Author: ishika-banerjee

  • Weather Update: পুজোর আগে ফের বৃষ্টি, শহরের আকাশে মেঘের আনাগোনা! মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    Weather Update: পুজোর আগে ফের বৃষ্টি, শহরের আকাশে মেঘের আনাগোনা! মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যালেন্ডারে বর্ষা বিদায় নিয়েছে, এসেছে শরৎ। কিন্তু বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না বঙ্গবাসীর। পুজোর মুখে ফের আকাশের মুখ ভার। সকাল থেকে শহরের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বিক্ষিপ্ত ভাবে চলছে বৃষ্টি। রবিবার মহালয়া। দক্ষিণবঙ্গের অন্তত আটটি জেলায় সে দিনও ঝড়়বৃষ্টি হতে পারে, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। রাজ্যের নানা প্রান্তেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোর আগে শেষ শনি ও রবিবার বৃষ্টির ফলে বানচাল হতে পারে কেনাকাটা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। পুজোর মধ্যেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

    উত্তর থেকে দক্ষিণে চলছে বৃষ্টি

    শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সাত জেলাতে (Rain in Kolkata)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা-মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশিরভাগ এলাকাতে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিং-সহ উপরের পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। আগামিকাল, শনিবার থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। শনিবার থেকে মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা কমবে থাকবে। আজ, শুক্রবার ভারী বৃষ্টির‌ হলুদ সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতে। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা-মাঝারি বৃষ্টি হবে সব জেলাতেই। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসের সতর্কতা।

    সাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত

    সাগরে কিছু দিন আগেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। এখন তা পূর্ব বিহার এবং সংলগ্ন অঞ্চলের উপরে রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঘূর্ণাবর্তটি এখন দেড় কিলোমিটার উঁচুতে। মূলত এর প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। তার ফলে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। শুক্রবার কলকাতার (Rain in Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় ২.৩ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। কলকাতায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কোথাও টিপটিপ তো কোথাও এক পশলা। মহালয়ায় কলকাতায় আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা এখনও পর্যন্ত নেই। দু’-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। তবে তার পরের দিন কলকাতাও ভিজতে পারে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

  • Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত রাহুল গান্ধীর অভিযোগ খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রায় ৬০১৮টা আবেদন জমা পড়েছিল। এত বেশি সংখ্যক আবেদন সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, প্রতিটা আবেদন খুঁটিয়ে দেখে কমিশন। দেখা যায় মাত্র ২৪টা আবেদন সঠিক। ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো। তাই শুধু ওই ২৪টা গ্রহণ করে বাকি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কমিশন।

    কী বলল নির্বাচন কমিশন

    রাহুলের অভিযোগকে ‘ভুল এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে কর্নাটক তথা জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, নির্দিষ্ট সফ্‌টঅয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “অলন্দ কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্র। কেউ কেউ ৬০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি না ২০২৩ সালের ভোটে (কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন) ঠিক কত জনের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা অবশ্যই ৬০১৮-র বেশি হবে।” কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে কেউ কোনও ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।

    এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন

    রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, ‘ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া’ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কর্নাটকের সিআইডি কমিশনকে ১৮ বার চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলে দাবি করছিলেন রাহুল। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, তাদের নির্দেশে কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পুলিশকে সব তথ্য দেন। কর্নাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের নামোল্লেখ করে কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, সেখানে ২০২৩ সালে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। সেই সময় একটি এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন।

  • Adani Group Companies: কোনও প্রতারণা হয়নি, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ উড়িয়ে সেবির ক্লিনচিট আদানিকে

    Adani Group Companies: কোনও প্রতারণা হয়নি, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ উড়িয়ে সেবির ক্লিনচিট আদানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) বিরুদ্ধে মার্কিন শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) তোলা অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে জানাল সেবি (SEBI)। ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মে মাসের শেষে ক্লিনচিট পেয়েছিলেন সেবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবী পুরী বুচ। এবার ক্লিনচিট পেয়ে গেলেন আদানি।

    সেবির ছাড়পত্র

    ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ দাবি করেছিল, আদানি গোষ্ঠী তার তিনটি সংস্থা, আদিকর্প এন্টারপ্রাইজেস, মাইলস্টোন ট্রেডলিঙ্কস ও রেহভার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার করে গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে টাকা স্থানান্তর করেছে। প্রসঙ্গত, মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের বিনিয়োগ ছিল মরিশাসের আইপিই প্লাস ফান্ড ও বারমুডার গ্লোবাল ডায়নামিক অপরচুনিটি ফান্ডে। এই দুই সংস্থার সঙ্গেই আদানির যোগ রয়েছে অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেবির নাম জড়ানোর পর মাধবী পুরী বুচের বদলে সেবির নয়া চেয়ারম্যান হন তুহিন কান্ত পান্ডে। গত ১ মার্চ থেকে তিনি এই পদে। এবার তাঁর পদে থাকাকালীনই আদানির বিরুদ্ধে থাকা হিন্ডেনবার্গের সব অভিযোগ মিথ্যে বলে খারিজ করে দিল সেবি। বৃহস্পতিবার সেবি দু’টি পৃথক আদেশে জানায়, তদন্তে এমন কোনও অনিয়মের প্রমাণ মেলেনি। সেবির ব্যাখ্যা, ওই সময় যে ধরনের লেনদেন হয়েছিল, তা তখনকার নিয়মে ‘রিলেটেড পার্টি ট্রানজ্যাকশন’-এর আওতায় পড়ত না। নিয়ম পরিবর্তন হয় ২০২১ সালে। উপরন্তু, সব ঋণ ফেরত দেওয়া হয়েছে, তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই এবং কোথাও প্রতারণা বা বেআইনি লেনদেন হয়নি। তাই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমস্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে।

    রাজনৈতিক ও আর্থিক চক্রান্ত

    হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ফলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। প্রায় ১৩ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। প্রথম থেকেই আদানিরা এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আসছিলেন। এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞদের প্যানেল গঠিত হয়। আদানি সম্পর্কে তাদের অনুসন্ধানের ফলাফলও ছিল সেবি-র অনুরূপ। ওই প্যানেলও তেমন কোনও অনিয়মের প্রমাণ খুঁজে পায়নি। বৃহস্পতিবার সেবি ক্লিনচিট দেওয়ার পর গৌতম আদানি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমরা সবসময় বলে এসেছি, হিন্ডেনবার্গের দাবি ভিত্তিহীন। এত দিনের তদন্তের পর সেবি-ও সেটাই বলল। স্বচ্ছতা এবং সততাই আদানি গোষ্ঠীর সম্পদ। এই ভুয়ো রিপোর্টটির জন্য যাঁদের ক্ষতি হয়েছে, যাঁরা টাকা হারিয়েছেন, আমরা তাঁদের জন্য গভীর ভাবে দুঃখিত। যাঁরা এ ভাবে ভুয়ো খবর ছড়ান, দেশের কাছে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ভারতের জনগণের প্রতি আমরা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্যমেব জয়তে! জয় হিন্দ!’’

  • US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চট্টগ্রামের (US Army in Chattogram) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অবতরণ করেছে ‘বিদেশি’ সামরিক বিমান। এদিকে কয়েকদি আগেই নাকি চট্টগ্রামে ১২০ জন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য যান। তারা চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল ব়্যাডিসন ব্লু-তে আছেন। এই সব মিলে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চাও চলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োকোটা ঘাঁটি (জাপান) থেকে পরিচালিত একটি ট্যাকটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট। একইসাথে চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যেখানে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী।

    চট্টগ্রামে যৌথ মহড়ায় নজর রাখছে ভারত

    এই মহড়া ও সাম্প্রতিক তৎপরতাগুলোর প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—ভারতের জন্য কি এই মহড়া উদ্বেগের কারণ? ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সন্নিকটে চট্টগ্রামে মার্কিন সেনা উপস্থিতি কী আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে? গত ১০ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। এরই সঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ জন মার্কিন সেনা এবং বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। এসব সৈন্যরা রেডিসন ব্লু হোটেলে অবস্থান করে, যেখানে তাদের নাম রেজিস্টারে লেখা হয়নি। এই অপারেশনটি ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৪’-এর অংশ। ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মহড়ার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা হয়েছিল?

    কি ঘটছে চট্টগ্রামে?

    ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ মূলত একটি মানবিক সহায়তা ও সামরিক সহযোগিতা ভিত্তিক মহড়া, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ২৪২ জন সামরিক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৯২ জন মার্কিন ও ১৫০ জন বাংলাদেশি সেনা সদস্য রয়েছেন। মহড়ায় অংশ নিচ্ছে তিনটি সি-১৩০জে পরিবহণ বিমান (দুটি যুক্তরাষ্ট্রের), একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার (বাংলাদেশ বিমান বাহিনী)। এছাড়াও, আমেরিকার চার্জ দ্যা’ফেয়ার ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সেসের (PACAF) প্রতিনিধি ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    ভারত-মায়ানমার সম্পর্ক

    এর আগে, ৮-১০ সেপ্টেম্বর হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত ‘ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’-এ ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। এদিকে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে চিনের প্রভাব বাড়ছে। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে (যেমন আরাকান আর্মি) সমর্থন করতে চায়। এই বিদ্রোহীরা জুন্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এদিকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও আমেরিকার নজর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের সামরিক জুন্তার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিবেশী দেশের সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় রয়েছে। এদিকে মায়ানমারকে নিজেদের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে ভারত সরকার। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট প্রজেক্ট (মিজোরাম থেকে সিত্তে বন্দর পর্যন্ত) এর মতো প্রকল্পগুলি জুন্তার সমর্থনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু মায়ানমারে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই অর্থে, এই গোটা বিষয়টি খুব সংবেদনশীল।

    উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তির আশঙ্কা

    এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মিশর বিমান বাহিনীর একটি পরিবহণ বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং এর একদিন পরেই মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পতেঙ্গা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক করিডোর তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। তবে এই করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এদিকে এই করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করতে পারে বলে আশঙ্কা শুরু হয়েছিল তাদের দেশের অভ্যন্তরেই। যার জেরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ইউনুস সরকারের ওপর। তারপর বেশ কয়েক মাস বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ইউনুস সরকারের তরফ থেকে। এমনকী বলা হয়েছিল, এই করিডোরের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি।

    আমেরিকার লক্ষ্য কি শুধুই চিন-বিরোধিতা?

    বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল মূলত চিনকে প্রতিহত করা। তবে এর প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক ভারসাম্যেও পড়ছে। বাংলাদেশে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে—যা একদিকে চিনের প্রভাব ঠেকানোর চেষ্টা, অন্যদিকে ভারতকেও নির্দিষ্ট ছকেই রাখতে চাওয়ার ইঙ্গিত। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র-আন্দোলনের মুখে পড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়। এর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে, বলে অভিযোগ করেন হাসিনা। বলা হয়, শেখ হাসিনা ‘সেন্ট মার্টিন’ দ্বীপ মার্কিন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট ছিল।

    বদলে যাওয়া ভূরাজনীতি

    শেখ হাসিনা সরে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘টাইগার লাইটনিং ২০২৫’ নামের একটি ছয় দিনের যৌথ মহড়া জুলাই মাসে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড এবং বাংলাদেশের প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সতর্ক সংকেত হতে পারে। চট্টগ্রাম ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মায়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি। আমেরিক যদি এই অঞ্চলকে লজিস্টিক হাব বা গোয়েন্দা তৎপরতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে, তাহলে তা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চিন—উভয় দেশই মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী তৎপরতা ও শরণার্থী সঙ্কটকে জটিল করে তুলতে পারে। এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ তৎপরতা মানবিক ও প্রশিক্ষণমূলক দাবি করা হলেও, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই।

  • ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    ICC: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দেয়নি আইসিসি, এই ভারতীয়ের যুক্তির কাছে হারে পিসিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)-এর মধ্যে বিতর্কের সমাধান করলেন আইসিসি সিইও সঞ্জয় গুপ্তা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সঞ্জয় গুপ্তা (Sanjay Gupta) একক নেতৃত্বে সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দেন এবং কঠোর বার্তা দেন যে, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়া অফিসিয়ালদের অপসারণের দাবি মানা হবে না।

    সঞ্জয় গুপ্তার দৃঢ় অবস্থান

    ১৪ই সেপ্টেম্বর, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচের পরে বিতর্ক শুরু হয়। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করে ভারতীয় দল। এই ঘটনার পর, পিসিবি অভিযোগ করে যে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট নাকি দুই অধিনায়ককে টিমশিট বিনিময় করতে বাধা দেন এবং সালমানকে করমর্দনের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেন। এরপর পাকিস্তান আইসিসি-কে লিখিতভাবে পাইক্রফটকে সরিয়ে রিচি রিচার্ডসনকে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। আইসিসি সূত্রে খবর, পিসিবি’র দাবির বিপরীতে কড়া অবস্থান নেন সঞ্জয়। আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কোনও কোড অফ কনডাক্ট লঙ্ঘন করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। দুপক্ষের মধ্যে ৬টি ইমেল বিনিময় হয়, যার মধ্যে তিনটি করে ইমেল পাঠানো হয় দুই পক্ষ থেকে। অন্তর্দ্বন্দ্ব এড়াতে কিছু কর্মকর্তা ১৭ সেপ্টেম্বর আরব-আমিরশাহী ম্যাচে শুধু এক ম্যাচের জন্য পাইক্রফটকে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সঞ্জয় গুপ্ত তা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, “এভাবে চাপের কাছে নতিস্বীকার করলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে ভুল বার্তা যাবে।”

    কে এই সঞ্জয় গুপ্তা?

    ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আইসিসি-র সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন সঞ্জয় গুপ্ত। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। ভারতের ক্রীড়া সম্প্রচার মহলের পরিচিত নাম। ২০০২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক ডিগ্রি (অনার্স)। ২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এরপর একে একে কনটেন্ট, সম্প্রচার, বিপণন স্ট্র্যাটেজি—একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০ সালে সঞ্জয় ডিজনি ও স্টার ইন্ডিয়ার স্পোর্টস বিভাগের সিইও পদে বসেন। কেবল শহরেই নয়, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খেলাকে পৌঁছে দিতে চান। তাই তাঁর নেতৃত্বেই উঠে আসে স্লোগান: ‘স্পোর্টস ফর অল’! ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভায়াকম ১৮ (Viacom 18) ও ডিজনি স্টার (Disney Star) মিলেমিশে গড়ে ওঠে জিওস্টার (JioStar)। সঞ্জয় সেখানে স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপিয়িয়েন্সেস বিভাগের সিইও হন। এরপর আগে-পরে আইপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো, আইসিসি ইভেন্টের সম্প্রচারে নতুনত্ব আনা, প্রো কাবাডি লিগ (PKL)-এর উত্থান, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এর প্রতিষ্ঠা, উইম্বলডন ও ভারতে প্রিমিয়ার লিগ-এর মত আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এবং ক্রীড়া সম্প্রচারের পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সঞ্জয় গুপ্তা।

    ক্রিকেট দুনিয়াকে স্পষ্ট বার্তা

    পাইক্রফট বিতর্কে সঞ্জয় গুপ্তের দৃঢ় এবং পেশাদারী পদক্ষেপ ক্রিকেট মহলে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনৈতিক চাপের মুখেও তিনি যে নিরপেক্ষতা ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন, তা স্পষ্ট। সঞ্জয় বুঝিয়ে দিয়েছেন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, তবে প্রমাণ ছাড়া কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ন্যায়বিচার, প্রোটোকল ও পেশাদারিত্বকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দেওয়া হবে।

  • Joint military Station: শীঘ্রই তৈরি হবে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন, ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে বড় সিদ্ধান্ত

    Joint military Station: শীঘ্রই তৈরি হবে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন, ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে বড় সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে নেওয়া হল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে কমান্ডারদের সেই সম্মেলন শেষ হয় বুধবার। সেখানেই ঠিক করা হয়েছে এবার তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station) তৈরি করা হবে। একটি হবে দেশের উত্তর অংশে, অন্যটি মধ্য অংশে, আর একটি পূর্ব অংশে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনার সংস্কারের প্রথম ধাপ হিসাবে থিয়েটার কমান্ড তৈরিতেও বিশেষ জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    থিয়েটার কমান্ড তৈরির পথে দেশ

    সম্প্রতি কলকাতায় এসে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সম্মেলনেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মধ্যে সমন্বয় দেখা গিয়েছিল। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সেনা এবং বায়ুসেনা একসঙ্গে কাজ করেছিল। এছাড়া নৌসেনার সঙ্গেও সমন্বয় বজায় রেখেছিল বায়ুসেনা। উল্লেখ্য, আমেরিকার মতো যৌথ সামরিক থিয়েটার কমান্ড তৈরির জন্যে মোদি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের পদ তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ধাপে ধাপে এই থিয়েটার কমান্ড বাস্তবায়নে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরির প্রথম ধাপই হল জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station)।

    আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 

    সেনাবাহিনীর শিক্ষা শাখাগুলির মূল দায়িত্ব হচ্ছে সেনা সদস্যদের শিক্ষার মান উন্নত করা। এদের নিযুক্তি হয়ে থাকে বিভিন্ন সাব-এলাকা (গ্যারিসন), হেডকোয়ার্টার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইউনিট, সৈনিক স্কুল, সামরিক স্কুল, কলেজ ও সিলেকশন সেন্টারে। যৌথ সামরিক স্টেশন (Joint military Station) হলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে গঠিত সামরিক এলাকা, যেখানে সৈনিক, সরঞ্জাম এবং তাদের পরিবাররা বসবাস ও প্রশিক্ষণ করে। এই ধরনের যৌথ স্টেশন গঠন সামরিক কার্যক্ষমতার আরও সমন্বয় সাধন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০২৫ সালকে ঘোষণা করেছে ‘সংস্কারের বছর’ (Year of Reforms) হিসেবে। ত্রি-সেনা একত্রিকরণ এবং যৌথ কাঠামোর মাধ্যমে একটি সমন্বিত শক্তি গঠন করতে চাইছে ভারত। এর অন্যতম ধাপ হলো ইন্টিগ্রেটেড থিয়েটার কমান্ড (ITCs) -এর গঠন। বর্তমানে ১৭টি আলাদা কমান্ড (সেনা ও বিমান বাহিনীর সাতটি করে, নৌবাহিনীর তিনটি) আলাদাভাবে কাজ করে। ভবিষ্যতে এগুলিকে একত্রিত করে একক থিয়েটার কমান্ডে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন-এর গুরুত্ব

    স্থল সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ু সেনাকে একসঙ্গে কাজ করে মোকাবিলা করতে হবে শত্রুদের। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মূলত এই বিষয়ের উপরেই বেশি করে জোর দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, এক জায়গায় থেকে যেকোন অপারেশনের কার্যকলাপ শুরু করলে, তা যেকোনো পরিস্থিতিতে সাফল্য এনে দিতে পারে। সেই কারণেই এই প্রথম ভারতের জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station) তৈরি করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একদিকে চিনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তান সেনার মদতে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গি ঘাঁটি গুলি আবার সক্রিয় হওয়া। তাই এবার নতুন স্ট্র্য়াটেজির পথে হাঁটতে চাইছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারতীয় সেনার রণকৌশল বদলের পাশাপাশি সীমান্ত নীতির দিক থেকে আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। গঠিত হচ্ছে ত্রি-সেনা শিক্ষা শাখাগুলিকে একত্রিত করে একক ‘ত্রি-সার্ভিসেস এডুকেশন কর্পস’

  • EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা-কালোর যুগ শেষ। এবার থেকে নির্বাচনের সময়ে ইভিএমে (EVM) প্রত্যেক প্রার্থীর রঙিন ছবি থাকবে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ওই সময় থেকেই পরিবর্তন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। এবার থেকে শুধুমাত্র দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নয়, থাকবে প্রার্থীদের ছবিও। কাকে ভোট দিচ্ছেন, প্রার্থীর ছবি দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন ভোটাররা। ছবির স্থানের চার ভাগের তিন ভাগে থাকবে প্রার্থীর মুখ। সিরিয়াল নম্বরও আরও স্পষ্টভাবে লেখা হবে।

    প্রার্থীর রঙিন ছবি, ক্রমিক নম্বর বড় হরফে

    বুধবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোট সাত দফা নতুন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ রয়েছে। কমিশনের (Election Commission of India) বক্তব্য ভোটারদের সুবিধার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত দিন ইভিএমে (EVM) প্রার্থীদের সাদাকালো ছবি থাকত। এখন থেকে প্রার্থীদের ছবি হবে রঙিন। ছবিতে প্রার্থীর মুখ আগের তুলনায় আরও বেশি জায়গা জুড়ে থাকবে, যাতে তাঁকে সহজে চেনা যায়। কমিশন আরও জানিয়েছে, এ বার থেকে ইভিএমে প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বর আরও বড় এবং স্পষ্ট হবে। প্রত্যেক প্রার্থী এবং ‘নোটা’ -র নম্বর বড় হরফে এবং মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে, যাতে ভোটাররা সহজে দেখতে পান। এ ছাড়া সব প্রার্থীর নাম একই ধরনের অক্ষরে লেখা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। তাঁদের নাম একই হরফে, একই মাপে ছাপানো হবে। ছাপানো হরফে প্রার্থীদের কারও নাম ছোট, কারও বড়— এমন হবে না। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ জিএসএম মাপের ইভিএম পেপারে বোল্ড অক্ষরে এবং ৩০ ফন্ট সাইজে সিরিয়াল নম্বর ও প্রার্থীর নাম থাকবে।

    ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত

    এ ছাড়া ইভিএমের (EVM) ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ছাপানো হবে ভাল মানের (৭০ জিএসএম) কাগজে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করা হবে। একটি ব্যালট পেপারে ১৫ জনের বেশি প্রার্থীর নাম থাকবে না। সরকারি বা আধা-সরকারি প্রেসেই ইভিএম ব্যালট পেপার ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের গাইডলাইনের ১৯৬১-এর ৪৯খ ধারা অনুযায়ী, এই সংশোধনগুলি করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, সংশোধিত নিয়ম অনুসারে, ব্যালটকে আরও ভোটার-বান্ধব করে তুলতে এবং ভোটকেন্দ্রে বিভ্রান্তি কমাতে নকশা এবং মুদ্রণ উভয়ই পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে ভোটারদের আস্থা জোরদার করা যায়।

    ভোটারদের সুবিধার্থে নয়া পদ্ধতি

    ইভিএম (EVM) হলো নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। ভোটাররা কেবল একটি বোতাম টিপে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন এবং এই ভোট সরাসরি মেশিনে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো ভারতের সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। ভোটারদের স্বার্থে এবার সেখানে কিছু পরিবর্তন করা হল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে। আগামী বছরে ভোট রয়েছে বাংলাতেও। আগামী দিনে বাংলা-সহ অন্য রাজ্যের ভোটেও এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। ইতিমধ্যেই সব রাজ‍্যগুলিকে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কমিশনের থেকে।

  • India Maritime Sector: সামুদ্রিক খাতে ৮০ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ! তৈরি হবে ১.৫ কোটি কর্মসংস্থান, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনোয়ালের

    India Maritime Sector: সামুদ্রিক খাতে ৮০ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ! তৈরি হবে ১.৫ কোটি কর্মসংস্থান, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনোয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামুদ্রিক খাতে (India Maritime Sector) ৮০লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে চলেছে। ভারতের বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মঙ্গলবার এই কথা জানান। এর ফলে প্রায় ১.৫ কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ভারত সবুজ এনার্জি অর্থাৎ পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির ব্যবহার করে জাহাজ চলাচলের দিকে বড় পদক্ষেপ করবে। সোনোয়াল বলেন, “মারিটাইম অমৃতকাল ভিশনের মাধ্যমে ভারত সামুদ্রিক ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে একটি বিশ্বমানের সামুদ্রিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।”

    মারিটাইম অমৃতকাল ভিশন

    সোনোয়াল ভারতের সামুদ্রিক উন্নয়নকে “সমৃদ্ধি এবং ঐতিহ্যের গর্ব” হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই ভিশনের লক্ষ্যই হল, দেশের সামুদ্রিক খাতে ৮০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে আসা। ভারতকে ‘ব্লু ইকোনমি’ ভিত্তিক উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া। এই বিনিয়োগ এলে কর্মসংস্থানের সুযোগ এক ধাপে অনেকটা বেড়ে যাবে। এই বিনিয়োগের ফলে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮৪০টি প্রকল্প গৃহীত হবে।

    সাগরমালা প্রকল্প

    ভারতের সামুদ্রিক রূপান্তরের প্রধান চালিকা শক্তি হল সাগরমালা প্রকল্প। এর আওতায় ৮৪০টি প্রকল্পের ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য খরচ ধার্য করা হয়েছে, ৫.৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭২টি প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যার মূল্য ১.৪১ লক্ষ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে, বন্দর আধুনিকীকরণ, উপকূলীয় শিপিং, অভ্যন্তরীণ জলপথ, মাছ ধরার বন্দর উন্নয়ন প্রভৃতি।

    বাধবন বন্দর

    মহারাষ্ট্রে নির্মিতব্য ৭৬,০০০ কোটি মূল্যের বাধবন বন্দর হবে বিশ্বের শীর্ষ ১০ কনটেইনার বন্দরের একটি। অবস্থানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই বাধবন বন্দর। গুজরাট শিল্পাঞ্চল, পণ্য পরিবহণ করিডরেরও কাছাকাছি এটি। বৃহৎ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা থাকবে এই বন্দরের। এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে এই বন্দরের শক্তিশালী উপস্থিতি, একে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দেবে।

    ভারতের বন্দর বিশ্বে সেরা

    বর্তমানে ভারতের ৯টি বন্দর বিশ্বসেরা ১০০ বন্দরের তালিকায় স্থান পেয়েছে। সোনোয়াল কেরলকে মারিটাইম ভিশন ২০৪৭-এ একটি মুখ্য রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। কেরলেই রয়েছে ৫৪টি সাগরমালা প্রকল্প যার আর্থিক মূল্য ২৪,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০টি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে – যার মধ্যে রয়েছে কোচি, কন্নুর ও থ্রিসূরের আধুনিক মাছ ধরার বন্দর। কোচিন বন্দর ও ভাল্লারপাদম ট্রানশিপমেন্ট টার্মিনালের সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    ইন্ডিয়া মারিটাইম উইক ২০২৫

    ২০২৫ সালে ভারতের মারিটাইম উইক অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবর মাসে, মুম্বইতে। এতে অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক, সামুদ্রিক খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। এখানে জাহাজ পরিবহণ খাতে কার্বন নিঃসরন (Decarbonisation), সরবরাহ শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা (Supply Chain Resilience), বন্দরে সাইবার নিরাপত্তা, টেকসই শিপিং প্রযুক্তি নিয়ে নানা আলোচনা হবে। এই উদ্যোগগুলি ভারতের সামুদ্রিক খাতকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে এবং দেশকে একটি পরিবেশবান্ধব, উন্নত ও কর্মসংস্থানমুখী অর্থনীতির পথে নিয়ে যাবে।

  • Team India New Sponsor: অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে চুক্তি, ২১ দিনের মাথায় নতুন স্পনসর পেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

    Team India New Sponsor: অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে চুক্তি, ২১ দিনের মাথায় নতুন স্পনসর পেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ চলাকালীনই স্পনসর (Team India New Sponsor) পেয়ে গেল বিসিসিআই। ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’ ভারতীয় ক্রিকেট দলের (BCCI Tie Wth Apollo Tyres) নতুন স্পনসর। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিসিসিআইয়ের। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ‘অনলাইন গেমিং বিল’ পাশ করার পর ভারতের জার্সি স্পনসর হিসাবে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল ‘ড্রিম ১১’। ফলে কোনও জার্সি স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে। তবে প্রতিযোগিতার মধ্যেই নতুন স্পনসর পেয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ‘ড্রিম ১১’ সরে যাওয়ার পর ২১ দিনের মাথায় নতুন স্পনসর হয়েছে ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’।

    মোট ৬০০ কোটি টাকার চুক্তি

    এশিয়া কাপে সূর্যকুমার যাদবদের জার্সিতে কোনও স্পনসরের নাম নেই। অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজেও ভারতের মহিলা দল স্পনসরহীন জার্সি পরে খেলছে। এশিয়া কাপ চলাকালীন হয়তো আর নতুন জার্সি তৈরি হবে না ভারতের। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে জার্সি স্পনসর হিসাবে ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’-এর নাম দেখা যাবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর ছিল ‘ড্রিম ১১’। তারা প্রতি ম্যাচের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ৪ কোটি টাকা করে দিত। মোট ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল তাদের। জানা গিয়েছে, ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’ প্রতি ম্যাচের জন্য বোর্ডকে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা করে দেবে। বোর্ডের সঙ্গে মোট ৬০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে নতুন স্পনসরের। অর্থাৎ, বোর্ডের লাভ হয়েছে অনেকটাই।

    ২০২৭ সাল পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার চুক্তি

    ‘ড্রিম ১১’ সরে যাওয়ার পরেই নতুন দরপত্র দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’ ছাড়াও দরপত্র জমা দিয়েছিল ‘ক্যানভা’ ও ‘জেকে টায়ার’। ‘বিড়লা ওপটাস’ আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত দরপত্র জমা দেয়নি। দুই সংস্থাকে হারিয়ে বাজিমাত করেছে ‘অ্যাপোলো টায়ার্স’। অর্থাৎ, ‘সাহারা’, স্টার গোষ্ঠী’, ‘ওপো’, ‘বাইজুস’, ‘ড্রিম ১১’-এর পর এ বার ভারতের স্পনসর হল এক টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। বিসিসিআই মঙ্গলবার অ্যাপোলো টায়ার্সকে (Apollo Tyres) ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন জার্সির স্পনসর হিসাবে ঘোষণা করেছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল জার্সি স্পনসরার এই বিখ্যাত টায়ার কোম্পানি। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ১২১টি ও আইসিসির প্রতিযোগিতায় কমপক্ষে ২১টি ম্যাচ খেলবে। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া বলেন, ‘‘আমাদের দল ধারাবাহিক ভাবে যে ভাল পারফরম্যান্স করছে, তার প্রমাণ অ্যাপোলো টায়ারের মতো নতুন স্পনসরের আসা। ভারতীয় ক্রিকেটে এই প্রথম প্রধান স্পনসর হিসেবে যুক্ত হল অ্যাপোলো টায়ার।’’

  • AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র প্রয়াত মা হীরাবেনকে নিয়ে একটি এআই ভিডিও (AI Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট (Patna HC)।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও

    কংগ্রেসের বিহার ইউনিট (Bihar Congress) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাটনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পিবি বজন্ত্রি কংগ্রেসের বিহার ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে সোশ্য়াল মিডিয়ার সব প্ল্য়াটফর্ম থেকে ওই বিতর্কিত ভিডিও সরিয়ে ফেলতে। সূত্রের খবর, গত ১০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের বিহার ইউনিট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করে। তাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মাকে স্বপ্নে দেখছেন। তাঁর মা বিহারের ভোট নিয়ে তাঁর রাজনীতির সমালোচনা করছেন। ওই ভিডিও নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট।

    বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকদের ক্ষোভ

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকরা এর তীব্র নিন্দা করে। তারা অভিযোগ করে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে এই ধরনের ‘লজ্জাজনক’ কৌশল অবলম্বন করছে। তারা আরও দাবি করে, এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্ররোচনা সৃষ্টির জন্যই এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর প্রয়াত মায়ের প্রতি কোনও অসম্মান দেখানো হয়নি। পাশাপাশি তারা জানায়, কে বা কারা ওই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, বিজেপির দিল্লি নির্বাচন সেলের আহ্বায়ক সঙ্কেত গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস এবং তাদের আইটি সেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগে বলা হয়, ভিডিওটি মানহানিকর এবং এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির মায়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। পাশাপাশি, এটি সকল মায়েদের প্রতিও অপমানজনক।

    কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতা

    এ নিয়ে গত একমাসে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটল। গত ২৭ অগাস্ট বিহারের দ্বারভাঙায় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় একটি সমাবেশ থেকে মোদি ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। যার বিরুদ্ধে একটি সভা থেকে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশের সব মা, বোন ও কন্যাদের পক্ষে অপমানজনক। তিনি আরও বলেন, তাঁর মা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপির বক্তব্য, বারবার এই ধরনের ঘটনা কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।

LinkedIn
Share