Tag: Madhyom

Madhyom

  • Sheikh Hasina: হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, মুজিব-কন্যাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য ভারত?

    Sheikh Hasina: হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, মুজিব-কন্যাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশের (Bangladesh) পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফাঁসির সাজা দিয়েছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। হিংসায় উসকানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা – এই তিন অভিযোগে হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, হাসিনাকে দেশে ফেরাতে চেয়ে ভারতের কাছে ফের চিঠি দেবেন তাঁরা। তবে ভারত তাঁকে আদৌ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি (Sheikh Hasina)

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। সেই চুক্তি মোতাবেক, আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অন্য দেশের হাতে তুলে দেবে। ২০১৩ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রে তখন মনমোহন সিংয়ের নেতৃ্ত্বাধীন ইউপিএ সরকার, ঢাকার মসনদে হাসিনা স্বয়ং। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যে অপরাধের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ করা হবে, তা দুই দেশেই শাস্তিযোগ্য হতে হবে। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সহজতর করতে চুক্তি সংশোধন করা হয় ২০১৬ সালে। সংশোধিত চুক্তিতে বলা হয়, কারও নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই তাঁকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। সংশোধিত এই চুক্তি অনুসারেই হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার আর্জি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    চুক্তির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক

    ওই চুক্তিতে স্পষ্টভাবে (Bangladesh) বলা হয়েছে, অপরাধটির যদি রাজনৈতিক চরিত্র থাকে, তাহলে প্রত্যর্পণ করা হবে না। খুন, গুম করা ও অত্যাচার রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় রাখা হবে না বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। ওই চুক্তির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিচারের নেপথ্যে যদি সৎ কোনও উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে ভারত বা বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না। হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করার জন্য এই যুক্তিগুলি খাড়া করতে পারে ভারত। হাসিনা নিজেও বারংবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ তুলেছেন বিচারের নামে প্রহসনেরও।

    ভারতকে চিঠি ইউনূসের

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে (Sheikh Hasina) ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মহম্মদ ইউনূস সরকারের ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের একটি চিঠি পেয়েছেন তাঁরা (Bangladesh)। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনই করা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগে ওই চিঠির বৈধতা যাচাই করতে চায় নয়াদিল্লি। কোনও দেশের অন্তর্বর্তী সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি শর্তের জন্যই ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্যজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয়। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি থাকলেও, সেখানে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যার জন্য নয়াদিল্লি সেটি মানতে বাধ্য নয়।” প্রত্যর্পণ চুক্তির ওই শর্তের জেরে হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণে ভারত বাধ্য নয় বলেই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়িও। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে চুক্তি রয়েছে ঠিকই (Sheikh Hasina)। তবে সোমবারের ওই রায়ের পর বাংলাদেশে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে হাসিনার। তাই ওই চুক্তিতে থাকা নিয়ম অনুসারেই ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয় (Bangladesh)।”

    কী বলছেন আইনজীবী

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “হাসিনা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু দেশে না থাকার জন্য হাসিনাকে যদি তা করতে বাধা দেওয়া হয়, তবে তা হবে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।” ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হলেও, ভারত তা মানতে বাধ্য নয় বলেও জানান তিনি। বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী যদি কোনও দেশে কারও জীবনের ঝুঁকি থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া দেশ তাঁকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। হাসিনার ক্ষেত্রেও এই আইনের কথা তুলে ধরতে পারে ভারত (Sheikh Hasina)।”

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই রায় সরাসরি সম্প্রচারিতও হয়েছে। হাসিনার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। রাজসাক্ষী হওয়ায় শাস্তি ছোট করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আল মামুনের। কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এক, উসকানি দেওয়া, দুই হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। ঢাকা আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হাসিনা। সোমবার রায় ঘোষণার পরেই তিনি আদালতের এই রায়কে কারচুপিপূর্ণ, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা এবং গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটহীন, অনির্বাচিত সরকারের সৃষ্টি বলে অভিহিত করেন।

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি (Sheikh Hasina)

    রায় ঘোষণার পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সেজন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর দাবি, এই রায় দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তাও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইব্যুনাল সেই রায় দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে হাসিনা বলেন, “এই রায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফল মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিকভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে (Bangladesh)।”

    অভিযোগ অস্বীকার

    হাসিনা লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইব্যুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-অগাস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেজন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনওই কোনও আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আমাকে নিজের পছন্দ মতো আইনজীবীও বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতদুষ্ট।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হাতিয়ার করেছে দেশের বিচার বিভাগকে। এভাবে তারা একজোট হয়েছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে। বিশ্বের কোনও প্রকৃত পেশাদার আইনজীবী বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের এই রায় সমর্থন করবেন না।”

    ইউনূসের আমল

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরও বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী একটি শাসন ব্যবস্থায় পরিণ হয়েছে, যেখানে পদে পদে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতের দমনপীড়ন চলছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য এতদিন ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে দেরি করেছেন ইউনূস। নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন আওয়ামি লিগকে।” বিবৃতিতে হাসিনা লিখেছেন, “বৈধ ট্রাইব্যুনালে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না। তবে আমি জানি, অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ মানবে না। কারণ তারা জানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা গেলে তারা আমায় অব্যাহতি দেবে (Bangladesh)।”

    এই আদালত অবৈধ

    বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত এবং থানায় এখনও পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৮৬টি মামলা দায়ের হয়েছে (Sheikh Hasina)। ৩৯৭ দিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে ওই মামলায়। ট্রাইব্যুনালের রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবীর নানক বলেন, “এই আদালত অবৈধ। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে। আগামিকাল সারা বাংলাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শাটডাউন হবে। যতক্ষণ না অবৈধ ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে, আমাদের সংগ্রাম ততই তীব্র হবে। একদিন হাসিনা বীরের বেশে বাংলার জনগণের প্রিয় দল হিসেবে ফিরবেন। আমাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।”

    প্রতিক্রিয়া হাসিনা পুত্রের

    ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদও। তিনি থাকেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে। তিনি বলেন, “আমার মা ভারতে নিরাপদ আছেন। ভারত তাঁকে পুরো নিরাপত্তা দিচ্ছে।” ওয়াজেদ বলেন, “আমরা আওয়ামি লিগ ছাড়া নির্বাচন হতে দেব না। আমাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে, আরও বিস্তৃত হবে এবং আমরা যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সংস্থা কিছু না করলে, নির্বাচনের আগে হিংসা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অনিবার্য হয়ে উঠবে মুখোমুখি সংঘর্ষ।‘’ তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “দলীয় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আরও আন্দোলন হবে।” যদিও সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই (Bangladesh)।

  • IPL Auction 2026: রাসেলকে ছাড়ল কেকেআর! আইপিএল নিলামের আগে কোন কোন দল কাকে-কাকে রাখল?

    IPL Auction 2026: রাসেলকে ছাড়ল কেকেআর! আইপিএল নিলামের আগে কোন কোন দল কাকে-কাকে রাখল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১১ বছরের সম্পর্কে ছেদ। আন্দ্রে রাসেলকে ছেড়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ১০টি দল সব মিলিয়ে ৮২ জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল। তার মধ্যে ৭৪ জনের দল থাকল না ২০২৬ সালের আইপিএলের আগে। তাঁদের আবার নিলামে নামতে হবে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, ফ্যাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রাচিন রবীন্দ্র, রবি বিষ্ণোইয়ের মতো ক্রিকেটার। কেকেআর ছেড়ে দিয়েছে ৯ জন ক্রিকেটারকে। তাঁরা হলেন আন্দ্রে রাসেল, বেঙ্কটেশ আয়ার, কুইন্টন ডি কক, মইন আলি, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, স্পেন্সার জনসন, চেতন সাকারিয়া, লাভনিথ সিসোদিয়া এবং অনরিখ নোখিয়া। এ ছাড়া ময়াঙ্ক মার্কন্ডকে বিক্রি করা হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। ফলে আগামী আইপিএলের আগে ৯ জনেরই কোনও দল থাকল না।

    রাসেলকে কেন ছাড়ল কেকেআর

    হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। আগামী মাসেই ২০২৬ আইপিএল (IPL 2026) টুর্নামেন্টের নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে এই নিলাম অনুষ্ঠানের আগে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে রিটেনশন তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, কোন কোন ক্রিকেটারকে তারা ধরে রাখতে চায়। আর কাদেরই বা দিতে চায় ছেড়ে! এই পূর্ণাঙ্গ তালিকা হাতে থাকলে নিলাম অনুষ্ঠানও সুষ্ঠভাবে আয়োজন করা সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা দেখে সমর্থকদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে। আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৩.৭৫ কোটি), কুইন্টন ডি কক (৩.৬ কোটি), মঈন আলি (২ কোটি) এবং অনরিখ নোর্খিয়া (৬.৫ কোটি)।তবে এই তালিকায় যে নামটা সবাইকে হতবাক করেছে, তিনি হলেন আন্দ্রে রাসেল। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। গত বছর মেগা অকশনের ঠিক আগে ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁকে রিটেনও করেছিল নাইট ব্রিগেড। কিন্তু, গত আইপিএল মরশুমে রাসেল প্রত্যাশা অনুসারে পারফরম্য়ান্স করতে পারেননি। সেকারণে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে শেষপর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    কেকেআর-এর নতুন বোলিং কোচ

    ২০২৬ সালের আগে পুরো কোচিং স্টাফ বদলে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রধান কোচ, সহকারি কোচের পর এ বার নতুন বোলিং কোচের নাম ঘোষণা করল। KKR-এর প্রাক্তন তারকা ও কিউয়ি কিংবদন্তি টিম সাউদিকে বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করল। গত বার কেকেআর আইপিএল-এ সপ্তম স্থানে শেষ করে। এর নেপথ্যে ছিল খারাপ বোলিং। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের বছরেই এই ছবির পর দলে আমূল বদল আনা হয়। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, ভরত অরুণ সরে দাঁড়ান। মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো অবশ্য দায়িত্বে রয়েছেন। অভিষেক নায়ারকে প্রথমে কোচ হিসেবে আনা হয়। এর পর সহকারি কোচ হন শেন ওয়াটসন আর এবার বোলিং কোচ করা হলো টিম সাউদিকে।

    কে কাকে ছাড়ল

    চেন্নাই সুপার কিংস: সিএসকে ছেড়ে দিয়েছে ১২ জনকে। রবীন্দ্র জাডেজা এবং সাম কারেনকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। বাকি ১০ জনের দল থাকল না। তাঁরা হলেন রাহুল ত্রিপাঠি, বংশ বেদি, আন্দ্রে সিদ্ধার্থ, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, বিজয় শঙ্কর, দীপক হুডা, শেখ রশিদ, কমলেশ নাগরকোটি, মাথিশা পাতিরানা।

    মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: এমআই ছেড়ে দিয়েছে ন’জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে অর্জুন তেন্ডুলকরকে বিক্রি করা হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। দল থাকল না মুম্বইয়ের আট ক্রিকেটারের। তাঁরা হলেন সত্যনারায়ণ রাজু, রিসি টোপলে, কেএল শ্রীজিৎ, কর্ম শর্মা, বেভন জ্যাকবস, মুজির উর রহমান, লিজ়াড উইলিয়ামস এবং ভিগনেশ পুথুর।

    রাজস্থান রয়্যালস: রাজস্থান ছেড়ে দিয়েছে ন’জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে সঞ্জু স্যামসনকে বিক্রি করা হয়েছে চেন্নাইয়ের কাছে। নীতীশ রানাকে বিক্রি করা হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। এ ছাড়া হয়েছে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, মাহিশ থিকশানা, ফজ়লহক ফারুকি, আকাশ মাধওয়াল, অশোক শর্মা, কুনাল রাঠোর এবং কুমার কার্তিকেয়। দল থাকল না সাত ক্রিকেটারের।

    পাঞ্জাব কিংস: পাঞ্জাব ছেড়ে দিয়েছে পাঁচ ক্রিকেটারকে। কাউকেই কোনও দলের কাছে বিক্রি করা হয়নি। ফলে পাঁচ জনেরই দল থাকল না ২০২৬ আইপিএলের আগে। তাঁরা হলেন জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন হার্ডি, কুলদীপ সেন, প্রবীণ দুবে।

    রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: আরসিবি ছেড়ে দিয়েছে আট জনকে। কাউকেই বিক্রি করা হয়নি। ফলে কারও দল থাকল না। গত বারের চ্যাম্পিয়ন দল থেকে বাদ পড়লেন স্বস্তিক চিকারা, ময়ঙ্ক আগরওয়াল, টিম সেইফার্ট, লিয়াম লিভিংস্টোন, মনোজ ভানদাগে, লুঙ্গি এনগিডি, ব্লেসিং মুজ়ারাবানি এবং মোহিত রাঠি।

    সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ: হায়দ্রাবাদ ছেড়ে দিয়েছে আট জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে মহম্মদ শামিকে বিক্রি করা হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। দল থাকল না সাত জনের। তাঁরা হলেন অভিনব মনোহর, অথর্ব তাইদে, সচিন বেবি, উইয়ান মুলডার, সিমরজিৎ সিংহ, রাহুল চাহার এবং অ্যাডাম জ়াম্পা।

    দিল্লি ক্যাপিটালস: দিল্লি ছেড়ে দিয়েছে সাত জন ক্রিকেটারকে। কাউকেই বিক্রি করা হয়নি। ফলে কারও দল থাক না ২০২৬ সালের আইপিএলে। নিলামে নাম লেখাতে হবে ফ্যাফ ডুপ্লেসি, জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, ডনোভান ফেরেরা, সেদিকুল্লাহ অটল, মন্বন্ত কুমার, মোহিত শর্মা এবং দর্শন নালকান্দে।

    গুজরাট টাইটান্স: শুভমন গিলের ছ’জন সতীর্থকে ছেড়ে দিয়েছেন গুজরাত কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে শেরফান রাদারফোর্ডকে বিক্রি করা হয়েছে মুম্বইয়ের কাছে। ফলে দল থাকছে না পাঁচ ক্রিকেটারের। তাঁরা হলেন মাহিপাল লোমরোর, করিম জনত, দাসুন শনাকা, জেরাল্ড কোয়েৎজে এবং কুলওয়ান্ত খেজরোলিয়া।

    লখনউ সুপার জায়ান্টস: কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল ছেড়ে দিল ডেভিড মিলার-সহ আট ক্রিকেটারকে। শার্দূল ঠাকুরকে বিক্রি করা হয়েছে মুম্বইয়ের কাছে। সব মিলিয়ে এলএসজির সাত ক্রিকেটারের দল থাকল না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার আকাশ দীপও। এ ছাড়া রয়েছেন রবি বিশ্নোই, আরিয়ান জুয়াল, যুবরাজ চৌধুরী, রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারকর এবং শামার জোসেফ।

  • SSC Scam: তালিকায় অযোগ্যরা? ফল বেরোতেই ফের এসএসসি নিয়ে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

    SSC Scam: তালিকায় অযোগ্যরা? ফল বেরোতেই ফের এসএসসি নিয়ে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে বসেই তোলাবাজি করছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে অডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর অভিযোগ, এখনও চাকরির জন্য টাকা তুলছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। অবিলম্বে এই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করুক ইডি। অপরাধী প্রমাণিত হলে নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা রাজ্য থেকে সরানো হোক। ইডির কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সম্প্রতি এসএসসি ২০২৫-এর একাদশ-দ্বাদশের ফল প্রকাশ হয়েছে। তবে তা নিয়েও এক গুচ্ছ বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয়েছে।

    জেলে বসেই চাকরি বিক্রি করছেন জীবনকৃষ্ণ 

    জেলে বসেই চাকরি বিক্রি করছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মোবাইল ফোনের স্ক্রিনশট ও অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এটাই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সততার প্রতীক’? প্রশ্ন তুলে কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য ইডি-র কাছে আর্জি জানিয়েছন তিনি। শুভেন্দু বলেন, এক্সামের রেজাল্টেও যেভাবে প্রভাব খাটিয়েছেন, জেলে উনি ফোন ব্যবহার করছেন। জেলে গিয়ে কিছু হবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো চোরেরা, জীবনকৃষ্ণ সাহাদের মতো চোরেদের ইডি ধরে পাঁচ দিন, দশ দিন পিসি-তে রাখছে, তারপর তো জেলে পাঠাতে হচ্ছে। জেলে তো ফাইভ স্টার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর পর ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বর বলে দাবি করে, একাধিক অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে, শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, ইডি-কে অনুরোধ করছি, এই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখুন এবং দোষী প্রমাণিত হলে, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলাগুলি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরানোর চেষ্টা করুন।

    নতুন তালিকাতেও অযোগ্যদের নাম 

    শনিবর রাতেই, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য, কল ফর ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকা ঘিরেও নতুন করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ভয়ঙ্কর অভিযোগ, এবারেও তালিকাতে অনেক অযোগ্যের নাম রয়েছে। এখন প্রশ্ন আবারও, কীভাবে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারলেন? সুপ্রিম কোর্ট যেখানে আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, অযোগ্যদের সবার আগে বাদ দিতে হবে, তাঁরা যেন কোনওভাবেই পরীক্ষায় না বসতে পারেন। সেখানে মামলাকারীর বক্তব্য, একাদশ দ্বাদশের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন অযোগ্যের নাম তালিকায়। এমনকি তাঁদের কয়েকজন ইন্টারভিউতেও ডাক পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের নামেক তালিকায় নাম রয়েছে ক্লার্কদেরও। এই নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মামলা গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

    আদালতমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত

    কাট অফ’ যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি, সেখানেই থমকে নতুনরা। পূর্ণ নম্বর ৬০ পেয়েও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থী ডাক পেয়েছেন। আবার ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের আন্দোলনের প্রথম সারির নেতৃত্বের অনেকেই ডাক পেলেন না। তবে এখনই আন্দোলন বা আদালতমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তাঁরা। তবে এহেন পরিস্থিতিতে রবিবারই একটি চাঞ্চল্যকর নাম প্রকাশ্যে আসে। নীতীশ রঞ্জন প্রামাণিক! তাঁর নাম রয়েছে অযোগ্যদের তালিকায়। কিন্তু তাঁর নাম রয়েছে একাদশ দ্বাদশের পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাতেও। ইন্টারভিউয়ের জন্যও ডাক পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ চিহ্নিত অযোগ্যই ডাকা পেয়েছেন ইন্টারভিউয়ের জন্য। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই SSC-র নতুন ফল নিয়ে নতুন বিতর্ক তুঙ্গে। ধীরে ধীরে আরও অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।

    বিশেষভাবে সক্ষম, তাই আবেদন

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। এরপর চিহ্নিত অযোগ্যদের কেউ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার জন্য আবেদন জানালেও তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিহারারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। নীতীশের পরিবার দাবি করছে, বিশেষভাবে সক্ষম, তাই আবেদন করতে পেরেছেন । কিন্তু যাঁদের নাম ‘দাগীদের’ তালিকায়, তাঁরা আদৌ পরীক্ষায় বসতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্ট বলা ছিল না সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকপিতে। এবার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই নতুন করে মামলা হল হাইকোর্টে।

     বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা গ্রহণ করেন

    সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ এক পার্টটাইম শিক্ষক। মামলাকারীর দাবি, অভিজ্ঞতার জন্য কোনো নম্বর পাবেন না পার্টটাইম শিক্ষকরা বলে জানায় এসএসসি। যদিও তার অনেক সহকর্মী অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নাম ইন্টারভিউ তালিকায় থাকার কথা নয়। তবে তা সত্ত্বেও তালিকায় রয়েছেন বহু ‘অযোগ্য’। ফিরদৌস শামিম বলেন, “ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুবিধা পেয়েছেন ‘অযোগ্য’রা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু ইন্টারভিউ তালিকায় বহু ‘অযোগ্য’র নাম রয়েছে। এটা অসম্ভব বিষয়।” বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা গ্রহণ করেন। আগামী বুধবার মামলা শুনানি সম্ভাবনা।

  • SIR: গর্তে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড! স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে ভিড় অনুপ্রবেশকারীদের

    SIR: গর্তে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড! স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে ভিড় অনুপ্রবেশকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ইলেকশন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে নেমেছে৷ দামি ব্লিচিং পাউডার ও ফিনাইল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আর গর্তে দেওয়া হচ্ছে কার্বলিক অ্যাসিড৷ ফলে যেমন সাপ বেরোয়, তেমন এরা রাস্তায় বের হচ্ছে৷” সপ্তাহখানেক আগে ঠিক এই ভাষায়ই এসআইআরের (SIR) প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করা মিছিলকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের (Bangladesh) বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

    কাগজ নেই, কবুল করলেন অনুপ্রবেশকারীরা (SIR)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা যে নেহাত অমূলক নয়, সেটা মালুম হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়। এই যেমন হাকিমপুর চেকপোস্ট। এখানে লোটা-কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। কারণ মাথায় বোঁচকা, কেউ আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন বড় বড় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে। মাথায়-হাতে-কাঁধে থাকা ব্যাগে ভর্তি গেরস্থালির জিনিসপত্র। সেই সব বোঝা নিয়েই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, কখন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছবেন তাঁরা, সেই অপেক্ষায়। সীমান্তে অপেক্ষারত এই অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, এসআইআরের ভয়ে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এঁদের অনেকেই কবুল করলেন, কোনও কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। রুটি-রুজির জন্যই স্বদেশ ছেড়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পড়শি দেশে ঠাঁই নিয়েছিলেন। সেখানেও এসআইআর শুরু হওয়ায় ভয়ে ফের প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশে ফিরতে প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন তাঁরা।

    এসআইআর জুজু!

    দেশজুড়ে চালু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। এসআইআরের মাধ্যমে ভোটার লিস্ট ঝাড়াই-বাছাই করার পর হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। বস্তুত, বিহারেই প্রথম শুরু হয় এসআইআর। এই এসআইআর চালু হতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বিড়াল। বাদ গিয়েছে বহু ভুয়ো এবং মৃত ভোটারের নাম। বিহারের পর এসআইআর চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে। তার পরেই দলে দলে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীরা। হাকিমপুর চেকপোস্টেই সীমান্ত পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন ৩০০-এরও বেশি অনুপ্রবেশকারী। তাঁদের আটকেছেন ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের কাছে কী কী বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। নিজের দেশেই যে এত অনুপ্রবেশকারী এসে তাঁদের রুটি-রুজিতে ভাগ বসিয়েছিলেন, তা দেখে অবাক স্বরূপনগরের বাসিন্দারাও (SIR)।

    কী বলছেন অনুপ্রবেশকারীরা

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন সাবিনা পারভিনও। পোঁটলা-পুঁটলি নিয়ে তিনিও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন সীমান্তে, বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায়। সাবিনা যে ভারতে বেআইনিভাবে বসবাস করছিলেন (Bangladesh), মুক্ত কণ্ঠে তা কবুলও করলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বাড়ি। থাকতাম বিরাটিতে। আমার কাছে কাগজপত্র নেই, অবৈধভাবেই থাকতাম।” এই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক মহিলা বলেন, “চিনারপার্কে থাকতাম। আমার কাছে আধার কার্ড নেই। পেটের দায়ে এসেছিলাম এদেশে। লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করে কিছু রোজগার হত।” অবশ্য এই প্রথম নয়, এসআইআর ঘোষণা হয়েছে গত মাসের একেবারে শেষের দিকে। তারপর থেকে কার্যত হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশে ফেরার। ২ নভেম্বর ধরা পড়েছিলেন ১১ জন অনুপ্রবেশকারী। তার পরের দিনই ৪৫ জনকে ধরে ফেলে বিএসএফ। ৪ নভেম্বর ধরা হয় আরও ৩৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। ১০ তারিখে গ্রেফতার করা হয় ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে (SIR)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এগুলি নমুনা মাত্র। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে পালানোর চেষ্টা করার সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করা হচ্ছে ভারতে বসবাস করা অবৈধ বাংলাদেশিদের। এসআইআর চালু হতেই তাঁরা সকলে তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশে পালানোর চেষ্টা করছে। কেউ কেউ সীমান্তে প্রহরারত জওয়ানদের (Bangladesh) চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা পার হয়ে গেলেও, অনেকেই ধরা পড়ছে বিএসএফের জালে (SIR)।

    আসলে গর্তে যে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড!

     

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে, আমরা তাঁদের ফেরাব”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্ষমতায় এলে বিজেপি (BJP) শুধু লক্ষ্মীদের কথাই ভাববে না, নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করবে।” মালদায় এমন মন্তব্যই করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিহার নির্বাচনে সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট গিয়েছে বিজেপির দিকে। এই রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম হবে না।”

    অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে মিলবে বেশি টাকা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “বাংলার মা-বোনেদের আমরা আশ্বস্ত করছি, বিজেপির ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অর্থ সচিবকে বলেছেন, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা করে বাড়াতে চান। আমার কাছে খবর, রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো নয়। ২০২৫ সালে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা ঋণ হয়ে যাবে। যার মানে হল, প্রত্যেকের মাথার ওপর এখন ৭০ হাজার টাকার করে দেনা রয়েছে। এত ঋণ নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অত টাকা বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে কিছু টাকা বাড়ানো হবে।” তিনি বলেন, “বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আমি রাজ্যের মহিলাদের আশ্বস্ত করছি যে তৃণমূল যা ঘোষণা করবে, আমরা তার থেকে অন্তত ৫০ টাকা বেশি দেব অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীর সঙ্গে আমরা নারায়ণদের জন্যও ব্যবস্থা করব। তৃণমূল এখন লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করে দিয়েছে। লক্ষ্মী এখন গ্রামে, আর নারায়ণদের কেউ গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বেঙ্গালুরুতে।” সুকান্ত বলেন, “বিহারে যেভাবে জীবিকা দিদি করা হয়েছে, মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানেও সেটা করা হবে। যাতে তাঁর পরিবারকে তাঁকে ছেড়ে যেতে না হয়।”

    উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূল!

    এদিন পুরাতন মালদার একটি হোটেলে চারটি সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা সুনীল বনসল। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ দলীয় বিধায়করা। অংশ নিয়েছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দলীয় নেতৃত্বও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই বৈঠকের আগেই সাংবাদিক সম্মেলন (BJP) করেন সুকান্ত। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারই (বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন) বলে দিয়েছেন, যেভাবে মা গঙ্গা বিহার হয়ে বাংলায় এসেছেন, ঠিক সেভাবেই বিজেপির জয়যাত্রাও বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকে ময়দানে নেমে পড়ছেন। উগ্রপন্থীদের মদতদাতা তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে তৈরি হয়ে রয়েছেন তাঁরা।”

    ওরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “রাজ্যের দিকে দিকে বিজেপির ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবারের মতো জায়গায় বিজেপির লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত, এরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের মতো লোকসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চুরি করে ৭ লাখ ভোটে জিতেছিলেন, সেখানে যদি বিজেপি কর্মীদের মারতে হয়, তাহলে বোঝাই যায় বিজেপির দম আছে (Sukanta Majumdar)।” তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি রক্তবিন্দুর হিসেব নিয়ে নেব। বাংলায় ইতিমধ্যেই হিন্দুরা এককাট্টা হয়ে গিয়েছে। গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। হিন্দুরা বুঝতে পেরেছে, যদি বিজেপি ক্ষমতায় না আসে, তবে তাদের জন্য এই বঙ্গভূমি আগামীতে বধ্যভূমিতে পরিণত হবে।”

    সর্বধর্ম সমভাবের নীতি

    সুকান্ত (BJP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমাদের চোখে প্রত্যেকে বাঙালি। প্রত্যেকে ভারতবর্ষের নাগরিক, ভারত মায়ের সন্তান। আমরা সর্বধর্ম সমভাবে নীতি নিয়ে চলি। এটা আমাদের পঞ্চনিষ্ঠা।” তিনি বলেন, “বিজেপি উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বিহারে সংখ্যালঘু মহিলারাও বিজেপি এবং এনডিএ জোটকে ভোট দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, আগামীতে মুসলিম সমাজও বুঝতে পারবে, তাদের কেন বছরের পর বছর কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেন তাঁদের মধ্যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়র আতশকাচ দিয়ে খুঁজতে হয়? তাঁরাও তো বাঙালি! আমাদের যা বুদ্ধিমত্তা, তাঁদেরও তো তাই। শিক্ষার কেন অভাব? স্বাস্থ্যের কেন অভাব? কেন মেয়েদের ওপর অত্যাচার হয়, হিংসার ঘটনা ঘটে (Sukanta Majumdar)? এর মূল কারণ স্বাধীনতার পর থেকে তাঁদের প্রত্যেকে মুসলমান হিসেবেই দেখে এসেছে, কেউ মানুষ হিসেবে দেখেনি। বিজেপি তাঁদের মানুষ হিসেবে দেখতে চায়।”

    উগ্রপন্থীদের আখড়া

    দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক চিকিৎসককে। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কিছু অংশ এবং বীরভূম এখন উগ্রপন্থীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখনই পাড়ায় পাড়ায় উগ্রপন্থী তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যে এখন দুয়ারে উগ্রপন্থী প্রকল্প চালু হয়েছে (BJP)। এখন দিল্লিতে ফাটাচ্ছে, দু’দিন পরে রাজ্যবাসীর বাড়ির সামনে বোমা ফাটবে (Sukanta Majumdar)।”

  • Red Fort Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে বড় সাফল্য! জালে আই-২০ গাড়ির বর্তমান মালিক উমর-ঘনিষ্ঠ রশিদ

    Red Fort Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে বড় সাফল্য! জালে আই-২০ গাড়ির বর্তমান মালিক উমর-ঘনিষ্ঠ রশিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের (Red Fort Blast) ঘটনায় জোড়া সাফল্য। একদিকে, তদন্তাকারীদের জালে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির বর্তমান মালিক তথা উমর ঘনিষ্ঠ আমির রশিদ আলি। অন্যদিকে, আর এক মহিলা চিকিৎসককে আটক করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

    পুলিশের জালে আই২০ গাড়ির বর্তমান মালিক

    দিল্লিতে লালকেল্লায় বিস্ফোরণের পর থেকেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে নাম এসেছিল উমর নবি ঘনিষ্ঠ আমির রশিদ আলির। এবার এনআইএ-র জালে ধরা পড়েছে আমির রশিদও। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ধৃত আমির রশিদ আলির নামে দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ হওয়া গাড়িটি রেজিস্টার্ড রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বোরার পোম্পোরার বাসিন্দা আমির রশিদ। জানা যাচ্ছে, যে গাড়িটি দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার হয়েছে আমির দিল্লিতে এসেছিল ওই গাড়িটি কিনতে। এনআইএ-র সঙ্গে একযোগে ফরিদাবাদ বিস্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দিল্লি পুলিশ যে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছিল, তা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    আদিলকে জেরা করে প্রিয়ঙ্কার নাম

    অন্যদিকে, ফরিদাবাদকাণ্ডে ধৃত আদিলের সূত্র ধরে হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা, কাশ্মীরের অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা শর্মাকে আটক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে। কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে তাকে আটক করা হয়।  আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রিয়ঙ্কার নাম উঠে আসে। নাশকতাচক্রে আরও বেশ কয়েক জন যুক্ত রয়েছে, কেউ লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট জোগায়, কেউ আবার অর্থনৈতিক, এমনটা তদন্তকারীদের জানায় আদিল। এর পর কল রেকর্ড চেক করে প্রিয়ঙ্কার নাম হাতে পান তদন্তকারীরা। অনন্তনাগে প্রিয়ঙ্কা যেখানে থাকে, সেখানে হানা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন এবং একটি সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফরেন্সিকদের একটি দলও পৌঁছেছে সেখানে। প্রিয়ঙ্কার ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখতে হরিয়ানার রোহতকেও তদন্তকারীদের একটি দল পৌঁছচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০০ কাশ্মীরি ডাক্তারি পড়ুয়ার উপর নজর

    কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশেও ইতিমধ্যে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। সেখানে প্রায় ২০০ কাশ্মীরি ডাক্তারি পড়ুয়ার উপর নজর রয়েছে বলে খবর। সন্ত্রাসদমন শাখার তরফে কানপুর, লখনউ, মেরঠ, সাহারনপুর-সহ বিভিন্ন শহরের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের খবর নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আল-ফালাহ্ ইউনিভার্সিটির আরও দুই চিকিৎসহ-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দুই চিকিৎসকের নাম মহম্মদ ও মুস্তাকিন, তারা উমর নবীর পরিচিত। লালকেল্লা বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই-২০ গাড়িটি চালাচ্ছিল উমর। মহম্মদ ও মুস্তাকিনের সঙ্গে চিকিৎসক মুজাম্মিলেরও যোগাযোগ ছিল। যাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

    নজরে সার ও চা বিক্রেতা

    দীনেশ ওরফে ডাব্বু নামের হরিয়ানার আর এক বাসিন্দাকে আটক করেছেন তদন্তকারীরা। দীনেশ বেআইনি ভাবে সার বিক্রি করত বলে অভিযোগ। বিস্ফোরক কেনার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে হাওয়ালা মাধ্যমে ২৬ লক্ষ টাকা এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে এনপিকে সার কিনতে খরচ করা হয় ৩ লক্ষ টাকা। দীনেশ ওই সার সরবরাহ করেছিল কি না, বেআইনি কারবারের বাইরে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে সে যুক্ত ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওয়াজিরপুর শিল্পতালুকে এক চা বিক্রেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে সেখানে নেমেছিল উমর। ১৪০টি মসজিদে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ৪০টি সার ও বীজের দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। ২০০ গেস্টহাউসেও তল্লাশি চলে। উপত্যকায় ৫০০ জনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

  • Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০ জনের বেশি জখম হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও জোরকদমে এগোচ্ছে তদন্ত৷ আটক করা হচ্ছে ফরিদাবাদ ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর (Doctors Module) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের৷ এবার দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক নিয়ে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য৷ লালকেল্লায় বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort Blast) ঘটাতে ‘শয়তানের মা’-কে (Mother of Satan TATP) ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে। এখনও গোটা বিষয়টি ফরেন্সিক পরীক্ষার আওতায় রয়েছে তবে, তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড বা টিএটিপি (TATP), যা ‘মাদার অফ স্যাটান’ নামেও কুখ্যাত।

    কী এই ‘মাদার অফ স্যাটান’ টিএটিপি?

    ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Triacetone Triperoxide) বা টিএটিপি আদতে এটি একটি ভয়ঙ্কর রকমের স্পর্শকাতর রাসায়নিক, যা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে বিক্রিয়ায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখন জঙ্গিরা বোমা তৈরিতে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে। ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Mother of Satan TATP) কেবল তাপের কারণে ফেটে যেতে পারে। এর জন্য কোনও ডেটোনেটর প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ঝাঁকুনি কিংবা সূর্যের উত্তাপেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। টিএটিপি দিয়ে শক্তিশালী আইইডি বানানো যেতে পারে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এখন এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। চলছে নানা ফরেন্সিক পরীক্ষা।

    জইশের পছন্দের বিস্ফোরক টিএটিপি?

    বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, টিএটিপি-র (TATP) সামান্য ঘর্ষণ, চাপ, তাপমাত্রার বদল, যে কোনও কিছুতেই ট্রাইমার অস্থিতিশীল হয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যে কারণে, উচ্চক্ষমতাশীল এই বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ পছন্দের। ২০১৫ সালে প্যারিস, ২০১৬ সালে বার্সেলোনা ও ব্রাসেলস, এবং ২০১৭ সালে ম্যাঞ্চেস্টার বিস্ফোরণে টিএটিপি (Mother of Satan TATP) ব্যবহৃত হয়েছিল। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, উমর সম্ভবত এই টিএটিপি-র বিষয়ে জানতেন না। গাড়িতে টিএটিপি ঠাসা অবস্থায় তাঁকে লালকেল্লার কাছে পৌঁছতে বলে মডিউলের মাথারা। অস্থির প্রকৃতির বিস্ফোরক হওয়ায় সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আবার আরও একটি তত্ত্বের মতে, উমর আগে থেকেই জানত এই রাসায়নিক কতটা অস্থির। তা সত্ত্বেও সে ওই গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল চাঁদনি চকের পাশের সেই জনবহুল এলাকায়।

    উমরের হাতে টিএটিপি এল কী করে?

    অত্যন্ত জটিল এই বিস্ফোরক (Mother of Satan TATP) কোথা থেকে হাতে পেলেন উমর, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিএটিপি তৈরি করতে লাগে একাধিক উপাদান। সেগুলো উমর কোথা থেকে সংগ্রহ করল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কি বড় কোনও মডিউল তাকে সাহায্য করছিল? রাসায়নিক মেশানোর কাজে আরও কেউ কি যুক্ত ছিল (Delhi Red Fort Blast)? উমরের ডিজিটাল ট্রেইল, ফোন রেকর্ড, চলাচলের নথি সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Bangladesh Crisis: জ্বলছে বাংলাদেশ, ককটেল বোমা, গাড়িতে আগুন! আজ হাসিনার রায় ঘোষণা

    Bangladesh Crisis: জ্বলছে বাংলাদেশ, ককটেল বোমা, গাড়িতে আগুন! আজ হাসিনার রায় ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। আজ, সোমবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলায় রায় ঘোষিত হবে। রায় শোনাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার আগের রাতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশে। রবিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়ির কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণ হয়েছে ঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি -র কার্যালয়ের সামনেও।কে বা কারা এই ককটেল হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলাদেশ জুড়ে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি

    রবিবার থেকে দু’দিন ব্যাপী বাংলাদেশ জুড়ে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ডেকেছে হাসিনার দল আওয়ামি লীগ। বর্তমানে এই দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করেছে। দফায় দফায় অশান্তির খবর আসছে বাং। ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি, বাস, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। এমনকি, অ্যাম্বুল্যান্সেও ককটেল হামলার খবর মিলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সন্ধ্যায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা পুলিশ। বলা হয়েছে, কোথাও কাউকে মানুষ, গাড়ি বা পুলিশের উপর অগ্নিসংযোগ বা ককটেল ছুড়তে দেখলেই গুলি করতে হবে। কিন্তু তার পরেও একাধিক জায়গা থেকে এই ধরনের হামলার খবর এসেছে।

    সকাল ১১টা থেকে রায়দান প্রক্রিয়া শুরু

    গত বছর ৫ অগাস্ট হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের চাপে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও। সেই থেকে তিনি ভারতে রয়েছেন। জুলাই মাসে বাংলাদেশের ছাত্রযুবদের আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সংক্রান্ত মামলায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ, মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির রায় ঘোষণা করবেন। আজ প্রথম মামলার রায়দান। সকাল ১১টা থেকে রায়দান প্রক্রিয়া শুরু হবে। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে সরকারি ও বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে হাসিনার বিরুদ্ধে রায়দান।

    রায়দানের বিরোধিতা বাংলাদেশ জুড়ে

    শুধু শেখ হাসিনা নন, এই মামলায় বাকি দুইজন অভিযুক্ত হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। যদিও প্রাক্তন পুলিশকর্তা এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এই মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল দেশ ছাড়ার পরই। আজ আদালত কী রায় দেয়, তার দিকেই নজর। তবে তার আগে থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ। রবিবার, রাতভর বিক্ষোভ, হামলা চলে। এমনকী বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাড়ির সামনেও ককটেল বোমা ছোড়া হয়। শ্যামপুর, গাবতলী, মহাখালী সহ একাধিক জায়গায় ককটেল বোমা ছোড়া হয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ককটেল বোমায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

    গুলি চালানোর নির্দেশ ইউনূসের

    রোষ আছড়ে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ট মহম্মদ ইউনূসের তৈরি করা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের উপরও। একাধিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাছ কেটে রাস্তা অবরোধও করা হয়। ছাত্রলিগও রাস্তায় নেমে মশাল মিছিল করেছে ঢাকা-বরিশালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। পুলিশ ও সেনাও পথে নামানো হয়েছে। যদি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয় বা সরকারি দফতরে হামলা করা হয়, তাহলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

     

     

  • Winter Season: শীতে আরাম পেতে ঘন ঘন কফি খাচ্ছেন? বাড়াতে পারে বিপদ, দাবি পুষ্টিবিদদের

    Winter Season: শীতে আরাম পেতে ঘন ঘন কফি খাচ্ছেন? বাড়াতে পারে বিপদ, দাবি পুষ্টিবিদদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় কড়া নাড়ছে শীত! ভোরে কমছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় অনেকেই বাড়তি আরাম পেতে সকাল-সন্ধ্যে ঘনঘন কফিতে চুমুক দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতেই বাড়তে পারে বিপদ। তাঁদের পরামর্শ, ঘন ঘন কফি শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। বরং কফিতে বদলে চুমুক দেওয়া হোক বিকল্প ঘরোয়া পানীয়তে। বিশেষত ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে কফি বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    কেন ঘনঘন কফি বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে?

    হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠতে পারে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে সাময়িক আরামের জন্য দিনে চার-পাঁচ বার কফি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিন হৃদস্পন্দন অনিয়মিত করতে পারে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের বিপদ আরও বাড়ে। তাই বারবার কফি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

    হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে!

    খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাস খুব বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খালি পেটে কফি খেলে পেট ও বুক জ্বালা করতে পারে। শরীরে ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি করে। এর ফলে অন্ত্র, পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    অনিদ্রা একাধিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে রাখে। তাই কফি খেলে ঘুম পায় না।‌ এতে অনিদ্রার ঝুঁকি তৈরি হয়। যার জেরে মানসিক চাপ বাড়ে। শরীর বেশি ক্লান্ত বোধ করে।

    কফির বিকল্প কোন পানীয়তে ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কফির বিকল্প কিছু ঘরোয়া পানীয় শীতের আবহাওয়ায় আরামদায়ক। আবার তাতে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব কম হয়। তাঁদের পরামর্শ বারবার কফির পরিবর্তে খাওয়া যেতে পারে তুলসী ও পুদিনার সরবৎ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে তুলসী পাতা এবং পুদিনা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পানীয় হিসাবে এটা স্বাস্থ্যকর। আবার পুদিনা সুন্দর গন্ধ দেওয়ার পাশপাশি হজম শক্তি বাড়ায়। শীতে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য পুদিনা খুব উপকারি। তাছাড়া সর্দি-কাশি মোকাবিলায় তুলসী পাতার বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে শীতের অন্যান্য ভোগান্তিও কমবে।

    টমেটোর স্যুপ শীতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সমৃদ্ধ টমেটো‌ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই টমেটো স্যুপ খেলে শরীর ভালো থাকবে। আবার গরম স্যুপ শরীরে আরাম দেবে। পাশপাশি গরম জলে আদা, দারচিনি আর এলাচ ফুটিয়ে তারপরে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদা, দারচিনি এবং এলাচ শরীরে নানান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমায়। আবার লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই এই মিশ্রণ খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share