Tag: Iran

Iran

  • Hamas: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    Hamas: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি তেহরানে নিজের বাড়িতে গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ দেয় গাজার জঙ্গি সংগঠন, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হামাস (Hamas) প্রধানকে। বিবৃতি দিয়ে এমন দাবি করল স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। শুধু তিনি একা নন, তাঁর দেহরক্ষীকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও বুধবার সকালে হানিয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। 

    সিমির লক্ষ্য 

    স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি) মূলত জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের (JIH) ছাত্র শাখা, যেটি ১৯৮১ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের ভারত সফর নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে মূল সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে হামাস (Hamas) এবং সিমির যৌথ লক্ষ্য ভারতে (India) একটি ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করা। সিমি ভারতের প্রেক্ষাপটে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের উপর বিশেষ জোর দেয়। তারা মনে করত যে, দেশে সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও, মুসলমানদের শরিয়ত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা উচিত, কারণ তা করতে ব্যর্থ হলে তাদের নরকে ঠাঁই হবে। 

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    সিমির আর্থিক উৎস 

    উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সহ একাধিক রাজ্যে ঘাঁটি সহ উপস্থিত ছিল সিমি। জামাত বাংলাদেশের ছাত্র শাখা ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) এবং সৌদি আরবের জামাইয়াতুল আনসার (জেএ) উভয়ের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল সিমি। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় মুসলমানদের পরামর্শদাতা কমিটি, কুয়েতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনস এবং রিয়াধে মুসলিম যুবদের বিশ্ব সমাবেশকে অর্থের অন্যান্য উৎস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে সিমি সদস্যরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর মতো দলে যোগ দিয়েছিল। এরপর সিমির পুনর্গঠনের বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও অনেকেই সিমিতে যোগদানে অনুপস্থিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে ঘুরছে পাকিস্তান, অথচ ভিক্ষুকদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত!

    Pakistan: ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে ঘুরছে পাকিস্তান, অথচ ভিক্ষুকদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবাসীর মুখে দু’মুঠো অন্ন জোগাতে নিজেই ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে বিশ্বের দরবারে ঘুরছে পাকিস্তান (Pakistan)। সেই পাকিস্তান সরকারই কিনা এবার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু’হাজারেরও বেশি ভিক্ষুকের (Beggars) পাসপোর্ট। পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে পাকিস্তানের বহু মানুষে ছোটেন সৌদি আরব, ইরান এবং ইরাকের মতো ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে। সেখানে গিয়েই খুলে ফেলেন তীর্থযাত্রীর মুখোশ।

    ‘বেওসা’ বন্ধে পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত (Pakistan)

    পুণ্যার্থীর বেশে যিনি এসেছিলেন এই সব দেশে, সে-ই তিনিই কিনা মুখোশ সরিয়ে রেখে হয়ে পড়েন ভিখিরি! এতে বিশ্বের দরবার কলঙ্কিত হচ্ছে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি। সেই কারণেই দু’হাজারেরও বেশি ভিক্ষুকের পাসপোর্ট বাতিল করতে চলেছে পাক সরকার। পাকিস্তানের ‘ডন’ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সাত বছরের জন্য বাতিল করা হবে এই পাসপোর্টগুলি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে এরকম একাধিক চক্র রয়েছে। এই চক্রের মাধ্যমেই পুণ্যার্থীর বেশে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয় ভিক্ষুকদের। তার পরেই দিব্যি চলে ‘বেওসা’। পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, এই এজেন্টদেরও পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।

    তীর্থে যাওয়ার নাম করে গিয়ে ভিক্ষে!

    সৌদি আরব, ইরাক এবং ইরানে রয়েছে ইসলামিক একাধিক তীর্থক্ষেত্র। সেই তীর্থ দর্শনে যাওয়ার নাম করে গিয়ে তীর্থক্ষেত্রগুলিতে ভিক্ষে করতে বসে যান এজেন্টের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে যাওয়া লোকজন (Pakistan)। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই খবর, সৌদি আরব, ইরাক এবং ইরানের শতকরা ৯০ শতাংশ ভিক্ষুকই পাকিস্তানি নাগরিক। এদের অনেকের কাছেই বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রায়ই ঠাঁই হয় বিভুঁইয়ের জেলে। ফলে ওই দেশগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে ভিনদেশি বন্দির সংখ্যা।

    গেল অক্টোবরে মুলতান বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ১৬ জন পাকস্তানিকে। এঁদের মধ্যে নারীদের পাশাপাশি ছিল কয়েকজন শিশুও। তীর্থযাত্রার নাম করে এঁদের ভিক্ষে করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গত ডিসেম্বরেও মুলতান বিমানবন্দর থেকে বের করে দেওয়া হয় ন’জন ভিক্ষুককে।

    আর পড়ুন: গাড়ি চালাচ্ছেন পুতিন, সওয়ার মোদি, রাশিয়ায় ‘দুই হুজুরের গপ্পো’

    পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে। সৌদি আরব, চিন মায় আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের দুয়ারেও বারংবার হাত পেতেছে পাকিস্তানের সরকার। কেউ বাড়িয়ে দেয়নি সাহায্যের হাত। রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভুল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে ঠেলে দিয়েছে খাদের কিনারে। তা সত্ত্বেও বিদেশে দেশের সম্মান বাঁচাতে মরিয়া পাক (Pakistan) সরকার। সেই কারণেই পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত ভিক্ষুকদের (Beggars)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Masoud Pezeshkian: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    Masoud Pezeshkian: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কট্টরপন্থার বেড়াজাল ভেঙে সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে ইরান (Iran)! সম্প্রতি সে দেশে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেস্কিয়ান (Masoud Pezeshkian)। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিলেন কট্টরপন্থী সঈজ জালিলিকে। ইরানকে প্রগতিশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন এশিয়ার এই দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট। তাঁর জমানায় ভারত-ইরান সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

    সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট (Masoud Pezeshkian)

    মাসুদ পেশায় কার্ডিয়াক সার্জেন। এই চিকিৎসক কাম রাজনীতিককেই দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইরানিরা। ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও সংশোধন করার পক্ষে নানা সময় সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ কাজে তিনি কতটা সফল হবেন, তা বলবে সময়। কারণ এ দেশের সর্বোচ্চ শাসক ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। এতদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের চেয়ারে যিনি বসেছেন, তাঁর টিকি বাঁধা ছিল খামেনেইয়ের কাছে। তাই ঘোড়া (পড়ুন খামেনেইকে) ডিঙিয়ে নয়া প্রেসিডেন্ট (Masoud Pezeshkian) আদৌ খাস খেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ইরানেরই সিংহভাগ ভোটার। তবে তাঁরাও যে সংস্কারের পথেই হাঁটতে চান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলেই মিলেছে তার প্রমাণ।

    ইরান-ভারত সুসম্পর্ক

    ইরান-ভারত সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে। ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে দু’পক্ষে যে বোঝাপড়া হয়েছে, তার কোনও ব্যত্যয় ঘটবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। অপরিশোধিত তেল আমদানিতেও সব সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েও ভারতকে তেল জুগিয়ে চলেছে তারা। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত যে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর গড়ে তুলতে আগ্রহী, সেটিরও সংযোগস্থল হওয়ার কথা ইরান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রেও ভারতের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না ইরান।

    আর পড়ুন: সূর্যালোক ও বায়ু থেকে বোতলজাত জল উৎপাদন! বিরাট দাবি মার্কিন সংস্থার

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তার পরেই হয় অকাল নির্বাচন। যে নির্বাচনে জিতে ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন মাসুদ। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ খাতমি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন মাসুদ। 

    ইরানের সমাজ জীবনে মাসুদ (Masoud Pezeshkian) কতটা বদল আনতে পারেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Presidential Elections: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    Iran Presidential Elections: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইরানে হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Iran Presidential Elections)। এদিন স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছিল ভোট গ্রহণ। চলে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। গত মাসে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তার জেরেই হল অকাল নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী।

    লড়াইয়ের ময়দানে কারা? (Iran Presidential Elections)

    কট্টরপন্থী রক্ষণশীল দুই প্রার্থী হলেন ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা সইদ জালিলি এবং পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাকের কোয়ালিবাফ। এঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের। গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে লড়াইয়ের ময়দানে (Iran Presidential Elections) ছিলেন ছ’জন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান দুই প্রার্থী। এঁরা হলেন আলিরেজা জাকানি এবং আমিরহুসেন গাজিজাদে হাসেমি। এই প্রার্থীদের মধ্যে কঠিন লড়াই দিতে পারেন কোয়ালিবাফ, পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন রেভলিউশনারি গার্ডের সইদ জলিলিও। খামেইনির অফিসে টানা চার বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এঁর ঝুলিতে।

    অকাল নির্বাচন কেন?

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুনে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধাঁচে প্রতি চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় এশিয়ার এই দেশটিতে। ১৯ মে চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইরানের প্রেসিডেন্ট। শূন্য হয়ে পড়ে প্রেসিডেন্টের পদ। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নিয়োগ করতে হবে নয়া প্রেসিডেন্ট। সেই নিয়ম মানতে গিয়েই আয়োজন করতে হয়েছে অকাল ভোটের।

    আর পড়ুন: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যতই মাতামাতি হোক না কেন, সে দেশের সরকারের টিকি বাঁধা থাকে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার কাছে। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, এবার নির্বাচনে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউই হতে চলেছেন ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট। তবে আশা ছাড়ছেন না সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেকশিয়ান। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।” প্রসঙ্গত, গত কয়েকবারের মতো এবারও ইরানে ভোটদানের হার খুবই কম। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণনা। গণনার কাজ শেষ হলে জানা যাবে ইরানের নয়া ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে (Iran Presidential Elections)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Iran Relation:`‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    India Iran Relation:`‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। তাঁর সম্মানে মঙ্গলবার ভারতে পালন করা হবে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক (India Iran Relation)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, “প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ২১ মে, মঙ্গলবার সারা ভারতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শোকের দিন দেশের সব ভবনে যেখানে যেখানে নিয়মিত জাতীয় পতাকা ওড়ে, সেখানে জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সেদিন কোনও বিনোদন থাকবে না।”

    শোক প্রকাশ মোদির (India Iran Relation)

    ইরানের (India Iran Relation) রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার ও ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে, ইরানের পাশে রয়েছে ভারত।”

    শোক প্রকাশ জয়শঙ্করের

    শোক প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. ইব্রাহিম রাইসি ও বিদেশমন্ত্রী এইচ আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁদের সঙ্গে আমার বহু বৈঠকের কথা মনে পড়ছে। অতি সম্প্রতি, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও আমরা বৈঠক করেছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে আমরা ইরানের মানুষের পাশে আছি।”

    আর পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসি, সর্বোচ্চ পদে এবার কে?

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে পূর্ব আজহারবাইজানে একটি পাহাড়ে গোত্তা খেয়ে ভেঙে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির (Ebrahim Raisi) কপ্টার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কপ্টারটিতে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনেরই। সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ। পরে নিশ্চিত করা হয় প্রেসিডেন্ট ও ইরানের বিদেশমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর (India Iran Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ebrahim Raisi: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, সেদেশের বিদেশমন্ত্রীও

    Ebrahim Raisi: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, সেদেশের বিদেশমন্ত্রীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির (Ebrahim Raisi)। একইসঙ্গে মারা গিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রীও। আজারবাইজান সফর সেরে ফিরছিলেন তাঁরা। হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিপত্তি। প্রতিকূল আবহাওয়ায় পড়ে জরুরি অবতরণ করানো হয় কপ্টারটিকে। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে বলেই খবর। ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (Ebrahim Raisi) এবং দেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহিয়ান। সোমবার সকালে তল্লাশি অভিযানে সাহায্যকারী তুরস্কের একটি ড্রোন পাহাড়ের মাঝে জ্বলন্ত কিছু দেখতে পায়। এর ফলে প্রেসিডেন্টের জীবন নিয়ে আশঙ্কা ছিল। সেটাই সত্যি হল। পাহাড়ের কাছে পৌঁছে কপ্টারের ধ্বংসাবশেষের কাছ থেকে সওয়ারিদের দেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। এর পর, ইরানের সরকারি সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফে জানানো হয়, তবে চপারে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কেউই জীবিত নেই। ঘোষণা করা হয়, ৬৩ বছরের ইরানি রাষ্ট্রপ্রধানের নিধনের খবর।

    কীভাবে দুর্ঘটনা

    একটি নয়, প্রকৃতপক্ষে তিনটি হেলিকপ্টারের কনভয়ে পূর্ব আজারবাইজান থেকে ফিরছিলেন রাইসি (Ebrahim Raisi)। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এই এলাকা এমনিতে অত্যন্ত রুক্ষ ও পাহাড়ি। তার ওপর কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। নিকটবর্তী শহর পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী, ইরানের অন্যতম সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তবরেজ। ফেরার পথেই পাহাড়ি এলাকা দিয়ে ওড়ার সময় ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির মাঝে নিয়ন্ত্রণ হারান একটি হেলিকপ্টারের চালক। এরপরই সেটি ভেঙে পড়ে।  ঘটনাটি ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে আজারবাইজান দেশের সীমান্তবর্তী শহর জোলফার কাছে ঘটেছে। জানা গিয়েছে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর শহরে ফিরছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফেরার পথেই এই বিপত্তি ঘটে ৷

    আরও পড়ুনঃ“ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    উদ্বিগ্ন মোদি

    এই দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আজ প্রেসিডেন্ট রাইসির (Ebrahim Raisi) হেলিকপ্টার ফ্লাইট সংক্রান্ত খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন! আমরা এই দুঃসময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।”

    রাইসির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশ চালানোর কাজে কোনও প্রভাব পড়বে না।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পে

  • Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ মে, সোমবার ভারত স্বাক্ষর করেছে ঐতিহাসিক চাবাহার বন্দর চুক্তিতে (Chabahar Port Agreement)। ইরানে গিয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের এই চুক্তিতে মধ্য এশিয়ায় ভারতের জন্য খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (Chabahar Port Agreement)

    সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চাবাহার বন্দর চুক্তি নিয়ে আজ আমার কথা হয়েছে সতীর্থ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে। চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি গিয়েছেন ইরানে। এটা আশা করা হচ্ছে যে ভারত ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি (দশ বছরের জন্য) এই চুক্তি আজই স্বাক্ষরিত হবে। অ্যাড হক অ্যারেঞ্জমেন্টসের ভিত্তিতে এই চুক্তি হচ্ছে। এতে ভারতের দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। যদিও ইরানের তরফে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে (এর আগেই অবশ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে)।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যখন (Chabahar Port Agreement) এই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে, তখন এই বন্দরে বৃহত্তর বিনিয়োগের দ্বার খুলে যাবে। বন্দরটির এখনও সেভাবে নামডাক হয়নি। কারণ দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি না হলে বন্দরে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করা খুব কঠিন। এখন যখন দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি হচ্ছে, তখন অবশ্যই ওই বন্দরে আমরা মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করব।”

    ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর

    বিদেশমন্ত্রী এদিন ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন। গত বছর জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। সেখানেই এই চুক্তি হয়। জয়শঙ্কর জনান, চাবাহার বন্দর ভারতকে জুড়ে দেবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই বন্দরের মাধ্যমে অনেকগুলি কানেকটিভিটি লিঙ্কেজ তৈরি হবে। আজ আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশের কানেকটিভিটি একটা বড় ইস্যু। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর, যেটা করা হয়েছিল ইরান-রাশিয়ার সঙ্গে, এর সঙ্গে আমাদের যুক্ত করবে চাবাহার। মধ্য এশিয়াকেও যুক্ত করবে এই বন্দর।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমাদের একটা আলাদা করিডর আছে, আইএমইইসি করিডর সৌদি আরবের মধ্যে দিয়ে। তাই আমি মনে করি, চুক্তি (চাবাহার চুক্তি) নিয়ে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত আমায় অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা জানেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।” প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এদিনই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে ইরানে উড়ে গিয়েছিলেন জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

    চাবাহার বন্দর

    ইরানের এই চাবাহার বন্দর রয়েছে ওমান উপসাগরের মুখে। এর আগে প্রতি বছরের জন্য চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হলেও, এবার টানা দশ বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছে এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। পাকিস্তানের করাচির পাশাপাশি গদর বন্দরকে বাইপাশ করেই ইরানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্য করতে পারবে ভারত। ব্যবসায়িক যোগাযোগের একটি নয়া রাস্তাও খুলে দেবে এই বন্দর। সংবেদনশীল এবং ব্যস্ত পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীর বিকল্প ব্যবসায়িক রুট হিসেবেও কাজ করবে এই বন্দর (Chabahar Port Agreement)। বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ার খেলায় মেতেছে চিন। এভাবে বিভিন্ন দেশে মাতব্বরি করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না বেজিং। চিনকে টেক্কা দিতে কোমর কষে নেমে পড়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সিট্টে বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। গত বছর মে মাসে মায়ানমারের ওই বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই বন্দরের উদ্বোধনও করেছিলেন সোনোয়াল। এবার ভারত নিল চাবাহার বন্দরের রশিও।

    আরও পড়ুুন: শ্রীনগরে পড়ল রেকর্ড ভোট, কী প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব

    ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বন্দর-চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারতের সঙ্গে ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার যোগাযোগের রুট হল সংক্ষিপ্ততর। চাবাহার বন্দরকে ট্রানজিট হাব বানাতে চাইছে ভারত। এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের মাধ্যমে কমনওয়েল্থ অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটসের দেশগুলিতে অনায়াসে পৌঁছতে পারবে ভারত। ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার কার্গো যোগাযোগের জেরে মজবুত হবে ভারতের অর্থনীতির ভিত। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে চাবাহার বন্দর পরিণত হবে এই অঞ্চলের কমার্সিয়াল ট্রানজিট সেন্টারে। আইএনএসটিসি একটি মাল্টি টান্সপোর্টেশন রুট। এটি কাস্পিয়ান সাগরের মধ্যে দিয়ে ভারত মহাসাগর ও পারস্য উপসাগরে সংযোগকারী পরিবহণ রুট হিসেবে কাজ করে। ইরান এবং ভায়া রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হয়ে ইউরোপের উত্তরাংশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ করে সুগম। মুম্বই থেকে সমুদ্র পথে শাহিদ বেহেস্তি বন্দর-চাবাহার, চাবাহার থেকে স্থলপথে কাস্পিয়ান সাগরে থাকা ইরানের আর এক বন্দর বন্দের-ই-আনজালি এবং সেখান থেকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগও অনায়াস হবে চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে (Chabahar Port Agreement)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chabahar Port: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই ভারত-ইরানের, জানুন বিশদে

    Chabahar Port: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই ভারত-ইরানের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর চাবাহার (Chabahar Port) পরিচালনার জন্য আজ, সোমবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত ও ইরানের মধ্যে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ইরানে গিয়েছিলেন জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। চুক্তি হল দশ বছরের জন্য। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া ও ইউরেশিয়ান সীমান্তের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সুগম হল। 

    নয়া চুক্তি কীভাবে আলাদা? (Chabahar Port)

    ২০১৬ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে কেবল চাবাহার বন্দরের শাহিদ বেহেসিট টার্মিনালের অপারেশন করতে পারত ভারত। চুক্তি পুনর্নবীকরণ করতে হত ফি বছর। নয়া চুক্তি হল আপাতত ১০ বছরের জন্য। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারত এবার পুরো বন্দরের দায়িত্ব পেল। কারণ বন্দর বাড়াতেও অর্থ সাহায্য করেছে ভারত।

    বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    ভারতের জাহাজমন্ত্রীর ইরান সফর এবং এই চুক্তির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ চুক্তিটি সম্পাদিত হল এমন একটা সময়, যখন ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই প্রথম ওভারসিজ একটি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিল ভারত (Chabahar Port)।

    ভারত কীভাবে উপকৃত হবে?

    চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারত বন্দরটি পরিচালনা করতে পারবে। শুধু তাই নয়, এই বন্দরটিকে ভারত যুক্ত করতে পারবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। যার জেরে পাকিস্তানকে এড়িয়েই আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার সঙ্গে অনায়াস হবে ভারতের যোগাযোগ। যেহেতু স্থলপথে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পথে প্রধান অন্তরায় পাকিস্তান, তাই এই চুক্তি ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    কেন চাবাহার বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?

    ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারত এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ায় একদিকে যেমন পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ব্যবসা করতে পারবে ইরান, তেমনি অন্যদিকে পাকিস্তানকে এড়িয়ে একটা বাইপাস রুটও তৈরি হল। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাউন্টার ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে চাবাহার বন্দর (Chabahar Port)।

    চাবাহার বন্দরের তাৎপর্য

    চাবাহার ইরানের প্রথম ডিপওয়াটার বন্দর। ওমান উপসাগরের মুখেই রয়েছে বন্দরটি। এর অবস্থান সিস্টান-বালুচিস্তান প্রভিন্সে। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দরের উন্নয়ন করছে চিন। তারই অদূরে চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন করছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    চাবাহার বন্দরের সঙ্গে ভারতের ইনভলভমেন্ট

    ২০০২ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ খাতামির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনা হয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রের। পরে খাতামি ভারত সফরে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজয়েপীর সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের রোডম্যাপে স্বাক্ষর করেন (Chabahar Port)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ship Seized by Iran: অবশেষে দেশে ফিরছেন ইরানের হাতে আটক ১৬ জন ভারতীয় নাবিক

    Ship Seized by Iran: অবশেষে দেশে ফিরছেন ইরানের হাতে আটক ১৬ জন ভারতীয় নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি। গত ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে ইরানের বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলি‌উশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর হাতে একটি ইজরায়েলি জাহাজ আটক (Ship Seized by Iran) হয়। জানা যায় সেই জাহাজের মধ্যে ছিল ২৫ জন নাবিক। এরমধ্যে ১৭ জন ছিল ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা নাবিক দেশে ফিরলেও বাকিরা এত দিন আটক ছিলেন। অবশেষে তাঁরা মুক্তি (Indian Sailors Released) পেতে চলেছেন। শুধু ভারতীয়রাই নন, আটক হওয়া অন্যান্য নাবিকেরাও মুক্তি পেতে চলেছেন শীঘ্রই। 

    জাহাজ বাজেয়াপ্তর কাহিনী (Ship Seized by Iran) 

    জানা গিয়েছে আটক হওয়া জাহাজটির পরিচালনা দায়িত্বে ছিল ইটালীয়-সুইস সংস্থা এমএসসি। ইতিমধ্যেই তারা ইরান প্রশাসনের দ্বারা জাহাজটির আটকের বিষয়টি স্বীকার করে। সংস্থা জানায়, হেলিকপ্টারে চেপে ওই জাহাজে ওঠেন ইরানের প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, জাহাজটি আদতে লন্ডনের জোডিয়াক গোষ্ঠীর। জোডিয়াক গ্রুপ হল ইজরায়েলি ধনকুবের ইয়াল অফারের। গত ১২ এপ্রিল দুবাই থেকে জাহাজটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পরের দিনই হরমুজ প্রণালীতে সেই জাহাজটি বাজেয়াপ্ত (Ship Seized by Iran) করে ইরানের বিশেষ বাহিনী। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    অন্যদিকে জাহাজটি ইরান বাহিনির হাতে আটক (Ship Seized by Iran) হওয়ার পর সেই খবর দেশে আসতেই ১৭ জন ভারতীয়কে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এরপর ভারতের আবেদনে সারা দিয়ে ওই মহিলা নাবিককে দেশে ফেরায় ইরান। গত ১৮ এপ্রিল কোচিন বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। দেশে ফিরে ত্রিশূরের অ্যান টেসা জোসেফ নামের ওই মহিলা নাবিক জানিয়েছিলেন, বন্দি থাকলেও ভারতীয় নাবিকদের কোনও অসুবিধা হয়নি। তবে টেসার মুক্তি হলেও বাকিদের মুক্তি নিয়ে এতদিন কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার পরেই অবশেষে আশার আলো মিলল। 

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    ইরানের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে ইরানের অর্থমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের জানিয়েছেন, মানবিক দিক থেকে বিচার করেই ওই জাহাজের সঙ্গে আটক (Ship Seized by Iran) করা নাবিকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কিছু নথি সংক্রান্ত কাজকর্ম বাকি রয়েছে। সেগুলি মিটলেই সকলকে মুক্তি (Indian Sailors Released) দেওয়া হবে। 
    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছে, “ভারতের আবেদন মেনে আটক (Ship Seized by Iran) হওয়ার এক মাসের মধ্যে বৃহস্পতিবার এমএসসি এরিসের ৫ জন নাবিককে ইতিমধ্যেই ভারতে পাঠানো হয়েছে। ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমরা ইরানের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এ কথা স্পষ্ট যে এই নাবিক মুক্তির পর ভারতের সঙ্গে ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Missile Attack: রাশিয়া থেকে ভারতে আসা তেল ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হানা হুথি জঙ্গিদের 

    Missile Attack: রাশিয়া থেকে ভারতে আসা তেল ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হানা হুথি জঙ্গিদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে (Red Sea) ফের তান্ডব চালাল ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা। তাদের ছোঁড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Attack) শুক্রবার লোহিত সাগরের একটি তেলের ট্যাঙ্কারে আঘাত করেছে। যেটি রাশিয়া থেকে ভারতে আসছিল। ক্ষেপণাস্ত্র হানায় তেল ট্যাঙ্কারটিতে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই জাহাজটি ব্রিটেনে তৈরি। ব্রিটেনেরই মালিকানা ছিল ওই জাহাজের উপর। তবে সম্প্রতি তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে হামলা

    গাজায় যুদ্ধের সময় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচার চালায় ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা ৷ সেই প্রচারের পরে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হামলা (Missile Attack) চালাচ্ছে তারা ৷ লোহিত সাগর এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে তাদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজগুলিকে। হুথিদের বক্তব্য, ইজরায়েল এবং তার সঙ্গী আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কযুক্ত যে কোনও জাহাজই লোহিত সাগর, এডেন উপসাগরের মতো এলাকায় তাদের টার্গেট। প্রাইভেট সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলেছে, এদিন ব্রিটেনে তৈরি রাশিয়ার ওই জাহাজের ওপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় ৷ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পানামা-পতাকাবাহী সেশেলস-রেজিস্টার ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে মোচা থেকে হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ সমুদ্র নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ওই তেলবাহী জাহাজের মালিক পূর্ব আফ্রিকার দেশ সেশেলস। জাহাজটি তেল পরিবহণের কাজে ব্যবহার করছিল রাশিয়া। সেখান থেকেই লোহিত সাগর হয়ে গুজরাটের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল। গন্তব্য ছিল গুজরাটের বন্দর শহর ভাডিনার।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    কেন হামলা

    গত নভেম্বর থেকে হুথিদের আক্রমণের (Missile Attack) ভয়ে লোহিত সাগর এলাকায় আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ভয়ে নাবিকেরা বিকল্প রাস্তা খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিযোগ, যে কোনও পণ্যবাহী জাহাজের দিকেই ধেয়ে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র। নির্বিচারে চলছে আক্রমণ। শনিবার ভারতগামী জাহাজও সেই আক্রমণের শিকার হল। ইউএস মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে হুথিরা ৫০টিরও বেশি জাহাজের উপর হামলা চালিয়েছে ৷ একটি জাহাজ আটক করেছে এবং অন্য একটিকে ডুবিয়েছে। হুথিরা বলেছে যে, গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের হামলা চালিয়ে যাবে ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share