Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় লোকসভা আসনে ভোটার তালিকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ তুলেছিলেন যে, মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভুয়ো নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন যে, তালিকাভুক্ত ৮০ জন বাসিন্দা কখনও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেননি। তারা শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিক, এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ওই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গ্রাউন্ড জিরো তদন্তেই উঠে এসেছে এই রিপোর্ট। সেখানেই রাহুলের দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা জানিয়েছেন আবাসনের মালিক জয়রাম রেড্ডি।

    কী জানালেন জয়রাম রেড্ডি?

    প্রসঙ্গত, ওই বাড়ির মালিক জয়রাম রেড্ডিকে বিজেপির সমর্থক বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে জয়রাম রেড্ডি রাহুল গান্ধীর সেই দাবিকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে একজন কংগ্রেস সমর্থক এবং তাঁর বিজেপির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, যাঁরা এই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন, তাঁরা মূলত পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের উদ্দেশ্য ভোট দেওয়া নয়, বরং ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড তৈরি করানো (Bengaluru)।

    সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অসম্মানের অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা লোকসভার বিরোধী দলনেতার কাছে অভিযোগের বিষয়ে হলফনামা-সহ তথ্যপ্রমাণ চান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে রাহুল অসম্মান করতে চাইছেন বলে কমিশনের আধিকারিকেরা অভিযোগ করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, পরপর তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর রাহুল গান্ধী এখন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসলে ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো কোনও শক্তিশালী ইস্যু নেই। ফলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার পরিবর্তে রাহুল গান্ধী নির্বাচন প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চলেছেন।

  • Jammu And Kashmir: সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি’ সহ কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ২৫টি বই

    Jammu And Kashmir: সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি’ সহ কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ২৫টি বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রশাসনের অধীনে রয়েছেন। এই মন্ত্রক ২৫টি বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই বইগুলির মধ্যে একটি রয়েছে বামপন্থী লেখিকা অরুন্ধতী রায়-এর লেখা আজাদি (Anti India Propaganda)। এই বইগুলোর বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ উঠেছে ভারত-বিরোধী ন্যারেটিভ ছড়ানোর। অরুন্ধতী রায়ের একাধিক লেখা, বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে তিনি ভারতের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব ও সংহতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই কারণেই তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর লেখায় রয়েছে মিথ্যা তথ্য ও দেশদ্রোহিতার স্বরূপ। সরকার এই বইগুলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ করেছে। এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত কিছু সাহিত্যকর্মে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং তা বিচ্ছিন্নতাবাদকে উসকে দিচ্ছে। সরকারের হাতে আসা গোয়েন্দা তথ্য ও তদন্তের ভিত্তিতে এমন প্রমাণ মিলেছে, যেখানে দেখা গেছে— ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গের আড়ালে কিছু লেখনী মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যুবসমাজকে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদের পথে প্রলুব্ধ করছে। এইসব সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব ছড়ানো হচ্ছে বলেই মনে করছে সরকার।

    জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র সচিবের বিবৃতি

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বরাষ্ট্র সচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই বইগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আগে যথাযথ তদন্ত করা হয়েছে এবং বিশ্বস্ত সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এই বইগুলিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বইগুলির মধ্যে এমন বিষয় রয়েছে, যা বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহিত করছে এবং তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক (Anti India Propaganda)।

    হিংসা ও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা

    এই কারণেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫২, ১০০ এবং ৯৭ নম্বর ধারার আওতায় এগুলো অপরাধ হিসাবে গণ্য হচ্ছে। তাই এই বইগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পেছনে প্রতিটি বই সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। সেইসঙ্গে এই লেখকরা রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে মিথ্যার মোড়কে উপস্থাপন করেছেন, হিংসা ও সন্ত্রাসকে উসকানি দিয়েছেন, এমনকি ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। সরকারের বক্তব্য, এই বইগুলো পড়ে দেশের যুবসমাজ বিভ্রান্ত হতে পারে (Jammu And Kashmir), তারা সন্ত্রাসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, এমনকি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে।

    নিষিদ্ধ হওয়া কয়েকটি বইয়ের নাম (Jammu And Kashmir)

    উল্লেখযোগ্য যে, এই ২৫টি বইয়ের লেখকরা মূলত বামপন্থী চিন্তাধারার সমর্থক এবং অনেকেই ইসলামিক মৌলবাদী মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে কিছু বিদেশি লেখকও রয়েছেন।
    নিষিদ্ধ ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের তালিকা:

    অরুন্ধতী রায় – Azadi

    এ.জি. নূরানী – The Kashmir Dispute: 1947–2012

    সুমন্ত্র বোস – Kashmir at the Crossroads, Contested Lands

    ডেভিড দেবদাস – In Search of Future: The Kashmir Story

    অনুরাধা ভাসিন – The Untold Story of Kashmir After 370

    হাফসা খানজুয়াল – Closing Kashmir

    নিষিদ্ধ ইসলামিক মৌলবাদী লেখকদের বই

    মৌলানা আবুল আ’লা মওদুদী – Al-Jihad fil Islam

    হাসান আল বান্না – Mujahid ki Azan

    প্রসঙ্গত, অরুন্ধতী রায় একজন বামপন্থী লেখিকা। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে UAPA (Unlawful Activities Prevention Act)-এর আওতায় প্রসিকিউশন চলছে।

    ২০২৪ সাল থেকে অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে চলছে আইনি প্রক্রিয়া

    ২০২৪ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি.কে. সাকসেনা তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মূলত তাঁর বিতর্কিত বক্তব্য, দেশবিরোধী মন্তব্য এবং “আজাদি” নিয়ে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির একটি অডিটোরিয়ামে “Azadi: The Only Way” শিরোনামে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি বলেন— কাশ্মীর কখনও ভারতের অংশ ছিল না, ভারতীয় সেনা জোর করে তা দখল করে রেখেছে, এবং কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বাধীনতার পক্ষে তিনি জোরালো আওয়াজ তোলেন। এই বক্তব্যের রেকর্ডিং সামনে আসার পরই তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়।

  • Indian Army: অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার মেজর দ্বীপান্বিতা কলিতা, স্থান পেলেন ফেমিনা পত্রিকার প্রচ্ছদে

    Indian Army: অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার মেজর দ্বীপান্বিতা কলিতা, স্থান পেলেন ফেমিনা পত্রিকার প্রচ্ছদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেনাবাহিনীতে কাজ করা মহিলাদের জন্য আর শুধু স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব। ‘অপারেশন সিঁদুরে’-এও দেখা গিয়েছে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশিদের ভূমিকা। তাঁদের সঙ্গেই আরও অনেক সাহসী মহিলা অফিসার বর্তমানে দেশের জল, মাটি এবং আকাশকে সুরক্ষিত রাখছেন। এমনই একজন সাহসী সেনা অফিসার হলেন মেজর দীপান্বিতা কলিতা (Dwipannita Kalita), যিনি অসমের বাসিন্দা। তিনি হলেন প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার, যিনি লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ফেমিনা’র প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছেন, যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য ভারতীয় সেনার মহিলা অফিসারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে।

    ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই প্রচ্ছদ বানায় ওই পত্রিকা

    এই প্রচ্ছদটি তৈরি করা হয়েছে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০ জন সাহসী মহিলা সেনা অফিসার (Indian Army), যাঁরা প্রত্যেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্ব ও দেশের রক্ষাকর্তা। জানা যাচ্ছে, মেজর দীপান্বিতা কলিতা অসমের ডারং জেলার ধিকৈয়াজুলি শহরের বাসিন্দা। এটি গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিনি ছোট শহর থেকে বড় হয়েছেন, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল অনেক বড়।

    দীপান্বিতা কলিতা পেশায় চিকিৎসক (Indian Army)

    পেশাগত দিক থেকে দীপান্বিতা একজন চিকিৎসক। তিনি তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি ফিলিপিন্স থেকে অর্জন করেন। পরে ভারতে ফিরে এসে চিকিৎসা পেশায় যোগ দেন এবং দিল্লির একাধিক হাসপাতালে কাজ করে বহু রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তাঁর ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স-এর ভান্ডারও সমৃদ্ধ। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া। সেই স্বপ্নপূরণেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন ভারতীয় সেনার গর্বিত সদস্য। বর্তমানে তিনি সেনার এলিট প্যারা রেজিমেন্টে আর্মি মেডিক্যাল কোর-এর অফিসার। একটি সামরিক হাসপাতালে (Dwipannita Kalita) কর্মরত আছেন এবং দেশের জন্য সর্বদা নিজের সেরাটাই দিয়ে চলেছেন তিনি। দুর্গম পর্বত হোক বা গভীর জঙ্গল অথবা রূক্ষ্ম মরুভূমি– যে কোনও প্রতিকূল ভৌগলিক পরিবেশে চিকিৎসা চালাতে দক্ষ প্যারা রেজিমেন্টের চিকিৎসকরা। এই প্রচ্ছদে দীপান্বিতা কলিতা ছাড়াও আরও যাঁরা রয়েছেন (Indian Army), তাঁদের মধ্যে আছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। এবারের পত্রিকাটির থিম রাখা হয়েছে — In the Line of Duty.

  • Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভোট-চুরির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী অফিসাররা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ, আপিল বা প্রতিক্রিয়া পেশ করেনি নির্বাচনী তালিকা নিয়ে। তারা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, যদি তাঁর অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তিনি যেন আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেন এবং নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করেন। রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    রাহুলের অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের নৈশভোজে একইভাবে কমিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ৷ সেখানেও তিনি তথ্য তুলে ধরে জোট শরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কীভাবে ভোট চুরি করছে কমিশন ৷ এদিন রাহুল গান্ধীর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ভিডিয়োতেই তিনি আরও দাবি করেছেন, “বিহারে এসআইআর করা হয়েছে কারণ, কমিশন জানে যে আমরা তাদের চুরি ধরে ফেলেছি ৷” তাঁর দাবি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ ধরণের কারচুপির মাধ্যমে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০২৫০টি ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে, ভারতে এমন ১০০টিরও বেশি আসন রয়েছে, যা এখানে ঘটেছে তা সেই আসনগুলিতেও ঘটেছে ৷”

    একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস

    এ প্রসঙ্গে ৭ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক চিঠিতে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন অফিসার (Election Commission) সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস দল একটিও প্রথম স্তরের বা দ্বিতীয় স্তরের আপিল দায়ের করেনি। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দলটি কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভোট নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আদালতের মাধ্যমে তোলা উচিত, সাংবাদিক সম্মেলনে নয়। হলফনামা দিয়ে নির্দিষ্ট ‘অযোগ্য’ ভোটারদের নাম দিতে বলা হয়েছে রাহুলকে।

    কোনো অভিযোগই জমা পড়েনি

    কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল এবং কংগ্রেসকে সরবরাহ করা হয়েছিল। অথচ দলটির তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা পড়েনি। তাই ‘ভোট চুরি’ নিয়ে প্রকাশ্যে দেওয়া মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আইনি ভাষায় মনে করিয়ে দেন—যদি তিনি তাঁর অভিযোগে অটল থাকেন, তবে ১৯৬০ সালের নির্বাচক নিবন্ধন বিধিমালার ২০(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    পুরোপুরি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, প্রমাণ নেই

    মহারাষ্ট্রের নির্বাচন দফতরও একইভাবে জানিয়েছে—ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া ছিল স্বচ্ছ এবং কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ বা আপত্তি জানায়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যেন নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম, অংশ নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে শপথনামা জমা দেন। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধী এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।” রিজিজুর প্রশ্ন, “ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। এই কংগ্রেসই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় লোকসভায় জেতার পর কমিশনকে বাহবা দিত। বিধানসভায় হারতেই কমিশনের দোষ। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

    আইনি সঙ্কটে রাহুল গান্ধী

    তিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসাররা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে যে হলফনামা ফর্ম পাঠিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—মিথ্যা তথ্য দিলে ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন (Section 31) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির (Bharatiya Nyaya Sanhita) ধারা ২২৭ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে হয় তিনি নির্দিষ্ট প্রমাণ-সহ হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করবেন, নয়তো স্বীকার করতে হবে যে তাঁর বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। ফলে এখন উভয় সঙ্কটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

     

     

     

     

  • NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসি (NRC) নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এমন দাবি করতে শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসি নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালিদের মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এর পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (NRC)

    গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “হঠাৎ উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন, আমি এনআরসি মানব না। কে এনআরসি-র নির্দেশ দিয়েছে? বিগত পাঁচ বছরে উনি এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। হঠাৎ তিনি এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাঙালিদের মধ্যে ভয় তৈরি করা এবং তাদের ভোট আদায় করার কৌশল এটা। গত ৫ বছরে এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। এখন নির্বাচন আসছে, তাই উনি এইসব কথা বলতে শুরু করেছেন।”

    এসআইআরের বিরোধিতা কেন করছেন মমতা?

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন এবং অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক বাদ দেওয়ার যে প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, তাকেই এনআরসি বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এসআইআর তো নতুন কিছু নয়, আগেও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। এভাবে ভোটার তালিকায় থাকা অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে বাধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কাদের সুরক্ষিত করতে চাইছেন — সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে (NRC)।অনেকের মতে, অবৈধ ভোটব্যাঙ্কই (NRC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে জেতার বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তাই তিনি এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিক সভায় বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

  • Bangladesh: মৌলবাদী হামলার শিকার হওয়া হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণ দিতে দিল না বাংলাদেশের সেনা

    Bangladesh: মৌলবাদী হামলার শিকার হওয়া হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণ দিতে দিল না বাংলাদেশের সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অজুহাতে মৌলবাদীরা ১৫টিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং আনসারের আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ বন্ধ করে দেয়।

    হিন্দু সংগঠনকে ত্রাণ বিলি করতে বাধা দেয় বাংলাদেশের সেনা বাহিনী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ৪ অগাস্ট, হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট-এর সদস্যরা গঙ্গাচড়া উপজেলায় নির্যাতিত হিন্দুদের পরিবারে সাহায্য করতে যান। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময় বাংলাদেশের (Bangladesh Army) সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা ওই হিন্দু সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাহায্য করার জন্য হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, তারা হিন্দু গুরুদেরও অপমান করে বলে অভিযোগ (Bangladesh)।

    ত্রাণ দিতে যাওয়া দলে কারা ছিলেন

    এই দলে ছিলেন হিন্দু সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ কুমার হালদার এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখরা। তাঁরা চাল, সরিষার তেল, সাবান, শ্যাম্পু, পোশাকসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নির্যাতিত হিন্দু পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে কোনোভাবেই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু, সেনাবাহিনী এবং আনসারের সদস্যরা তাঁদের হুমকিও দিয়েছে। এর ফলে সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কোনও কর্মসূচি চালানো যাবে না (Bangladesh)।

    প্রশাসনের অনুমতি কি শুধু হিন্দুদের জন্য, এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, এই একই প্রশাসন মৌলবাদীদের আক্রমণ থেকে নিরীহ হিন্দু গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ, যখন কেউ সেই নিরীহ হিন্দুদের সাহায্য করতে চায়, তখন তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে — “প্রশাসনের অনুমতি কি শুধু হিন্দুদের জন্য?” এই প্রেক্ষাপটে বলা দরকার, মৌলবাদীরা যেভাবে হিন্দুদের ঘরবাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের জীবিকা বন্ধ করে দিয়েছে, তার পরেও এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলো কোনও সরকারি ক্ষতিপূরণ পায়নি (Bangladesh)।

  • India Pauses Boeing Jet Deal: ট্রাম্পের শুল্কের পাল্টা ভারতের, বোয়িংয়ের সঙ্গে ৩১৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্থগিত

    India Pauses Boeing Jet Deal: ট্রাম্পের শুল্কের পাল্টা ভারতের, বোয়িংয়ের সঙ্গে ৩১৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘প্রত্যাঘাত’ করল ভারত। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ৩১,৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্থগিত করল নয়াদিল্লি।

    মার্কিন শুল্কের জবাব ভারতের

    রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘সাজা’ হিসাবে ভারতের উপর শুল্কের উপর শুল্ক চাপিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৭ আগস্ট আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। এর ফলে আমেরিকায় পণ্য রফতানি করতে গেলে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। ট্রাম্পের এই শুল্ক-যুদ্ধের আবহে এতদিন কোনও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ভারত। পরখ করছিল পরিস্থিতি। এবার, সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। নিল বড় পদক্ষেপ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্কবাণের জবাবে এবার আমেরিকাকে বড় ধাক্কা দিল ভারত। জানা যাচ্ছে, নৌসেনার জন্য আমেরিকার কাছ থেকে বোয়িং নির্মিত ৬টি পি-৮আই পোসাইডন সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করেছিল ভারত। এখন সেই চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।

    চুক্তি করতে ঢিলেমি আমেরিকার

    বর্তমানে ভারতের কাছে ১২টি বোয়িং পি-৮আই পোসাইডন বিমান রয়েছে। ২০০৯ সালে সেগুলি বোয়িং থেকে কিনেছিল ভারত। সেই সময় এই বিমানগুলির প্রথম ক্রেতা হয়ে উঠেছিল ভারত। এই বিমানগুলি সমুদ্রে নজরদারির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিমানগুলি অত্যন্ত আধুনিক এবং উন্নত। শত্রু দেশের উপর নজর রাখার জন্য এই বিমানগুলি অত্যন্ত জরুরি। ফলত, ২০২১ সালে অতিরিক্ত ৬টি বিমান কেনার চুক্তি করা হয়। সেই সময় চুক্তির অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু, আমেরিকা ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করে।

    ফ্রান্স থেকে কেনার প্রস্তুতি

    অতঃপর, গত জুলাই মাসে বোয়িংয়ের সঙ্গে নতুন করে প্রায় ৩১,৫০০ কোটি টাকার চুক্তিটি করে ভারত। এখন ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধের আবহে এই চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হয় ভারত। এখন এই চুক্তি যদি পুরোপুরি বাতিল হয়, তাহলে তা হবে বোয়িং-এর কাছে তা হবে বড়সড় ধাক্কা। বিপুল আর্থিক ক্ষতি পূরণ করা তাদের পক্ষে সহজ হবে না। কারণ, বিমান তৈরিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে সংস্থাটি। এদিকে, সূত্রের খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ফ্রান্স থেকে বিকল্প যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।

    ঝুকেগা নেহি ভারত…

    বিশ্লেষকদের মতে, ৩১,৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করে ভারত শুধু আমেরিকাকে নয়, গোটা বিশ্বকে একটি কড়া বার্তা দিল যে তারা আন্তর্জাতিক চাপে মাথা নত করবে না। গতকালই, ভারত জানিয়েছে, কোনও দেশের স্বাধীনভাবে বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। অন্য কোনও রাষ্ট্রের হুমকির ফলে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টানো অনুচিত। একইসঙ্গে, তারা আবারও রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করল। রাশিয়াও ভারতের এই অবস্থানে সমর্থন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন দেশকে হুমকি দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করছেন। এটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী।

  • NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের যেন ভারতের সামরিক বাহিনীর গৌরব সম্পর্কে ধারণা হয়, এ নিয়েই উদ্যোগ নিল মোদি সরকার (NCERT Textbooks)। বৃহস্পতিবারই তারা ঘোষণা করেছে যে, এবার সামরিক বাহিনীর বীরদেরও পড়ানো হবে স্কুলে এবং তাদের জন্য আলাদা অধ্যায়ও থাকবে বইয়ে। এর মধ্যে রয়েছেন — ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ, ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ওসমান, এবং মেজর সোমনাথ শর্মা।

    কোন কোন ক্লাসে পড়ানো হবে এই তিন বীরের জীবনী

    ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষেই এনসিআরটি-র বইগুলোতে (NCERT Textbooks) এই ভারতীয় বীরদের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন অধ্যায় থাকবে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে, অষ্টম শ্রেণির উর্দু বইয়ে এবং সপ্তম শ্রেণির উর্দু বইতেও। এর উদ্দেশ্য হল, যাতে স্কুলপড়ুয়ারা ভারতীয় বীরদের দায়িত্ববোধ, কর্তব্য, সাহস ও উদ্যম সম্পর্কে প্রেরণা পায়। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India war Heroes)।

    তিন সামরিক বীরের কথা পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হবে, তাঁদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ

    যিনি পরিচিত ছিলেন “শ্যাম বাহাদুর” নামে। তিনি ছিলেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রথম অফিসার, যিনি ফিল্ড মার্শাল হিসেবে ফাইভ-স্টার র‍্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। ১৯১৪ সালে অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন মানেকশ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭–৪৮ সালের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধ, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ— সবেতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ব্রিগেডিয়ার মহাম্মদ ওসমান (India war Heroes)

    তাঁকে বলা হয় “লায়ন অফ নওশেরা”। ১৯১২ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ওসমান ছিলেন ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে অন্যতম সামরিক অফিসার, যিনি দেশভাগের সময় পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করেন এবং দেশেই থেকে যান। ১৯৪৭–৪৮ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তাঁর অসামান্য সাহস ও নেতৃত্ব সামনে আসে (NCERT Textbooks)। ১৯৪৮ সালের ৩ জুলাই তিনি শহিদ হন।

    মেজর সোমনাথ শর্মা (NCERT Textbooks)

    তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম সামরিক অফিসার, যিনি প্রথম পরম বীর চক্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।

  • SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের ২৪টি জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্যের প্রায় ৫ শতাংশ জেলায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাবে এই তালিকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সবিস্তারে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যের সিইও দফতর।

    এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট

    ভোটার লিস্ট সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এসইও-র দফতর রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট একত্রিত করে তা সবিস্তার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এসআইআর হলে রাজ্যের সিইও-র দফতর যে এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই প্রস্তুত রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে আর কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার থাকবে না। ওই সূত্র জানাচ্ছে, সেই নীতিনির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

    প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা

    সিইও দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা হবে সম্পূর্ণ সুসংগঠিত। সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি ফর্ম পূরণ করা হবে এবং তা যাচাই করা হবে। তবে ২০০২ সালের প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনকি, যাদের অভিভাবকদের নাম সেই তালিকায় আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। তবে, যারা নতুন ভোটার, অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন অথবা ২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম নেই, তাঁদের পৃথক ফর্ম ও নথি জমা দিতে হবে। অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপি

    অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকও হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতিই থাকতে দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্তাদের উদ্দেশে মমতা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। মমতার বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি।

  • India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে অতিষ্ঠ ভারত-ব্রাজিল (India Brazil Relation)। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার। সূত্রের খবর, আসন্ন ব্রিকস ফোরামে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে একটি যৌথ ও সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষ্যেই এই ফোনালাপ (PM Modi talk with President Lula)। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    কেন কথা দুই দেশের

    এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যে দেশের উপরে শুল্ক বা ট্যারিফ বসিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ট্য়ারিফ ভারত ও ব্রাজিলের (India Brazil Relation) উপরেই। ভারতের উপরে যেমন তাঁর রাগ রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য, তেমনই আবার ব্রাজিলে স্রেফ পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জয়েস বলসেনারোকে ফিরিয়ে আনতে শুল্কের খাঁড়া বসিয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছিলেন, ফোন করতে হলে তিনি ট্রাম্পকে নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করবেন। যেমন বলা তেমন কাজ। গতকালই তিনি মোদিকে ফোন করেন এবং এক ঘণ্টা কথা বলেন। এদিন দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত-ব্রাজিল পারস্পারিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    আলোচনা ফলপ্রসূ বললেন মোদি

    সমাজমাধ্যমে মোদি জানিয়েছেন, এর আগে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ব্রিকস সম্মেলনে দেখা হয়েছিল। তার পরে ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’ নিয়ে ফোনালাপে ‘ভাল আলোচনা’ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানি, বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রাজিল দুই দেশ কৌশলগত ভাবে পরস্পরকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। মোদীর দাবি, এর ফলে দক্ষিণের দেশগুলিও উপকৃত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোদীর কাছে প্রথম ফোন এসেছিল ব্রাজিলের তরফেই। জানা গিয়েছে, কৃষিক্ষেত্রেও দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও বৈঠকে উঠে আসে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ও।

    ভারতে আসবেন লুলা

    সমাজমাধ্যমে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘এক তরফা শুল্ক আরোপ’-এর পরে ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত ও ব্রাজিল দু’টি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বৃহত্তম সংহতি ‘অন্বেষণ’-এ জোর দিচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ব্রিকসের একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া তৈরির লক্ষ্যে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন লুলা। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয়ে ব্রাজিলের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং এই ধরনের শুল্ককে “অস্থিতিশীল” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দাবি আগামী বছরের শুরুর দিকেই তিনি সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ভারতে আসবেন। লক্ষ্য হবে মূলত বাণিজ্য। উপস্থিত থাকবেন সে দেশের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরাও। আলোচনা হতে পারে খনিজ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। লুলার আরও দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

LinkedIn
Share