Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন বালু” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন বালু” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেজুরির বাঁশগোড়া বাজার কমিটি আয়োজিত “শ্রীশ্রী কালীপুজো ও দীপাবলি” উৎসবের শুভ সূচনা করে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বালুর শরীর খারাপ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “সনাতনকে রক্ষা করতে পারলেই আমাদের উদ্বাস্তু হতে হবে না।”

    বালুকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমি মারা যাবো, অবস্থা খুব খারাপ।” এরপর বালুর শরীর খারাপ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, “এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড়। সেখানেই যেতে চাইছেন। ওখানে গেলে আদর-যত্ন ভালো পাবেন। আর এই জন্যই এমন করছেন। ওসব নাটক ছাড়া কিছুই নয়। ওঁর কিচ্ছু হয়নি।”

    খেজুরি নিয়ে কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    খেজুরিতে কালীপুজোর শুভ সূচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১০ সালে তৎকালীন সিপিএমের হার্মাদরা মানুষের গণতন্ত্রকে লুট করে গোটা খেজুরিতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে দিয়েছিল। সেই দিন আমি এলাকার রাস্তায় নেমে পদযাত্রা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের চোর-গুন্ডারা সনাতন ধর্মের উপর আক্রমণ করলে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। পুজো উদ্যোগতাদের বলব বাজারের খুচরো ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্সের টাকা যেন বৃদ্ধি না করা হয়। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ২ কোটি বেকার তৈরি করেছেন। এই রাজ্যের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছেন।”

    সনাতন ধর্ম নিয়ে কী বলেন শুভেন্দু?

    কালীপুজোর উদ্বোধন করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সনাতন ধর্মকে বারবার অপমান করেছেন। দুর্গাপুজোয় দেবী পক্ষের আগেই উদ্বোধন করে হিন্দু ধর্মের সম্মানহানি করেছেন তিনি। মন্ত্রের পাঠ এবং উচ্চারণ ভুল করে বিকৃত করছেন। তথাকথিত সেকুলারদের সনাতন ধর্মের উপর আক্রমণ করার সুযোগ করে দেন মাননীয়া। তাই বঙ্গে ভারতীয় সনাতনী মূল্যবোধ গীতা, উপনিষদ, বেদ, রামায়ণ, মহাভারতকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মকে রক্ষা না করলে, ধর্মও মানুষকে রক্ষা করবে না।

    সনাতন ধর্ম রক্ষা এবং উদ্বাস্তু নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আফগানিস্তানে তালিবান শাসন চলছে। যাঁরা ধর্ম সংরক্ষণ করেছেন তাঁদের অনেককেই ভারতে পুনর্বসতি দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা ধর্ম ত্যাগ করেছেন তাঁদেরকে ধর্মও ত্যাগ করেছে। তাই এই কার্তিক মাসে আমাদের হিন্দু সনাতনী ভাবনার মূল্যবোধকে রক্ষা করতে হবে। দামোদর মাস, হরিনাম, বৈষ্ণব ভোজন, পূজা-পার্বণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সনাতনীদের উপর আক্রমণ হলে সকলকে একত্রিত হতে হবে। এই কাজ করতে পারলেই ভারত কখনও ইউক্রেন, প্যালেস্টাইন বা লেবাবান হবে না। তাই আমরা সনাতনকে রক্ষা করলেই আর উদ্বাস্তু হবো না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বিজয়া সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন একাধিক দলের বিধায়ক। অসুস্থতার কথা বলে অনুপস্থিত ছিলেন জেলার সাংসদ। অবশ্য জেলার তৃণমূলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য এই অনুপস্থিতি এক প্রকার অজুহাত ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “ওঁকে জেলা সভাপতি বলে মনেই করিনা।” এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।

    প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Murshidabad)

    তৃণমূল দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের প্রত্যেক ব্লক স্তর পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজায় সম্মেলন করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, টাউন সভাপতি, ওয়ার্ডের সভাপতি এবং অঞ্চলের নেতাদের এই বিজায়র সম্মলনে যোগদান করতে হবে। এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২৭ টি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান হয়। গতকাল শনিবার ছিল বহরমপুরে বিজায় সম্মেলন কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি রায়, রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিজয়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না নওদার (Murshidabad) বিধায়ক শাহিনা মমতাজ এবং ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফলে জেলায় ফের একবার হুমায়ুন কবীর বনাম শাওনি রায়ের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।

    কী বললেন হুমায়ুন?

    বিজায় সম্মলনে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন, জেলার (Murshidabad) সভাপতি শাওনি রায়ের বিরুদ্ধে বলেন, “জেলা সভাপতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তাই আমি যাইনি। জেলা সভাপতিকে পরিবর্তন করার বিষয়ে দলকে জানিয়েছি। দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তবে ওঁকে আমি জেলার সভাপতি বলে মানেই করিনা”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    অপর দিকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি দলের কোন্দলকে অস্বীকার করে শাওনি রায় বলেন, “গত নির্বাচনগুলি আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করছি। দলের সাফল্যের মূলে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বেশ ভালো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    Jalpaiguri: নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে পড়ল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স! ক্লোজ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মা মাটি সরকারের শাসক দল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে আটকে থাকলো মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। তৃণমূল মানবিক! বার বার শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণে শোনা যায়। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ল সারি সারি গাড়ি। আর এই গাড়ির ভিড়ের মধ্যে আটকে গেল মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনায় ক্লোজ করা হল এক পুলিশ আধিয়ারিককে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে।  

    কিন্তু প্রশ্ন হল শাসক দলের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে। নাগরিক সমাজের প্রতি যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্বশীল থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার জন্য নেতা-মন্ত্রীদের কি কোনও শাস্তির বিধান রয়েছে? নাকি সব দায় আমলাদের? এই প্রশ্নই উঠছে ধূপগুড়িতে (Jalpaiguri) কালীপুজোর উদ্বোধন করতে আসা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের ভূমিকা নিয়ে।

    নেতা-মন্ত্রীর ভিড়ে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স (Jalpaiguri)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ধূপগুড়িতে। সঙ্গে ছিলেন জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার। গাড়ির ভিড়ে রাস্তা জ্যাম হয়ে যায়। এই অবস্থায় রাস্তায় আটকে পরে এক অসুস্থ মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আধ ঘণ্টার সময়ের বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন রাস্তায়। এরপর রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে এলাকায় শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এরপরই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়লে ঘটনায় ক্লোজ হন এক পুলিশ আধিয়ারিক।

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার জেলা শাসক উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, “বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি চালাচল করছিল। প্রাথমিক ভাবে একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনায় কোনও চক্রান্ত হয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    Arjun Singh: ‘৯০ শতাংশ তৃণমূল কার্যালয় খোলে না’, দলীয় সভায় আক্ষেপ করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে কর্মীদের রাজনীতির পাঠ শেখালেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুক্রবার শ্যামনগরের সুব্রত পল্লিতে তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অর্জুন।  তাঁর কথায়, আগামিদিনে নির্বাচন আছে। শত্রুকে কোনও দিন কমজোরি ভাববেন না। শত্রু কখনও কমজোরি হয় না। আর আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না। যদি বুথে কর্মী সঠিক না থাকেন, ভোটার লিস্ট যদি আপনাদের মুখস্থ না থাকে, কে বিরোধী রাজনীতি করেন, তা যদি বুঝতে না পারেন, তা হলেই সমস্যা। মানুষের সঙ্গে ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে।

    বিজেপি থেকে অনেক কিছু শিখেছি, স্বীকার অর্জুনের (Arjun Singh)

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, রাজনীতিতে সব সময় শিখতে হয়। আমি ভোট করতে শিখেছি। কংগ্রেস থেকে শিখে এসেছি। এমনকী, ভোটের রাজনীতি করতে গেলে বিজেপির কাছেও অনেক শিখতে হয়েছে। আমি শিখেছি। জ্ঞান নিতে গিলে মাস্টারমশাইয়ের জামার কলার ধরলে হবে না। মাস্টারমশাইকে প্রণাম করতে হবে। হাতজোড় করে জ্ঞান নিতে হবে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়ে কী বললেন অর্জুন

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেদেরও ঠিক থাকতে হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ করবেন, সেই অনুযায়ী আমাদের সবাইকে চলতে হবে।“দলের কিছু সদস্যের জন্য যদি সবাই অসুবিধার মধ্যে পড়েন, আমি মনে করি, সেই লোককে দলে না রাখাটাই ভাল। যে লোকটা দু’দিন আগে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, সেই মানুষ যদি বুথে বসে থাকে, মানুষ অন্য কাউকে ভোট দেবেন। তাই আমাদের নজর রাখতে হবে। কোনও নাককাটা, গালকাটা বা কানকাটাকে বুথে বসতে দেওয়া যাবে না। সভ্য, ভদ্র মা-দিদি কাউন্সিলর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বুথে ফিরিয়ে আনুন।

     তৃণমূলের ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না, আক্ষেপ অর্জুনের

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, এখন তো আমরা পানের দোকান, চায়ের দোকানে বসতেই ভুলে গিয়েছি। পাড়ায় আড্ডা মারছি না। ভেবে নিয়েছি, সবাই আমাদের ভোট দিয়ে দেবেন। আমাদের এই অঞ্চলে ৯০ শতাংশ পার্টি অফিস খোলেই না। কিন্তু অফিসে বসুন। সময় দিন। আমি কিন্তু এলাকায় থাকলে অফিসে বসি। মানুষের সমস্যা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা দিতে ক্লাব প্রাঙ্গনে না আসায় রায়গঞ্জের এক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীর বহুতল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত এক পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) থানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বণিক সংগঠনের কাছেও পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Raiganj)

    রায়গঞ্জের (Raiganj) ওই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ আগরওয়াল পুলিশের কাছে করা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায় অবস্থিত ‘বয়েজ সুকান্ত’ ক্লাবের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্য তাঁর অফিসে এসে আন্তরিকতার সঙ্গে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে চাঁদা দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে রাজিও হন এই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাবের কয়েকজন যুবক তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে আসেন। সংস্থার ম্যানেজারের কাছে পুজোর চাঁদার বিষয়ে জানতে চান। ম্যানেজারের ফোন থেকে ক্লাবের এক সদস্য জয়প্রকাশবাবুকে ফোনে জানান, পুজোর চাঁদা ক্লাবে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জয়প্রকাশবাবু। চাঁদার জন্য নিজের অফিসে ক্লাব সদস্যদের আসতে বলেন তিনি। এরপরেই ক্ষুব্ধ ক্লাব সদস্যরা কর্মরত শ্রমিকদের জোর করে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে যায় বহুতল নির্মাণের কাজ। জয়প্রকাশ বাবুকে বলা হয় পুনরায় কাজ শুরু করতে হলে ক্লাবের মূল কর্মকর্তা রন্তু দাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ততক্ষন বন্ধ থাকবে বহুতল নির্মাণের কাজ। উল্লেখ্য, রন্তুবাবু জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির পাশাপাশি পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অতি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

    কী বললেন ব্যবসায়ী?

    এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, হুমকির মুখে স্থানীয় শ্রমিকেরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এতো বড় প্রজেক্ট। নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রেশন, প্ল্যান পাস, জি এস টি সহ সমস্ত টাকা সরকারকে দিয়েছি। তারপরেও এধরণের ঘটনা ঘটলে কী ভাবে কাজ করবো? কাজ যাতে পুনরায় শুরু করতে পারি সেজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা চাইছি।

    তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব কমিটির কর্মকর্তার কী বক্তব্য?

    যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন,আমাদের ক্লাব কখনও চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি করে না। স্বেচ্ছায়,ভালোবেসে যে যা চাঁদা দেয় সেটাই নেওয়া হয়। জয়প্রকাশবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য মঞ্চে এবার মস্তান তৈরির কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে (Memari) মন্ত্রী মস্তান তৈরির কথা বলেন। তবে, বিরোধী দলের কাউকে এমন হুমকি দিচ্ছেন এমন নয়, দলের অন্দরে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে এই ভাষায় কথা বলে মন্ত্রী সমঝে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। একজন মন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মন্ত্রী বলেন, আমি মস্তান নয়, কিন্তু ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করতে পারি। তেলপোড়া, পানিপোড়া কানে দেব, মাস্তান তৈরি হয়ে যাবে। মস্তানকে জন্ম করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। তবে,  মস্তানি নয়, ভালোবাসার রাজ্য চাই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) সাতগেছিয়া বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে সিদ্দিকুল্লা সাহেব উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু অঞ্চলের ছেলেরা মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাল  ঠুকছে। বাঘ, সিংহ গর্তে চলে গেল। তোমরা মশা-মাছি কত ভাল তাল ঠুকবে। আমার কাছে নাম আছে, বলব না। তাদের শুনিয়ে দিচ্ছি, হাত তোলা বন্ধ করো। না হলে হাত ভেঙে দেব একদম। ইয়ার্কি করতে আমরা আছি নাকি। মন্ত্রীর প্রকাশ্যে এই হুঁশিয়ারিতে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     তৃণমূলের  দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি-২ ব্লকে (Memari) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বহুদিন ধরেই রয়েছে। কয়েকদিন আগেই বড়পলাশনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের মোট তিনজন জখম হন। পুলিস ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে কোন্দল চরমে উঠেছে। এক গোষ্ঠীর নেতাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। অনেক পঞ্চায়েত প্রধান প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল। দলের এক নেতা বলেন, কোন্দল মেটাতে জেলা নেতৃত্ব একাধিকবার হস্তক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও যুদ্ধ থামেনি। মন্ত্রী দলের সেই বিরোধী গোষ্ঠীকে বার্তা দিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা! ম্যারাথন তল্লাশি বিধায়কের রাইস মিলে

    Bankura: রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা! ম্যারাথন তল্লাশি বিধায়কের রাইস মিলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের রাইস মিলে চলছে আয়কর তল্লাশি। টানা দুদিন ধরেই চলছে এই তল্লাশি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকালেও রাইস মিলে হাজির হন বিধায়ক তন্ময়। তলব করা হয় তাঁর হিসাবরক্ষক অরূপ সামন্তকেও। সূত্রের খবর, দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা।

    রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা (Bankura)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তন্ময় ঘোষ পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলার হন তিনি। ২০২০ সালের মে মাসে বিষ্ণুপুর পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে প্রশাসকমণ্ডলীতে আনা হয়। পাশাপাশি, ওই বছরই তন্ময়কে বিষ্ণুপুর শহরের যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় তিনি তৃণমূলের টিকিটের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দিয়ে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় প্রার্থী করে অর্চিতা বিদকে। এর পরই বিজেপিতে যোগ দেন তন্ময়। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকেই জয় পান তন্ময়। কিন্তু এ বছরের অগাস্টে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরেন। বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সেই মঞ্চ থেকেই বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময়কে খাদ্য দফতরের দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুরের সঙ্গে তুলনা টেনে শুভেন্দু বলেছিলেন, বাকিবুরের মতোই এই রাইস মিলকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি করেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। অন্যদিক রাইস মিলে আয়কর দফতরের ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বুধবার। জানা গিয়েছে, ওইদিনই রাতে আয়কর প্রতিনিধিদের রাইস মিলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বিছানা, বালিশ নিয়ে। সেগুলিই ব্যবহার করেছেন আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা। তাঁদের জন্য খাবারও আসছে বাইরে থেকে।

    আয়কর হানা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, এই চালকলের ব্যবসা তন্ময়ের বাবার আমলের। তাই আয়কর দফতর যত চেষ্টাই করুক, আদপে তা টিকবে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সামনের বছর শহিদ দিবসে চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সামনের বছর শহিদ দিবসে চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ স্মরণে শুক্রবার বিজেপি এবং তৃণমূলের আলাদা সভা ছিল নন্দীগ্রামে। কিন্তু বিজেপির সভা শেষ করতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ওই সভায় হাজিরও ছিলেন। তবে, বিজেপির সভা কিছুটা দীর্ঘয়িত হওয়ার অভিযোগ তুলে মঞ্চ থেকে কর্মীদের তাড়া করে নামিয়ে দেয় পুলিশ। শহিদ বেদি থেকে মালাও সরিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Suvendu Adhikari)  

    ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘সূর্যোদয়’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন শাসকদল সিপিএম। রক্তাক্ত অভিযানে প্রাণ গিয়েছিল জমি আন্দোলনের একঝাঁক নেতা-কর্মীর। এখনও বেশ কয়েকজনের হদিশ মেলেনি। তারপর থেকেই প্রতি বছর এই দিনটিতে নন্দীগ্রামের করপল্লিতে শহিদ স্মরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শুভেন্দু দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিজেপিও এখন এই কর্মসূচি করে। গত বছর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার অবশ্য পরিস্থিতি ছিল শান্ত। সূত্রের খবর, তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে পুলিশের বৈঠকে প্রথমে সভা করার অনুমতি চায় বিজেপি। সেই মতো শুক্রবার সকাল ৮টায় করপল্লিতে শহিদ বেদিতে স্মরণসভার আয়োজন করার কথা তাদের। এরপর ৯টা নাগাদ সভায় যোগ দেওয়ার কথা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা। ৯টা ৪৫ মিনিটে যান শুভেন্দু। যার জেরে সভা দীর্ঘায়িত হয়। শহিদ স্মরণে ভাষণ শেষ হতেই পুলিশ তৎপর হয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে সরিয়ে দেয়। এমনকী মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী, এরপরে  শহিদ বেদিতে থাকা ফুলের মালা দ্রুত খুলে ফেলা হয়। পরে, সেখানে তৃণমূল শহিদ স্মরণ কর্মসূচি পালন করে। যদিও সময় মতো সভা শেষ না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। পুলিশ ইচ্ছাকৃত বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করতে এসব করেছে, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

    তৃণমূল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ভাষণের শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এবার আমাদের হাইকোর্টে যেতে হয়নি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নামাতে হয়নি। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। আর পরের বছর যখন শহিদ স্মরণ হবে, তখন পশ্চিমবাংলায় আর এই চোরগুলো থাকবে না। ২৪ সালের ১০ নভেম্বর যখন শহিদ দিবস হবে, চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন। আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে নাজেহাল অবস্থা তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার। ইডি-র ডাকে বার বার সিজিওতে ছুটতে হচ্ছে পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে। এরই মধ্যে বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে গোপালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গোপালের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো দলের বিধায়ক তথা ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra) বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। সৌগতবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে. বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও সেই ঢঙে কথা বলেন না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কি কামারহাটি কাণ্ড নিয়ে দমদম লোকসভায় তৃণমূলের চেহারা বেআব্রু হয়ে গেল। সাংসদের নাম করে বিধায়ক মদনের কড়া সমালোচনার ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কামারহাটি নিয়ে সৌগত রায় ঠিক কী বলেছেন?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলার আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন তিনি।

    সৌগত রায়কে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    সৌগত রায়ের বক্তব্য সামনেই আসতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ (Madan Mitra)। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওনার (সৌগত রায়) একটাই উদ্দেশ্য, যেই গোপালকে ইডি ডাকল, তখন উনি বলতে শুরু করলেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি’। ‘কী বোঝাতে চাইছেন? পুর দুর্নীতিতে আমি নেই! গোপালরা দুর্নীতি করেছে? যা বলার স্পষ্ট বলুন’। ‘আর ৯ বছরে এসব চোখে পড়ল না, এসব ভোটের আগে ঠিক মনে হল আপনার, কোথায় একটা গন্ধ আছে মনে হচ্ছে’। ‘দলের খাবেন আর সুযোগ পেলেই দলের পিছনে পিন বাজি? অথচ, আপনার বাংলোটা শ্রেষ্ঠ বাংলো, আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন ম্যানেজ করে নিয়েছেন, আর এখন গোপাল ভূত, আর আপনি রাজা হয়ে গেলেন’। ‘কিছু বলার থাকলে পার্টির মধ্যে বলুন, তবে আপনার গুণ আছে, পিসি সরকারের ম্যাজিকের মত পাল্টি খাওয়া’।

    লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত, দাবি মদনের

    তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ‘সৌগত রায় ১৫ বছরে ১০টা ছেলে দেখান, যারা আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে’। ‘বেশি কিছু বলবেন না, দিনকাল ভালো নয় তো’। ‘হঠাৎ আপনি মেরুকরণ করে গিরগিটির মতো পাল্টাচ্ছেন কেন? জেনে রেখে দেবেন, মদন মিত্র আছে’। ‘আপনার ডানদিকে বাঁদিকে যাঁরা ঘোরেন, ওরা তো সব চোর’ । কংগ্রেস আমলে পুরানো ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে মদন বলেন,  ‘লোকে জানে আপনি শিক্ষিত, কিন্তু ৭৭ সালে এমন রিগিং করেছিলেন, যে এসডিপিওকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বারাকপুর হাতছাড়া হয়ে গেল’। এরপর এসব বলার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে ধরে নিয়ে মদন মিত্র বলেন. ‘পার্টির কাছে ক্ষমা চাইছি, এইসব কথা বলার জন্য আমার শাস্তি হতে পারে, উত্তর চাইতে পারে, কিন্তু উত্তর আমি দেব’। ‘তবে এটাও বলে রাখি, স্পেসিফিক কিছু না পেলে মদন মিত্ৰ বলে না’। ‘ওনার (সৌগত রায়) বলার স্টাইলটা যেন মনে হচ্ছে, লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে এগোচ্ছে। তবে, কিছু যায় আসে না, তুড়ি মারব, উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তোলপাড় কামারহাটি (Kamarhati) পৌরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে মাঝেমধ্যেই সিজিও তো ডাকছে ই়ডি। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তদন্তের মধ্যেই কামারহাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তকে সাসপেন্ড করল পুর কর্তৃপক্ষ। এই তমালবাবুর বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ ওঠে। তমালবাবুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কিছু নথি ও পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে। এরপরেই তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির কোনও ইস্যু রয়েছে কিনা তা নিয়েও গোটা পুরসভা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে যখন কামারহাটি জুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করলে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Kamarhati)

    কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোন পরিষেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলর আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।  এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন। সাসপেন্ড হওয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কি মহাপুরুষ। তিনি নেই বলে কাজ হবে না, এটা তো চলতে পারেনা।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, সৌগত দা আমাদের অভিভাবক। তিনি পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ধমক দেননি। তার নির্দেশ মেনে আগামী দিনে পুরসভা পরিচালনা করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,, আমাদের মতো কোনও বিরোধী দল এই অভিযোগ করছে না। তৃণমূল দলের সাংসদ প্রকাশ্যেই বলছে কামারহাটি পুরসভা কোনও কাজ করছে না। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share