করার কথা তোমাদের, সেখানে হাত গুটিয়ে বসে থাক। তৃণমূল নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আপনার এই অশুভ সাধনা চালিয়ে যান। তবে মনে রাখবেন, শাসকের আইনের ওপরে শেষতক রাজ করবে আইনের শাসনই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bihar Politics: প্রশান্ত কিশোরকে কোনও অফারই দেওয়া হয়নি, সাফ জানাল নীতীশের দল

    Bihar Politics: প্রশান্ত কিশোরকে কোনও অফারই দেওয়া হয়নি, সাফ জানাল নীতীশের দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) কোনও অফার দেওয়া হয়নি। সাফ জানিয়ে দিলেন জনতা দল ইউনাইটেড (jdu) প্রধান লালন সিং। জেডিইউয়ের ওই নেতা জানান, বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক হলেও, তাঁকে দলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

    এক সময় নীতীশের দল জেডিইউয়ের নেতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। পরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য করায় ২০২০ সালে জেডিইউ থেকে বহিষ্কার করা হয় প্রশান্তকে। তার পর থেকে আর নীতীশ-প্রশান্ত মুখোমুখি হননি। সম্প্রতি ফের একবার নীতীশ-প্রশান্ত বৈঠকে বসেন। তার পরেই জল্পনা ছড়ায় প্রশান্তের পুরানো দল জনতা দল ইউনাইটেডেই ফিরছেন ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট। প্রশান্তকে যে সময় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়, সেই সময় বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালাচ্ছিলেন নীতীশ কুমার। প্রত্যাশিতভাবেই কেন্দ্রের সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি জেডিইউ সুপ্রিমো। তার জেরেই বহিষ্কার করা হয় প্রশান্তকে।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    মাসদুয়েক আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হন লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী। তার পর এই প্রথম নীতীশের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রশান্ত। জনতা দল ইউনাইটেড প্রধান লালন সিং শনিবার জানান, কিশোর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি বলেন, ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি মার্কেটিং করে চলেছেন। জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তাঁকে কোনও অফার করা হয়নি। তিনি নিজেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই মতো দেখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ভোট জয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রশান্তের একটি সংস্থা রয়েছে। নাম আইপ্যাক। প্রশান্তের এই সংস্থা বিভিন্ন দলের হয়ে কাজ করে। একুশের ভোটে প্রশান্তের সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে কাজ করেছিল তৃণমূলের হয়ে। অনেকেরই ধারণা, তার জেরেই ফের বাংলার ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল সরকার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Student Murder: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    Student Murder: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের ছাত্র খুন (Student Murder)। বাগুইআটির জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা রাজ্যবাসীর। তার মধ্যেই ফের মেধাবী ছাত্র খুনের ঘটনা। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা দূরে, বীরভূমে (Birbhum)। রবিবার সাত সকালে ইলামবাজার থানার চৌপাহাড়ির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। অভিযোগ, অপরহণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। সালাউদ্দিনের বাড়ি বীরভূমেরই খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, সালাউদ্দিনের বাবা আবদুল মতিন পাথরের ব্যবসায়ী। সেই সূত্রে তিনি থাকতেন মল্লারপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে। আসানসোলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলেন বছর উনিশের সালাউদ্দিন।

    মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে যাবেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। শনিবার সকালে চলেও যান পিকনিকে। তার পর আর তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এদিন গভীর রাতে তাঁর বাবাকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা বলে, সালাউদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, অপহরণকারীরা ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে। পুলিশকে খবর দিলে সালাউদ্দিনকে মেরে ফেলা হবে বলেও ফোনে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। রাতেই সালাউদ্দিনের  পরিবারের লোকজন খবর দেন থানায়। রবিবার সকালে গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয় সালাউদ্দিনের। খবর পেয়ে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন : ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ সলমন নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে সালাউদ্দিনের বন্ধু। কিছুদিন আগে সলমন সালাউদ্দিনের কাছে দু লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ধৃত সলমন সালাউদ্দিনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাঁকে বিরিয়ানি খাইয়ে পরে খাওয়ানো হয় মদ। অচৈতন্য হয়ে পড়লে করা হয় খুন। বাজারে সলমনের অনেক টাকা ধার ছিল। তাই বড়লোক বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষেছিল সে।  

    ২২ অগাস্ট খুন হয় বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। এলাকারই হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল তারা। সেই ঘটনার পর এবার ফের ছাত্র খুন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার হাল অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে ভাল বলে বরাবরই দাবি করেন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে তিন ছাত্রের খুনের ঘটনাই প্রমাণ করে দেয় তাঁর দাবি কতটা অসার!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Himanta Biswa Sarma: হিমন্তকে শারীরিক নিগ্রহ, তেলঙ্গানা সরকারের রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Himanta Biswa Sarma: হিমন্তকে শারীরিক নিগ্রহ, তেলঙ্গানা সরকারের রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেলঙ্গানায় (Telangana) গণেশ উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন আসামের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ঘটনার জেরে শুক্রবার রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। জেড প্লাস সিকিউরিটি পান হিমন্ত। তার পরেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে তেলঙ্গানার মুখ্য সচিবের কাছে। এর আগে এই একই ইস্যুতে তেলঙ্গানার মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিল আসাম সরকার এবং সিআরপিএফ (CRPF)।

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তেলঙ্গানায় গণেশ উৎসবের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হিমন্ত। অভিযোগ, ওই সময় আচমকাই তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির এক নেতা মঞ্চে উঠে আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কাধাক্কি করেন। কেড়ে নেন তাঁর মাইক্রোফোনও। যিনি এসব করেছেন, তিনি তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা নন্দু ব্যাস। নন্দুকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আবিদ রোড থানায়। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন :মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার অফিস, বিস্ফোরক হিমন্ত! জানেন কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

    ছাড়া পেয়েই স্বমূর্তি ধারণ করেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির ওই নেতা। নিশানা করেন বিজেপিকে। বলেন, যে উৎসব উপলক্ষে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ রাজ্যে এসেছেন, সেই উৎসব সম্পর্কিত কথাবার্তা না বলে তিনি ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সম্পর্কে অযথা বাজে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, আমি এটা সহ্য করতে পারিনি। তাই মঞ্চে গিয়ে ওঁকে অনুরোধ করেছিলাম মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে। তাঁকে এও বলেছি, যদি ভবিষ্যতে আপনাদের কোনও নেতা কিংবা নেত্রী এসে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এসব বলেন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। তাঁকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

    তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির মুখপাত্র কৃষাঙ্ক মান্নে বলেন, মঞ্চে দাঁড়িয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দিনভর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে গালি দিয়ে গেলেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে শুরু করল। কেসিআরের এক সমর্থক এটা মেনে নিতে পারেননি। তারই প্রতিক্রিয়ার জেরে ঘটেছে এই ঘটনা। তিনি বলেন, কেসিআরের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত হিমন্তর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Yakub Memon: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের 

    Yakub Memon: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলায় দোষী ইয়াকুব মেমনের (Yakub Memon) কবরের সৌন্দর্যায়ন (Grave Beautification) করা হয়েছে কার নির্দেশে তা জানতে বৃহস্পতিবারই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এবার ওই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার (Shiv Sena) একনাথ শিন্ডেও (Eknath Shinde)। তিনি জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

    ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ২৫৭ জন। ওই ঘটনায় অন্যতম চক্রী ছিল ইয়াকুব। ঘটনার পরে পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। ২০১৫ সালে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে কার্যকর করা হয় ফাঁসির আদেশ। তার আগে দু দুবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল সে। দুবারই খারিজ হয়ে যায় তার প্রাণভিক্ষার আবেদন। এহেন কুখ্যাত ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।

    দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারেই ঢাকা ছিল ইয়াকুবের কবর। মাস কয়েক আগে কবরস্থান সাজানো হয় এলইডি লাইট দিয়ে। কবর সাজানো হয়েছে গ্রানাইট পাথর ও মার্বেল দিয়েও। বিজেপির অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের আমলেই করবের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। শিবসেনা নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আম্বাদাস দাঁভের দাবি, বিজেপির অভিয়োগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, প্রশ্ন হল, কেন ফাঁসির পর দেহ হস্তান্তর করা হল তাঁর পরিবারকে? তাঁর দাবি, কবরের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল পাঁচ বছর আগে।

    আরও পড়ুন : ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    শিন্ডে বলেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরুও হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপির মহারাষ্ট্র রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে বলেন, উদ্ধব ঠাকরে সরকারের আমলেই হয়েছিল কবরের সৌন্দর্যায়ন। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনাই জানানো হত। তিনি বলেন, তাহলে উদ্ধব ঠাকরে বিষয়টি জানেন না, এটা হতে পারে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, জোটসঙ্গীদের খুশি রাখতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে এটা করেছিলেন ঠাকরে। আপোশ করেছিলেন হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডার সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share