Tag: Bengali news

Bengali news

  • Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বালুচিস্তান (Balochistan) থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকিস্তানের (Pakistan) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না তাঁদের। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয়রা। জোরালো হচ্ছে প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার দাবিও।

    নিখোঁজ একই পরিবারের ২ (Pakistan)

    ‘দ্য বালুচিস্তান পোস্টে’র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কেচ জেলার বুলেদা তহসিলের মেনাজ এলাকায় এক বাড়িতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ভাইকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর আর খোঁজ মেলেনি তাঁদের। নিখোঁজ দু’জনের একজন জহির, অন্যজন ওয়াসিম। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা রহিম জানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা দু’জনেই পেশায় কৃষক, কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদের পরিবার অবিলম্বে ওই দুই ভাইয়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আর একটি ঘটনায়, পাক সেনাবাহিনী ব্রাহুই ভাষার কবি আতা অঞ্জুমকে মাস্তুংয়ে তাঁর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁরও খোঁজ মিলছে না। বালুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংগঠন ভয়েস ফর বালুচ মিসিং পারসন্স ঘটনাটিকে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে (Pakistan)।

    নিখোঁজ চাঙ্গেজ ইমামও

    তুরবতেও ঘটেছে আরও একটি ঘটনা। সেখানে গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন চাঙ্গেজ ইমাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি তুরবত কেন্দ্রীয় কারাগারের ওয়ার্ডার। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে তুরবতে নিজের বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। আর ফিরে আসেননি। তাঁর মোটরসাইকেলটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার প্রতিবাদে পুরো প্রদেশে অব্যাহত প্রতিবাদ। খুজদারে ৫ নভেম্বর নাল এলাকা থেকেও অপহৃত হন একজন। হুজাইফা গফ্ফার নামের ওই ব্যক্তির স্বজনরা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে নাল সিপেক রোড অবরোধ করেন। প্রতিবাদকারীরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় বালুচ ইয়কজেহতি কমিটি।

    ইউনিয়ন কাউন্সিল কিল্লি কোচা বুলেদার ভাইস চেয়ারম্যান পাজির নাসির প্লিজাই ৮ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের (Balochistan) মতো নিখোঁজ হন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়েছিল তাঁকে। কয়েক মাসের আন্দোলনের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ফের নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট করে হক দো তেহরিক বালুচিস্তান (Pakistan)।

  • BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি (BBC)। এই সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই ক্ষমা চেয়ে নেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিলেও, ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে বিবিসি। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মানহানি মামলার কোনও ভিত্তি নেই। ট্রাম্প প্রশাসনকে লেখা একটি চিঠিতে সংস্থার তরফে চেয়ারম্যান সামির শাহ লিখেছেন, “সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বিবিসি ক্ষমাপ্রার্থী।” তাঁর দাবি, সংস্থাটি সাংবাদিকতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি (BBC)

    ১৩ নভেম্বর বিবিসি তাদের কারেকশন অ্যান্ড ক্ল্যারিফিকেশন বিভাগে জানিয়েছে, প্যানোরামা অনুষ্ঠানটি সমালোচনার পর ফের পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ এতে ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল। বিবিসির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  “আমরা স্বীকার করি যে আমাদের সম্পাদনা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ধারণা তৈরি করেছে যে আমরা বক্তৃতার একটি একটানা অংশ দেখাচ্ছি, অথচ বাস্তবে তা ছিল বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতি। এর ফলে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসাত্মক কাজের আহ্বান জানিয়েছিলেন।” বিবিসির তরফে ক্ষমা চাওয়ার কারণ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি এক মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করবেন।

    ‘ফাইট লাইক হেল’

    প্রসঙ্গত, প্যানোরামায় ট্রাম্পের ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ জোড়া দিয়ে এমনভাবে দেখানো হয়েছিল যেন তিনি (Donald Trump) তাঁর সমর্থকদের ‘ফাইট লাইক হেল’ এবং তাঁর সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনের দিকে মিছিল করতে উৎসাহিত করছেন (BBC)। ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা ক্যাপিটল ভবনের দিকে হাঁটব…আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। এবং আমরা লড়ব। আমরা ভীষণভাবে লড়ব।” এর পরেই ট্রাম্পের হুমকি এবং তার পর বিবিসি কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা এও স্বীকার করেছে যে, প্যানোরামার অনুষ্ঠানটি এমন ভুল ধারণা দিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর কখনওই ওই অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিবিসি।

    ক্যাপিটল হিলে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর হামলা হয় ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে। অভিযোগ, সেখানে হামলা চালিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। যদিও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ওই নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। বিবিসির তরফে ট্রাম্পকে নিয়ে যে তথ্যচিত্র সম্প্রচার করা হয়, তাতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে কার্যত কাঠগড়ায় তোলা হয় বলে অভিযোগ (BBC)। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প যেসব বক্তৃতা দিয়েছিলেন (Donald Trump), সেগুলি এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিয়েছিলেন তিনি। আর এখানেই আপত্তি হোয়াইট হাউসের। প্রেস সচিবের দাবি, এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হয়েছে।

    প্রবল বিতর্ক

    বিবিসির ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। ঘটনার দায় ঘাড়ে নিয়ে সপ্তাহের প্রথমেই ইস্তফা দেন সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও খবর সম্প্রচার বিভাগের প্রধান ডেবোনার টারনেস। পরে ওয়াশিংটনের চাপে পড়ে দফায় দফায় ক্ষমাও চেয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা। যদিও তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মানহানির জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের শর্ত মানতে রাজি নয়।

    কী বললেন ট্রাম্প

    এর পরেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন মামলা করার কথা (Donald Trump)। তিনি বলেন, “আমরা ১ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করব। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের কোনও এক সময়। আমার মনে হয়, আমাকে এটা করতেই হবে। ওরা প্রতারণা করেছে, সেটা মেনে নিয়েও নিয়েছে। আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলি বদলে দিয়েছে। ভুয়ো খবর কথাটা দারুন চালু। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়। এটি তো ভুয়োর চেয়েও বেশি, এটি দুর্নীতি বিষয়ক। ওরা প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে বক্তৃতার দু’টি অংশ এক সঙ্গে কেটে নিয়েছিল। একটায় আমাকে খারাপ লোক বানিয়ে দিচ্ছিল, আর অন্যটা ছিল অত্যন্ত শান্ত একটি বক্তব্য।” ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি ভাবতে পারেন, বিবিসি ভুয়ো খবর প্রচার করে! এই ঘটনায় ব্রিটেনের মানুষও খুব রেগে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কেলেঙ্কারিতে স্যার কিয়ার স্টারমার খুবই লজ্জিত। এ নিয়ে আমি কথা বলব তাঁর সঙ্গে (BBC)।” ট্রাম্প বলেন, “তারা (বিবিসি) আমায় একটি সুন্দর চিঠি লিখেছে। বলেছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আপনি যদি বলেন এটি অনিচ্ছাকৃত, তবে আমি মনে করি অনিচ্ছাকৃত হলে ক্ষমা করতে হয় না।”

  • Rohini Acharya: পরিবার-দল ছেড়েছেন লালু কন্যা রোহিণী, দায়ী করেছেন রামিজকে! নেপথ্যে কোন রহস্য?

    Rohini Acharya: পরিবার-দল ছেড়েছেন লালু কন্যা রোহিণী, দায়ী করেছেন রামিজকে! নেপথ্যে কোন রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) প্রধান লালু যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্য (Rohini Acharya) শনিবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি রামিজ নিয়ামতের জন্য রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন, সেই সঙ্গে ত্যাগ করেছেন তাঁর পরিবারকেও। বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয় আরজেডি। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় মাত্র ২৫টি আসনে জয়ী হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের এই দল। আর তারপর থেকেই লালুর পরিবারে শুরু হয়েছে কোন্দল। যদিও নির্বাচনের আগেই বড় ছেলে তেজ প্রতাপ পৃথক দল গড়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন।

    লালু কন্যার অভিযোগ (Rohini Acharya)

    রোহিণী (Rohini Acharya) বলেন, “আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার (যাদব) পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ় (Rameez Nemat Khan) আমায় এটাই করতে বলেছিলেন। সব দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। আমার কোনও পরিবার নেই। আপনাদের তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত। তাঁরাই আমায় পরিবার থেকে তাড়িয়েছেন। ওঁরা কোনও দায়িত্ব নিতে চান না। সকলে জিজ্ঞাসা করছে, কেন এ ভাবে ধরাশায়ী হল আরজেডি? যখনই সঞ্জয় বা রামিজের কথা বলা হয়, তখনই বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। করা হয় অপমানও।”

    এই রোহিণীই বাবা লালুপ্রসাদকে নিজের একটি কিডনি দিয়েছিলেন। তবে এদিন রোহিণী পরিবার ছাড়ার আগে আরও এক ব্যক্তির নাম নিয়েছিলেন। সেই নামটি হল রামিজ নেমাত খান। রোহিণীর অভিযোগের পর প্রশ্ন ওঠে, এই ব্যক্তিটি কে? যদিও এই নাম বিহারের সংবাদ মাধ্যমের রাজনীতিতে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, রামিজ নেমাত খান রোহিণীর ভাই তেজস্বী যাদবের পুরানো বন্ধু। তাঁরা দলের একটি অংশ। উভয়ের বন্ধুত্ব ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আরজেডি সূত্রে খবর, রামিজ তাঁর বন্ধু এবং দলের সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রচার কাজের তত্ত্বাবধান করতেন।

    কে রমিজ (Rameez Nemat Khan)?

    রামিজ নেমাত (Rameez Nemat Khan) খান ১৯৮৬ সালের নভেম্বরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা নেমাতুল্লাহ খান জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। রমিজ মথুরা রোডের দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। জামিয়া থেকে বিএ, এমবিএ পাশ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভালোবাসতেন ক্রিকেট খেলতে। দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন বয়সের দলের হয়েও খেলেছেন। ২০০৮-০৯ সালে তিনি ঝাড়খণ্ড অনূর্ধ্ব-২২ দলের অধিনায়কও ছিলেন। এই সময়ে, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যা পরবর্তী কালে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের সূচনা করেন। ২০১৬ সালে তিনি আরজেডিতে যোগ দেন এবং তখন থেকে তেজস্বী যাদবের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

    সমাজবাদী পার্টিতে লড়াই করেছিলেন

    রামিজ (Rameez Nemat Khan) উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর লোকসভা আসনের প্রাক্তন সাংসদ রিজওয়ান জহিরের জামাই। বর্তমানে তাঁর কেন্দ্র শ্রাবস্তী নামে পরিচিত। রমিজের শ্বশুর সমাজবাদী পার্টির টিকিটে এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) টিকিটে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি একবার নির্দল প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। রিজওয়ান এক সময় উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়কও ছিলেন। রামিজের স্ত্রী জেবা রিজওয়ান তুলসীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও দু’বার হেরে গিয়েছিলেন তিনি। একবার কংগ্রেসের টিকিটে এবং আর একবার জেলে থাকাকালীন নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন।

    ফিরোজ পাপ্পুর হত্যা মামলায় জড়িত

    ২০২১ সালে তুলসীপুরে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রামিজ (Rameez Nemat Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। কংগ্রেস নেতা দীপঙ্কর সিং এবং তাঁর অনুগামীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রয়েছে মারধরের অভিযোগও। ২০২২ সালে, তুলসীপুর নগর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি ফিরোজ পাপ্পু হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রমিজ, তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর রিজওয়ান এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রমিজ এখন বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন, কিছু মামলা এখনও বিচারাধীন। বলরামপুরে তাঁর বিরুদ্ধে নটি এবং কৌশাম্বিতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের পর কিছুটা স্বস্তিতে

    রামিজের (Rameez Nemat Khan) বিরুদ্ধে আরও যে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ২০২৩ সালে প্রতাপগড়ের ঠিকাদার শাকিল খানকে হত্যার মামলাও। কুশীনগরে রেললাইনের কাছে মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছিল। ঠিকাদারের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হন রমিজ। আবার ওই বছরই উত্তরপ্রদেশ সরকার রামিজের নামে কেনা প্রায় ৪.৭৫ কোটি টাকার জমি বাজেয়াপ্ত করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তাকে গ্যাংস্টার আইনে গ্রেফতার করা হলেও, পরে জামিন পান। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ আদেশের পর থেকে রমিজ দম্পতি আরও অনেক মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে এরপর থেকে আর কোনও নতুন মামলা দায়ের হয়নি।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুন্ডাই আই ২০ গাড়ির অভিযুক্ত চালক ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন!

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে হুন্ডাই আই ২০ গাড়ির অভিযুক্ত চালক ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) পেছনে থাকা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির (i20 Driver) চালককে এই নাশকতা মূলক কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওমর মহম্মদ ওরফে উমর নবী হরিয়ানার নুহের একটি বাজার থেকে নগদ অর্থ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে সারও কিনেছিল। বিপুল পরিমাণে সারের টাকা এই জঙ্গি কার্যকলাপের জন্যই সে পেয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার অনুমান। উল্লেখ্য, গত সোমবার দিল্লির লালকেল্লার সামনে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    গাড়ি পার্কিংয়ের ভিডিও (Delhi Blast)

    তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই হরিয়ানার বেশ কয়েকজন হাওয়ালা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে একটি পার্কিং লটে গাড়ি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘটে। আত্মঘাতী ওই জঙ্গি হামলায় নিহত হওয়ার পাশাপাশি জখমও হন অনেকে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের গাড়ি এবং বাড়িতেও। বিকট আওয়াজে আশপাশের প্রচুর মানুষ ছুটে আসেন। এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়িও করতে দেখা যায় অনেককে। বিস্ফোরক ভর্তি ওই গাড়িটি (i20 Driver) ওই পার্কিং প্লেসে ঘণ্টা দুয়েক ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই পার্কিং লটে থাকা অন্য গাড়িগুলির যাবতীয় বিবরণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর।

    ১৯৮৯ সালে পুলওয়ামায় জন্ম অভিযুক্তের

    জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে জড়িত একটি হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করার সঙ্গে সঙ্গে তিন চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের এই মডিউলের জাল বিস্তৃত কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশেও।

    জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত উমর ১৯৮৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জন্মেছিল। সে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ছিল। তার সম্পর্কে বিশদে জানতে চলছে তদন্ত। তদন্তকারী অফিসাররা জনিয়েছেন, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ভেতর থেকে সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে। ফলে বাইরের ট্রাফিক সিগন্যালে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঠিক আগে এবং পরের মুহূর্তগুলির ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়িচালক হিসেবে অভিযুক্ত উমরের ছবিও দেখা গিয়েছে। গাড়িটি পার্ক করার সময় সে কারও সঙ্গে দেখা করেছিল কিনা বা কথা বলেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে প্রাক্তন এক চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কলেজ থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং জাতীয় মূল্যায়ন স্বীকৃতি কাউন্সিল (এনএএসি) নিয়ম ভাঙার জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দুটি করে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে।

  • Digital Data: ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন রূপায়ণে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Digital Data: ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন রূপায়ণে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিপিডিপি (ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন) অ্যাক্ট (Digital Data) বাস্তবায়নের পথে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইনের চূড়ান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ (Protection Law) করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর ফলে ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রাইভেসি কাঠামোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হল।

    নয়া আইন (Digital Data)

    নয়া আইন চালু হওয়ায় এখন থেকে কোনও সংস্থা, সরকারি দফতর এবং ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি কীভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং তা প্রসেস করবে, তা নিয়ে বহুদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল। শুধু তাই নয়, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির ১৮ বছরের নীচের কাউকে প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করার আগে সম্মতি নিতে হবে তাঁদের বাবা-মায়ের। সরকার অবশেষে ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদে পাস হওয়া ডিপিডিপি আইনের কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে।

    সম্মতিভিত্তিক কাঠামো

    জানা গিয়েছে, বহু প্রতীক্ষিত এই নিয়মগুলি একটি সম্মতিভিত্তিক কাঠামো নিশ্চিত করবে, যা সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স, গেমিং, ব্যাংকিং, পেমেন্ট এবং সরকারি সেবা ব্যবহারের জন্য অনলাইনে যাওয়া ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত রাখবে। আইন ভাঙলে কোম্পানি ও সংস্থাগুলিকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। গুরুতর ডেটা সুরক্ষা ব্যর্থতা ও লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকার শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনও তথ্য চুরি হলে কোম্পানিগুলিকে তা দ্রুত জানাতে হবে ইউজার এবং নয়া ডেটা প্রোটেকশন বোর্ডকে। তবে এই নিয়মগুলি ধাপে ধাপে কার্যকর করা হবে। বড় ধরনের ব্যাক-এন্ড পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করেই সরকার কোম্পানিগুলিকে সময় দিয়েছে ১৮ মাস (Digital Data)।

    ইউজারদের জানাতে হবে

    সরকার জানিয়েছে, কোনও তথ্য চুরি হলে তা অবিলম্বে ইউজারদের জানাতে হবে সহজ ভাষায়, যাতে চুরির ধরন ও সম্ভাব্য পরিণতি, সমস্যা সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপ, (Protection Law) এবং সহায়তার জন্য যোগাযোগের বিবরণ  স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা থাকে। সরকার আরও জানিয়েছে, এই আইন সাতটি মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই নীতিগুলি হল সম্মতি ও স্বচ্ছতা, উদ্দেশ্য-সীমাবদ্ধতা, ডেটা-সংযম, যথার্থতা, সংরক্ষণসীমা, নিরাপত্তা সুরক্ষা, এবং জবাবদিহি।

    উদারনীতির জন্য লবিং

    শিশুদের অনলাইন ডেটা সম্পর্কিত বিষয়ে, যেখানে বিগ টেক এবং অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলি উদারনীতির জন্য লবিং করে আসছিল, সেখানে নতুন আইন বাধ্যতামূলক করেছে যে ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের আগে কোম্পানিগুলিকে অবশ্যই যাচাইযোগ্য সম্মতি জোগাড় করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং রিয়েল-টাইম নিরাপত্তা—এ ধরনের অত্যাবশ্যক উদ্দেশ্যে কিছু সীমিত ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সহায়তা পাওয়ার পরেও আইনানুগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে সম্মতি অবশ্যই আইনানুগ অভিভাবকের কাছ থেকে নিতে হবে। শিশুর ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য যাচাইযোগ্য পারিবারিক/অভিভাবকের সম্মতি পেতে, কোম্পানিগুলিকে উপযুক্ত প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে (Digital Data)।

    ডেটা ফিডিউশিয়ারি

    নয়া নিয়মে স্পষ্টভাবে ডেটা ফিডিউশিয়ারি সম্পর্কে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নানা নাগরিক অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন তথ্য কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে, সেই বিষয়ে সম্মতি দেওয়া (Protection Law), তা প্রত্যাহার করা কিংবা সেই তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করার অধিকার দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি নেওয়া, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে তথ্য ব্যবহার এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির মতো মূল বাধ্যবাধকতাগুলি আইন প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে (Digital Data)।

  • Ramakrishna 510: “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী, আমার ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে”

    Ramakrishna 510: “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী, আমার ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই
    কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ ও পূর্ণাদি

    বিনোদ, দ্বিজ, তারক, মোহিত, তেজচন্দ্র, নারাণ, বলরাম, অতুল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারের প্রতি— আচ্ছা, লোকের তিল তিল করে ত্যাগ হয়, এদের কি অবস্থা।

    “বিনোদ বললে, ‘স্ত্রীর সঙ্গে শুতে হয়, বড়ই মন খারাপ হয় (Kathamrita)।’

    “দেখো, সঙ্গ হউক আর নাই হউক, একসঙ্গে শোয়াও খারাপ। গায়ের ঘর্ষণ, গায়ের গরম!

    “দ্বিজর কি অবস্থা! কেবল গা দোলায় আর আমার পানে তাকিয়ে থাকে, একি কম? সব মন কুড়িয়ে আমাতে এল, তাহলে তো সবই হল।”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার? 

    “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। এর (আমার) ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে। ছুঁয়ে দিলেই হয়! সে টান সে আকর্ষণ ঈশ্বরেরই আকষর্ণ।

    “তারক (বেলঘরের) ওখান থেকে (দক্ষিণেশ্বর থেকে) বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। দেখলাম, এর ভিতর থেকে শিখার ন্যায় জ্বল্‌ জ্বল্‌ করতে করতে কি বেরিয়ে গেল,—পেছু পেছু!

    “কয়েকদিন পরে তারক আবার এল (দক্ষিণেশ্বরে)। তখন সমাধিস্থ হয়ে তার বুকে পা দিলে (Kathamrita)— এর ভিতর যিনি আছেন।

    “আচ্ছা, এমন ছোকরাদের মতন আর কি ছোকরা আছে!”

    মাস্টার — মোহিতটি বেশ। আপনার কাছে দু-একবার গিয়েছিল। দুটো পাশের পড়া আছে, আর ঈশ্বরে খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— তা হতে পারে, তবে অত উঁচু ঘর নয়। শরীরের লক্ষণ তত ভাল নয়। মুখ থ্যাবড়ানো।

    “এদের উঁচুঘর। তবে শরীরধারণ করলেই বড় গোল। আবার শাপ হল তো সাতজন্ম আসতে হবে। বড় সাবধানে থাকতে হয়! বাসনা থাকলেই শরীরধারণ।”

    একজন ভক্ত — যাঁরা অবতার দেহধারণ করে এসেছেন(Kathamrita), তাঁদের কি বাসনা — ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) — দেখেছি, আমার সব বাসনা যায় নাই। এক সাধুর আলোয়ান দেখে বাসনা হয়েছিল, ওইরকম পরি। এখনও আছে। জানি কিনা আর-একবার আসতে হবে।

    বলরাম (সহাস্যে) — আপনার জন্ম কি আলোয়ানের জন্য? (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— একটা সৎ কামনা রাখতে হয়। ওই চিন্তা করতে করতে দেহত্যগ হবে বলে। সাধুরা চারধামের একধাম বাকী রাখে। অনেকে জগন্নাথক্ষেত্র বাকী রাখে। তাহলে জগন্নাথ চিন্তা করতে করতে শরীর যাবে।

    গেরুয়া পরা একব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করিয়া অভিবাদন করিলেন। তিনি ভিতরে ভিতরে ঠাকুরের নিন্দা করেন, তাই বলরাম হাসিতেছেন। ঠাকুর অন্তর্যামী, বলরামকে বলিতেছেন — “তা হোক, বলুকগে ভণ্ড।”

  • Bihar Election Results: “মানুষ উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে”, বললেন অলোক কুমার

    Bihar Election Results: “মানুষ উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে”, বললেন অলোক কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষ উন্নয়ন, সুশাসন এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিহার নির্বাচনের ফল (Bihar Election Results) ঘোষণার পর এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার। বিহারবাসীর জোরালো জনাদেশে দেশবাসীর কাছে নয়া বার্তা পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করেন হিন্দু সংগঠনের (VHP) এই নেতা। তিনি বলেন, “মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির চির সমাপ্তি ঘটবে।”

    তোষণের ভেটো ক্ষমতা কমে এসেছে (Bihar Election Results)

    বিহারের নির্বাচন (Bihar Election Results) দেশের রাজনীতিতে মুসলিম তোষণ এবং ভোট অঙ্কের রাজনীতির ভাবনা বদলে দেবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) আন্তর্জাতিক সভাপতি আলোক কুমার বলেন, “সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো এবং মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের প্রথাগত রাজনীতির ধারা আর চলবে না। তোষণের রাজনীতি করে মহাজোট দেশের অভ্যন্তরে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছিল। মহারাষ্ট্র থেকে বিহার নির্বাচনের পর্যায় এবং ফল লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ভোট ব্যাঙ্কের ভেটো ক্ষমতা অনেকটাই কমে এসেছে। ভারতীয় রাজনীতিতে এই ভাবনার ক্রমপরিণতি অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবনার পূর্ণ সমর্থক।”

    এনডিএজোটের দ্বিতীয়বার ২০০ পার 

    বিহার নির্বাচনে (Bihar Election Results) মহাজোটের শরিক আরজেডি, কংগ্রেস ব্যাপক ভাবে ভরাডুবির শিকার হয়েছে। একই ভাবে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিও খুব খারাপ ফল করেছে। তিনি অবশ্য বলেছিলেন, যদি ২৫ সিটের বেশি না পাই তাহলে দল রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পিকে-কে। এদিকে এনডিএ বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০২টিতে জয়ী হয়েছে। এ নিয়ে এনডিএ দ্বিতীয়বারের জন্য ২০০ আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১০ সালে এনডিএ জয়ী হয়েছিল ২০৬টি আসনে। তবে বিজেপি এককভাবে ৮৯টি আসন এবং জেডিইউ ৮৫টি আসন পেয়েছে। লোকজনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) পেয়েছে ১৯টি, হিন্দুস্তানি আওম মোর্চা ৫টি এবং জাতীয় লোক মোর্চা ৪টি পেয়েছে। আর মহাজোটের শরিক আরজেডি পেয়েছে ২৫টি, সিপিআই (এল)- সিপিআই এমএল ২টি, ইন্ডিয়ান ইনকসুসিভ পার্টি-ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ১টি,  সিপি আই এম (এম) ১টি আসন। এআইএমআইএম ৫টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি ১টি আসনে জয়ী হয়েছে।

  • Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন শনিবারই বিজেপি (Bihar Poll Victory) থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংকে (BJP)। বরখাস্ত করা হয়েছে বিজেপিরই এমএলসি অশোক আগরওয়ালকেও। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ৮৯টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। তার পর শনিবারই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দলের দুই নেতার ওপর।

    সাসপেনশান লেটার (Bihar Poll Victory)

    আরকে সিংকে সম্বোধন করে সাসপেনশান লেটারে লেখা হয়েছে, “আপনার কার্যকলাপ দলের বিরুদ্ধে। এটি দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এটি দলের ক্ষতি করেছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “অতএব, নির্দেশ অনুসারে আপনাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন (Bihar Poll Victory)।

    দল বিরোধী কাজের অভিযোগ

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় চলতি মাসের ৬ এবং ১১ তারিখে। এর আগে অক্টোবর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে ভোটারদের অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা নেতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে জেডিইউয়ের অনন্ত সিং এবং বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন এনডিএ প্রার্থীও ছিলেন। সম্রাট বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।আরকে সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলবিরোধী মন্তব্য ও আচরণের জেরে বারবার ক্ষতি হয়েছে দলের। কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালকেও এই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিহার বিজেপির প্রধান অরবিন্দ শর্মা এদিন সকালে ওই তিন নেতার কাছে শোকজ-সহ বরখাস্তের নোটিশ পাঠান। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে (BJP) তাঁদের আচরণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সংগঠনের ভাবমূর্তিরও (Bihar Poll Victory)।

  • Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসনের জেরে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে (Bihar Election) চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্নাতীত সাংগঠনিক দক্ষতা এবং এনডিএর সুশাসন বিহারে বিজেপির বিপুল জয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে আগের সব নির্বাচনী ফলের চেয়ে ঢের বেশি। শতাংশের বিচারে এই হার ৯০ এর ওপর। যে কোনও মানদণ্ডেই এটি একটি চমকপ্রদ সাফল্য। তবে বিহারের এই নির্বাচন মোটেই ছিল না নিছক কেক-ওয়াক। নীতীশ কুমার প্রায় দু’দশক ক্ষমতায় থাকার পর আরও একটি মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই রাজ্যজুড়ে ছিল প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হাওয়া। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী লড়াইয়ে এনডিএকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    চাণক্যের প্রস্তুতি (Bihar Election)

    বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার চার–পাঁচ মাস আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ। তিনি শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, এনডিএর জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। জোট সঙ্গীদের বিশ্বাস এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভিত মজবুত করে তুলতেই ওই বৈঠক করেছিলেন শাহ। তাঁর পদ্ধতিগত সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি এনডিএকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আরভি), উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির দলের সঙ্গে। নির্বাচনের ঢের আগেই এই জোট ঠিক করে ফেলেছিল আসনভিত্তিক জাতিগত সমীকরণের কাজ (Amit Shah)।

    ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক

    নির্বাচনের আগে শাহ জেলা পর্যায়ে অন্তত পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক করেছিলেন আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তিনি বিহারে জনসভা করেছিলেন ৩৫টি, করেছিলেন একটি রোড-শো-ও। প্রতিটি সফরেই তিনি কোর গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছিলেন, যাতে সার্বিক সমন্বয় ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে (Bihar Election)। শাহ বুথ-স্তরের শক্তিশালী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেন, বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই ভোট সর্বাধিক করার মূল চাবিকাঠি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি জোটকে জেডিইউ এবং চিরাগ পাসওয়ানের দলের মধ্যে থাকা প্রাথমিক বিরোধ কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করেছে (Amit Shah)। যদিও শাহ আর বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদে নেই, তবুও দল এখনও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর পরামর্শের ওপর নির্ভর করে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কিংমেকারও আসলে তিনিই।

    এবার মিশন বেঙ্গল!

    এতদসত্ত্বেও এখনও মিশন সম্পূর্ণ হয়নি শাহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কেরল ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে আক্রমণাত্মক প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন শাহ নিয়ে ফেলেছেন আরও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেটি হল তৃণমূলের কবল থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত করা। শাহ যখন দলীয় সভাপতি ছিলেন, তখন ২০১৯ সালে বিজেপি এ রাজ্যে বিজেপি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ১৮টিতে। ২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়েছিল পাঁচ গুণ। প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলার জঙ্গলরাজ খতম করার অঙ্গীকার করেছেন, তখন আসন্ন লড়াই আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Bihar Election)।

    শাহি ভূমিকা

    বিহারে এনডিএকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই শাহ টানা ১৯ দিন ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন এ রাজ্যে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তৃণমূলস্তরে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নও করেন তিনি। যার জেরে বিহারে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে (Amit Shah)। বিহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ভাবনা ছিল, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে শাহ নির্বাচনের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক খতিয়ে দেখেন। গ্রহণযোগ্য আসন-বণ্টন নির্ধারণ থেকে শুরু করে নারী শক্তি ও যুব শক্তির মাধ্যমে প্রো-ইনকামবেন্সি ওয়েভ তৈরি করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহ।

    বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা

    শাহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান, পাটনায় টানা তিনদিন থাকার সময় তিনি তাঁর পুরো সময়সূচি খালি রেখে এমন সব বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁরা দলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে আস্তিন গুটোচ্ছিলেন। তাঁর হস্তক্ষেপের জেরেই মাথা তুলতে পারেননি বিদ্রোহীরা। বরং যেসব আসনে বিদ্রোহীরা পথের কাঁটা হতে পারতেন, সেখানে বিজেপি আরও বেশি করে আসন জেতে (Bihar Election)। সেই সময় প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিদ্রোহ করে দলবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করেন। শাহ স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সঙ্গে কৌশল ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন, এবং শেষমেশ সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। এর পুরো ক্রেডিটই প্রাপ্য শাহের (Amit Shah)। বিহারে শাহের টিমের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “শাহ প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিদ্রোহীরা রাজি হন। এবং এটাই ছিল সেই বড় কারণগুলির একটি, যা বিজেপি এবং জেডিইউ প্রার্থীদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল (Bihar Election)।”

    রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “শাহের পদ্ধতির সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং উজ্জ্বল দিক হল, তিনি যেভাবে জেডি(ইউ) এবং এলজেপি(আরভি)-র মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ করেছেন এবং উভয় দলের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ইউনিটের পক্ষ থেকে শাহই ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি বিভাগীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণে।

    বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিহার বিজয়ের পর, এবং তার আগে যেভাবে তিনি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনও সামলেছেন, তা বিবেচনা করলে আবারও প্রমাণিত হয় (Amit Shah), শাহই বিহার এনডিএ এবং বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’। প্রতিটি নির্বাচনী কাজ তিনি যেভাবে মিশন মোডে পরিচালনা করেছেন, তা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বিরোধীদের বার্তা–প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে আঘাত হেনেছে। তাই পর্যুদস্ত হয়েছে মহাগঠবন্ধন (Bihar Election)।

  • Suvendu Adhikari: “অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ”, লাড্ডু বিলি করে ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ”, লাড্ডু বিলি করে ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার জয়ের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে এখন ব্যাপক উন্মাদনা। অঙ্গ অর্থাৎ বিহার, কলিঙ্গ অর্থাৎ ওড়িশা জয়ের পর এবার লক্ষ্য বাংলা। বিহারের নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরেই বিধানসভায় গেরুয়া আবির খেলে রীতিমতো লাড্ডু খেয়ে বিজয় উল্লাস প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির জয় নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদারও। তাই এখন থেকেই বিহারের জয়কে সমানে রেখে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে হারানোর অঙ্গীকার নিতে শুরু করেছে বিজেপি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন জয়ের উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম নির্বাচন হয়েছে বিহারে। মানুষ দেশকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। বিহারের মানুষ নীতীশ কুমারের উপর আস্থা রেখেছেন।”

    গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জয় (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিহার জয়ের প্রেক্ষিতে বলেন, “বিহার-বাংলা ১৯০৫ সালের আগে একই ছিল। অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গ এক ছিল। অঙ্গ দিয়েছে, কলিঙ্গ হয়ে গিয়েছে, বাকি আছে বঙ্গ। বিভিন্ন মণ্ডলে মণ্ডলে যেন এই জয় উৎসবের মতো পালন করা হবে।” একই ভাবে আবার নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, “বিহারে এনডিএ-এর ঐতিহাসিক জয়। গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জয় হয়েছে। বিহারের জনগণ স্পষ্টতার সঙ্গে কথা বলেছেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটকে অভূতপূর্ব জনাদেশ প্রদান করেছে। আমাদের এই গৌরবময় বিজয়ের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নির্দেশনায় জনকল্যাণ, পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়েছেন। তাঁর দূরদর্শীতাকে আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।”

    পদ্ম ফুটবে বাংলায়

    বিহার নির্বাচনে এনডিএ সরকারের বিরাট সাফল্যের জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের স্বচ্ছ কাজকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন। সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, উন্নয়ন মূলক প্রকল্প, ভোটার তালিকা সংশোধন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এনডিএ সরকারকে আরও একবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে। অপর দিকে আরজেডি-কংগ্রেস তোষণনীতিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে। তবে গত ২০২৪ সালের লোকসভার সময় ওড়িশা বিধানসভায় নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিহারে এইবার বিজেপি একক ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। ফলে থাকল বাংলা। বাংলাতেও দ্রুত পদ্ম ফুটবে বলে আশাবাদী বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিহারে হিংসা হয়নি

    বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বিহারের জয়কে বাংলার প্রেক্ষিতে দেখে বঙ্গে বিজেপির জয় নিয়ে বিরাট আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অঙ্গ রাজ্যের অবস্থান ছিল বর্তমান বিহারের পুর্বাঞ্চল থেকে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এক এলাকা। বিহার নির্বাচন ২০২৫ সালে বিপুল জয় এনে দেখিয়েছে এনডিএ। অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ বিজেপি দখল করে নেবে। কলিঙ্গ, অঙ্গে চলে এসেছে এবার বঙ্গের পালা। বিহার স্পষ্ট প্রমাণ করেছে ভারতের মানুষ জঙ্গলরাজ এবং সুশাসন বলতে ঠিক কি বোঝেন। মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়েছে এই জঙ্গলরাজ সরকার আর কোনও দিন আসবে না। বিহারে জঙ্গলরাজ শেষ হয়েছে। এবার বাংলার জঙ্গলরাজ শেষ হবে। বিহারে দেখা গিয়েছে গণতন্ত্র কেমন হয়, কোন হিংসার ঘটনা ঘটেনি, এবার বাংলার জঙ্গলরাজ শেষ করবে বিজেপি।”

    ২০২৬ সালের নির্বাচন কতটা ভয় মুক্ত?

    বাংলা জয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, “বিহার জয়ের পর এবার বাংলা টার্গেট। বিহার আমাদের জয় হেবেই। বাংলায় দিদির পরাজয় পরবর্তী পালা। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের তারাতে পারলেই অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হবে। আর তা হলেই বাংলা জয় নিশ্চিত। লালু নিজেই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ। ওঁর পরিবার সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে। মহিলাদের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং নিতীশ কুমার লাখপতি দিদি-র মতো প্রকল্প এনেছেন।”

    তবে বাংলার নির্বাচনে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেমন মারাত্মক ছিল একইভাবে গত পঞ্চায়েত এবং লোকসভাতেও উল্লেখ যোগ্যভাবে ছিল। তৃণমূলের হাতে প্রচুর বিরোধী নেতা-কর্মীরা নিহত হয়েছিলেন। পাশাপাশি এইবারে বিহারের নির্বাচনে হিংসার নমুনা নেই বললেই চলে। ফলে আগামী দিনে বঙ্গ রাজনীতি এবং ভোট পরবর্তী হিংসা কোন মাত্রায় প্রবাহিত হয় তাও দেখার বিষয়।

LinkedIn
Share