এই সংসার মজার কুটি আমি খাই দাই আর মজা লুটি জনক রাজা মহাতেজা তার কিসে ছিল ত্রুটি! সে যে এদিক-ওদিক দুদিক রেখেছিল দুধের বাটি
কি ভয়! তাঁকে ধর। কাঁটাবন হলেই বা। জুতো পায়ে দিয়ে কাঁটাবনে চলে যাও। কিসের ভয় যে বুড়ি ছোঁয়, সে কি আর চোর হয়।
জনক রাজা দুখানা তলোয়ার ঘোরাত (Ramakrishna)। একখানা জ্ঞানের, একখানা কর্মের। পাকা খেলোয়াড়ের কিছু ভয় নাই। এরুপ ঈশ্বরীয় কথা চলিতেছে। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসে আছেন। খাটের পাশে মাস্টার বসে আছেন।
এইরুপ ঈশ্বরীয় কথা চলিতেছে। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন। খাটের পাশে মাস্টার বসিয়া আছেন।
ঠাকুর (মাস্টারকে)- ও যা বললে তাইতো টেনে রেখেছে।
ঠাকুর মহিমাচরণের কথা বলিতেছেন ও তাহার কথিত ব্রহ্ম জ্ঞান বিষয়ক শ্লোকের কথা। অন্যান্য ভক্তেরা আবার গাহিতেছেন। এবার ঠাকুর যোগদান করিলেন আর ভাবে মগ্ন হইয়া সংকীর্তন মধ্যে নৃত্য করিতে লাগিলেন।
কীর্তনান্তে ঠাকুর বলিতেছেন এই কাজ হল আর সব মিথ্যা প্রেম ভক্তি বস্তু আর সব অবস্তু।
চতুর্থপরিচ্ছেদ ১৮৮৫, ১ মার্চ
দোলযাত্রা দিবসে শ্রীরামকৃষ্ণ গুহ্য কথা
বৈকাল হইয়াছে। ঠাকুর পঞ্চবটিতে গিয়েছেন। মাস্টারকে বিনোদের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন। বিনোদ মাস্টারের স্কুলে পড়িতেন। বিনোদের ঈশ্বর চিন্তা করে মাঝে মাঝে ভাবাবস্থা হয়। তাই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে ভালবাসেন। এইবার ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতে কহিতে ঘরে ফিরতেছেন। বকুলতলায় ঘাটের কাছে আসিয়া বসিলেন, আচ্ছা এই যে কেউ কেউ অবতার বলছে তোমার কি বোধ হয়?
কথা কহিতে কহিতে ঘরে আসিয়া পড়িলেন। চটি জুতা খুলিয়া ছোট খাটটিতে বসলেন। খাটের পূর্ব দিকের পাশে একখানে পাপোশ আছে। মাস্টার তাহার উপর বসিয়া কথা কহিতেছেন। ঠাকুর ওই কথা আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন। অন্যান্য ভক্তরা একটু দূরে বসিয়া আছেন। তারা এ সকল কথা কিছু বুঝিতে পারিতেছেন না।
Leave a Reply