Tag: Bengali news

Bengali news

  • Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদীদের প্রত্যর্পণের কথা বিবেচনা করতে পারে।” কথাগুলি বলেছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো (Bilawal Bhutto)। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে শাহবাজ শরিফের দেশে। ভুট্টোর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) প্রধান হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদ। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে ভুট্টোকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    কী বলেছিলেন ভুট্টো (Pakistan)

    ৪ জুলাই সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুট্টো বলেন, “হাফিজ সঈদ ও জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের মতো ব্যক্তিদের ভারতের হাতে তুলে দিতে পাকিস্তানের কোনও আপত্তি নেই। যদি নয়াদিল্লি সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবেই।” তিনি এই সম্ভাব্য পদক্ষেপটিকে আস্থা গড়ে তোলার একটি মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। ভুট্টো বলেন, “ভারতের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে এই দুই জঙ্গিকে ঘিরে পাকিস্তান, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে মামলায় এগোতে পারছে না।”

    কী বললেন হাফিজের ছেলে

    ভুট্টোর মন্তব্যের ঠিক পরের দিনই এক ভিডিও বার্তায় তালহা সঈদ ভুট্টোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, “এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের সম্মানহানি হয়েছে (Pakistan)।” তিনি বলেন, “ভুট্টো যে তাঁর (তালহার) বাবাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” তালহা আরও বলেন, “পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা না করে বরং পাকিস্তান সরকারের উচিত ভারতের নেতাদের প্রত্যর্পণের দাবি জানানো।”

    তিনি ভুট্টোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ভুট্টোর পরিবার ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পশ্চিমী ও ভারতীয় ভাবধারার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। উল্লেখ্য, হাফিজ সঈদ এবং তালহা সঈদ দু’জনেই এখনও মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জঙ্গি। তালহার ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মার্কাজি মুসলিম লিগ এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ভারতকে দায়ী করে (Bilawal Bhutto)। দলটির দাবি, পাকিস্তান-সহ বিশ্বজুড়ে জঙ্গি কাজকর্মের মূল ষড়যন্ত্রকারী (Pakistan) হল ভারত।

  • Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের সাফল্যের মুকুটে ফের একটা নয়া পালক! বিপ্লব ঘটেছে ভারতের (India) খেলনা শিল্পে। আমদানি নির্ভরতা থেকে বিশ্বমানের রফতানিকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে ভারতীয় খেলনা। এটা কোনও গল্পকথা নয়। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৬তম টয় ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বি-টু-বি এক্সপোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

    ভারতের খেলনা শিল্প (Piyush Goyal)

    তিনি বলেন, “আমাদের খেলনা শিল্প, যা এক সময় আমদানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল, এখন ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এটি গর্বের বিষয় এবং সঠিক নীতিগত সহায়তা পেলে আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।” এই সাফল্যের নেপথ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণগুলি হল গুণমানের মানদণ্ডে নিরবচ্ছিন্ন জোর, দেশীয় উৎপাদন কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার চালু হওয়া। পীযূষ বলেন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার ভারতে গুণমান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেছে। এখন আমাদের নির্মাতারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করছেন।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার।১৪০ কোটির জনসংখ্যা আমাদের একটি বিরাট বাজার দেয়, যার মাধ্যমে আমরা উৎপাদন স্কেল বাড়াতে পারি, খরচ কমাতে পারি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে পারি।” খেলনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে মন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, এই গতি বজায় রাখতে এবং পণ্যের নকশা, ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিন। আমরা যদি এই তিনটি স্তম্ভ মজবুত করি, তাহলে ভারতীয় খেলনা বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।” মন্ত্রী বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযান শুরু করেছিলেন, তখন অনেকে এর প্রভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু আজ আত্মনির্ভর ভারতের (India) দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে ‘লোকাল গ্লোবাল হতে পারে’ এই বিশ্বাস বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।” তিনি (Piyush Goyal) বলেন, “সৃজনশীল খেলনার ধারণা নিয়ে আসা স্টার্টআপগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে, যার জেরে এখন ২০ বছরের জন্য জামানতহীন ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।”

  • Ramakrishna 402: ঠাকুর উত্তর-পূর্ব কোণের লম্বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে একান্তে ছোট নরেনকে নানা উপদেশ দিচ্ছেন

    Ramakrishna 402: ঠাকুর উত্তর-পূর্ব কোণের লম্বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে একান্তে ছোট নরেনকে নানা উপদেশ দিচ্ছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “কেন, মহিম তো ভক্তির কথাও কয়। সে তো ওইটা খুব বলে।”

    মাস্টার: “সব শেষে আপনি বলেন, তাই বলি।”

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষ আজকাল ঠাকুরের কাছে নতুন করে যাতায়াত শুরু করেছেন। তিনি সর্বদা ঠাকুরের কথায় নিমগ্ন থাকেন।

    হরি- গিরিশ ঘোষ আজকাল নানা কিছু দেখেন। এখানে এসে সর্বদা ঈশ্বরের ভাবেই থাকেন। কত কিছুই না দেখেন!

    শ্রীরামকৃষ্ণ- “তা হতেই পারে। গঙ্গার ধারে গেলে অনেক কিছুই তো দেখা যায়—নৌকা, জাহাজ, কত কিছু!”

    হরি গিরিশ ঘোষ বলেন “এবার শুধু কর্ম নিয়েই থাকবো। সকালে ঘড়ি দেখে দোয়াত-কলম নিয়ে বসে যাবো, আর সারা দিন বই লেখা করবো—এই ভাবনা করেছি। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। আমরা গেলেই কেবল এখানকার (দক্ষিণেশ্বরের) কথা শুনতে হয়।”

    আপনি নরেন্দ্রকে পাঠাতে বলেছিলেন।

    গিরিশবাবু বললেন, “নরেন্দ্রকে আমি গাড়ি করে পৌঁছে দেব।”

    ঘড়িতে তখন পাঁচটা বাজে।

    ছোট নরেন বাড়ি যাচ্ছেন।

    ঠাকুর উত্তর-পূর্ব কোণের লম্বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে একান্তে তাঁকে নানা উপদেশ দিচ্ছেন। পরে নরেন প্রণাম করে বিদায় নিলেন। অন্যান্য ভক্তরাও বিদায় নিচ্ছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ ছোট খাটে বসে মোহিনীর সঙ্গে কথা বলছেন। মোহিনীর পরিবারটি পুত্রশোকে প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছে—কখনও হাসেন, কখনও কাঁদেন। দক্ষিণেশ্বরে এসে ঠাকুরের কাছে কিছুটা শান্ত ভাব হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ জিজ্ঞেস করলেন:

    “তোমার পরিবার এখন কেমন আছে?”

    মোহিনী বললেন:
    “এখানে এলেই একটু শান্ত হন। ওখানে মাঝে মাঝে খুব হাঙ্গামা করেন। সেদিন তো মরতে গিয়েছিলেন!”

    ঠাকুর কিছুক্ষণ নীরবে চিন্তায় ডুবে রইলেন।

    মোহিনী বিনীতভাবে বললেন:

    “আপনার দু-একটা কথা বলে দিতে হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন:

    “রাঁধতে দিও না। ওতে মাথা আরও গরম হয়ে যায়। আর লোকজনের সঙ্গে রাখো—তাতে উপকার হবে।”

  • BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করল বিজেপি। রবিবার সকালে দিল্লিতে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা। এদিন রেখা বলেন, এই দেশের মাটিতে যদি কেউ প্রথম জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। তিনি দেশে প্রথমে রাষ্ট্র এই চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন বিভিন্ন সরকার যখন দেশীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল, তখন তিনি মন্ত্রীত্ব পদে ইস্তফা দেন। ভারতের ঐক্যের জন্য লড়াইও করেছিলেন তিনি। একটি দেশের দুটি সংবিধান, দুটি প্রধান এবং দুটি পতাকা থাকতে পারে না – এ কথা বলার সাহস ছিল তাঁর।

    কী বললেন যোগী (BJP)

    শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২৫তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগী তাঁকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথাও। ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর সেবার কথাও স্মরণ করেন যোগী। ১৯০১ সালের ৬ জুলাই জন্ম শ্যামাপ্রসাদের। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীও। যোগী বলেন, সরকার যখন জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তিনি বেলন, শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জম্মু-কাশ্মীরকে মূলধারায় নিয়ে এসেছিলেন (BJP)।

    জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা

    শ্যামাপ্রসাদকে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপিও। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জনসংঘের এই প্রতিষ্ঠাতাকে। কিছুদিন আগেই তাঁর বলিদান দিবস ছিল। সেদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায়ও তিনি মাল্যদান করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে। কেওড়াতলায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকারও। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি জানান, আগরতলা টাউন হলের নাম পরিবর্তন করে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির (Shyama Prasad Mukherjee) নামে করা হবে (BJP)।

  • Shrikant Jichkar: তাঁর ঝুলিতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, চিনে নিন ভারতের সব চেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে

    Shrikant Jichkar: তাঁর ঝুলিতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, চিনে নিন ভারতের সব চেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি। এর মধ্যে ২০টি আলাদা আলাদা বিষয়ে। মনে করা হয়, তিনিই (Shrikant Jichkar) ভারতের (India) সর্বাপেক্ষা শিক্ষিত ব্যক্তি। জীবনে একটা ডিগ্রি অর্জন করতেই কালঘাম ছুটে যায় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের। স্নাতকোত্তরের পর আরও উচ্চশিক্ষিত হতে আর পরিশ্রম করতেই চান না অধিকাংশ মানুষ। তাই স্নাতকোত্তেরর পর পড়াশোনা ছেড়ে চাকরির বাজারে লাইন দেন ছেলেমেয়েরা। এহেন আবহে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২০টি ডিগ্রি। যে ভারতীয়কে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি হলেন শ্রীকান্ত জিচকার। দেশের সর্বাধিক ডিগ্রি লাভের পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন বিধায়ক। সেই সময় তিনিই দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক ছিলেন।

    শ্রীকান্তের জন্ম মারাঠি পরিবারে (Shrikant Jichkar)

    বিস্ময়কর এই মানুষটির জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নাগপুরের একটি মারাঠি পরিবারে। উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে তিনি ভর্তি হন নাগপুরের একটি মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তিনি প্রথমে করেন এমবিবিএস এবং পরে এমডি। এই দুই ডিগ্রি অর্জনের পর শ্রীকান্ত পড়াশোনা করতে শুরু করেন আইন নিয়ে। স্নাতক হওয়ার পর স্নাতকোত্তর করেন আন্তর্জাতিক আইনে। আইনের পাঠ চুকিয়ে শ্রীকান্ত (Shrikant Jichkar) পড়াশোনা করতে শুরু করেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে। পরে স্নাতক হন সাংবাদিকতায়। সংস্কৃতে ডিলিটও পান শ্রীকান্ত। এর পর একে একে শ্রীকান্ত সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস, ইংরেজি সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব এবং মনোবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন তিনি।

    ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন

    চিত্রাঙ্কন, ফোটোগ্রাফি এবং অভিনয়েও ডিগ্রি লাভ করেছিলেন শ্রীকান্ত। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। দু’-দু’বার উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ইউপিএসসি পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষায়। প্রথমবার পাশ করে শ্রীকান্ত হন আইপিএস। পরে পদত্যাগ করে ফের পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হন ১৯৮০ সালে। মাস চারেক ধরে আইএএসের চাকরি করে সব ছেড়েছুড়ে শ্রীকান্ত চলে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮০ সালেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে বিধায়ক হন তিনি। পরে হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী মন্ত্রীও। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল (India) পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন শ্রীকান্ত। ২০০৪ সালের ২ জুন একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শ্রীকান্তের (Shrikant Jichkar)। সেই সময় তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্রই ৫১।

  • Supreme Court: চন্দ্রচূড় কেন দখল করে রেখেছেন সরকারি বাংলো? কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: চন্দ্রচূড় কেন দখল করে রেখেছেন সরকারি বাংলো? কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন বছরখানেক আগে। স্বাভাবিকভাবেই হারিয়েছেন সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকারও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Supreme Court) তার পরেও সরকারি বাংলো দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চিঠি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। চিঠিতে (DY Chandrachud) জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ওই বাংলো খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং শীর্ষ আদালতের বর্তমান বিচারপতিদের জন্য সেটি বরাদ্দ করতে হবে।

    চন্দ্রচূড়কে নিয়ে প্রশ্ন (Supreme Court)

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। তাঁকে নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা ৩৩, যদিও থাকার কথা ৩৪। এই ৩৩ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বাড়ি বরাদ্দ করা যায়নি চারজন বিচারপতির জন্য। এঁদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন আদালতের ট্রানজিট আবাসনে, একজন অতিথিশালায়। কৃষ্ণ মেনন মার্গে রয়েছে ৫ নম্বর বাংলো। এটিই বরাদ্দ করা হয় প্রধানবিচারপতিদের। অবসর নেওয়ার পরেও সেই বাংলো এখনও কেন চন্দ্রচূড় দখল করে রেখেছেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যার জেরে কেন্দ্রকে চিঠি লিখল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    কী বললেন চন্দ্রচূড়?

    এ প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় বলেন, “সরকারের তরফে ভাড়ায় নেওয়া বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িটি দু’বছর ধরে বন্ধ পড়েছিল। সেখানে সংস্কারের কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টকে সেকথা জানিয়েওছিলাম। বাড়ির কাজ শেষ হলে পরের দিনই বাংলো ছেড়ে দেব বলেও জানিয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই মেয়ে আছে আমার। গুরুতর কোমর্বিডিটিজ রয়েছে ওদের, জিনগত কিছু সমস্যাও রয়েছে, বিশেষ করে নেমালিন মায়োপ্যাথি। এইমসে ওদের চিকিৎসাও চলছে। এগুলো আমার ব্যক্তিগত সমস্যা, জানি। আদালতকেও জানিয়েছি। আর কিছুদিনের ব্যাপার। সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলাম আমি। নিজের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। তবে অতীতে অন্য বিচারপতিদের নির্ধারিত সময়ের পরও বাসভবন ধরে রাখতে দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে আদালত লিখেছে, ‘দেরি না করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কাছ থেকে অবিলম্বে কৃষ্ণ মেনন মার্গের ৫ নম্বর বাংলোটির দখল নিন। ৩১ মে পর্যন্ত বাংলোটি ধরে রাখার যে সময়সীমা ছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে (DY Chandrachud)। ৩বি বিধির আওতায় ১০ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছ’মাসের সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে (Supreme Court)।

  • Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মন্দিরে বিধর্মীদের প্রবেশাধিকার নেই। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও জগন্নাথ দর্শন না করেই পুরী থেকে ফিরতে হয়েছিল শুকনো মুখে (Muslim Devotee)। তবে পুরীর রথযাত্রার (Rath yatra 2025) সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান জগন্নাথের এক মুসলমান ভক্তের কাহিনি। আজ আমরা জানব সেই চমকপ্রদ কাহিনি।

    ভক্ত সালবেগা (Rath yatra 2025)

    ওড়িশার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। চন্দ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় রথে চড়ে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যান জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রা। আটদিন মাসির বাড়িতে কাটিয়ে ত্রিদেব ফিরে যান শ্রীমন্দিরের রত্নবেদিতে। এই রথযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত সালবেগার ভক্তিগাথা। তিনি ছিলেন ওড়িশার ভক্ত-কবি। মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন জগন্নাথদেবের উপাসনায়।

    জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়

    এক মুঘল সুবেদার ও হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার পুত্র সালবেগা। এক মারাত্মক আঘাত পেয়েও দৈবীবলে বেঁচে যাওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন জগন্নাথ দেবের একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি স্বপ্নে দেখেন, জগন্নাথ স্বয়ং তাঁর চিকিৎসা করছেন। আর তিনি প্রতিদিনই সুস্থ হচ্ছেন একটু একটু করে। সুস্থ হয়ে উঠে সালবেগা তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়। রচনা করেন চিরস্মরণীয় একাধিক ভজন ও ভক্তিগীতি। এর মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হল ‘আহে নীলা শৈল’ (Rath yatra 2025)।

    কিংবদন্তী অনুসারে, একবার রথযাত্রার সময় মাঝ পথে আচমকাই থেমে যায় জগন্নাথের রথ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সালবেগা। তারপর ফের রথ চলতে শুরু করে। পরে ওই জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। সালবেগার প্রতি জগন্নাথদেবের ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আজও ওই মন্দিরের সামনে কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যায় জগন্নাথদেবের রথ। সালবেগার ভক্তিভাবনায় পরিপূর্ণ ভজন ও গান আজও মুখে মুখে ফেরে ওড়িশাবাসীর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সেই গানের মাধ্যমে (Muslim Devotee) ভক্ত সালবেগার ভক্তিরস পৌঁছে যায় স্বয়ং জগন্নাথ দেবের কানে।

    তিনি যে ভক্তের ভগবান (Rath yatra 2025)!

  • Amaranth Yatra: প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবার অমরনাথের পথে ফের ৭ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী

    Amaranth Yatra: প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবার অমরনাথের পথে ফের ৭ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ জুলাই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। ইতিমধ্যেই দেবদর্শন করে ফেলেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি তীর্থযাত্রী (Holy Cave)। রবিবার ভোরে জম্মুর বেস ক্যাম্প থেকে ফের রওনা দিলেন ৭ হাজার ২০০ জনেরও বেশি পুণ্যার্থীর একটি দল। ৩ জুলাই শুরু হওয়া এই তীর্থযাত্রা চলবে ৩৮ দিন ধরে। এদিন যে পুণ্যার্থীর দল অমরনাথ গুহার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু। ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে এদিন ভোর ৩.৩৫ থেকে ৪.১৫-এর মধ্যে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পৃথক দুটি কনভয়ে যাত্রা শুরু করেন তীর্থযাত্রীরা। বুধবারের পর সব চেয়ে বড় তীর্থযাত্রীর দল এদিন রওনা দেন দেব দর্শনে।

    অমরনাথের পথে (Amaranth Yatra) 

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে অমরনাথ যাত্রাপথে। এদিন প্রথম কনভয়ে ছিল ১৪৭টি গাড়ি। এই গাড়িগুলি ৩ হাজার ১৯৯ জন তীর্থযাত্রী নিয়ে গাঁদারবাল জেলার খাড়া ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বালতাল রুটে যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় কনভয়ে গাড়ি ছিল ১৬০টি, পুণ্যার্থী ছিলেন ৪ হাজার ৯জন। এঁরা যাত্রা করেন অনন্তনাগ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পহেলগাঁও রুটে। শনিবার রাতভর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে জম্মুতে। এদিন ভোরেও বৃষ্টি হচ্ছিল ঝমঝমিয়ে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দেব দর্শনের বেরিয়ে পড়েন তীর্থযাত্রীরা। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার তীর্থযাত্রী পৌঁছেছেন ৩ হাজার ৮৮০ মিটার উচ্চতার গুহা মন্দিরে।

    নাম নথিভুক্ত করেছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ 

    জানা গিয়েছে, এখনও (Amaranth Yatra) পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ তীর্থযাত্রার জন্য অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। জম্মুজুড়ে ৩৪টি আবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের দেওয়া হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। পুণ্যার্থীদের নাম নথিভুক্ত করণের উদ্দেশ্যে খোলা হয়েছে ১২টি কাউন্টার।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেও পুণ্য যাত্রায় অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে (Holy Cave) জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে ভগবতীনগর বেস ক্যাম্প (Amaranth Yatra)।

  • PM Modi: ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশিত নৃত্যের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’

    PM Modi: ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশিত নৃত্যের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে শেষমেশ ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর আগে তিনি সফর করেছেন তিন দেশ। ব্রাজিল (Brazil) হল চতুর্থ দেশ। ভারতে ফেরার পথে তিনি আসবেন নাবিমিয়া হয়ে। ব্রাজিলে পৌঁছে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্রাজিলের ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা রিও ডি জেনেইরোয় খুবই উজ্জ্বল ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে এখনও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং ভারতের উন্নয়ন নিয়ে এতটাই আগ্রহী — তা সত্যিই বিস্ময়কর!”

    নৃত্যের থিম নেওয়া অপারেশন সিঁদুর থেকে (PM Modi)

    ব্রাজিলে পৌঁছানোর পর ভারতীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক প্রাণবন্ত অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল একটি সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনা, যার থিম অপারেশন সিঁদুর থেকে নেওয়া। এদিন রিও ডি জেনেইরোর হলঘরটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্য ও লোকসঙ্গীতের ছোঁয়ায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রশংসা ও করতালির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। পরে তিনি নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে ছবিও তোলেন এবং তাঁদের উৎসাহিত করেন। এই নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন রেখাও। তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য একটি আধা-ধ্রুপদী নৃত্যের পরিকল্পনা করেছিলাম। এটি অপারেশন সিঁদুরকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল এবং আমাদের সাহসী সৈন্যদের প্রতি আন্তরিকভাবে উৎসর্গ করা হয়েছিল।”

    কী বলছেন স্থানীয়রা?

    আর একজন অংশগ্রহণকারী স্নেহা বলেন, “আমি আমাদের পরিবেশনায় অপারেশন সিঁদুরের একটি চিত্রকর্ম অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। মহিলা শিল্পী হিসেবে আমরা এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি শক্তি এবং অনুপ্রেরণার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যোমিকা সিং এবং সোফিয়া কুরেশিকে উৎসর্গ (PM Modi) করেছি।” উত্তেজনা কেবল শিল্পীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ব্রাজিলের বাসিন্দারাও প্রধানমন্ত্রীর আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর দেখে আমি রোমাঞ্চিত। এটা ব্রাজিলের জন্য সত্যিই সম্মানের।” আর একজন বলেন, “এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো মনে হচ্ছে। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করার কোন ভাষা নেই।”

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী রিও ডি জেনিরোয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলন হবে ৬-৭ জুলাই। এই সফরে তিনি ব্রাজিলের (Brazil) রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করতে পারেন বলে খবর (PM Modi)।

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

LinkedIn
Share