Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের বিরদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যেরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতবছর ৯ অগাস্ট ঘটেছিল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন রাজ্য রাজনীতি থেকে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এই বছর দুর্গাপুরে ফের আরও এক চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূল সরকারের নারী সুরক্ষানীতি সত্যই প্রশ্নের মুখে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের মেয়েরা সুরক্ষিত নয় বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। একইভাবে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে আয়নাও দেখালেন।

    ধর্ষকদের শেষ করতে হবে (Suvendu Adhikari)

    কালীপুজোর দিনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের প্রত্যকে নারীর সুরক্ষার জন্য তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনার বার্তা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে লাগাতার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের রাজত্বে প্রচুর ধর্ষকদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কোনও বোন, কন্যা এবং মায়েরা এই মমতার রাজ্যে সুরক্ষিত নন। এই ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে। মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবার মা তোমার ত্রিশূলটা লাগবেই। অভয়া থেকে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ আমাদের কোনও বোন কোনও মেয়ে বাংলায় সুরক্ষিত নয়। মা দুর্গার ত্রিশূল আর মা কালীর খড়গটা দিয়ে ধর্ষকদের শেষ করতে হবে। পুজোর দিনে মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।”

    সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে?

    লাগাতার তৃণমূলের দ্বারা সংগঠিত নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যের জন্য অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “মা আমাদের শক্তি দিক, যাতে আমরা সুরক্ষা দিতে পারি। কন্যাদের সুরক্ষা দিতে পারি। মেয়েদের সুরক্ষার দায়িত্ব যদি নিজেরাই নেন তাহলে আমরা আছি কি করতে। সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে? ভারতকে আমরা মাতা বলি, তাই এই রাজ্যের প্রত্যেক নারীর সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেক কন্যা আমাদের রত্ন। তাদের সুরক্ষিত রাখাই আমার কর্তব্য। আর মাত্র কয়েকমাস পর আসছে সেই সুযোগ। বিধানসভা নির্বাচনে এই সরকারকে বিদায় দিতে পারলেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো আমরাও বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারব।”

    আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে?

    পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যে মাটি শক্ত করছে তা নিয়ে বিজেপি বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সেই আশাতে জল ঢেলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে কেন জয়ী হবেন? ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে। আমাদের শুধু নজরদাড়ি আর চৌকিদারি চালাতে হবে। আমরা তো ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে বলছি না। নন্দীগ্রামে বাংলাদেশের মহিলা ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের পটিয়ে নিয়ে এসে এখানে দ্বিতীয় বিয়ে এবং তৃতীয় বিয়ে করে রেখেছে। এখানেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় সম্পত্তি এবং জমিতে অধিকার বসাচ্ছে বহিরাগতরা। নন্দীগ্রামের সীমান্ত তো আর বাংলাদেশের সীমান্ত নয়। কতটা বিপদজনক পরিস্থিতি বোঝাই যাচ্ছে। বাংলাদেশি ভোটারা এই রাজ্যে এসে তৃণমূলের মদতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাই আমরা কেন অভারতীয়দের নিয়ে চলব। আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে? আমার ভোট কেন ওঁরা দেবে? বিদেশি লোকের ভোটে কেন আমরা বিধায়ক হব? বিদেশি ভোটে কেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন? বিদেশি ভোটে কেন মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হবেন? এই লড়াইটা ভারতীয়দের সঙ্গে অভারতীয়দের। সকল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং রাষ্ট্রবাদী মুসলমানদের এক সঙ্গে নিতে হবে।”

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটেনের সংসদে, পেশ হল নিন্দা-প্রস্তাব

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটেনের সংসদে, পেশ হল নিন্দা-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটিশ সরকার (United Kingdom MP)। দীপান্বিতা কালী পুজো এবং দীপাবলি আলোর উৎসবে সারা বিশ্বের হিন্দুরা যেখানে মেতে উঠেছে, সেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সমস্ত অনুষ্ঠান যেন মাটিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ছবিটা সম্পূর্ণ ভাবে ভিন্ন। গত বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের বাস্তব চিত্র নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের বিরোধী দলের সাংসদ। শুধু তাই নয় হাউজ অফ কমন্স-এ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার নিন্দায় একটি বিবৃতিও পেশ করা হয়। গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশে লাগাতার ধর্মীয় নিপীড়ন চলছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এইসব অত্যাচারের ঘটনাকে সংবাদ মাধ্যমের ভুয়ো তথ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

    হিন্দুদের কোন অধিকার নেই (United Kingdom MP)!

    সারা বিশ্বে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি সমাজের মানুষ দীপাবলি পালন করেন। কিন্তু বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য এই উৎসব অন্ধকারে পরিণত হয়েছে। হিন্দুদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে বাংলাদেশে কোনও অধিকার নেই। ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ কমন্স-এ এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। তিনি ব্রিটিশ হিন্দুদের ‘অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর প্রধান। এই সাংসদ বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন৷ ‘ইনসাইট ইউকে’ নামের একটি ব্রিটিশ সংস্থার (United Kingdom MP) এই সাম্প্রতিক রিপোর্টে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর কীভাবে অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে তা প্রকাশ করেছে ৷

    ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

    সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান (United Kingdom MP) বলেন, “দীপাবলি পালনের সময় যেখানে অন্ধকারকে ছাপিয়ে আলোর জয় হয় সেখানে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুরা এই উৎসব থেকে বঞ্চিত। তাঁরা এই উৎসব উদযাপন করতে পারবেন না৷ তাঁদের উপর নিপীড়ন চলছে ৷ হিন্দুদের সঙ্গে হিংসার ঘটনা ঘটছে ৷ মন্দির থেকে বাড়িঘর সবকিছু ধ্বংস করা হচ্ছে ৷ আমি এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

    হিংসার ঘটনার তীব্র ধিক্কার

    আবার লেবার পার্টি সরকারের তরফে হাউজ অফ কমন্স-এর নেতা স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল (United Kingdom MP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর এই ধরনের হিংসার ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই ৷ বাংলাদেশের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করছি ৷ একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকার গড়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে সমর্থন জানাই ৷ বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমরা গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷” একই ভাবে বিজনেস অফ দ্য হাউজ-এর সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, “আগামী সপ্তাহে, হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধরা দীপাবলি উদযাপন করবেন ৷ হিন্দুদের নতুন বছরের সূচনা হবে ৷ এটা একটা উৎসবের সময় ৷ সবাই আনন্দ করবে ৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে তা হবে না ৷ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার কথা বলা হয়েছে ৷ তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে ৷ মন্দিরগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিচ্ছে ৷”

    মাতৃশক্তি আরাধনার ক্ষেত্র বাংলাদেশ

    সম্প্রতি ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুপ্রাচীন কালীপুজো। দুর্গাপুজো যেমন হিন্দু বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো ঠিক তেমনি গোটা হিন্দু সমাজের কাছে সারা বিশ্বে দীপাবলি আলোর উৎসব হল আন্তর্জাতিক ভাবে বড় উৎসব। বাঙালিরা এই সময় ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালান, গ্রাম বাংলায় চলে মা কালীর সাধনা। রক্ষাকালী, শ্মাশান কালী, শ্যাম কালীর পুজোতে মেতে ওঠে গ্রামবাংলা। এই পুজোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রাচীন কাল হতে চলে আসা তন্ত্রের প্রভাব। অমাবস্যার জাগ্রতপীঠে সাধকরা সম্মিলিত হন চলে যজ্ঞ, বলি এবং তান্ত্রিক সাধনা। উত্তরপূর্ব ভারত এবং পূর্ব ভারতের অংশ হিসেবে বাংলার আদি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় হল মাতৃশক্তি কালী মাতার সাধনা। বাংলাদেশও (Bangladesh) গত কয়েক হাজার বছর ধরে হিন্দু সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বিরাট ভাবে ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশ বাংলাদেশ হওয়ায় গত ৭০ বছরে সেই সনাতনী প্রবাহে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সবটাই ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজতাত্ত্বিকেরা।

  • Daily Horoscope 21 October 2025: ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 October 2025: ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) সাবধানতা অবলম্বন করুন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ থাকলেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি কম বেশি ভালোই কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও দূরে আঘাত হানতে পারবে ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। পাকিস্তান সহ শত্রুদেশগুলির ঘুম উড়বে অচিরেই। ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন সংস্করণ আসতে চলেছে। নতুন ব্রহ্মসের পাল্লা বাড়িয়ে ৮০০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। যা এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। এই মিসাইলে একটি নতুন ইঞ্জিন থাকবে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আগামী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সীমাকে অতিক্রম করে মোট ৯টি জঙ্গি শিবিরে আঘাত হেনেছিল ভারত। সেই সময় দেশীয় ব্রহ্মস দারুণ কার্যকর আঘাত হেনেছিল। এবার এই  ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও উন্নীত করা হচ্ছে।

    সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে হয়েছিল আক্রমণ (Brahmos Missile Latest)

    দুই বছরের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে আরও উন্নত এবং আধুনিক ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। সেই সঙ্গে ২০০ কিমির বেশি পাল্লার ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ২০২৬-২৭ থেকে শুরু হবে। বর্তমানে ব্রহ্মস ক্ষেপাস্ত্রগুলি ৪৫০ কিমি রেঞ্জের। খুব উচ্চগতি সম্পন্ন এবং দ্রুত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ব্রহ্মস। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে ব্যবহার হয়েছিল এই ব্রহ্মস। এবার এই মিসাইলের সফটওয়্যারকে আরও উন্নত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, কিছু কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য গতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের স্থল ও নৌ সংস্করণটি প্রথমে তৈরি হবে। বায়ুসেনার জন্য এয়ার-লঞ্চ ক্ষেপনাস্ত্রটি প্রস্তুত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমির বেশি

    ‘অস্ত্র মার্ক-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমি করা হচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ২৮০টির বেশি অস্ত্র মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে (Brahmos Missile Latest) যুক্ত করেছে। বর্তমানে এই মিসাইলগুলি ১০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ‘অস্ত্র মার্ক-২’ মিসাইলগুলির পরীক্ষা সফল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মিসাইলের উৎপাদন শুরু হতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এবং তেজস বিমানের জন্য ৭০০টি ‘অস্ত্র’ মার্ক-২ ক্ষেপনাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করা হেয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৫০ কিমি পাল্লার মার্ক-৩ সংস্করণ নির্মাণের কাজ করছে যা আগামী বছর তিনেকের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

    অপারেশন সিঁদুর ট্রেলার ছিল

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৮ অক্টোবর আত্মনির্ভর ভারত মিশন প্রকল্পের প্রথম ব্যাচ ব্রহ্মস মিসাইলের উদ্বোধন করেছেন উত্তরপ্রদেশে। এখানে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রোডাকশন ইউনিটে তৈরি হবে জানিয়েছেন তিনি। একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেছেন, “দেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর কোনও ভাবেই ব্রহ্মসের আঘাত থেকে পালাতে পারবে না। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) যা হেয়েছে তা কবেল মাত্র একটি ট্রেলার ছিল। সেই ট্রেলার বুঝেছে পাকিস্তান। ভারত যদি পাকিস্তানের জন্ম দিতে পারে তাহলে আগামীদিনে ভারত আর কী কী করতে পারে তাও বুঝে নেওয়া উচিত।” শুধু তাই নয় ভারতীয় অস্ত্রের গুরুত্ব এবং উৎপাদন ক্ষমতা ইতিমধ্যে বিশ্বের বাজারে বিরাট চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা এবং আঘাতহানার ক্ষমতা কতটা মজবুত তাও গোটা বিশ্বের মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। ব্রহ্মসের (Brahmos Missile Latest) আধুনিক ক্ষমতা আরও কতটা শক্তিশালী হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিশেষ অনুদান

    বেসরকারি সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের চুক্তি ৫৮০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নৌবাহিনীর জন্য ২২০ টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র কেনার জন্য ১৯৫১৯ কোটি টাকার বৃহত্তম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সর্বশেষ ডেস্টায়ার এবং ফ্রিগেট সহপ্রায় ২০টি যুদ্ধজাহাজ ইতিমধ্যে এই অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের জন্য রাজনাথ সিং ভারতীয় বায়ু সেনার জন্য ১০৮০০ কোটি টাকায় ১১০টি এয়ার লঞ্চ করা ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest) ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য অনুমোদন করেছে।

  • PM Modi on INS Vikrant: ‘পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত’, নৌসেনার সঙ্গে গোয়ায় দীপাবলি মোদির

    PM Modi on INS Vikrant: ‘পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত’, নৌসেনার সঙ্গে গোয়ায় দীপাবলি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত।’ দীপাবলির সকালে গোয়ায় আইএনএস বিক্রান্তে (PM Modi on INS Vikrant) বসে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি (Diwali 2025) পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী। আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম গর্ব আইএনএস বিক্রান্তে দাঁড়িয়ে শত্রু পাকিস্তানকে আবারও মনে করিয়ে দিলেন, ভারতের এই যুদ্ধজাহাজ কীভাবে পাক বাহিনীর ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল। এখনও সমুদ্রের তরঙ্গের মাধ্যমে পাকিস্তানে আতঙ্ক ধরায় বিক্রান্ত, হুঙ্কার মোদির (PM Narendra Modi)।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা

    প্রতি বছরই দীপাবলি ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী। এবার নৌবাহিনীর (Indian Navy) সঙ্গে কাটালেন। গোয়া ও কারওয়ার উপকূলে আইএনএস বিক্রান্ত-এ (INS Vikrant) রবিবার রাত্রিযাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সেখান থেকেই দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন। বিশেষ এই অনুষ্ঠানের জন্য সোমবার সকালে সেনার পোশাকেই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সঙ্গে ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীকে আত্মনির্ভরতার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ থেকে মাত্র কয়েক মাস আগে আইএনএস বিক্রান্ত-এর নাম শুনেই গোটা পাকিস্তানের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল।’’ ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদি বলেন, ‘‘ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর সমন্বিত শক্তিই সে সময় পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করেছিল। ব্রহ্মস এবং আকাশের মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলিও অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল।’’

    বিক্রান্ত-এর নাম শুনে ভয়ে কাঁপে শত্রুরা

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আইএনএস বিক্রান্ত যে দিন থেকে ভারতীয় নৌসেনার হাতে এসেছে, সে দিন থেকেই নতুন বল পেয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, আত্মনির্ভর ভারত এবং মেড ইন ইন্ডিয়ার প্রতীকও হয়ে উঠেছে এই রণতরী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাসাগরের বুক চিরে এগোনো স্বদেশি এই রণতরী ভারতীয় বাহিনীর শক্তির প্রতীক, যার নাম শুনেই শত্রুরা ভয়ে কাঁপে।’’ মোদি বলেন, ‘‘সেনার আত্মনির্ভর হওয়া প্রয়োজন। বীর জওয়ানেরাও এই দেশের মাটিতেই জন্মেছেন। যে দিন আমাদের সমস্ত অস্ত্র, যানও দেশের মাটিতে তৈরি হবে, তখনই সেনা আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাবে।’’ তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন সশস্ত্রবাহিনীর বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভারতেই তৈরি হয়। গত ১১ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে উৎপাদন ৩০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। প্রতি ৪০ দিনে একটি করে যুদ্ধজাহাজ কিংবা সাবমেরিন ভারতীয় নৌসেনায় যোগদান করছে। মোদির দাবি, এই হারে চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্বের শীর্ষ প্রতিরক্ষা রফতানিকারকদের অন্যতম হয়ে উঠবে ভারত।

    শক্তির প্রতীক আইএনএস বিক্রান্ত

    প্রসঙ্গত, ‘ব্রহ্মস’ও ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি দূরপাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে গত মে মাসে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্দিষ্ট কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে যে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারত, তাতে নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছিল ব্রহ্মস। আইএনএস বিক্রান্ত-এর বুকে দাঁড়িয়ে নৌসেনার সাহস ও শৃঙ্খলাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদিকে সীমাহীন আকাশ, অন্যদিকে অন্তহীন সাগর – তার মাঝে দাঁড়িয়ে আমাদের শক্তির প্রতীক আইএনএস বিক্রান্ত।” মোদির সংযোজন, “এই রণতরীতে কাটানো সময় আমাকে শিখিয়েছে বাঁচার গুরুত্ব। তোমাদের নিষ্ঠা এত গভীর যে আমি তার সামান্যই অনুভব করতে পেরেছি। কিন্তু বুঝতে পেরেছি, প্রতিদিন এইভাবে দায়িত্ব পালন করা কতটা কঠিন।”

    গভীর সমুদ্রের নিস্তব্ধতা আর ভোরের সূর্যোদয়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, গভীর সমুদ্রের নিস্তব্ধতা আর ভোরের সূর্যোদয়ের দৃশ্য এই বছরের দীপাবলিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে তাঁর কাছে। নৌসেনার সদস্যদের দেশপ্রেমের সঙ্গীত ও সিঁদুর অভিযানের মঞ্চায়ন দেখে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে একজন সৈনিকের মনের অবস্থা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আজ তোমাদের চোখে সেই জেদ, সেই গর্ব দেখলাম।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরকে কেন্দ্র করে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে উৎসবের আবহ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দেশের প্রথম স্বদেশী রণতরীতে প্রধানমন্ত্রীকে দীপাবলিতে স্বাগত জানানো তাদের কাছে গর্বের বিষয়। দীপাবলি উপলক্ষে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশেষ গান লিখে তা প্রধানমন্ত্রীকে শোনান আইএনএস বিক্রান্তের জওয়ানরা। সেই গান শুনে মুগ্ধ মোদি।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার, কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu on President Rule)। সেখান থেকেই সমস্ত বাঙালি হিন্দুদের একজোট হওয়ার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদি বাসিন্দারা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে ঘটছে অনুপ্রবেশ। নির্বাচনের আগে এসআইআর হলেই তা স্পষ্ট হবে, বলে জানান শুভেন্দু।

    অনুপ্রবেশ রুখতেই হবে

    রবিবার আমতলায় একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “যাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মূল নিবাসী তাদের সংখ্যা কমছে। অন্যরা দখল করে নিয়েছে। ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ভারতীয় নয়। আপনারা যাঁরা ভারতকে ভালবাসেন আমি জানি তাঁরাও চান অভারতীয়রা টাটা বাইবাই।” তিনি আরও বলেন, “এখানে গণতন্ত্র নেই। ভোট কাকে দেবেন আপনার ব্যাপার। কালীমাতার মঞ্চে আমি বলব না আমাদের দিন কিন্তু মনে রাখবেন আপনাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ইভিএম-এ সেলোটেপ। আমার কাছে কয়েকশো ভিডিয়ো আছে। ক্যামেরা বন্ধ ছিল। ডায়মন্ড হারবারের ক্যামেরার লিঙ্ক যাদবপুরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৪ নভেম্বরের পর দেখিয়ে দেব প্রমাণ সহ।”

    জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমি রায়দিঘিতে গিয়েছি ২০০০ হাজার লোক ছিল। আমায় অনেকে প্রশ্ন করে আপনাদের দলের লোক কেন লড়ে না? আমি বলি, কর্মীদের দিয়ে আর কত লড়াব? মিথ্যা মামলা আর মার খেতে খেতে আপনাদের পিঠও দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট।” এদিন, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। রায়দিঘিতে কালীপুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়িতে চাপড় মারা হয়। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়। কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরও তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হল। শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান। সব হিন্দুরা এসেছেন অনুষ্ঠানে। আমি হিন্দু হিসাবে এসেছি। দলের ঝান্ডা নিয়ে আসিনি। আমায় রাস্তার উপর আটকানো চেষ্টা করছে। গাড়িতে ধাক্কা মারছে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আমি ধর্ম পালন করতে এসেছি। আমি আজ বিজেপি করতে আসিনি। আমি হিন্দু ধর্ম পালন করতে এসেছিলাম। মায়ের দর্শন করতে এসেছি।”

    বাংলায় হিন্দুরা এক হোন

    এরপরই হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যে সকল হিন্দু তৃণমূল বা সিপিএম করেন, তাঁরা এখনও ভাবুন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জিততে হলে হিন্দুদের একজোট হতে হবে বলে গত কয়েকমাস ধরে বলে আসছেন শুভেন্দু। এদিন ফের সেকথা শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশে যে ভাবে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, হিন্দুরা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আজ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সব থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি করে হচ্ছে। আমি এখনও বলব যে সকল হিন্দুরা তৃণমূল বা সিপিএম করছেন, বলব ভাবুন আপনাদের অবস্থাও যোগেন মণ্ডলের মতো হবে।”

    বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের (Suvendu on President Rule) দাবি ওঠে। সেখান থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “জনগণ আওয়াজ তুলুন। আমার হাতে তো ওটা নেই। আমার হাতে থাকলে ওটা এক ঘণ্টা লাগত না।” এর আগে আরামবাগের সভা থেকে শুভেন্দু নিজেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সুর চড়িয়েছিলেন এসআইআরের পক্ষে। তৃণমূলের তুলোধনা করে স্পষ্ট বলেছিলেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন। আর রাষ্ট্রপতি শাসন হলে সিপিএম তো তাও টিকে আছে কিন্তু এদের তো অস্তিত্বই থাকবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বালি মাফিয়া আর পুলিশ নির্ভর এই তৃণমূল কংগ্রেস হাওয়াতে উবে যাবে। আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকেও। সাফ বলেছিলেন বাংলার মানুষ চাইছে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাঘু হোক। এবার ফের বিরোধী দলনেতার সামনেও একই দাবি উঠল।

  • PM Modi on Diwali: ‘স্বদেশি জিনিসের প্রতি গর্ব করুন’, দীপাবলিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on Diwali: ‘স্বদেশি জিনিসের প্রতি গর্ব করুন’, দীপাবলিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির প্রাক্কালে দেশবাসীকে স্বনির্ভরতা ও দেশি পণ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Diwali)। স্বদেশি জিনিস নিয়ে গর্ব করার কথা বললেন। সোমবার সকালে দেশবাসীকে দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এই উৎসবকে “ইতিবাচকতা ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর” করে তোলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতীয় সেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবছর তিনি সম্ভবত ভারতের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত-এ গিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন। দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুও।

    রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছাবার্তা

    দীপাবলি আলোর উৎসব হিসেবে পরিচিত, যা অধর্মের উপর ধর্মের, অন্ধকারের উপর আলোর, মন্দের উপর ভালোর এবং অজ্ঞতার উপর জ্ঞানের আধ্যাত্মিক বিজয়ের প্রতীক। এই উৎসব দেশজুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। মানুষ প্রদীপ এবং মোমবাতি জ্বালায় এবং দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করে। এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু বলেন, “শুভ দীপাবলি উপলক্ষে, আমি ভারত এবং বিশ্বজুড়ে সকল ভারতীয়কে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই।” তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে প্রচুর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত দীপাবলি পারস্পরিক স্নেহ এবং ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়। এই দিনে ভক্তরা সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর পূজা করেন।’ নিজের পোস্টে সতর্কতার বার্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ‘আমি সকলকে নিরাপদে, দায়িত্বশীলভাবে এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে দীপাবলি উদযাপন করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই দীপাবলি সকলের জন্য সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’ তিনি প্রবাসী ভারতীয়দেরও এই আলোর উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘দীপাবলিতে সকলকে শুভেচ্ছা। এই আলোর উৎসব জীবনকে সুখী এবং সমৃদ্ধ করুক। আমাদের চারপাশে ইতিবাচক চেতনা অবস্থান করুক। এই উৎসব হোক ১৪০ কোটির পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের উদযাপন। চলুন দেশীয় পণ্য কিনে বলি — গর্ব সহকারে বলুন, এটি স্বদেশি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেন, মানুষ যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কেনাকাটার ছবি শেয়ার করে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর কথায়, “আপনি কী কিনলেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন দেশি পণ্য কেনার জন্য।” ইতিমধ্যেই দীপাবলির আনন্দে মেতেছে গোটা দেশ। রাস্তাঘাট, বাড়ি সেজে উঠেছে আলোয়। তবে কোনও ভাবেই যাতে বায়ুদূষণ না হয়, সেই জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুপ্রিম কোর্টও দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার জন্য বাজি সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে।

    নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন প্রধানমন্ত্রীর

    উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা এবং স্বনির্ভরতার সমর্থনে দেশীয় পণ্য়ের উপর বরাবরই জোর দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ প্রতিরক্ষা, কৃষি, প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বনির্ভরতার কথা বলেন তিনি ৷ এদিন আলোর উৎসব উদযাপনে দেশবাসীকে সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মোদি ৷ এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন তিনি ৷ সেখানে দেশের কারিগরদের সহযোগিতার জন্য সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ৷ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোদি প্রতি বছরই সীমান্তে ও দুর্গম এলাকায় মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করছেন। প্রথম বছরে তিনি লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন সৈনিকদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। পরের বছর যান পাঞ্জাবের অমৃতসরে ডোগরাই ওয়ার মেমোরিয়ালে, যেখানে তিনি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এবার নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আলোয় আলোকিত অযোধ্যা (Ayodhya Deepotsav)। উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহর ইতিহাস গড়ল বিশ্বমঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে অযোধ্যার দীপোৎসবে তৈরি হল এক নয়, দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সরযূ নদীর দুই তীর সেজে উঠল ২৬ লক্ষ প্রদীপে। একসঙ্গে ২ হাজারেও বেশি মানুষ আরতি করলেন। দীপাবলিতে আগেও রেকর্ড গড়েছে উত্তর প্রদেশ। অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে ধুমধাম করে পালিত হয় দীপোৎসব। জ্বালানো হয় লাখ লাখ প্রদীপ। গত বছরও গিনেস বুকে নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল তারাই।

    গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ফের অযোধ্যা

    প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ ও বিশ্বের নজর ছিল সরযূ নদীর তীরে। দীপ উৎসব (Deepotsav 2025) উপলক্ষে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামকথা পার্কের মঞ্চে রামের প্রতীকী রাজ্যাভিষেক করেন। এরপর, রাম মন্দির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম তলায় রাম দরবারের সামনে মাথা নত করে আশীর্বাদ গ্রহণ ও রামলালার পুজোর পর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী কমপ্লেক্সের প্রধান প্রবেশপথের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসবের উদ্বোধন করেন। দীপোৎসব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অযোধ্যার মানুষ ৫৬টি ঘাটে ২৬,১৭,২১৫টি প্রদীপ জ্বালিয়ে রেকর্ড গড়া হয়। প্রথম রেকর্ডটি ‘সবচেয়ে বেশি মানুষ একসঙ্গে প্রদীপ ঘোরানোর’ জন্য। দ্বিতীয়টি ‘সবচেয়ে বড় প্রদীপ প্রজ্বলন প্রদর্শনী’র জন্য। মাত্র ১৫ মিনিটে এতগুলি প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে রামভূমির। এই ঐতিহাসিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতর, অযোধ্যা জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার।

    ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর অফিসিয়াল প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এই অসাধারণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকেন। তাঁরা রেকর্ডের প্রমাণ যাচাই করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি সার্টিফিকেট তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “অযোধ্যা আজ শুধু আলোয় নয়, ভক্তিতে ও ঐতিহ্যে উজ্জ্বল। এটি ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক।” এদিন সরযূ ঘাটে দাঁড়িয়ে লাখো দর্শক দেখেছেন এক অনন্য দৃশ্য যতদূর চোখ যায়, ততদূর পর্যন্ত সারি সারি প্রদীপ। এই দীপোৎসবে অংশ নেয় হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী, স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী এবং তীর্থযাত্রী।

    ড্রোন শো থেকে আতশবাজির প্রদর্শনী, কড়া নিরাপত্তা

    সরযূ নদীর তীরে ২,১২৮ জন বেদাচার্যের উপস্থিতিতে মহাআরতির পরই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বরেকর্ডের শংসাপত্র। তার আগে, অযোধ্যায় একটি ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১,১০০টি ড্রোনের মাধ্যমে আকাশে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করা হয়। রাম কি পৌড়িতে আয়োজিত লেজার এবং ড্রোন শো ছিল দেখার মতো। চলে আতশবাজির প্রদর্শনী। অসাধারণ সেই দৃশ্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান রাস্তায়। রামায়ণ অভিনয় করে দেখানো হয়। রামলীলা অভিনয় করতে ৫টি দেশ থেকে শিল্পীরা এসেছিলেন। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। অযোধ্যাকে ১৮টি জোন এবং ৪২টি সেক্টরে ভাগ করে ১০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে। পিএসি, আরএএফ, এটিএস, বিডিএস এবং স্থানীয় পুলিশ ছিল সর্বত্র। রাম কি পৌড়ি এবং রামপথের পাশের বাড়িগুলির ছাদে মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র সেনা। অ্যান্টি-মাইন দল, ব্যাগেজ স্ক্যানার এবং ফায়ার ব্রিগেডও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

    বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রেও উজ্জ্বল অযোধ্যা

    উত্তরপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য অযোধ্যাকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা। তাদের মতে, দীপোৎসব আজ শুধুমাত্র এক ধর্মীয় আচার নয় এটি হয়ে উঠেছে এক বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অযোধ্যার দীপোৎসব এখন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতের ‘সফট পাওয়ার’-এর প্রতীক যা বিশ্বে ভারতের ঐতিহ্য, ঐক্য ও ভক্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, “রাম রাজ্যের আদর্শে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই দীপোৎসব বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, বিশ্বাস ও ঐতিহ্য একসঙ্গে থাকলে ইতিহাস তৈরি হয়।”

  • Kali Puja 2025: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের কালী মন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    Kali Puja 2025: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের কালী মন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2025) বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। আজ কালীপুজো। দুর্গাপুজার পাশাপাশি কালীপুজোতেও বিভিন্ন আচার-নিয়ম (Rituals) থাকে। আর কালীপুজোর বিশেষ আকর্ষণই হল মায়ের ভোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শ্যামামায়ের মন্দির। আর সেই এক এক মন্দিরের এক এক রকমের ভোগ মাকে (Maa Kali) নিবেদন করা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতার বিখ্যাত কয়েকটি কালীমন্দির। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরও বেশ বিখ্যাত।

    কোন মন্দিরে মাকে (Maa Kali) কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীপুজোর সময় মায়ের যে ভোগ হয়, তা অন্যান্য পুজোর থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। এক নজরে দেখে নিন, কোন মন্দিরে মাকে কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীঘাট মন্দির: সতীর একান্নপীঠের অন্যতম এই কালীঘাট (Kalighat)। সকালে মা-কে আমিষ পদ ভোগে দেওয়া হয়। সেই ভোগের মধ্যে রয়েছে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মা-কে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির: আনুমানিক ১৭০৩ সালে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসী সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে পঞ্চমুণ্ডির আসনে ও ঘটে পুজো (Kali Puja 2025) শুরু করেন। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয় লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি।

    দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির: ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি দক্ষিণেশ্বরের পুজোর (Kali Puja 2025) বিশেষ আকর্ষণ। আর ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি।

    তারাপীঠ মন্দির: কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তাঁরা। কালীপুজোর দিন তারা মা-এর ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সেভকেশ্বরী কালী মন্দির: শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই কালীমন্দির। কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিনগুলিতে এই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। সেবক পাহাড়ের নির্জনতায় হয় কালী মায়ের আরাধনা। অনেকেরই বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। এখানে মায়ের (Maa Kali) ভোগে থাকে সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, তরকারি, পায়েস, লুচি, দই, মিষ্টি। আর এখানে ভোগের আকর্ষণ হল বোয়াল মাছ। এদিন এই মাছ দেবীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।

  • Kali Puja 2025: কখনও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল! জানুন মা কালীর বিভিন্ন রূপ

    Kali Puja 2025: কখনও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল! জানুন মা কালীর বিভিন্ন রূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামপ্রসাদের কন্যা, রামকৃষ্ণের মা ভবতারিণী, সাধক কমলাকান্তের সাধনার ধন। তিনি দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। দেবী কালিকা। বাংলা জুড়ে কালীপুজোর (Kali Puja 2025) মাহাত্ম্য অনেক। শ্মশানবাসিনী থেকে ঘরে ঘরে পূজিত হওয়ার রয়েছে নানা আখ্যান। কড়া নিয়ম মেনে আরাধনা করা হয় দেবী কালিকার। কোথাও তিনি পূজিত হন চামুণ্ডা মতে, তো কোথাও আবার তন্ত্র মতে। কোথাও কোথাও দেবীকে কেন্দ্র করেই চলে তন্ত্র সাধনা। কোথাও তিনি শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসেবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা।

    মায়ের (Maa Kali) নানা রূপের কথা 

    দক্ষিণা কালী: বাংলায় সবচেয়ে বেশি আরাধনা হয় দক্ষিণা কালীর। কালীর এই রূপ জায়গা ভেদে শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। সারা শরীর নীল বর্ণের, তাঁর মূর্তি ক্রুদ্ধ, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশ, চারটি হাত এবং গলায় মুণ্ডমালা। বাম দিকের দুই হাতে নরমুণ্ড এবং খড়গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। দেবী মহাদেবের উপরে দণ্ডায়মানা।

    শ্মশান কালী: মূলত প্রাচীন কালে ডাকাতেরা দেবীর এই রূপের আরাধনা করত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসে এই দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপের পুজো হয় না একেবারেই। মূলত শ্মশানেই তাঁর আরাধনা।

    সিদ্ধ কালী: কালীপুজোর দিনে বহু জায়গায় সিদ্ধ কালীর আরাধনা করা হয়। কালীর (Kali Puja 2025) এই রূপ ভুবনেশ্বরী নামেও পরিচিত। গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপ পুজো হয় না। কালী মায়ের সাধকেরা এই পুজো করে থাকেন। সিদ্ধকালীর দু’টি হাত, শরীর গয়নায় আবৃত। দেবীর ডান পা শিবের বুকে এবং বাঁ পা থাকে তাঁর দু’পায়ের মাঝখানে। এই দেবী রক্ত নয়, বরং অমৃত পানে সন্তুষ্ট থাকেন।

    ফলহারিণী কালী: এটি বাৎসরিক পুজো। মূলত, গৃহস্থ বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে কালীর এই রূপকে আরাধনা করা হয়।

    মহা কালী: এই দেবীর (Kali Puja 2025) দশটি মাথার মতো দশটি হাত এবং দশটি পা থাকে। প্রতিমার সঙ্গে শিবের কোনও অস্তিত্ব নেই। দশ হাতেই রয়েছে অস্ত্র। দেবীর পায়ের তলায় অসুরের কাটা মুণ্ড থাকে। ভূত চতুর্দশীর দুপুরে এমনই দশমাথা মহা কালীর সাধনা করা হয়। তবে, গৃহস্থ বাড়িতে এই পুজো করা হয় না।

    কাম্যা কালী: বিশেষ প্রার্থনায় কালীর এই রূপ আরাধনা করা হয়। পুজোর নিয়মবিধি দক্ষিণা কালীর মতোই। সাধারণত, অষ্টমী, চতুর্দশী অমাবস্যা পূর্ণিমা ও সংক্রান্তির মতো তিথিতেই কাম্যা কালীর আরাধনা করা হয়।

    গুহ্যকালী: এই দেবীর গায়ের রং গাঢ় কালো। গলায় ৫০টি নরমুন্ডের হার এবং কানে শবদেহের আকারের অলঙ্কার থাকে। শাস্ত্রে কালীর এই রূপকে ভয়ঙ্করী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

    ভদ্রকালী: কালীর এই রূপ সাধারণত বারোয়ারি বিভিন্ন মন্দিরে পুজো করা হয়। ভদ্রকালী নামে ভদ্র শব্দটি ব্যবহার হয়েছে কল্যাণ অর্থে এবং কালী শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে জীবনের শেষ সময় বোঝাতে।

    চামুণ্ডা কালী: চামুণ্ডা হলেন আদিশক্তি। আবার তিনিই ভগবতী দুর্গা। চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে হত্যা করে তিনি ‘চামুণ্ডা’ নামে পরিচিত হন। পার্বতী, চণ্ডী, দুর্গা, চামুণ্ডা ও কালী এক ও অভিন্ন রূপ।

    শ্রী কালী: দেবী দুর্গা বা পার্বতীর একটি রূপ শ্রী কালী (Kali Puja 2025)। অনেকে মনে করেন এই রূপে দেবী দারুক নামে অসুরকে বধ করেছিলেন। পুরাণ অনুয়ায়ী, কালীর এই রূপ মহাদেবের কণ্ঠে প্রবেশ করে তাঁর কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হন এবং পরবর্তীকালে মহাদেব শিশু রূপে স্তন্যপান করে দেবীর শরীর থেকে বিষ গ্রহণ করেন।

    রক্ষাকালী: দক্ষিণা কালীর (Maa Kali) একটি রূপ হল রক্ষাকালী। কথিত, প্রাচীন কালে লোকালয়ের রক্ষার জন্য এই দেবীর পুজো করা হত। এই দেবীর বাহন সিংহ।

LinkedIn
Share