Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তীব্র ভাবে উত্তাল। তৃণমূলের তৈরি করা এসআইআর সম্পর্কিত বিভ্রান্তি আগুনে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে নিবিড় তালিকা সংশোধনে হিন্দুদের অভয় দিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

    চোর সরকারকে উৎখাত করবই (Sukanta Majumdar)

    এসআইআর নিয়ে কোনও ভয় নেই। চিন্তামুক্ত থাকতে বলেন রাজ্যবাসীকে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বিজেপির সকল নেতৃত্ব মিলে ঠিক করেছি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোর সরকারকে উৎখাত করবই। আর তা হলেই আমাদের শান্তি হবে। নয়তো আমাদের শান্তি নেই। তৃণমূল এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল বলবে মুসলমানদের বাদ দিয়ে দিয়ে দেবে। আমি বলব মসুলিমদের কোনও ভয় নেই। ভারতীয় নাগরিকদের কেউ ছুঁতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে আগতদের চিহ্নিত করা হবে। ভারতীয়রা এই দেশে আছেন থাকবেন।”

    ধর্মীয় বিভাজনের চক্রান্তকে সমালোচনা করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “আমরা প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ, ওরা ছদ্মবেশী ধর্ম নিরপেক্ষ। আমরা লড়াই চাই না। নরেন্দ্র মোদি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ চান। সিএএতে আবেদন করে নিজেদের অধিকারকে রক্ষা করুন।”

    ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত মালদা জেলায় শরণার্থী হিন্দুদের কাছে বিরোধী দলনেতার গ্যারান্টি এবং আবেদন সিএএ-তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করুন। ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি থাকছি, সমস্যা হবে না। মমতা এবং তাঁর পুলিশ বলছে সিএএতে আবেদন করলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। পেহেলগাঁওতে নিহত বিতান অধিকারীকে কেবলমাত্র হিন্দু বলেই খুন হতে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীকে সিএএতে আবেদন করিয়ে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি।”

  • India Beats Australia: ফের উঠল বিশ্বকাপের দাবি! রো-কো জুটির দাপটে অস্ট্রেলিয়ায় সান্ত্বনা জয় ভারতের

    India Beats Australia: ফের উঠল বিশ্বকাপের দাবি! রো-কো জুটির দাপটে অস্ট্রেলিয়ায় সান্ত্বনা জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রো-কো জুটির দাপটে সিডনিতে সান্ত্বনা জয় পেল শুভমনের ভারত। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জয় এনে দিল দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে সম্মানের লড়াইয়ে জিতে লজ্জা এড়াল ভারত। এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে প্রথম জয় পেলেন শুভমন গিল। শনিবার সিডনিতে ভারত জিতল ৯ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার ২৩৬ রানের জবাবে ভারত ৩৮.৩ ওভারে ১ উইকেটে করল ২৩৭ রান। বহু দিন পর রো-কো জুটির দাপট দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২২ গজে পরস্পরকে পেয়ে সাবলীল ব্যাটিং করলেন। বুঝিয়ে দিলেন, বয়স তাঁদের ৩৬-৩৮ যাই হোক, মিচেল স্টার্ক-জশ হেজলউডদের মতো বোলারদের শাসন করার মতো ক্ষমতা এখনও রয়েছে। বুঝিয়ে দিলেন, ঠিকঠাক শট মারলে বল বাউন্ডারি লাইনে গিয়েই থামে।

    ক্যাচ ধরেও রেকর্ড কোহলির

    প্রথম দু’ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন কোহলি। সিডনিতে প্রবল চাপে ছিলেন। মনে হচ্ছিল ফের যেন প্রথম ম্যাচ খেলার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বিরাটকে। কিন্তু তিনি কিং কোহলি। দিনটা যেন ছিল তাঁরই। প্রথমে দুরন্ত ক্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে নজর কাড়লেন ফিল্ডার বিরাট কোহলি। ০.৬৭ সেকেন্ড সময়ে ম্যাথু শর্টের ক্যাচ ধরেছেন ৩৬ বছরের ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, শনিবার সিডনিতে ফিল্ডার হিসাবে একটি নজির গড়েছেন কোহলি। ফিল্ডার হিসাবে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোহিত শর্মাও। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ২৩তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে জোরালো সুইপ মেরেছিলেন শর্ট। কোহলির কাছে সময় কম ছিল। তা-ও অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ ধরেন তিনি। পরে হর্ষিত রানার বলে কুপার কোনোলির ক্যাচও ধরেছেন কোহলি। এ দিনের জোড়া ক্যাচে গড়েছেন একটি নজির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার বিশ্বরেকর্ড করলেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে কোহলির ক্যাচের সংখ্যা হল ৭৭। তিনি টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ারই স্টিভ স্মিথকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬টি ক্যাচ ধরেছেন স্মিথ। শনিবার সিডনিতে দু’টি ক্যাচ নিয়েছেন রোহিতও। সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ক্যাচ ধরার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক।

    রোহিতের সঙ্গে ভাল জুটি বাঁধেন কোহলির

    সিডনিতে ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শুভমন গিলকে আউট করেন জশ হেজলউড। শুভমন সাজঘরে ফেরার পর কোহলি যখন নামছেন তখন শব্দের ডেসিবল বাড়ছে। কিন্তু কোহলি চুপচাপ ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় চাপে রয়েছেন তিনি। হেজলউডের প্রথম বল মিড অনে মেরেই অপর প্রান্তে ছোটেন কোহলি। এক রান পূর্ণ করার পরেই গোটা মাঠ জুড়ে উল্লাস। ভারতীয় সমর্থকেরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। কোহলিকেও দেখা যায়, রোহিতের দিকে তাকিয়ে ‘ফিস্টপাম্প’ করছেন। ভাবখানা এমন, শতরান করেছেন। কোহলির মুখের হাসি দেখে বোঝা যায়, কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। সেই এক রানের পর কোহলিকে বেশ সাবলীল দেখায়। কয়েকটি চার মারেন। পাশাপাশি দৌড়ে রান করেন। রোহিতের সঙ্গে ভালো জুটি বাঁধেন কোহলি।

    রোহিতের ঝকঝকে শতরান

    ১০৫ বলে এক দিনের ক্রিকেটে নিজের ৩৩তম শতরান করলেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৩টি চার এবং ৩টি ছয়। ২২ গজের অন্য প্রান্তে কোহলি অপরাজিত থাকলেন ৮১ বলে ৭৪ রান করে। মারলেন ৭টি চার। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তাঁরা। রো-কো জুটি দেখিয়ে দিল ব্যাটিং করা কত সহজ। সাত মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন দু’জনেই। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সাড়ে চার মাস। রো-কো দু’ম্যাচে প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেননি। তাতেই গেল গেল রব উঠে গিয়েছিল। তাঁদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল অনিশ্চয়তার কানা গলিতে। ভারতীয় দলের দুই সিনিয়র ব্যাটার জুটি বেঁধে খোলস ছাড়তেই ঝকঝকে দেখাল শুভমনের দলকে।

    নজির বিরাট-রোহিতের

    একদিন ও আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোট রানের নিরিখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্য সবার আগে কিং কোহলি। ১৮হাজার ৪৩৭ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এরপরে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকার (১৮,৪৩৬ রান)। একদিনের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৫০ রানের অতিরিক্ত পার্টনারশিপ ১২ বার করেছেন রো-কো জুটি। তাঁরা সচিন ও সৌরভের সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে। এদিন শতরান করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০তম শতরান করলেন রোহিত শর্মা। টেস্টে ১২টি, একদিনের ম্যাচে ৩৩টি ও ৫টি শতরান রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের দাবি

    ২০২৭ বিশ্বকাপের আগে অনেক সময় রয়েছে। রো-কো’র কাছে ধারাবাহিকতা চাইবেন গম্ভীর। প্রতি ম্যাচে পরীক্ষায় বসতে হবে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে। তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটারেরা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন। এই চাপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের শেষটুকু টিকিয়ে রাখতে হবে রোহিত এবং কোহলিকে। সূচি অনুযায়ী, আগামী বিশ্বকাপের আগে আরও ২১টি এক দিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড (দু’টি), আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। ‘ফর্ম টেম্পোরারি। ক্লাস পার্মানেন্ট।’ ক্রিকেটের বহু ক্লিশে হয়ে যাওয়া প্রবাদ, বিশ্বকাপের আগে এভাবে বারবার প্রমাণ করতে হবে রোহিতদের। আসলে পুরনো হয়ে যাওয়া মানেই তো সবকিছুকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না। যেমনটা ফেলে দেওয়া যায় না রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিদের মতো ‘বুড়ো’ ব্যাটারদের। অন্তত ওয়ানডে ফরম্যাটে যে তাঁরা এখনও অপ্রতিরোধ্য এবং অতুলনীয়, সেটা অজিদের বিরুদ্ধে সিডনিতে আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন দুই মহারথী।

  • Sardar Vallabhbhai: ‘লৌহমানব’ বল্লভ ভাইয়ের ১৫০তম জন্মদিনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পালিত হবে ‘জাতীয় একতা দিবস’

    Sardar Vallabhbhai: ‘লৌহমানব’ বল্লভ ভাইয়ের ১৫০তম জন্মদিনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পালিত হবে ‘জাতীয় একতা দিবস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের লৌহমানব বলা হয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai)। তিনি দেশের একতা এবং অখণ্ডতার প্রতীক। দেশের জাতীয় সংহতি রক্ষায় তার ভূমিকা বিশেষ ভাবে স্মরণীয়। এই বছর ৩১ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন সার্ধশতবর্ষে পদার্পণ করবে। তাই তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে ‘জাতীয় একতা দিবস’ (Rashtriya Ekta Diwas) পালন হয়ে থাকে গোটা দেশ জুড়ে। এইবারেও বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজন হতে চলেছে। প্যাটেল নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং ভারতীয়ত্ববোধের তাগিদে স্বাধীনতা উত্তর ভারতে ৫৬০টির বেশি দেশীয় রাজ্যকে এক জাতিতে একত্রিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর এই অসামান্য কীর্তি দেশের কাছে আজও স্মরণীয়।

    ব্রিটিশ বিরোধী ছিলেন বল্লভভাই (Sardar Vallabhbhai)

    গুজরাটের কুর্মী পরিবারে জন্মে ছিলেন প্যাটেল (Sardar Vallabhbhai)। পিতা-মাতা ছিলেন জভেরভাই এবং লাডবাঈ। তাঁর বাবা ঝাঁসির রানীর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। মা ছিল অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ। গুজরাটি মিডিয়ামে প্রথম জীবনে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। গোধরায় প্র্যাকটিস করেন। তবে তাঁর কাজের গুণে ব্রিটিশ সরকার নানা প্রলোভন দিয়েছিল কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সারা জীবন ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতাই করেন। লবণ আইন সত্যাগ্রহ, অসহযোগ আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলনে গান্ধীজির সঙ্গে একজোট হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও অখণ্ডতার জন্য কাজ করেন (Rashtriya Ekta Diwas)।

    কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রদর্শনী

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai) জন্ম দিবসে গুজরাটের নর্মদা জেলার একতা নগরে প্যারোড এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। তবে এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা, শৃঙ্খলা এবং বীরত্ব প্রদর্শন করবে। একই ভাবে এই জাতীয় একতা দিবসের কুচকাওয়াজে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআইএসএফ, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বা আইটিবিপি এবং সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি অংশগ্রহণ করবে। আবার অসম, ত্রিপুরা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজ্যের এনসিসি বাহিনী এই কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করবে। তবে প্রদর্শনীতে ঘোড়া ও উটে চড়েও বাহিনীরা প্রদর্শনী দেখাবে। সঙ্গে থাকবে নানা মার্শাল আর্ট ও যুদ্ধের মহড়া।

    মার্শাল আর্টস প্রদর্শন করবেন মহিলারা

    প্যাটেলের জন্মদিনে (Sardar Vallabhbhai) কুচকাওয়াজে থাকবে মহিলা পুলিশ অফিসার এবং সাধারণ কর্মীদের অংশগ্রহণও। প্রধানমন্ত্রী গার্ড অফ অনার প্রধানে নেতৃত্ব দেবেন একজন মহিলা অফিসারকে। সিআইএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর মহিলা কর্মীরা মার্শাল আর্টস প্রদর্শন করবেন। কেউ কেউ আবার নিরস্ত্র ভাবে যুদ্ধের মহড়া প্রদর্শন করবেন। এই সব কিছুর উদ্দেশ্য হল দেশে নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়ণকে তুলে ধরা। দেশের নারীদের শৌর্যকে তুলে ধারাই জাতীয় একতার প্রতীক (Rashtriya Ekta Diwas)। তবে অনুষ্ঠান এখানেই থেমে থাকছে না সঙ্গে গুজরাট পুলিশের ঘোড়া বাহিনী, আসাম পুলিশের মোটর সাইকেল ডেয়ারডেভিল শো এবং বিএসএফের উট কন্টিজেন্ট এবং উট মাউন্টেডব্যাণ্ডের একটি মারচিং দলও থাকবে। এটাও বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে করছেন অনেকে।

    কুকুরের কুচকাওয়াজ

    বল্লভভাই-এর (Sardar Vallabhbhai) ১৫০ তম জন্মদিনে বিএসএফের তরফে ভারতীয় নানা জাতের কুকুরকে দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে রামপুর হাউন্ড, মুধোল হাউন্ডের দক্ষতাকে প্রদর্শন করবে। এই জাতের কুকুরগুলি বিএসএফের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। আত্মনির্ভর সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় এই উদ্যোগকে বিশেষ ভাবে সফল করেছে। তবে সর্বভারতীয় পুলিশ কুকুর প্রতিযোগিতায় মুধোল হাউন্ড রিয়া প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই বছরে কুকুরের কুচকাওয়াজে কুকুর স্কোয়াডে নেতৃত্ব দেবে।

    ১০টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে

    ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বা এনসিসি ক্যাডেট এবং স্কুল ব্যান্ড তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের জাঁকজমককে আরও বাড়িয়ে তুলবে। তরুণ এনসিসি ক্যাডেটরা তাদের শৃঙ্খলা এবং উৎসাহের মাধ্যমে একতার বার্তা দেবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সূর্য কিরণ দলের একটি দর্শনীয় বিমান প্রদর্শনীতে কুচকাওয়াজকে আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধি করবে।

    তবে বৈচিত্র্যের মধ্যে বার্তা দিতে বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলোও এই প্রদর্শনীতে ব্যবহার হবে। জাতীয় একতার (Sardar Vallabhbhai) প্রতীক হিসবে এনএসজি, একডিআরএফ, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, আন্দামান ও নিকোবর, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং পণ্ডিচেরির ১০টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে। জাতীয় একতা দিবসে সিআরপিএফের পাঁচজন কর্মকর্তাকে শৌর্যচক্র এবং বিএসএফের ১৬ জনকে বীরত্বের পদক দেওয়া হবে।

  • India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধেই পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পরাজয় নিশ্চিত। এমনই অভিমত আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন আধিকারিক জন কিরিয়াকুর। দেড় দশক সিআইএ-র হয়ে কাজ করেছেন কিরিয়াকু। সম্প্রতি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বাস্তবে যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের ভালো কিছু হবে না। কারণ প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধে ভারতের কাছে তাদের হার হবে। তাই ভারতকে ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়ে পাকিস্তানের লাভ কিছু নেই।’’ একসময় পাকিস্তানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এই আধিকারিক।

    ষড়যন্ত্র বন্ধ করুক পাকিস্তান

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই মার্কিন আধিকারিক দাবি করেছেন, পাকিস্তানের উচিত ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা। পাকিস্তান যতই পরিকল্পনা করুক না কেন, যে কোনও ধরনের গতানুগতিক যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের কাছে খুব খারাপ ভাবে হারবে। তাঁর মতে, ইসলামাবাদের উচিত কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফলে পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছুই হবে না। একইসঙ্গে কিরিয়াকু যোগ করেছেন, “আমি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছি না, কেবল গতানুগতিক যুদ্ধের কথা বলছি। ভারতকে বারবার উস্কে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।”

    ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, বরাবরই পাকিস্তানকে যুদ্ধে টেক্কা দিয়েছে ভারত। তবে গত এক দশক ধরে ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি। ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯-এ বালাকোট স্ট্রাইক ও সব শেষে সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তানকে উচিত জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও সিধে হয়নি পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও চোরাগোপ্তা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। এমন প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে সতর্ক করে বার্তা দিলেন প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিক। কিরিয়াকুর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে পারবে না পাকিস্তান। বরং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে আখেরে পাকিস্তানেরই ক্ষতি বেশি হবে।

    পাক পরমাণু ভান্ডারের চাবি পেন্টাগনের হাতে

    ২০০১ সালে ভারতের (India Pakistan Relation) সংসদে হামলার পরই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবধারিত হয়ে উঠেছিল বলেও এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন সিআইএ কর্তা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের যে একটা টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল, সে কথাও স্বীকার করেছেন কিরিয়াকু। তবে সেই সময় আল-কায়দা, আফগানিস্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিল আমেরিকা। ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি বলেও দাবি মার্কিন গোয়েন্দাকর্তার। দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেই সময় তিনি জানতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের চাবিকাঠি পেন্টাগনের হাতে তুলে দিয়েছেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট তথা সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফ।

    ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো

    প্রসঙ্গত, সিআইএ-র গুপ্ত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ২০১২ সালে কিরিয়াকুকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন সরকার। বিচারে ৩০ মাসের জেল হয় তাঁর। কিন্তু তার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। আমেরিকা এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের নাজেহাল দশা করেছিল ভারত। এই আবহে পরমাণু বোমা হামলার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিল পাকিস্তান। পালটা জবাবের বার্তা দিয়েছিল ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো হয়ে পড়ে। এর জেরে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছিল পাকিস্তান। এই সবের পরও পাকিস্তান দাবি করছে, তারা নাকি ভারতের সঙ্গে এই সংঘাতে ‘জিতেছে’।

    ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল

    এই আবহে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pakistan Relation) নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু। তাঁর দাবি, ভারত ও পাক যুদ্ধ হলে পাকিস্তান কোনওদিন জিততে পারবে না। এরই সঙ্গে জন কিরিয়াকু দাবি করেন, ২০০১ সালে যখন ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা হয়, তার ২-৩ সপ্তাহ পরেই তিনি পাকিস্তানে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি জানান, আমেরিকা ভেবেছিল, ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলা করবে। এবং তাঁর কথায়, ভারত সেই সময় পাকিস্তানের ওপর হামলা করলে তা ন্যায্য হত। এরপর ২০০৮ সালেও মুম্বই হামলার পরেও আমেরিকা মনে করেছিল যে ভারত হামলা চালাবে পাকিস্তানের ওপর। জন কিরিয়াকুর কথায়, ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল। তবে পাকিস্তান বারবার ভারতকে খোঁচালে তারা যোগ্য জবাব পাবে।

    মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা

    মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন অফিসার জন কিরিয়াকু আরও দাবি করেন, প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের জমানায় পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। সিআইএ-র সন্ত্রাসবিরোধী ডেস্কের প্রাক্তন আধিকারিক কিরিয়াকু এক সময়ে ছিলেন পাকিস্তানেও। গত জুলাই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ইসলামাবাদের যাবতীয় পরমাণু হাতিয়ার পেন্টাগনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েক বছর আগেই পাক সরকার একজন মার্কিন জেনারেলের হাতে তুলে দিয়েছে। ফলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’কিরিয়াকু মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘‘কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে জেনারেল পারভেজ মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা। তিনিই পরমাণু অস্ত্রের চাবি এক মার্কিন জেনারেলের হেফাজতে দিয়েছিলেন।’’ প্রায় ১৫ বছর সিআইএ-র নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কিরিয়াকুর কথায়, ‘‘আমরা পাক পরমাণু অস্ত্র কিনে নিয়েছিলাম।’’

  • Mauritius: মরিশাসের গঙ্গাতালাওতে মা দুর্গার ১০৮ ফুটের মূর্তি এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

    Mauritius: মরিশাসের গঙ্গাতালাওতে মা দুর্গার ১০৮ ফুটের মূর্তি এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরিশাসে (Mauritius) গঙ্গাতালাওতে মা দুর্গার ১০৮ ফুটের একটি মূর্তি ভক্তদের বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই মূর্তি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দেবীমূর্তি। মা দুর্গার (Maa Durga) এই মূর্তিকে রাজকীয় স্থাপত্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। মা দুর্গার স্মৃতিস্তম্ভটি এই দ্বীপের গভীরে গ্রথিত করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের গভীর আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক এই দীপ্তিমান মূর্তি। উল্লেখ্য ভারতের সঙ্গে মরিশাসের ধর্মীয় যোগ বহু প্রাচীন। ভারতের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের প্রধান বিনিময়স্থল হল এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। হিন্দুদের জন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এখন উল্লেখযোগ্য জায়গা হল মরিশাস।

    ২০০০ ঘনমিটার কংক্রিট এবং ৪০০ টন লোহা ব্যবহারে নির্মিত (Mauritius)

    হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের উজ্জ্বলা শক্তিরূপা মা দুর্গার (Maa Durga) মূর্তির প্রতি যে কেবল মরিশাসের (Mauritius) হিন্দু সমাজেরই আস্থা রয়েছে তা নয়, ভারতের হিন্দুদের কাছেও এখন আধাত্মিক সাধানার প্রধানস্থলে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছয় বছর সময় লেগেছিল এই সম্পূর্ণ মূর্তি নির্মাণের কাজটিতে। তবে নির্মাণের জন্য সকল অর্থ ভক্তদের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে ২০০০ ঘনমিটার কংক্রিট এবং ৪০০ টন লোহা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিরাট স্থাপত্য নির্মাণে নানা রকমের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু শৈল্পিক ভাবনাই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে শ্রদ্ধা, আধ্যাত্মবোধ এবং ভক্তির আনন্দভাবও।

    মরিশাসের এই অঞ্চলটি প্রধান তীর্থস্থান

    শক্তি, সুরক্ষা এবং মাতৃত্বের প্রতীক হলেন এই মা দুর্গা। তিনি মোট আট হাতে চিরাচরিত দুর্গার অস্ত্র ধারণ করে রয়েছেন এবং সঙ্গে রয়েছে সিংহ বাহন। দেবী মূর্তি যেখানে স্থাপনা করা হয়েছে তাকে গঙ্গাতালাও বা গ্র্যান্ড বেসিন নামেও জানা যায়। চারিদিকে সবুজে ঘেরা এবং জলের মধ্যে অবস্থিত দেবীদুর্গা (Maa Durga)। ভারতে গঙ্গার জলধারার মতো পবিত্র ভাবা হয় এই গঙ্গাতালাও বা গ্র্যান্ড বেসিনকে (Mauritius)। মরিশাসের এই অঞ্চলটি প্রধান তীর্থস্থান। এখানে ভাগবান শিবের মূর্তিও রয়েছে। শিবের আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলকে আরও সমৃদ্ধ করতে দেবী দুর্গার এই বিরাট মূর্তি স্থাপনা করা হয়েছে। এখানে প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হন। এই জলাশয়ের কাছেই মহাশিব রাত্রি, নবরাত্রি পালিত হয়। বেদমন্ত্র পাঠ, ধর্মকথা, পুজো এবং ভজন কীর্তনে পরিমণ্ডল বিরাট আকার নেয়। তবে নবরাত্রি বা দুর্গা পুজোর সময় বিরাট আকারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থ ক্ষেত্রে পরিণত হয়। আর তাই ধর্মীয় আধ্যাত্মিকার থেকেও এখন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের উল্লেখযোগ্য প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই জায়গা।

  • Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর রায়ে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এরপরই শুভেন্দু জানান, হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মিথ্যা মামলা খারিজ করেছে আদালত। তাই রক্ষাকবচের প্রয়োজন সেই অর্থে নেই।

    কেন খুশি শুভেন্দু

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি হাইকোর্টের রায়ে খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুলিশকে দিয়ে গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করেছিল, হাইকোর্ট সেই সব মামলার বেশিরভাগ খারিজ করেছে। বাকি মামলা সিবিআইকে দিয়ে সিট বানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে মমতার ক্রীড়নক, রাজনৈতিক টুল, এটা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আবার মিথ্যা মামলা করলে আবার হাইকোর্টে আমি যেতে পারব, সেই স্বাধীনতাও হাইকোর্ট দিয়েছে। অতএব দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। মমতাকে প্রাক্তন করব। ওর ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

     রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ

    ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) রক্ষকবচ দিয়েছিলেন। যার ফলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আর তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আগে যা ছিল, এখনও তাই

    এদিন ২০২২ সালে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া হাইকোর্টের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে বিচারপতির মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের যে রায় ছিল, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ছিল। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। এর ফলে থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজ্যকে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। হাইকোর্ট রায় ঘোষণার পরই শাসকদের একাধিক নেতারা সব সুর চড়াতে শুরু করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল বেকার নাচছে। এই মামলা আমারই পক্ষে গেছে”। ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত গুলো মিথ্যে মামলা দিয়েছিল এই জেহাদি সরকার সব স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, খুন, হামলা থেকে শুরু করে যা যা মিথ্যে মামলা সাজিয়েছিল সেগুলোও খারিজ করেছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়, “এই রায় আমার কাছে কোন নেগেটিভ রায় নয়। তৃণমূল নাচছে নাচুক। ওরা সারাদিন আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।” বিজেপি নেতা তথা আইনজ্ঞ তাপস রায়ও বলেন, রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে হইচই করা হচ্ছে, এই ব্যাখ্যাটাই আসলে ভুল। তাপসবাবু বলেন, “বিরোধী দলনেতার আগেও কোনও রক্ষাকবচ ছিল না, এখনও নেই। আগেও আদালত বলেছিল, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এখনও সেই অবস্থানই রয়েছে।”

    যে কোনও ঘটনায় শুভেন্দুকে জড়ানোর চেষ্টা

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর করছে পুলিশ। ছোটবড় যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। এফআইআরগুলিকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দু’বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই সময়ে বিচারপতি মান্থা এফআইআরগুলিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন এবং জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর আর করা যাবে না। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারপতি সেনগুপ্ত অধিকাংশ এফআইআর বাতিল করে দিয়েছেন। চার-পাঁচটি এফআইআর শুধু বাতিল করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে। তাঁরা ওই মামলাগুলির তদন্ত করবেন। আগের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তাই একে ঠিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা চলে না।’’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে রাজ্য সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্য পুলিশের কাজে আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে সিটে শামিল করা হয়েছে, দাবি তাঁর।

  • SIR in Bengal: রাজ্যে ৩ ধাপে হবে এসআইআর, তিন মাসে প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার যাচাই করতে হবে কমিশনকে

    SIR in Bengal: রাজ্যে ৩ ধাপে হবে এসআইআর, তিন মাসে প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার যাচাই করতে হবে কমিশনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের তালিকা এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে— দু’টির মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশ ভোটারের তথ্য মিলে গিয়েছে। রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা এখন ৭.৬ কোটি, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ভোটারের তথ্য মিলছে না। কমিশনকে (Election Commission) আগামী তিন মাসের মধ্যেই যাচাই করতে হবে রাজ্যের প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার। কমিশন সূত্রে খবর, বিহারে ২ কোটি ভোটারকে এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করতে হয়েছিল।

    তিন ধাপে চলবে প্রক্রিয়া

    কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে (SIR in Bengal) ভোটার যাচাইয়ের কাজ হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপ হল ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করানো হবে। তথ্য জোগাড় করবেন। সমস্ত কিছু গণনা করা হবে। এই ধাপটি চলবে প্রায় ৩০–৩৫ দিন। দ্বিতীয় ধাপ হল তার এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর ভোটার বা রাজনৈতিক দলগুলি এই তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন। বাদ পড়া নাম যুক্ত করা, ভুল সংশোধন করা যাবে এই পর্বে। দ্বিতীয় ধাপের এই কাজ চলবে প্রায় এক মাস। তৃতীয় ধাপ হল সংশোধন ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর তৈরি হবে চূড়ান্ত তালিকা। সমস্ত যাচাই করার পর, পরবর্তীতে এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট বের হবে। এই প্রক্রিয়া চালাতে ব্লক লেভেল অফিসার (BLO)-দের প্রশিক্ষণ ও ফর্ম বিতরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

    নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, এত বড় পরিসরে ভোটার যাচাইয়ের কাজ একসঙ্গে করা খুবই জটিল। তবু আমরা চেষ্টা করছি যাতে সব ভোটার তালিকাভুক্ত হন।” প্রতিটি জেলায় এবং শহরাঞ্চলে হেল্পডেস্ক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিক ও বাইরের রাজ্যের কর্মীদের সাহায্যের জন্য। কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের প্রথমে শুরু হতে পারে। তাই তৎপরতা একেবারে তুঙ্গে।

  • Apple Benefits: সত্যিই এক আপেলে বাজিমাত হয়! রোজ একটি আপেল খেলে কোন রোগের দাপট কমে?

    Apple Benefits: সত্যিই এক আপেলে বাজিমাত হয়! রোজ একটি আপেল খেলে কোন রোগের দাপট কমে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একটা আপেলেই রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ নিছক কথার কথা নয়। ফের একবার এমন তথ্য প্রকাশ করলেন ইংল্যান্ডের একদল গবেষক-চিকিৎসক। এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে আপেলের (Apple Benefits) মতো ফলেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে নানান লাইফস্টাইল ডিজিসের দাপট বাড়ছে। আর তাদের কাবু করতে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। তাই ডায়াবেটিস থেকে ওবেসিটি কিংবা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত অসুখে আপেল রাশ টানতে পারে (Health Tips)।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লাইফস্টাইল ডিজিজ বাড়ছে। অর্থাৎ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, চুল পড়া এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এগুলোকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত মেনুতে একটা আপেল (Apple Benefits) থাকলে, এই রোগ মোকাবিলা সহজ হয়‌। ব্রিটেনের ওই গবেষক-চিকিৎসকদের মতে, আপেল একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপেল খেলে শরীরে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়‌।

    কোন রোগ মোকাবিলায় আপেল বিশেষ সাহায্য করে?

    ওবেসিটি রুখতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে জেরবার। এই অতিরিক্ত ওজন নানান রোগের কারণ। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা এমনকি বন্ধ্যাত্বের কারণ হলো ওবেসিটি। এই বাড়তি ওজনের জেরে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। আপেল এই ওবেসিটি রুখতে বিশেষ সাহায্য (Apple Benefits) করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে ফাইবার। ক্যালোরি অত্যন্ত কম। তাই আপেল খেলে পেট ভরে কিন্তু শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। ওবেসিটি রুখতে এই ধরনের খাবার বিশেষ উপকারি।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারি!

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগ স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনির অসুখের মতো নানান জটিল সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে সাহায্য করে আপেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা প্রি-ডায়াবেটিক পিরিয়ডে খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ (Apple Benefits)। কোন খাবার খেতে হবে আর কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, এই সচেতনতার উপরেই সুস্থ থাকা নির্ভর করে। তাই আপেল এক্ষেত্রে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফল‌ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই ফল খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিকদের বিশেষ উপকার হয়।

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে‌। ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে তিরিশের কম বয়সিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে স্ট্রোকের ঘটনা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল থাকা ফাইবার ও অন্যান্য উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে (Apple Benefits)। তাই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে‌।

    হজমের সমস্যা কমিয়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়!

    ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই কম বয়সি ছেলেমেয়ে। মদ্যপান না করলেও লিভারের বাড়তি মেদ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত আপেল খেলে এই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগের ঝুঁকি কমবে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আপেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে (Apple Benefits)। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে লিভার, অন্ত্র সুস্থ থাকে। কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে‌।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    পরিবেশে বদল হচ্ছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ছে। স্বাস্থ্যের উপরে তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। সুস্থ থাকতে তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। আপেল এই কাজে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে (Apple Benefits)। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমে।

    কাদের আপেল এড়িয়ে চলা উচিত?

    শরীরের জন্য উপকারি হলেও দিনে দুটির বেশি আপেল খাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা দিনে দুটোর বেশি আপেল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের আপেলের রস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গোটা আপেলের পরিবর্তে আপেলের রস খেলে অনেক সময়েই রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাছাড়া যদি কোনও রকম অ্যালার্জি থাকে, তাহলে আপেল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Health Tips)। পেটের গোলমাল হলেও আপেল না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। তাই অতিরিক্ত আপেল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। শরীর সুস্থ রাখতে দিনে দুটো আপেল যথেষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Artificial Rain: দূষণরোধে দিল্লিতে হবে কৃত্রিম বৃষ্টি, জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

    Delhi Artificial Rain: দূষণরোধে দিল্লিতে হবে কৃত্রিম বৃষ্টি, জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: বায়ু দূষণে (Delhi Air Pollution) নাজেহাল দেশের রাজধানী দিল্লির আবহাওয়া। বিগত কংগ্রেস সরকার, আপ সরকার দেশের এই প্রাণকেন্দ্রের দূষণ নিয়ে খুব একটা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টিপাত নিয়ে দেশের আইআইটিগুলি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাকেই কাজে লাগাবে দিল্লি বিজেপি। বায়ু দূষণ রোধে দিল্লি সরকার এই বছর প্রথমবার দেশের জাতীয় রাজধানীর বুকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত (Delhi Artificial Rain) ঘটাবে। তবে এই বৃষ্টির কথা খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা নিজেই জানিয়েছেন।

    ২৮, ২৯, ৩০ হবে কৃত্রিম বৃষ্টি (Delhi Artificial Rain)

    দিল্লির বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, “২৮, ২৯, ৩০ অক্টোবর দিল্লির আকাশে মেঘ থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদি সব রকম অনুকূল পরিবেশ ঠিক থাকে তাহলে ২৯ অক্টোবর ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হতে পারে। বুরারি এলাকায় ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে।” ত্দবে দিল্লিতে এই প্রথমবার ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে (Cloud Seeding) কৃত্রিম বৃষ্টিপাত (Delhi Artificial Rain) করানো হতে পারে দূষণ রুখতে।

    দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলন, “আইআইটি কানপুর থেকে দিল্লি পর্যন্ত একটি ট্রায়াল ফ্লাইট ওড়ানো হয়েছে। মীরট, খেকরা, বুরারি, আলিগড় আবার কানপুরে ফিরে গিয়েছে। খেকরা এবং বুরারির মধ্যে ক্লাউড সিডিং করা হয়েছে।”

    ৩.২১ কোটি টাকার খরচে হবে বৃষ্টি

    কৃত্রিম বৃষ্টির (Delhi Artificial Rain) এই প্রক্রিয়ায় মোট খরচের কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, “৩.২১ কোটি টাকার এই উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হবে। একটি বিশেষ বিমান উড়বে উত্তর পশ্চিম দিল্লি এবং দিল্লির আশপাশের এলাকা দিয়ে। সেখানে জলীয় বাষ্প পূর্ণ মেঘের উপরে সিলভার আয়োডিনের ন্যানোপার্টিক্যাল, আয়োডাইজড নুন ও রক স্টলের মিশ্রণ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর জেরে মেঘে জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হবে এবং বৃষ্টি বর্ষণ করবে।”

    উল্লেখ্য দিল্লি সরকার আইআইটি কানপুরের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ৫টি ক্লাউড সিডিং (Cloud Seeding) ট্রায়াল করার কথা জানা গিয়েছে। উত্তর পশ্চিম দিল্লিতেও ক্লাউড সিডিং ট্রায়াল করা হবে। দীপবালির পর দিল্লির বাতাসের মান মারাত্মক আকার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণমান ছিল ৪২৯। ব্যাপক পরিমাণে আতশবাজি পড়ানোর ফলে গোটা রাজধানী ধুলোর চাদরে ঢেকে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হলেই চোখ জ্বালা, শ্বাস কষ্টের মতো নানা সমস্যার দেখা মিলছে।

  • Daily Horoscope 26 October 2025: ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 26 October 2025: ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share