Author: ishika-banerjee

  • Shubhanshu Shukla: ‘ঠিক যেন শিশু, মহাকাশে হাঁটা-খাওয়া শিখছি…’, মহাশূন্য থেকে নমস্কার জানিয়ে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: ‘ঠিক যেন শিশু, মহাকাশে হাঁটা-খাওয়া শিখছি…’, মহাশূন্য থেকে নমস্কার জানিয়ে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিশ্ব, মহাকাশে ভাসছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশ শুক্লা (Shubhanshu Shukla)৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটেয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছবে তাঁদের মহাকাশযান ক্যাপসুল ‘গ্রেস’। ইতিমধ্যে মহাকাশে প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটিয়ে ফেলেছেন চার নভশ্চর। সেখান থেকেই পৃথিবীর উদ্দেশে আরও এক বার বার্তা দিলেন শুভাংশু। শোনালেন মহাকাশে একটা গোটা দিন কাটিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা! মহাশূন্য থেকে দেশবাসীকে ‘নমস্কার’ জানান শুভাংশু। বলেছেন, মহাশূন্যে অভিকর্ষের ব্যাপক পার্থক্যের কারণে আবার এখন শিশুর মতো হাঁটতে শিখছেন ৷

    মহাকাশে কেমন লাগছে শুভাংশুর ?

    এই মিশনে দারুণ উত্তেজিত অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের পাইলট শুভাংশু শুক্লা ৷ তাঁর সহ-নভশ্চরদের সঙ্গে এই যাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ ৷ আমেরিকার স্পেসএক্স সংস্থার মহাকাশ স্টেশনের লঞ্চপ্যাড থেকে তাঁদের রকেট উৎক্ষেপণের সময়ে একটা বিশাল ধাক্কা অনুভব করেছেন শুভাংশু-সহ অন্যরা ৷ এরপর একটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাকাশের পথে যাত্রা শুরু করে রকেট ৷ তখনও অস্বস্তি হচ্ছিল শুভাংশুর ৷ এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই প্রবল হয়েছে মহাশূন্যের নিস্তব্ধতা ৷ আর সঙ্গে মহাকাশের ভারশূন্য অবস্থা ৷ ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে মহাকাশ থেকে সরাসরি পৃথিবীর সঙ্গে কথোপকথন করেছেন চার নভশ্চর। অ্যাক্সিয়ম স্পেসের এক্স হ্যান্ডলেও সেই ভিডিয়োর সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। সেখানেই শুভাংশু বলেন, ‘‘যখন যাত্রা শুরু হল, তখন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। খুব ভাল সফর ছিল। মহাকাশে পৌঁছোতেই অস্বস্তি শুরু হয়। শুনলাম, গত কাল নাকি আমি পড়ে পড়ে ঘুমিয়েছি!’’

    শিশুর মতো শিখছেন

    শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) ছাড়াও নাসার এই অভিযানে রয়েছেন পেগি হুইটসন, স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি এবং টিবর কাপু। মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণ-শূন্য পরিবেশে হাঁটাচলা থেকে শুরু করে সব কিছুই নতুন করে শিখতে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার যাত্রাপথে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে? এর উত্তরে শুভাংশ জানান, তিনি এখন কিছুটা ভালো বোধ করছেন ৷ ভালো করে ঘুমোচ্ছেন এবং নতুন এক বিশ্বে এক কৌতূহলী শিশুর মতো ক্রমাগত শিখে চলেছেন ৷ শুভাংশু বলেন, ‘‘শিশুর মতো হাঁটতে শিখছি! শিখছি কী ভাবে হাঁটতে হয়, কী ভাবে খেতে হয়!’’ মহাকাশের পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন শুভাংশুরা ৷ ক্যাপসুলে বন্দি থেকে প্রতি মুহূর্তে মহাশূন্যের নতুন নতুন দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং সহ-নভশ্চরদের সঙ্গে ভুলত্রুটিগুলিও সংশোধন করছেন ৷

    ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা

    ইতিহাস গড়েছে ভারত। রাকেশ শর্মার পর চার দশক ডিঙিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন ৩৯ বছরের ভারতীয় নভোচর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। বুধবার দুপুরে আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দেন তিনি। মহাকাশ থেকে প্রথম বার্তায় আগেই শুভাংশু জানিয়েছিলেন ‘বর্ণনাতীত’ অভিজ্ঞতা। অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের (Axiom-4 mission) সফল উৎক্ষেপণের পর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা পৃথিবীতে পাঠানো প্রথম বার্তায় জানান, কাঁধে করে তেরঙা নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ চার দশক পর এক অনন্য ইতিহাসের পাতায় লিখতে চলেছেন তাঁর দেশ ভারতের নাম। মিশনের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো প্রথম বার্তায় শুক্লা বলেন, এই অভিযান শুধু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা নয়, ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা।

    শুভাংশুকে প্রধানমন্ত্রী মোদির শুভেচ্ছা

    শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, , ‘‘নমস্কার, আমার প্রিয় দেশের মানুষ। কী মজার যাত্রা! ৪১ বছর পর আমরা আবার মহাকাশে পাড়ি দিলাম। দারুণ লাগছে! এখন আমরা পৃথিবীকে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ৭ কিমি গতিতে প্রদক্ষিণ করছি। তেরঙা আমার কাঁধে রয়েছে। যা আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে আছি। আমি চাই আপনারাও সকলে আমার এই যাত্রার সঙ্গী হন। আপনাদের বুক নিশ্চই গর্বে ফুলে উঠবে। মহাকাশে ভারতের মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। জয় হিন্দ! জয় ভারত!’’ শুভাংশুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘শুভাংশু শুক্লাই প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখবেন। তিনি নিজের কাঁধে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছা, আশা, আকাঙ্ক্ষার ভার বহন করছেন।’’

  • The Rising Indian Chess: ৯ বছরের ভারতীয় খুদের কাছে হার বাঁচালেন কার্লসেন, ৪২ জন দাবাড়ুকে ৪২.৩ লক্ষ বৃত্তি কেন্দ্রের

    The Rising Indian Chess: ৯ বছরের ভারতীয় খুদের কাছে হার বাঁচালেন কার্লসেন, ৪২ জন দাবাড়ুকে ৪২.৩ লক্ষ বৃত্তি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৯ বছরের ভারতীয় দাবাড়ুর (The Rising Indian Chess) কাছে প্রায় হেরেই যাচ্ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেন। কোনও মতে বাঁচলেন তিনি। দিল্লির খুদে দাবাড়ু আরিত কপিলের (Aarit Kapil vs Magnus Carlsen) বিরুদ্ধেই লজ্জার মুখে পড়েছিলেন কার্লসেন। ‘আর্লি টাইটেল্ড টিউসডে’ নামক একটি দাবা প্রতিযোগিতায় এমনটাই দেখা গেল। আসলে সরকারি সহায়তায় গত কয়েক বছরে ভারতে দাবার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। অন্য খেলার মতোই দাবার উন্নতিতেও সক্রিয় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। সম্প্রতি নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা দিতে অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন (AICF) চালু করেছে ‘টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড স্কিমও (TNPSS)’।

    ভারতীয় দাবাড়ুর কাছে বেকায়দায় কার্লসেন

    জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-৯ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আরিত। কার্লসেনের বিরুদ্ধে খেলতে বসে বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুকে চাপে ফেলে দিয়েছিল সে। খুদে দাবাড়ু পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল। কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সুবিধাজনক জায়গায় থাকলেও কার্লসেনকে হারাতে পারেনি সে। হারের মুখ থেকে ম্যাচ ড্র করে স্বস্তি পান কার্লসেন। ‘আর্লি টাইটেল্ড টিউসডে’ প্রতিযোগিতাটি ছিল অনলাইনে। আরিত খেলছিলেন জর্জিয়ার একটি হোটেল থেকে। কিছু দিন আগে ভারতের গুকেশের বিরুদ্ধে হেরেছিলেন কার্লসেন। নরওয়ে ওপেনের ষষ্ঠ রাউন্ডে কার্লসেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় পিছিয়ে ছিলেন গুকেশ। সেখান থেকে ফিরে আসেন ভারতীয় দাবাড়ু। তাঁর কাছে হার মানতে পারেননি কার্লসেন। রেগে টেবিলে ঘুষি মেরেছিলেন তিনি।

    আরিত কে

    রাজধানী দিল্লি থেকে উঠে আসা ৯ বছর বয়সি আরিত কপিল ইতিমধ্যেই দেশের এক উজ্জ্বল দাবা প্রতিভা হিসেবে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অনূর্ধ্ব-৯ চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করার পর, বর্তমানে তিনি অংশ নিচ্ছেন অনূর্ধ্ব-১০ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে, যা জর্জিয়াতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দু’টি পর্বে জিতেছে আরিত। তৃতীয় পর্বের ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। এটাই আরিতের প্রথম আন্তর্জাতিক সাফল্য নয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, ক্লাসিক্যাল দাবায় আমেরিকান গ্র্যান্ডমাস্টার রাসেত জিয়াতদিনোভকে পরাজিত করে আরিত। ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত কিআইআইটি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন টুর্নামেন্টে রাসেতকে হারিয়ে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারানোর নজির গড়ে আরিত। ভারতীয় দাবা দুনিয়ায় এই ক্ষুদে তারকার উত্থান নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য এক বড় আশার বার্তা বহন করছে। তবে কার্লসেনের সঙ্গে ড্র করলেও ‘আর্লি টাইটেল্ড টিউসডে’ প্রতিযোগিতা জিততে পারেনি আরিত। ১০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতেরই দাবাড়ু ভি প্রণব। কার্লসেন পেয়েছেন ৯.৫ পয়েন্ট। একই পয়েন্ট পান হান্স মোকে নিয়েমানও। টাইব্রেকারে জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন তিনিই।

    সরকারি সাহায্য ভারতে দাবার ক্রম উন্নতি

    গত কয়েক বছর ধরে দাবায় এগোচ্ছে ভারত। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, ডি গুকেশ, অর্জুন এরিগাইসিরা বিশ্ব দাবায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সেই তালিকায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তা দিতেই অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন (AICF) চালু করেছে ‘টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড স্কিম (TNPSS)’। এই প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ অর্থবছরের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে মোট ৪২ জন জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ স্থান অধিকারকারী দাবাড়ুকে মোট ৪২,৩০,০০০ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। প্রতি খেলোয়াড় পেয়েছেন ৬০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এই ৪২ জন দাবাড়ু বাছাই করা হয়েছে গত বছরের জাতীয় প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। বৃত্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা অনূর্ধ্ব-৭ থেকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগ পর্যন্ত খেলে। ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই এই টাকা দেওয়া হবে।

    কত টাকার বাজেট

    টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড প্রকল্পের জন্য মোট বাজেট বরাদ্দ ৬.১৫ কোটি টাকা। এই তহবিল খেলোয়াড়দের কোচিং, ভ্রমণ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যয় বহনে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “খেলো ইন্ডিয়া” ও “গ্রাসরুট অ্যাথলিটস”-এর উন্নয়নের আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে, অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন (AICF) এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এআইসিএফ-এর সভাপতি নিতিন নারাং বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা আমাদের অনেক প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়ের স্বপ্নকে থামিয়ে দিয়েছে। ‘টপ ন্যাশনাল প্লেয়ার্স স্টাইপেন্ড স্কিম (TNPSS)’ এই সমস্যার বিরুদ্ধে আমাদের জবাব। খেলোয়াড়-কেন্দ্রিক নীতির মাধ্যমে আমরা চেসে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের পাশে দাঁড়াতে চাই। এই প্রথমবার, আমরা আমাদের ‘স্বর্ণ কন্যা ও পুত্রদের’ ভবিষ্যতের জন্য সরাসরি বিনিয়োগ করছি। এটি কেবল এককালীন সহায়তা নয়, বরং তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।” এই প্রকল্প দেশের দাবা পরিকাঠামোকে মজবুত করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে দাবা মহল। এর ফলে ভবিষ্যতে ভারতের দাবা বিশ্বমঞ্চে আরও উচ্চতায় পৌঁছবে, এই আশাই করছেন সবাই।

    বৃত্তিপ্রাপ্ত দাবা খেলোয়াড়দের পূর্ণ তালিকা:

    অনূর্ধ্ব-৭ (U7)
    ছেলে: দেবনারায়ণ কল্লিয়াথ, প্রয়াঙ্ক গাঁওকর, আরাধ্য গুইন
    মেয়ে: আরন্যা আর, অর্পিতাংশী ভট্টাচার্য, সাইআস্তা সিংপেন

    অনূর্ধ্ব-৯ (U9)
    ছেলে: নিধিশ শ্যামল, আরিত কপিল, দিবিথ রেড্ডি আদুল্লা
    মেয়ে: কিয়ান্না পরিহার, দিবি বিজেশ, বংশিকা রাওয়াত

    অনূর্ধ্ব-১১ (U11)
    ছেলে: মাধবেন্দ্র প্রতাপ শর্মা, অদ্বিক অমিত আগরওয়াল, আরাভ এ
    মেয়ে: প্রতিতি বরদলৈ, আদ্যা গৌড়া, দিবি বিজেশ

    অনূর্ধ্ব-১৩ (U13)
    ছেলে: রেয়ান মোঃ, শেরলা প্রতমেশ, প্রণব সাই রাম আর এস
    মেয়ে: সারণ্য দেবী নারাহারী, নিবেদিতা ভি সি, নিহিরা কৌল

    অনূর্ধ্ব-১৫ (U15)
    ছেলে: ইলামপারথি এ আর, ভাজ ইথান, শেরলা প্রতমেশ
    মেয়ে: প্রিশিতা গুপ্ত, জৈন আশিতা, সপর্যা ঘোষ

    অনূর্ধ্ব-১৭ (U17)
    ছেলে: শ্রীরাম আদর্শ উপ্পালা, অর্পিথ এস বিজয়, জয়বীর মহেন্দ্রু
    মেয়ে: তেজস্বিনী জি, কীর্তিকা বি, অনুপম এম শ্রীকুমার

    অনূর্ধ্ব-১৯ (U19)
    ছেলে: আদিরেড্ডি অর্জুন, সৌরথ বিশ্বাস, জয়বীর মহেন্দ্রু
    মেয়ে: মৃত্তিকা মল্লিক, ভেলপুলা সারায়ু, স্নেহা হালদার

  • Operation Sindhu: ইরান ও ইজরায়েল থেকে এখনও ফিরছেন ভারতীয়রা, অপারেশন সিন্ধু চলবে কতদিন?

    Operation Sindhu: ইরান ও ইজরায়েল থেকে এখনও ফিরছেন ভারতীয়রা, অপারেশন সিন্ধু চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিন্ধুর (Operation Sindhu) আওতায় ইরান থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,১৫৪ জন। মঙ্গলবার ভারত ইরান ও ইজরায়েল থেকে ১,১০০-র বেশি ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করে ভারত। ইজরায়েল থেকে ৫৯৪ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার ২৯৬ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪ জন নেপালের নাগরিককে ইরান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারত। তবে ধীরে ধীরে অপারেশন সিন্ধুর গতি কমানো হচ্ছে। কারণ এখন ইরান ও ইজরায়েল দুই দেশের মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ইজরায়েল থেকে কীভাবে ফেরানো হল

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ ভারী পরিবহণকারী বিমান ব্যবহার করে ৪০০ জনের বেশি মানুষকে জর্ডান ও মিশরের স্থলপথ দিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানযোগে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৬১ জন ভারতীয় প্রথমে স্থলপথে ইজরায়েল থেকে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পৌঁছান। সেখান থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দিল্লি নিয়ে আসা হয় তাঁদের। বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা। ইজরায়েল থেকে জর্ডানে যাওয়া আরও ১৬৫ জন ভারতীয়কে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে দিল্লি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের অভ্যর্থনা করেন প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান। এছাড়াও, ইজরায়েল থেকে মিশরে যাওয়া ২৬৮ জন ভারতীয়কে শারম-এল-শেখ শহর থেকে সি-১৭ বিমানে তুলে দিল্লি আনা হয়েছে।

    ইরান থেকে এল কতজন

    বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুটি চার্টার্ড বিমানে মোট ৫৭৩ জন ভারতীয়, তিনজন শ্রীলঙ্কান এবং দু’জন নেপালিকে ইরান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরে আরও বেশ কয়েকটি বিমান ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজরায়েল ও ইরান একে অপরের শহর, সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। রবিবার সকালে ইরানের তিনটি প্রধান পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন বোমা হামলার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। গত ১৮ জুন থেকে ইরানের মাশহাদ শহর, আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান ও তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদ থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ইরান মাশহাদ থেকে তিনটি চার্টার্ড ফ্লাইট সুবিধার্থে ২০ জুন আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। প্রথম বিমানটি গত সপ্তাহের শুক্রবার গভীর রাতে ২৯০ জন ভারতীয়কে নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করেছিল এবং দ্বিতীয় বিমানটি শনিবার বিকেলে ৩১০ জন ভারতীয়কে নিয়ে দিল্লিতে অবতরণ করেছিল। বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান থেকে আরেকটি বিমান দেশে পৌঁছায়।

  • Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়ে পাকিস্তানকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে বিশাল যাদব নামে নৌবাহিনীর ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। নৌসেনার দিল্লির সদর দফতরে কর্মরত ওই কর্মী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ‘স্পাই’ হয়ে কাজ করত বলে অভিযোগ।

    ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশাল যাদব। নৌসেনার সদর দফতরে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল বিশাল। তাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, হরিয়ানার বাসিন্দা বিশাল প্রথমে ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে পড়ে। সে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহ করত। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার মাধ্যমেই পেয়েছে আইএসআই। পুলিশের দাবি, তার মোবাইল ফোন ঘেঁটেই এই কথা জানা গিয়েছে। বিশাল যাদব টাকার বিনিময়ে নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপন তথ্য এক মহিলাকে সরবরাহ করেছিল। ওই মহিলা তার ‘পাকিস্তানি হ্যান্ডলার’ ছিল।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ

    পুলিশ আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, রাজস্থানের সিআইডির গোয়েন্দা ইউনিট কারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছে তার ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে। এই কাজ করতে গিয়ে বিশাল যাদবের কাজ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। তখনই জানা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিশালের। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা নিজেকে প্রিয়া শর্মা বলে পরিচয় দিত। বিশালের কাছ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য জানার জন্য তাকে নিয়মিত টাকাও দিত ওই মহিলা।

    টাকা নিয়ে তথ্য পাচার

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমসে আসক্ত ছিল বিশাল। খেলায় হেরে যাওয়ার পরে তার টাকার দরকার পড়ত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়ত বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন জয়পুরে নিয়ে গিয়ে বিশালকে জেরা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কোন কোন তথ্য বিশাল ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করেছে তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা। পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাক গুপ্তচর-যোগের অভিযোগে ধৃত নেট-প্রভাবী জ্যোতি মালহোত্রার ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এরই মধ্যে নৌসনার অফিসে কর্মরত বিশালের গ্রেফতারিতে পাক গুপ্তচর-যোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফের হামলা মন্দিরে। ঢাকায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। দুর্গা মন্দির ভাঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হল। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৩ জুন) রাতে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় মুসলিমদের একটি দল হঠাৎ মন্দির প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হিন্দু ভক্তদের (Hindus Attack in Bangladesh) হুমকি দেয়—মন্দির না সরালে তা ভেঙে ফেলা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দিরের সেবায়েত সুমন সুদা জানান, উগ্রপন্থীরা রাতেই বলে,—পরের দিন মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে মন্দির তুলে নিতে হবে। নইলে মন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    এরপরই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করেন। খিলক্ষেত থানার ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “কিছু মানুষ সেখানে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।” পরে তিনি ঘটনাটিকে ‘তর্কাতর্কির’ ফল বলে উল্লেখ করে কিছুটা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান, “পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যেন কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।”

    অন্যান্য সাম্প্রতিক মন্দির দখলের ঘটনা

    ২১ জুন: কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত ১৪০০ বছরের পুরাতন শিব চণ্ডী মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা চালান এক মুসলিম ব্যক্তি, আবদুল আলী। তিনি মন্দিরের জমিতে টিনের ঘর তৈরি করে দাবি করেন, এটি তার বংশগত সম্পত্তি। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি দীপক সাহা বলেন, “এই জমির মালিকানা মন্দিরের নামে রেকর্ডকৃত। সাম্প্রতিক সময়ে ভক্তদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার আবদুল আলী এসে ওই জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।” এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে চন্দনা রাহুত,নামে এক মহিলা ভক্তের ওপর হামলা চালানো হয়।

    ১৭ জুন: নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় সন্ন্যাস মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা এবং হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে এক স্থানীয় চরমপন্থী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দাবি করেন, মন্দির ও তার আশেপাশের জমি তাদের। প্রতিবাদ করতে গেলে হিন্দুদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগের দিন ১৬ জুন হিন্দু মন্দির কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকারের উপর হামলা চালানো হয়।

  • Defence Ministry of India: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন

    Defence Ministry of India: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় ভারত। কোনওভাবেই সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোষ করতে নারাজ মোদি সরকার। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী (CT) অভিযানে দ্রুত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জরুরি ক্রয় (Emergency Procurement – EP) ব্যবস্থার আওতায় মোট ১,৯৮১.৯০ কোটি টাকার ১৩টি প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদিত করা হয়েছে। এই চুক্তিগুলি প্রতিরক্ষা বাজেটে অনুমোদিত মোট ২,০০০ কোটি টাকার অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই জরুরি চুক্তিগুলি দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সেনার তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। শত্রু দমনে তারা সক্রিয় হয়ে উঠবে।

    চুক্তির আওতায় যে প্রধান সরঞ্জামগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলি হল

    ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেম (IDDIS)

    লো লেভেল লাইটওয়েট রাডার (LLLR)

    ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) – লঞ্চার ও মিসাইল

    রিমোটলি পাইলটেড এরিয়াল ভেহিকেল (RPAVs)

    লুইটারিং মিউনিশন (সামরিক ড্রোন) সহ ভিটিওএল সিস্টেম

    বিভিন্ন ধরণের ড্রোন

    বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও বেলিস্টিক হেলমেট

    হেভি ও মিডিয়াম ক্যাটেগরির কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিকেল (QRFVs)

    রাইফেলের জন্য নাইট সাইট

    আত্মনির্ভর ভারতই লক্ষ্য

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ক্রয়গুলি ৮০% এর বেশি দেশীয় উপাদানসম্পন্ন। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এই চুক্তিগুলি করা হয়েছে।এর আগে, ২৩ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড (SDAL) এর কাছ থেকে প্রায় ৪৫০টি নাগাস্ত্র-১আর লুইটারিং মিউনিশন ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে। এই নাগাস্ত্র ১-আর সিস্টেমটিতে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা ও রাত্রিকালীন অভিযানের জন্য থার্মাল ক্যামেরা সংযুক্তির সুবিধা। এটি ভিডিও ও টেলিমেট্রি যোগাযোগে নিজস্ব এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই মিউনিশন সিস্টেমগুলি লাদাখ এবং উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির কাছে বাবিনায় সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকর ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সরঞ্জামের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

  • Axiom Mission 4: তৈরি হল ইতিহাস, ৪১ বছর পর মহাকাশে ফের ভারতীয়, শুভাংশুদের নিয়ে ‘ড্রাগন’-এর সফল উৎক্ষেপণ

    Axiom Mission 4: তৈরি হল ইতিহাস, ৪১ বছর পর মহাকাশে ফের ভারতীয়, শুভাংশুদের নিয়ে ‘ড্রাগন’-এর সফল উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চল্লিশ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ৪১ বছর পরে মহাকাশচারী পেল ভারত৷ রাকেশ শর্মার পরে দ্বিতীয়বার কোনও ভারতীয় অন্তরীক্ষে পা রাখতে চলেছেন৷ আর তাঁর নাম শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)৷ স্থানীয় সময় ১২টা ১ মিনিটে আমেরিকার ফ্লরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়ান দেয় শুভাংশুদের মহাকাশযান। চার সদস্যের অভিযানের কমান্ডার হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের (Axiom Mission 4) মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর রেগি হুইটসন। এ ছাড়াও থাকছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজনানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

    অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ

    সাতবার বাধার পর অবশেষে সফল হল উৎক্ষেপণ। স্বপ্নের শুরু। মহাকাশ স্টেশনের পথে উড়ে গেল শুভাংশুদের মহাকাশযান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ শুভাংশুদের নিয়ে উড়ান দেয় স্পেস এক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের সাহায্যে ড্রাগনকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন) পৌঁছাবেন শুভাংশুরা। এদিন কাউন্ট ডাউন শেষ হতেই দেখা যায় মহাকাশযানটি অগ্নি উদগীরণ করতে করতে উপরে উঠছে। সেই মুহূর্তে চারপাশ হাততালি ও হর্ষধ্বনিতে ভরে যায়। ফ্যালকন-৯ ড্রাগনকে অরবিটে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রথম স্টেজটি ফিরে আসে নির্ভুল ল্যান্ডিংয়ে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ড্রাগন এগিয়ে যায়। এবার তার গন্তব্য- আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

    মহাকাশে কতদিন থাকবে কী করবে শুভাংশুরা

    ১৪ দিন তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে। শুভাংশু ভারতের নিজস্ব স্পেস মিশন ‘গগনযান’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এই অভিযানের মাধ্যমে। প্রথমে ঠিক ছিল, ২০২৫ সালের ২৯ মে শুভাংশুদের (Shubhanshu Shukla) অভিযান হবে। এরপর ৮ জুন, ১০ জুন, ১১ জুন, ১৯ জুন ও ২২ জুন উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে মহাকাশযাত্রা সম্ভব হয়নি। বারবার পিছিয়েছে অভিযান। শেষমেশ মঙ্গলবার নাসা জানায়, বুধবার ওই অভিযান হতে চলেছে। সেইমতো শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। শুরু হয় প্রহর গোনার পালা। অরল্যান্ডোর এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার সকালে উৎক্ষেপণের ঘণ্টাখানেক আগেও আচমকা প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিয়েছিল মহাকাশযানে। জানা গিয়েছে, কোনও কারণে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য মহাকাশযানে আপলোড হচ্ছিল না। কিন্তু কিছু ক্ষণের চেষ্টায় সেই ত্রুটি সংশোধন করে নেন বিজ্ঞানীরা। তার পর নির্ধারিত সময়ে অবশেষে এদিন মহাকাশে পাড়ি দিলেন শুভাংশু সহ চার মহাকাশচারী।

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে মহাকাশে

    নাসার ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ নামে (Axiom Mission 4) এই অভিযানের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফ থেকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল দুই গগনযাত্রী শুভাংশু শুক্লা এবং প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ারকে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। মূল মহাকাশচারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ৩৯ বছরের শুভাংশুকে। তাঁর বিকল্প হিসাবে রাখা হয় প্রশান্তকেও। সেই মতো গত বছরের আগস্ট থেকে অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়াও শুরু করে দিয়েছিলেন দু’জনে। শুরুতে কথা ছিল, ২০২৫ সালের ২৯ মে শুভাংশুদের অভিযান হবে। কিন্তু বাদ সাধে আবহাওয়া, যান্ত্রিক ত্রুটি-সহ নানা কারণ। পরেও একাধিক বার সেই অভিযান পিছোতে বাধ্য হয় নাসা। বার সাতেক দিনক্ষণ বদলানোর পর অবশেষে বুধবার সেই অভিযান হল। মিশন সফল হলে শুভাংশু হবেন ভারতের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি মহাকাশে পা রাখবেন। ১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন। তার ৪১ বছর পর ইতিহাস গড়লেন শুভাংশু।

    গর্বিত শুভাংশুর মা

    বায়ুসেনার ক্যাপ্টেন হওয়ায় এর আগে এএন-৩২, জাগুয়ার, হক, মিগ-২১, সু-৩০-সহ নানা ধরনের যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla)। কিন্তু মহাকাশযান এই প্রথম! এজন্য দীর্ঘ দিন ধরে স্পেসএক্স এবং ‘অ্যাক্সিয়ম স্পেস ইনকর্পোরেশন’-এর কাছে প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে তাঁকে। শুভাংশুর মা আশা শুক্লা ছেলের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না… গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার জন্য আমরা মোটেও ভীত নই… আমরা আনন্দিত, আমরা খুব গর্বিত।”

  • India vs England: গিল জমানার ‘শুভ’ সূচনা হল না! হতশ্রী বোলিং, জঘন্য ফিল্ডিং, ইংল্যান্ডের কাছে কেন হার ভারতের?

    India vs England: গিল জমানার ‘শুভ’ সূচনা হল না! হতশ্রী বোলিং, জঘন্য ফিল্ডিং, ইংল্যান্ডের কাছে কেন হার ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, সকাল বুঝিয়ে দেয় সারা দিনটা কেমন যাবে। ভারতের শুরুটা ভয় ধরাচ্ছে সমর্থকদের মনে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৫টি শতরান করেছেন ভারতীয় ব্যাটারা, তারপরও হার মানতে হল শুভমনদের। হেডিংলেতে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলেন বেন স্টোকসেরা। এখনও চারটে টেস্ট বাকি। প্রথম টেস্টে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ফেরা কঠিন ভারতের। হেডিংলে টেস্টের শেষ দিন নাটকীয় একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন বেন স্টোকসের দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৫০ রান। আর ভারতের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০টি উইকেট। কিন্তু শেষটা ভালো হল না ভারতের। ইংরেজদের হাতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করল ভারতের বোলার-ফিল্ডাররা।

    হতশ্রী বোলিং-ফিল্ডিং

    ভারতের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে যেন যত কম বলা যায় ততই ভালো! এ কথা বলার জায়গা আসতই না, যদি টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা মান রাখতে পারতেন। যদি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা ফিল্ডিংয়ে কিছুটা গোছানো হতেন। যে টিমের ফিল্ডারদের নিয়ে এত প্রশংসা হয়, সেখানে এমন ফিল্ডিং দেখে, ক্যাচের পর ক্যাচ মিস দেখে হতবাক অনেকে! গোটা ম্যাচে সাতটা ক্যাচ ফসকেছে ভারত। এর মধ্যে চারটি ফেলেছেন যশস্বী, দুটি পন্থ। যে জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে এত আলোচনা, যিনি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন, সেই তিনিই কি না দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেটের দেখাও পেলেন না। স্টোকসদের বিরুদ্ধে হেডিংলে টেস্টের শেষ দিন বোলিংয়ে বুমরার ঝাঁঝ দেখাই গেল না। যার ফল চোখের সামনে বেন ডাকেটের ১৪৯, জ্যাকের ৬৫, রুটের ৫৩ নট আউট! সেই সুবাদে ৮৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জয় ইংল্যান্ডের।

    কোহলি-হীন ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ লোয়ার-অর্ডার

    ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, সেরা দল নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই যদি সেরা দলের নমুনা হয়, তা হলে খারাপ দল কোনটা? চারটে ব্যাটার (যশস্বী, শুভমন, রাহুল ও পন্থ) আর দেড়খানা বোলার (বুমরা ও জাডেজা) নিয়ে আর যা-ই হোক, টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় না। সিরিজ তো অনেক দূরের কথা। দুই ইনিংসেই ভারতের লোয়ার অর্ডার হতাশ করেছে। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়েছে শেষ ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ৩১ রানে। সেই কারণেই দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটা শতরানের পরেও হারতে হয়েছে ভারতকে। ব্যাটিংয়ের এই রোগ সারাতে না পারলে পরের টেস্টেও ফেরা মুশকিল। কারণ মার্ক উড, জফ্রা আর্চাররা ফিরলে আর করুণ দশা হবে বিরাট হীন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের।

    মনে পড়ল অধিনায়ক রোহিতকে

    প্রশ্ন উঠতে বাধ্য অধিনায়ক শুভমনের নেতৃত্ব নিয়েও। দেখে মনে হল না, প্ল্যান বি, সি রয়েছে তাঁর কাছে। একই গতে বল করিয়ে গেলেন। প্রসিদ্ধ রান দিচ্ছেন দেখেও তাঁকে সরালেন না। রানের গতি কম থাকলে হয়তো এই ম্যাচ ড্র হতে পারত। শার্দূল নতুন বলে উইকেট নিতে পারেন। তাঁকে প্রথম ইনিংসে নতুন বল দিলেনই না শুভমন। প্রশ্ন উঠল তাঁর ফিল্ডিং সাজানো নিয়েও। রান বাঁচাবেন, না উইকেট তুলবেন, সেই ধন্দ কাটিয়ে উঠতে পারলেন না। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব যে কতটা কঠিন তা হয়তো বুঝতে পারলেন শুভমন। ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীরা বারবার মিস করলেন অধিনায়ক রোহিতকে।

  • PM Narendra Modi: ‘সর্দারজি’ থেকে ‘স্বামীজি’! জরুরি অবস্থায় জেল এড়াতে নানা ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন মোদি

    PM Narendra Modi: ‘সর্দারজি’ থেকে ‘স্বামীজি’! জরুরি অবস্থায় জেল এড়াতে নানা ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গণতন্ত্রের অন্ধকারতম সময়! ২৫ জুন, সালটা ১৯৭৫। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) ঘোষণা করলেন জরুরি অবস্থার (Emergency Period)। ১৯৭৭ সাল অবধি, ২১ মাস জারি থাকে এই জরুরি অবস্থা। সাংবিধানিক মূল্য়বোধের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে দেশে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এই সময়। সরকারের বিরোধিতা, মানেই আশ্রয় হত অন্ধ কারাগার। সেই সময় সবচেয়ে সক্রিয় ও দক্ষ কর্মীদের জেলের বাইরে রেখে আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নীতি। আরএসএস-এর সেই পরিকল্পনার অন্যতম মুখ ছিলেন তরুণ নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্তে—বরোদা, আমেদাবাদ, রাজকোটে ঘুরে ঘুরে তিনি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছিলেন জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আরএসএস-এর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি নানা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন—কখনও ‘সর্দারজি’, কখনও ‘বটুকভাই’, তো কখনও ‘স্বামীজি’।

    ‘বটুকভাই’ থেকে ‘স্বামীজি’ – ছদ্মবেশের কাহিনী

    ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন থেকে ২১ মাসব্যাপী দেশে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার সময়, সরকারের কড়া দমননীতি থেকে বাঁচতে নানা ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তাঁকে ‘বেশভূষার মাস্টার’ বলেও ডাকা হতো। জরুরি অবস্থার সময় আরএসএস-এর নীতি ছিল যে কোনও মূল্যে জেলের বাইরে থেকে অস্থির সময়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আরএসএস তখন কার্যত আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেই সময় তৈরি করা হয়েছিল গুজরাট লোক সংঘর্ষ সমিতি। সেই সময় মাত্র ২৫ বছর বয়সে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক পদে উঠে এসেছিলেন মোদি। সেই সময় নানা লেখালেখি করতেন মোদি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর সেই লেখা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই সময় যাতে চিহ্নিত না হয়ে যান সেকারণে নরেন্দ্র মোদি কখনও স্বামীজি, কখনও শিখের ছদ্মবেশ ধরতেন। তখনই গুজরাট ভ্রমণের সময় মোদি ‘বটুকভাই’ নাম নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেন। পরে এক পর্যায়ে, তিনি সন্ন্যাসীর বেশ নেন—গায়ে গেরুয়া বসন, মুখে ধর্মীয় ভাষ্য। একদিন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন, সেখানে স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের একজন আচার্য উপস্থিত হন। তখন পরিবারের লোকেরা তাঁকে ‘উদয়পুর থেকে আগত স্বামীজি’ বলে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর আচার্য ও ছদ্মবেশী ‘স্বামীজি’-র মধ্যে ধর্মীয় বিতর্কও শুরু হয়!

    ভবনগর জেলে ‘সৎসঙ্গ’ করে বার্তা পৌঁছানো

    জরুরী অবস্থা জারির পরেই মোদি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেই সময় তিনি ও তাঁর সতীর্থরা নানা ধরনের মিটিং করতেন কিছুটা আড়ালে। সিনিয়র আরএসএস নেতা নাথ জাগড়া, বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তথ্য় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছুটা অভিনব পথ নিয়েছিলেন। সাবধানে পরিকল্পনা করে, ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বরে মোদি ‘স্বামীজি’ ছদ্মবেশে ভবনগর জেলে পৌঁছান। সেখানে আটক আরএসএস নেতা বিশ্নুভাই পাণ্ড্যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর অজুহাতে তিনি জেলের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং এক ঘণ্টা ধরে গোপনে আলোচনা করেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়েও আসেন।

    ‘সর্দারজি’ সেজে কলেজ ছাত্রদের মাঝে

    কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেই সময় গুজরাটে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে গুজরাটে শুরু হয়েছিল নবনির্মাণ আন্দোলন। সেই সময় দেখা গিয়েছিল পড়ুয়াদের শক্তি। সেই সময় আরএসএসের যুব প্রচারক ছিলেন মোদি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আওতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। তখন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ছদ্মবেশ ছিল ‘সর্দারজি’। মাথায় পাগড়ি পরে, শিখ বেশে তিনি ঘোরাফেরা করতেন। এমনকি কলেজপড়ুয়া ছাত্ররা তাঁর উপস্থিতিতে উচ্চস্বরে সর্দারজি-র কৌতুক বলতেও কুণ্ঠাবোধ করত না। পরিচিত পরিবারের শিশু ও তাদের বন্ধুরাও এসে তাঁকে এই নতুন রূপে দেখতে পেত।

    রহস্যময় এবং কৌশলী অধ্যায়

    এই সব ছদ্মবেশ ও বুদ্ধিদীপ্ত চালচলনের জোরেই প্রশাসন তাঁর অবস্থান কখনও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে পারেনি। প্রায়ই দেখা যেত, পুলিশ এসে পৌঁছানোর আগেই অন্য জায়গায় সরে গিয়েছেন মোদি। ১৯৭৭ সালে জরুরী অবস্থা উঠে যাওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি ক্রমেই জাতীয় ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। আরএসএস-এর হাত ধরে ১৯৮৫ সালে বিজেপিতে যোগদান। তারপর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীত্ব গ্রহণ। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন মোদি। তারপর ভারতে আচ্ছে দিন-এর শুরু। কিন্তু আজও জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিনে মোদির এই নানা ছদ্মবেশী কাহিনী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক রহস্যময় এবং কৌশলী অধ্যায় হয়ে রয়ে গিয়েছে।

  • Books Written by Mamata: বইয়ের রয়্যালটিতেই তাঁর চলে! তাই কি সরকারের টাকায় মমতার বই কিনছে সরকারি স্কুলগুলি?

    Books Written by Mamata: বইয়ের রয়্যালটিতেই তাঁর চলে! তাই কি সরকারের টাকায় মমতার বই কিনছে সরকারি স্কুলগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা (Books Written by Mamata) গর্ব করে দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি নাকি এক টাকাও বেতন নেন না। তাঁর যা আয়, সবটাই নাকি ছবি এঁকে, গল্প-কবিতার বই লিখে। সেগুলি বেচে যে রয়্যালটি হয়, তাতেই তাঁর চলে যায়। চিটফান্ড বিতর্কের পর এখন অবশ্য আঁকার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। এবার থেকে রাজ্যের স্কুলগুলির লাইব্রেরিতে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই। স্কুলে-স্কুলে পৌঁছল সেই তালিকাও। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১৯টি বই এবার রাখতেই হবে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলের গ্রন্থাগারে। শিক্ষা দফতরের এমনই নির্দেশ। বইয়ের তালিকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, কোন প্রকাশনার বই, তাও উল্লেখ করা রয়েছে নির্দেশিকায়। (মমতার ১৯টি সহ) সবমিলিয়ে স্কুলের লাইব্রেবিতে মোট ৫১৫টি বই রাখতে হবে। এর জন্য স্কুলগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে বই কেনার জন্য। রাজ্য পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা প্রায় ২০২৬। যদি ধরা যায় সকলে এক লক্ষ করে পাবে, তাহলে সরকারি কোষাগারে খরচ ২০ কোটি। এখন প্রশ্ন সরকারি টাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার লেখা বই কিনবে রাজ্য সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি। সেই টাকা পাবে প্রকাশনা সংস্থাগুলি। সেই প্রকাশনা থেকে রয়্যালটি বাবদ টাকা পাবেন বইয়ের লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে, কোথাকার টাকা কোথায় গেল? আর মমতা যদিই বা সেই টাকা আবার পার্টি ফান্ডে দান করেন, তাহলে কী দাঁড়াল, বুঝতেই পারছে সকলে। তাই ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক।

    কী রয়েছে নির্দেশিকায়

    জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর (Books Written by Mamata) লেখা ‘মা’ থেকে ‘কথাঞ্জলী’, সব বই রাখতে হবে সরকারি স্কুলের গ্রন্থাগারে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ৫১৫টি বই স্কুলকে কিনে রাখতে হবে গ্রন্থাগারে। এই ৫১৫টি বইয়ের মধ্যে ১৯টি বই মুখ্যমন্ত্রীর। ইতিমধ্যেই গ্রন্থাগারের জন্য স্কুলে-স্কুলে গিয়েছে ১ লক্ষ টাকা। তারপর পৌঁছে গেল বইয়ের তালিকাও। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, প্রথমে মমতার লেখা বই পৌঁছবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। বইয়ের প্রথম সেট পৌঁছবে আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে। এরপর দ্বিতীয় সেট পৌঁছবে, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার স্কুলগুলিতে। তৃতীয় সেট পৌঁছবে, হুগলি, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এরপর চতুর্থ সেট পৌঁছবে, ব্যারাকপুর, হাওড়া, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সব শেষে বই পৌঁছবে, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরে। রাজ্যের ২,০২৬টি স্কুলের পাঠাগারে বই কিনতে ২০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। সেই হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা। স্কুলগুলিতে বইয়ের তালিকাও পাঠানো হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কোন কোন বই তালিকায় আছে?

    ১) কন্যার চোখে কন্যাশ্রী।
    ২) বিকেলটা হারিয়ে গিয়েছে।
    ৩) আমার পাহাড়।
    ৪) আমার জঙ্গল।
    ৫) চোখের তারা।
    ৬) জীবন সংগ্রাম।
    ৭) কুৎসাপক্ষ।
    ৮) এক পলকে, এক ঝলকে।
    ৯) সোজাসাপটা।
    ১০) কথায় কথায়।
    ১১) পরিবর্তন।
    ১২) নন্দীমা।
    ১৩) অনশন কেন?
    ১৪) জাগো বাংলা।
    ১৫) একান্তে।
    ১৬) আন্দোলনের কথা।
    ১৭) অশুভ সংকেত।
    ১৮) অনুভূতি।
    ১৯) সেরা মমতা একত্র।

    কোন প্রকাশনা থেকে কিনবেন

    শুধু বইয়ের নাম নয়, রাজ্যের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বইগুলি কোন কোন প্রকাশনা সংস্থা থেকে কিনতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকাশকদের মধ্যে রয়েছে কিছু নামকরা সংস্থা, যারা মুখ্যমন্ত্রীর বই প্রকাশ করে। এই নিয়মের ফলে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলে সরকারের দাবি। তবে, কিছু শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, নির্দিষ্ট প্রকাশকদের থেকে বই কেনার বাধ্যবাধকতা স্কুলের স্বাধীনতাকে কিছুটা সীমাবদ্ধ করছে। শিক্ষাবিদ ও সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আরও বলেছেন লাইব্রেরিতে বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য থাকা উচিত ছিল। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির লেখা বইয়ের উপর এতটা জোর দেওয়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি সীমিত করতে পারে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্বসাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস বা অন্যান্য বিষয়ের বইয়ের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর বইয়ের উপর এতটা গুরুত্ব দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত।

    শিক্ষক মহলের তীব্র বিরোধিতা

    শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেছেন, “আমরা নজিরবিহীন এই নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই শর্ত তুলে নিতে হবে। পরাধীন ভারতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর থাকাকালীন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাধিকার হরণের শর্ত দিয়েছিল ইংরেজ শাসক। আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। (অথচ) আজ আমরা স্বাধীন দেশে শাসকের একইরকম পদধ্বনি শুনছি। এ অত্যন্ত লজ্জার। লাইব্রেরির মতো পবিত্র জায়গায় সরকারি অনুদানের সঙ্গে কোনও শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে আমরা। পাশাপাশি এই শর্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।” বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “সরকারি পয়সায় আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পাঠানো হচ্ছে শুনে অবাক হলাম। এটা বিস্ময়কর ঘটনা। এটা মনে করতে পারছি না আমাদের রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী এর আগে কিংবা অন্য রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকাকালীন এই ধরনের ঘটনা পূর্বে ঘটিয়েছেন কি না। আমরা এটা ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মনে করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছাড়াই যদি শিক্ষা দফতর এই সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে মুখ্য়মন্ত্রীর উচিত শিক্ষা-দফতরকে নির্দেশ দেওয়া যাতে তাঁর লেখা বই গ্রন্থাগারে না যায়।”

LinkedIn
Share