Ajit Doval: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

Ajit Doval to Chinas Wang Yi amid tensions with Pak said War is not Indias choice

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২০ সাল থেকে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ঘিরেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।” চিনা কূটনীতিক ওয়াং ইকে সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে পোক্ত করা যায়, তা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। অজিত ডোভালকে উদ্ধৃত করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পশ্চিম সেক্টরে কৌশলগত বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে সেই ২০২০ সাল থেকে। রাজনৈতিক দিক থেকেও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

ব্রিকস সম্মেলন

প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে ভারতের সঙ্গে চিনের সামরিক ক্ষেত্রেও সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। ডোভাল-ওয়াং ই-র এই বৈঠকটি হয় সোমবার, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে। এর ঠিক আগের দিনই ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে (Ajit Doval) বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের অফিসের ডিরেক্টর হলেন ওয়াং। চিনের সঙ্গে ভারতের যে সামরিক স্ট্যান্ডঅফ চলছে, তা তাঁর কূটনৈতিক জীবনের সব চেয়ে জটিল একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানান জয়শঙ্কর। তিনি জানান, সীমান্তে এই উত্তেজনা চলছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। এবং ভারত বারংবার জানিয়েছে, এই সমস্যার সমাধান না হওয়া ইস্তক স্বাভাবিক হবে না চিন-ভারত সম্পর্ক।

ভারত-চিন সম্পর্ক মেরামত জরুরি

জানা গিয়েছে, ভারত-চিন সম্পর্কে যে কৌশলগত বিশ্বাস (Ajit Doval) ফেরানোটা খুব জরুরি, ঘনিষ্ঠ মহলে তা স্বীকারও করেছেন ওয়াং। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে এটা যে খুবই প্রয়োজন, প্রকাশ্যে তা স্বীকারও করেছেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ওই সমস্যা মিটিয়ে চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ফের পূর্বের অবস্থানে ফেরানোর ওপরও জোর দিয়েছেন ওয়াং। এদিনের বৈঠকে ভারত ও চিন দুই দেশই এ ব্যাপারে একমত হয়েছে যে, নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠন যে কেবল দুই দেশের পক্ষেই ভাল তা নয়, তামাম বিশ্বের কল্যাণেও প্রয়োজন।

আরও পড়ুুন: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

উল্লখ্য, ব্রিকস সম্মেলনে ডোভাল জানিয়েছিলেন, উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে হলে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে চেষ্টা করতে হবে একযোগে। জানা গিয়েছে, আগামী মাসে ব্রিকসের আয়োজন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share