Tag: Bengali news

Bengali news

  • Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariffs) আরোপ করার পর থেকে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল আমেরিকা- বিরোধী মনোভাব। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর এই শুল্ক চাপানো হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক। এর ফলে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে বর্জন করার আওয়াজ উঠেছে ভারতে (Swadeshi Heat)।

    মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক (Trump Tariffs)

    যোগগুরু বাবা রামদেব ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কের জবাবে যেন তাঁরা সব মার্কিন পণ্য বর্জন করেন। তিনি বলেন, “একজনও ভারতীয়কে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্ডসের কাউন্টারে দেখা যাবে না। ব্যাপক বর্জন হওয়া উচিত।”  তিনি বলেন, “যদি এমনটা হয়, তাহলে আমেরিকায় তীব্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।” বিশ্বের অন্যান্য অংশে যেমন ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং কানাডায় ইতিমধ্যেই আমেরিকা-বিরোধী বয়কট চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত যদি মার্কিন কোম্পানিগুলিকে বয়কট করে, তবে তা বিপুল ক্ষতি এবং গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভারতীয়দের “স্বদেশি” বা দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি

    তিনি বলেন, “যে কেউ ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করতে চায় — যে কোনও রাজনৈতিক দল, যে কোনও নেতা — তাদের উচিত দেশের স্বার্থে কথা বলা এবং জনগণের মধ্যে এই বোধ জাগানো যে তাদের ‘স্বদেশি’ পণ্য কেনার সংকল্প নিতে হবে। আমরা যখন কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেব, তখন একটি মাত্র মানদণ্ড থাকা উচিত। আমরা সেই জিনিস কিনব, যা একজন ভারতীয় শ্রম দিয়ে তৈরি করেছেন। যা ভারতের মানুষ তৈরি করেছেন, ভারতের মানুষের দক্ষতা দিয়ে, ভারতের মানুষের ঘামের বিনিময়ে, সেটিই আমাদের কাছে ‘স্বদেশি’ (Trump Tariffs)। আমাদের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্র গ্রহণ করতেই হবে।” ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার রাজনীতি চলছে এবং প্রত্যেকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যস্ত (Swadeshi Heat)।”

    ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ

    প্রসঙ্গত, ৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফের একবার অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। করা হয় জরিমানাও। ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “ভারত শুধু বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনছে তাই নয়, বরং সেই তেলের একটি বড় অংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফাও করছে।” তিনি বলেন, “রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনে কত মানুষকে হত্যা করছে, সে ব্যাপারে ভারতের কোনও পরোয়া নেই। এই কারণে আমি আমেরিকায় ভারত যে শুল্ক দেয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছি।” উচ্চবাচ্য না করে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অমূলক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

    ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা

    আপ পার্টির সাংসদ অশোক কুমার মিত্তল ট্রাম্পকে একটি খোলা চিঠি লিখে ৭ আগস্ট ১৯০৫ সালের স্বদেশি আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যদি আজ ১৪৬ কোটি ভারতীয় সেই চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং মার্কিন ব্যবসার ওপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তবে এর প্রভাব ভারতের থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে (Trump Tariffs)।” ওয়েস্টলাইফ ফুডওয়ার্ল্ড লিমিটেড, যা পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা করে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২,৩৯০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি (Swadeshi Heat)।

    ভারতের অবস্থান

    এদিকে, পেপসিকো ইন্ডিয়া ২০২৪ অর্থবর্ষে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে। ভারতের অবস্থান পেপসিকোর জন্য বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ ১৫টি বাজারের মধ্যে। গত তিন বছরে পেপসিকো ভারতের বাজারে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন আগেই আমেদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতাই উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার একমাত্র পথ। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বিদেশি পণ্য কেন দরকার হবে? নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবই দেশীয় সংস্থা উৎপাদন করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে হবে যে, যদি বিদেশি পণ্য বিক্রি না করলে আর্থিক ক্ষতিও হয়, জাতীয় স্বার্থে বিদেশি পণ্য বয়কট করতে হবে। কেউ যেমন বিদেশি পণ্য ক্রয় করব না, তেমন বিক্রিও করবে না।” তিনি বলেন (Swadeshi Heat), “গণপতির মূর্তি পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসছে। তাও আবার সেই গণপতির চোখ অর্ধনিমীলিত। ক্ষুদ্র চোখ। এটা কেন হবে (Trump Tariffs)?”

  • Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) গুরেজ সেক্টরে গত সপ্তাহে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন ছিল বাগু খান। হিউম্যান জিপিএস নামেও পরিচিত ছিল সে। বাগু (Terrorist Bagu Khan) এবং আর এক জঙ্গি নওশেরা যখন নার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

    কে এই বাগু খান? (Terrorist Bagu Khan)

    প্রশ্ন হল, কে এই বাগু খান? বাগু খান সমন্দর চাচা নামেও পরিচিত ছিল। সে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে গুরেজ সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে ১০০ও বেশি জঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জড়িত ছিল। তার অধিকাংশ চেষ্টাই সফল হয়েছিল। কারণ সে এই অঞ্চলটির দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও গোপন রুটগুলি সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল। সে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাতায়াতকারীদের অন্যতম প্রবীণ হ্যান্ডলার ছিল। দক্ষতার কারণে সে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হত। কখনও কোনও জঙ্গিকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকাতে হলে ডাক পড়ত বাগুর।

    হিজবুল কমান্ডার

    বাগু মূলত হিজবুল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তবে সে আরও কয়েকটি সংগঠনকেও সাহায্য করেছিল। গুরেজ ও আশপাশের সেক্টরগুলি দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেও সাহায্য করেছে সে। কুখ্যাত এই জঙ্গির মৃত্যু এই অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্যদানকারী লজিস্টিক নেটওয়ার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাম্প্রতিক যে সংঘর্ষটি নৌশেরা নার এলাকায় হয়েছে, তার নাম “অপারেশন নৌশেরা নার চতুর্থ”। এখানে সেনারা ভারী অস্ত্রসজ্জিত একদল অনুপ্রবেশকারীর মুখোমুখি হয়। শুরু হয় গুলি যুদ্ধ। নিকেশ হয় বাগু-সহ দুজন। বাকিরা পালিয়ে যায় (Terrorist Bagu Khan)।

    জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে বাগু ঘাঁটি গেড়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তার প্রধান কাজই ছিল, ভারতে জঙ্গি ঢোকানো। বহু বছর ধরে বাগুকে খুঁজছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার গুরেজে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল আরও দুই জঙ্গি (Jammu Kashmir)। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। এরপর ফের একবার অভিযান চালানো হয় গুরেজে। তাতেই খতম হয় বাগু (Terrorist Bagu Khan)।

  • Weather Update: বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, ফের বর্ষা কবে?

    Weather Update: বৃষ্টি থেকে সাময়িক স্বস্তি, ফের বর্ষা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কয়েকদিনের ভিজে আবহাওয়ার পর সাময়িকভাবে বৃষ্টি থেকে (Kolkata) বিরতি পেতে চলেছে কলকাতা। যদিও আগামী সপ্তাহ থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Weather Update) অনুযায়ী, শহরে রবিবার ৩১ আগস্ট এবং সোমবার ১ সেপ্টেম্বর হালকা বৃষ্টি হবে। এতে সাময়িক স্বস্তি পাবেন কলকাতাবাসী। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকবে এবং হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বড় কোনও সতর্ক বার্তা নেই। দিনের তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬–২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই ছোট্ট বিরতিটুকু অনেকটাই স্বস্তি দেবে শহরবাসীকে।

    বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Weather Update)

    তবে এই স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর থেকে ফের শুরু হবে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার ৩ সেপ্টেম্বরও আবহাওয়া থাকবে একই রকম। তবে এই দু’দিনের বৃষ্টি ও ঝড় আগের শান্ত আবহাওয়ার তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বঙ্গ জীবনে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শহর থাকবে মূলত মেঘাচ্ছন্ন। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে সতর্কবার্তাগুলি কিছুটা হ্রাস পাবে। যদিও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কলকাতার বাসিন্দারা কিছুক্ষণের জন্য শরতের পরিষ্কার আকাশের মুখ দেখতে পারবেন। যদিও আবারও হাতের কাছে ছাতা রাখতে হবে। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে ফের শুরু হবে বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টি (Weather Update)।

    মঙ্গলে বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবি ও সোমবার বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। মঙ্গলে বৃষ্টি হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায়। বুধবার বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবি (Kolkata) ও সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। বাকি জেলাগুলিতেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)।

  • Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কহার (Trumps Tariffs) প্রযোজ্য হয়েছে আমেরিকার। এমতাবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন (India China) পৌঁছেছেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার এই চড়া শুল্ক হার ভারতের রফতানি খাত এবং উচ্চভিলাষী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। চিনের ওপরও চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটি এমন একটি সময়ে করেছেন, যখন চিনের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রত্যাশিতভাবেই মোদি-জিনপিং সম্পর্কে নয়া মোড় দেখা দিতে পারে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ট্রাম্পের শুল্ক-গুঁতোর ধাক্কায় দুই দেশই এবার আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

     ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ (Trumps Tariffs) 

    সাম্প্রতিক এক সম্পাদকীয়তে চ্যাথাম হাউসের চিয়েটিগজ বাজপাই ও ইউ জিয়ে লিখেছেন, “ভারত কখনওই চিনের বিরুদ্ধে সেই প্রতিরক্ষার প্রাচীর হতে যাচ্ছিল না, যেটি পশ্চিমী বিশ্ব (বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ভেবেছিল। তাই মোদির (India China) চিন সফর একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।” ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ। চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারত চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধি যদি ৬ শতাংশের ওপরে থাকে, এবং দেশটির ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি ও ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার স্টক মার্কেটে পৌঁছয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে।

    সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং

    বেজিং-ভিত্তিক উসায়া অ্যাডভাইসরির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ কিয়ান লিউ বলেন, “তামাম বিশ্ব এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, চিন ও ভারত, কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার (Trumps Tariffs)।” যদিও এ সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ও দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এটি গত চার দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। এর জেরে বাতিল করা হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট, ভিসা ও চিনা বিনিয়োগ স্থগিত থাকে। ফলে পরিকাঠামো প্রকল্পের গতি ধীর হয়ে যায়, এবং ভারত ২০০–রও বেশি চিনা অ্যাপ, যার মধ্যে টিকটকও ছিল, নিষিদ্ধ করে (India China)।

    ভারত–চিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

    আইআইএসএসের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় প্রতিরক্ষা, কৌশল ও কূটনীতি বিষয়ক প্রবীণ গবেষক অঁতোয়ান লেভেস্ক বলেন, “দুই দেশের আলোচনা প্রয়োজন, যাতে অন্য শক্তিগুলির প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ এশিয়ার বৃহত্তর স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ভারত–চিন সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (Trumps Tariffs)।” সীমান্তের পাশাপাশি দুই দেশের বিরোধ রয়েছে আরও কয়েকটি বিষয়ে। এর মধ্যে রয়েছে তিব্বত, দালাই লামা, এবং যৌথ নদীর ওপর চিনের পরিকল্পিত বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও। তবে ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জেরে আপাতত দুই দেশই এসব বিরোধ এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন করে সব শুরু করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে, ভিসা সংক্রান্ত কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চুক্তিও আসতে পারে।

    অবস্থান বদলেছে ভারত

    বর্তমান প্রেক্ষিতে অবস্থান বদলেছে ভারত। গবেষণা সংস্থা এশিয়া ডিকোডেডের  প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রিয়াঙ্কা কিশোর বলেন, “মনে রাখবেন, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এক জোট চিনকে চাপে রাখতে।” কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে ভারত সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। কিশোরের মতে, তাই এটি একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ এবং মাল্টিপোলার বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করে, যেটি ভারত ও চিন উভয় দেশই বিশ্বাস করে (Trumps Tariffs)।

    এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    চিনে আয়োজিত দু’দিনের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং রাশিয়া। আগে ভারত এই সংস্থার গুরুত্বকে খাটো করে দেখেছে। কারণ, বছরের পর বছর ধরে এটি উল্লেখযোগ্য কোনও ফল প্রসব করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের অবনতিই ভারতকে এসসিওর গুরুত্ব নতুন করে আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক সংঘাতের মধ্যে চিন বৈশ্বিক দক্ষিণের সংহতির প্রতীকী (India China) দিকটিকেও মূল্য দেবে। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের স্বার্থেই ক্রমেই কাছাকাছি আসছে নরেন্দ্র মোদির ভারত ও শি জিনপিংয়ের চিন (Trumps Tariffs)।

  • Ramakrishna 455: কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে,

    Ramakrishna 455: কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে,

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এর কী সূক্ষ্মবুদ্ধি! ন্যাংটা এইরকম ফস করে বুঝে নিত — গীতা, ভাগবত, যেখানে যা, সে বুঝে নিত।

    [কৌমার্যব্রত্য আশ্চর্য — বেশ্যার উদ্ধার কিরূপে হয়]

    শ্রীরামকৃষ্ণ — ছেলেবেলা থেকে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ, এটি খুব আশ্চর্য। খুব কম লোকের হয়! তা না হলে যেমন শিল-থেকে আম — ঠাকুরের সেবায় লাগে না — নিজে খেতে ভয় হয়।

    “আগে অনেক পাপ করেছে, তারপরে বুড়ো বয়সে হরিনাম করছে এ মন্দের ভাল।

    “অমুক মল্লিকের মা, খুব বড় মানুষের ঘরের মেয়ে! কেশবদের কথায় জিজ্ঞাসা করলো, ওদের কি কোন মতেও উদ্ধাৰ হবে না? নিজে আগে আগে অনেকরকম করছে কি না! তাই জিজ্ঞাসা করলো। আমি বললুম, হ্যাঁ, হবে — যদি আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, আর বলে আর করব না। শুধু হরিনাম করলে কি হবে, আন্তরিক কাঁদতে হবে।”

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ
    ১৮৮৫, ৬ই এপ্রিল 1885/04/06/iii

    43.13 দেবেন্দ্র-ভবনে ঠাকুরের কীর্ত্তনানন্দ ও সমাধিধন্দিতে

    এইবার খোল-করতাল লইয়া সংগীতন উঠিতেছে। কীর্ত্তনিয়া গাহিতেছেন:

    কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে,
    অপরূপ জ্যোতিষি; শ্রীগৌরাঙ্গ মূর্তি,
    দুনু চক্ষে প্রেম বয়ে শতধারে।

    গৌর মন্মথতন্ত্র প্রায়, প্রেমাবেশে নাচে গায়,
    কড়ু ধরাতে লুয়া, নয়নজলে ভাসে রে,
    কাঁদে আর বলে হরি, স্বর্ণ-মর্ত্ত্য ভেদ করি, সিংহদ্বারে রে,
    আবাব ফুল লয়ে কুন্তাঞ্জলি হয়,
    দাস মুক্তি যাত্রে দ্বারে দ্বারে।।

    কিবা মূরছায়ে চটক বেস, ধরেছেন যোগীর বেস,
    দেখে ভক্তি প্রেমাবেশ, প্রাণ কেঁদে উঠে রে।
    জীবের দুঃখে কাতর হয়ে, এলেন সর্ব্ব ত্যাগিয়ে,
    প্রেম বিলাতে রে,

  • SSC: ‘সুপ্রিম ধাক্কা’য় শেষমেশ দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: ‘সুপ্রিম ধাক্কা’য় শেষমেশ দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে ঠেলার নাম বাবাজি! ‘সুপ্রিম ধাক্কা’য় শেষমেশ দাগি অযোগ্যদের (Tainted Candidates) তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)। বৃহস্পতিবারই দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী সাত দিনের মধ্যেই দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারপর তড়িঘড়ি শনিবার কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় তালিকা। এই তালিকায় নাম রয়েছে মোট ১ হাজার ৮০৪ জনের। প্রকাশ করা হয়েছে তাঁদের রোল নম্বরও।

    নাটকীয় পরিস্থিতি (SSC)

    এদিন দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ ঘিরেও নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এসএসসির দফতরে। প্রথমে একটি তালিকা প্রকাশ করার পরে পরেই তা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। খানিক পরেই এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও পৌঁছে যান কমিশনের দফতরে। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। তারপর ফের নতুন করে দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে এসএসসির। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, দাগি অযোগ্য প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। সেই মতো প্রকাশ হল তালিকা। তালিকায় প্রথম নাম অবনীনাথ মণ্ডলের। তবে ওই তালিকায় প্রার্থীরা কোনও স্কুলে চাকরি করেন কিংবা কোন বিষয়ের শিক্ষক, তা বলা হয়নি বলে অভিযোগ।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আমরা সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করিনি। তার পরেও কেন তালিকা প্রকাশ হল না? এদিন দাগি অযোগ্যদের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে আলাদাভাবে উল্লেখ করা নেই যে এঁদের মধ্যে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কতজন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তা আলাদাভাবে উল্লেখ করা নেই। উল্লেখ্য, এর আগে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ১৮০ জন দাগি অযোগ্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিলেন। তাঁরা কারা (SSC), সেই তথ্যও জানানো হয়নি কমিশনের তালিকায়। দাগিদের তালিকা প্রকাশের পরে যোগ্য শিক্ষকদের প্রতিনিধি সুমন বিশ্বাস বলেন, “এই তালিকা আগে প্রকাশ করা হলে, এত করুণ অবস্থা হত না। আমাদের জীবন্ত লাশ হয়ে ঘুরতে হত না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।”

    এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আদালত যা বলছে, আমরা সেটা মেনেই চলছি। বিরোধীরা (Tainted Candidates) কী বলছে কিংবা আগে কী হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বলার কিছু নেই (SSC)।”

  • First Bullet Train: হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের মধ্যে ছুটবে বুলেট ট্রেন! শুরু সমীক্ষা

    First Bullet Train: হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের মধ্যে ছুটবে বুলেট ট্রেন! শুরু সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়ের মধ্যে বুলেট ট্রেন করিডরের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। এ খবর জানিয়েছে মেট্রো রেল টুডে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১২ ঘণ্টার যাত্রা সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে (First Bullet Train)। সমীক্ষাটি পরিচালনা করছে সরকারি মালিকানাধীন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রাইটস লিমিটেড। এটি ভারতের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, পশ্চিম ভারতের বাইরে বুলেট ট্রেন নেটওয়ার্ক প্রসারিত করা (High Speed Rail Corridor)। ইতিমধ্যেই মুম্বই আমেদাবাদ করিডরের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, রাইটসকে ডিপিআর তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ট্রাফিক বিশ্লেষণ, রুট সমীক্ষা এবং ভূ-প্রকৃতি মূল্যায়নও করবে। প্রাথমিক নকশা তৈরিও এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, যা দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ করিডরের ভিত্তি স্থাপন করবে।

    লাইন হবে সম্পূর্ণ পৃথক উঁচু ট্র্যাকে (First Bullet Train)

    প্রস্তাবিত ৭০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইন হবে সম্পূর্ণ পৃথক উঁচু ট্র্যাকে নির্মিত। যেখানে ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩৫০ কিমি/ঘণ্টা। যদিও ট্রেনগুলি চলবে ৩২০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এই করিডর বিমান ভ্রমণের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। কারণ দুটি রাজ্যের রাজধানীর মধ্যে যাত্রার সময় কমে হবে ২ ঘণ্টার সামান্য বেশি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতীয় রেলের প্রচলিত ট্রেনে এই রুটে সময় লাগে ১২–১৪ ঘণ্টা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বুলেট ট্রেন চালু হলে শুধু যাত্রার সময়ই কমবে না, লাইনের ভিড়ও কমবে, বাড়বে আঞ্চলিক সংহতি, ত্বরান্বিত হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এমআরটি রিপোর্টে ওই কর্তারা অনুমান করেছেন যে মুম্বই – আহমেদাবাদ করিডরের সময়সীমার ভিত্তিতে এই প্রকল্প নির্মাণে কমপক্ষে ১৫ বছর লাগবে (First Bullet Train)।

    বুলেট ট্রেন ত্রিভুজ প্রকল্পের অংশ

    হায়দরাবাদ – চেন্নাই রেল সংযোগ দক্ষিণ ভারতের একটি বৃহত্তর বুলেট ট্রেন ত্রিভুজ প্রকল্পের অংশ, যেখানে একইসঙ্গে হায়দরাবাদ – বেঙ্গালুরু রুটেরও একটি সমান্তরাল সমীক্ষা চলছে। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের (High Speed Rail Corridor) মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ঘোষণা করেন যে দক্ষিণ ভারতে শীঘ্রই বুলেট ট্রেন সংযোগ স্থাপন করা হবে, যা হায়দরাবাদ, অমরাবতী, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু জুড়ে ভ্রমণে আমূল পরিবর্তন আনবে (First Bullet Train)।

  • Missionary Networks: বাড়ছে খ্রিস্টান মিশনারিদের দৌরাত্ম্য, বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক!

    Missionary Networks: বাড়ছে খ্রিস্টান মিশনারিদের দৌরাত্ম্য, বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর চল্লিশের মার্কিন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারক ড্যানিয়েল স্টিফেন কর্টনি এখন বিশ্বব্যাপী বিতর্কের কেন্দ্রে। তিনি নিজেকে এক নির্ভীক ধর্ম প্রচারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে খ্রিস্টান ধর্ম (Missionary Networks) প্রচার করেছেন ভারত, নেপাল, ইজরায়েল, ব্রিটেন এবং আমেরিকায়। এই ধর্ম প্রচারের আড়ালেই (Indias Social Fabric) তিনি অস্ত্র পাচার করছেন বলে অভিযোগ। গত ডিসেম্বরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’। সেখানে এক ভিডিওতে দেখা যায়, মণিপুরে গোষ্ঠীসংঘর্ষ চলাকালীন কর্টনি গোপনে কুকি জঙ্গিদের ড্রোন, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন। ভিডিও ফুটেজটি সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে সক্রিয়ভাবে তিনি হিন্দু মেইতেইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এবং সাহায্য করছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি শুধু ধর্ম প্রচারের কাজই নয়, বরং ভারতের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে হস্তক্ষেপ, যা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ সমর্থনের কাছাকাছি।

    বহিষ্কার করা হয়েছিল কোর্টনিকে (Missionary Networks)

    ঘটনাটি কোর্টনির আগের কুখ্যাতির পরপরই সামনে আসে। ২০১৭ সালে ভারতে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিষিদ্ধ ধর্মীয় কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে দেশ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে তিনি আবার নেপাল ও ভারতে আসেন, আড়ালে থেকে চালাতে থাকেন কার্যকলাপ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তিনি নেপালের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় ধর্মান্তরকরণে সহায়তা করেছেন এবং সামাজিক সেবার আড়ালে মিশনারি অ্যাজেন্ডা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকলাপেও প্রায়ই হিন্দু-বিরোধী ও বিজেপি-বিরোধী বক্তব্য থাকত, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। অবশেষে গত ডিসেম্বরে নেপালের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে।

    বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

    কোর্টনি মামলাটি কোনও এক উগ্র মিশনারির (Missionary Networks) বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি আরও গভীর একটি সমস্যাকে উন্মোচিত করে, কীভাবে বিদেশি এজেন্টরা, যারা প্রায়ই সাহায্যকর্মী বা মানবাধিকার কর্মীর ছদ্মবেশে ভারতের সংবেদনশীল অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেয়। এমন উদ্বেগজনক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি এমন এক নতুন ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে যেখানে এই ধরনের কার্যকলাপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে (Indias Social Fabric)। কোর্টনি গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলার এক চমকপ্রদ ছবি সামনে আসে। একটি ছবি থেকে জানা যায়, তিনি কলকাতা-ভিত্তিক একটি এনজিও, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটি প্রমাণ করে, কীভাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা নিঃশব্দে এনজিও নেটওয়ার্কে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারছে। এই এনজিওগুলির সিংহভাগই বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত হয় বলে খবর।

    চিকিৎসা শিবিরগুলি আসলে ধর্মান্তরের আড়াল মাত্র

    ২০২৫ সালের অগাস্টে প্রকাশিত একটি বিশেষ প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে যে, তথাকথিত চিকিৎসা শিবির বা বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসা শিবিরগুলি আসলে ধর্মান্তরের আড়াল মাত্র (Missionary Networks)। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা অঞ্চলে গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা কিংবা বিশ্বাসভিত্তিক আরোগ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আকৃষ্ট করা হচ্ছিল। একবার তারা এর প্রতি আকৃষ্ট হলে সন্ধ্যার প্রার্থনা সভার সময় আধ্যাত্মিক পরামর্শ ও সামাজিক চাপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তাদের খ্রিস্টধর্মের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। একই ধরনের আর একটি ঘটনা ঘটে ২০২৫ সালের জুন মাসে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে কিছু মিশনারি অলৌকিক আরোগ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামবাসীদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছিলেন (Indias Social Fabric)। তবে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে পালিয়ে যান মিশনারিরা। প্রতিবারই এদের কৌশল একই থাকে- প্রথমে দান-দক্ষিণা, পরে ধর্মান্তর।

    মোদীর আমলে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন

    দশকের পর দশক ধরে ভারতে এনজিওগুলি এক ধরনের দ্বিমুখী তলোয়ারের মতো কাজ করে। অনেকে সত্যিই সমাজকল্যাণ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য কাজ করে। আবার অনেকে, যারা বিশেষ করে যারা বিপুল বিদেশি সহায়তা পায়, তারা কল্যাণমূলক কর্মসূচিকে ধর্মান্তরকরণের আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছে (Missionary Networks)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করা হয়। বাতিল করা হয় শ’য়ে শ’য়ে এনজিওর লাইসেন্স। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ এক ব্যতিক্রম হিসেবে উঠে আসছে ওপরের সারিতে। এখানে বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসাশিবির, গোপন প্রার্থনাসভা এবং প্রলোভনভিত্তিক ধর্মান্তরের খবর ক্রমেই বাড়ছে।

    বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক

    ধর্মান্তরের সমস্যা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়। গোটা ভারতে, বিশেষ করে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার মতো রাজ্যে মিশনারি কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত। শুধু ছত্তিশগড়েই বিধানসভায় বিদেশি-অর্থায়িত এনজিওগুলি কীভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরের কাজে ব্যবহার করছে, তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার তার বিরোধী-ধর্মান্তর আইনের অধীনে একাধিক এফআইআর দায়ের করেছে। আদালত প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে করা ধর্মান্তরের জন্য কারাদণ্ডও দিয়েছে। তার পরেও রমরমিয়ে চলছে ধর্মান্তরের এই ‘ব্যবসা’ (Indias Social Fabric)। যার জেরে বদলে যাচ্ছে ভারতের সোশ্যাল ফ্যাব্রিক (Missionary Networks)।

  • Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রসেরই নেতা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। স্বদলেরই এক বরিষ্ঠ নেতার এমনতর গুরুতর অভিযোগের জেরে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে (Rahul Gandhi)

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে কপ্পল লোকসভা কেন্দ্রে জনতা দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের বাসবরাজ পাটিল আনওয়ারি। তাঁর কাছে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সেদিনের কথা স্মরণ করেই বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “১৯৯১ সালে আমি ভোটে লড়েছিলাম এবং হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে।” সেই কঠিন সময়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রফেসর রবি বর্মা কুমারকে ধন্যবাদও দেন।

    অমিত মালব্যর আক্রমণ

    সিদ্দারামাইয়ার ওই মন্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “যিনি এক সময় কংগ্রেসের ভোট চুরির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তিনিই আজ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভোটার অধিকার মিছিলেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তখন তিনি (সিদ্দারামাইয়া) ব্যালট পেপারে হেরে গিয়ে ভোট চুরি বলে কেঁদেছিলেন। আর আজ রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জালিয়াতি নিয়ে হাহাকার করছেন। কারণ ভারতের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও হ্যাক করা যায় না, এমন যন্ত্র ইভিএমের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সাফ করে দিয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এও লেখেন, “কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে ১৯৯১ সালের কপ্পল লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের ভোট কারচুপির শিকার হয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই ভোট চুরির রাজনীতি করেছে।আয়রনি হল, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে সেই কাজের জন্য অভিযুক্ত করছেন, যা তাঁর নিজের দল দশকের পর দশক ধরে করেছে।”

    আক্রমণ পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির আর অশোকও বলেন, “কংগ্রেস (Rahul Gandhi) প্রতারণা করে সিদ্দারামাইয়াকে হারিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সিদ্দারামাইয়া নিজেই কংগ্রেস পার্টির মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে জনতা দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন, আর এখন তিনি স্বীকার করছেন যে কংগ্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করেছিল। সত্যটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।” পদ্ম শিবিরের আর এক নেতা সরাসরি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ (Siddaramaiah) করে বলেন, “রাহুল গান্ধী কি এখন প্রতারণা ফাঁস করার জন্য সিদ্দারামাইয়াকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করবেন? নাকি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধু দলিত নেতা সত্যিশ জারকিহোলির মতো নেতাদের জন্যই রাখা হয়েছে, যিনি আগে অপমানের শিকার হয়েছিলেন? সিদ্দারামাইয়া যখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, তখন রাহুল গান্ধী নীরব কেন?”

    ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচন

    সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ওই নির্বাচনে একাধিক আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে (Rahul Gandhi) বিজেপির। তাদের প্রশ্ন, যদি কংগ্রেস ১৯৯১ সালে ভোট কারচুপি করে থাকে, তবে আজ বিজেপিকে অভিযুক্ত করার নৈতিক অধিকার তাদের কোথায়? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল এবং সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্যে বিরোধাভাস স্পষ্ট। রাহুল জোরালোভাবে বিজেপিকে একমাত্র নির্বাচনী জালিয়াত হিসেবে তুলে ধরেছেন, অথচ তাঁর নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন অনিয়মের শিকার হয়েছিলেন তিনি স্বয়ং (Siddaramaiah)।

    প্রশ্ন একাধিক

    বিহার এবং কর্নাটক-সহ অন্যান্য নির্বাচনে বিজেপি যে এটিকেই প্রধান ইস্যু করবে, তা স্পষ্ট। তারা কংগ্রেসকে এমন একটি দল হিসেবে ব্র্যান্ড করবে, যারা অনেক আগেই ভোট কারচুপিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর এখন অন্যদের দিকে আঙুল তুলছে। এই বিতর্কে সিদ্দারামাইয়া ও রাহুল (Rahul Gandhi) কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে যা প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটিই যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস কি আসলেই ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করেছিল? আর যদি করেই থাকে, তবে (Rahul Gandhi) প্রকৃত ভোট চোর কারা?

  • Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের চড়া শুল্কহারের জেরে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত (India) ও রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শুক্রবার সরকারিভাবে এ কথা ঘোষণা করে দিল মস্কো। ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    শুল্ক আরোপ আমেরিকার (Vladimir Putin)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মস্কোকে কাঠগড়ায় তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সঙ্গে চাপিয়ে দেয় মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই আবহে ৩১ অগাস্ট দু’দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য, এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। সোমবার তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের বার্তা দিল ক্রেমলিন।

    মোদির ডাকে সাড়া

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও দু’জনের মধ্যে হয়েছিল পার্শ্ববৈঠক। সেই সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। চলতি বছরের মার্চ মার্চ মাসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন, মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। যদিও সেই সময় পুতিনের ভারত সফরের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি লাভরভ। চলতি মাসে মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময় (Vladimir Putin) তিনিই জানিয়েছিলেন, চলতি বছরই ভারতে আসতে পারেন পুতিন। শুক্রবার সেটাই নিশ্চিত করল রাশিয়া।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিরও ভারতে (India) আসার খবর মিলেছিল। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শীঘ্রই ভারতে আসবেন জেলেনস্কি। তিনি চান, বন্ধু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করুক ভারত। তবে জেলেনস্কি ঠিক কবে নয়াদিল্লিতে আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি ইউক্রেনের তরফে (Vladimir Putin)।

LinkedIn
Share