Author: ishika-banerjee

  • SIR in Bengal: রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতির নির্দেশ, চলছে প্রশিক্ষণ! পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু এসআইআর

    SIR in Bengal: রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতির নির্দেশ, চলছে প্রশিক্ষণ! পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু এসআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR in Bengal) আবেদনপত্র (Enumeration Form) ছাপানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল। রাজ্যে মোট ভোটারের দ্বিগুণ ফর্ম ছাপানো হবে। সিইও দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১৫ কোটি ফর্ম ছাপানো হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য জানতে চাইল সিইও দফতর। মঙ্গলবার এসআইআরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের একটি প্রশিক্ষণও দেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। সেখানেই এই নির্দেশ দেন তিনি।

    আবেদনপত্র ছাপানোর নির্দেশ

    সিইও-র দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখন প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার রয়েছেন। তার দ্বিগুণ সংখ্যক ফর্ম (SIR in Bengal) ছাপানো হবে। এক জন ভোটারের জন্য ছাপানো হবে দু’টি করে আবেদনপত্র। একটি থাকবে ভোটারের কাছে। অন্যটি বুথ লেভেল আধিকারিকরা (বিএলও) নিয়ে আসবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম-সহ তথ্য দেওয়া ফর্ম অনলাইনে আসবে। সেই সব ফর্ম এলেই ছাপানোর কাজ শুরু করতে হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য রাজ্যের আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছে সিইও-র দফতর। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, কোনও জেলায় ছাপানোর ব্যবস্থা না-থাকলে কলকাতা থেকেই আবেদনপত্র ছাপিয়ে তা ওই জেলায় পাঠানো হবে। সিইও দফতর জানাচ্ছে, বিহারের ক্ষেত্রে একটি জায়গা থেকেই ফর্ম ছাপানো হয়েছিল। এখানে জেলায় জেলায় ফর্ম ছাপানোর কাজ হবে। কারণ, দ্রুত কাজ করতে হবে।

    আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ

    আবেদনপত্র (SIR in Bengal) ছাপানো হলেই পঞ্চায়েত স্তরে তা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ২০২৫ এবং ২০০২ সালের তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর পরে রাজ্যের প্রায় দু’কোটির বেশি পরিবারের সদস্যদের নাম, তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। এই শনাক্তকরণের কাজ হলেই এসআইআর সংক্রান্ত কাজের ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে। বিহারের চেয়ে আবেদনের ফর্মে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। বিহারের মতোই ফর্মের তথ্য প্রায় ৯৫-৯৭ শতাংশ একই থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেন। বিহারে কী ভাবে এই প্রক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে রাজ্যের প্রায় চার হাজার আধিকারিক যোগ দেন। প্রশিক্ষণে ছিলেন ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও (অ্যাসিসট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এডিএম এবং কয়েক জন জেলাশাসক। পুজোর আগে ৭৫ হাজার বুথ লেভেল অফিসারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিইও দফতর জানিয়েছে, আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।

  • Trump Wishes Modi: ‘দুর্দান্ত কাজ করছেন’, জন্মদিনে মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ট্রাম্পের

    Trump Wishes Modi: ‘দুর্দান্ত কাজ করছেন’, জন্মদিনে মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনেই কি ভাঙল ‘দুই বন্ধুর’ সম্পর্কের শীতলতা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করে বার্থ ডে উইশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ফোন যে তিনি করেছিলেন তা নিজেই জানালেন সোশ্যাল মাধ্যমে। পাল্টা মোদিও বন্ধুকে উষ্ণ অভ্যর্থনার কথা জানাতে ভুললেন না। ট্রাম্প একাধারে যেমন মোদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য ধন্যবাদ দিলেন, তেমনই মোদিও পাল্টা লিখলেন, “আমিও ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি।”

    মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই উপলক্ষ্যে তাঁকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘‘এখনই আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে দারুণ কথা হল। আমি ওঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। উনি দারুণ কাজ করছেন। নরেন্দ্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে সহযোগিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’’ ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন মোদিও। তিনি লিখেছেন, ‘‘ফোন করে ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমার বন্ধু, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আপনার মতোই, আমিও ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ মোদি আরও লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে সমর্থন করি।”

    ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে কথা

    ১৭ জুনের পর এই প্রথম ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে কথা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের পর মোদিকে অন্তত চার বার ফোন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু মোদি ফোন তোলেননি। কথাই বলেননি ট্রাম্পের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে কিছুটা তিক্ততা দেখা দিয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোরও কম হয়নি। আমেরিকা এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝেই ট্রাম্পের ফোন কিছুটা ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করছেন অনেকেই।

    ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে বরফ গলছে

    সম্প্রতি ভারতের ওপর আমেরিকা সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ শুল্ক জারি করেছে। তার মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য জরিমানা বাবদ ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। ওয়াশিংটনের তরফে এই সিদ্ধান্তের পর ভারত মার্কিন সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সম্প্রতি বেজিংয়ে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার বার্তা দেয় নয়াদিল্লি। পুতিন ও জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে আমেরিকা বিরোধী অক্ষ তৈরীর সম্ভাবনা দেখা দেয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এতেই খানিকটা চাপে পড়ে যান ট্রাম্প। কার্যত এর পরই কিছুটা সুর নরম করতে থাকে আমেরিকা।

    বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই ভারতে এসেছেন আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ। মঙ্গলবার বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় তাঁর। বৈঠকে বাণিজ্য অংশীদারিত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর। আলোচনার পর ভারতের বিবৃতিও এসেছে। ভারত জানিয়েছে যে, সবকিছু ইতিবাচক। আমেরিকারও সুর তেমনটাই। তারপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ফোন দু’দেশের সম্পর্ককে আরো সহজ করে নেওয়ার পক্ষে নতুন ধাপ বলেই মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, এর ফলে শুল্ক জটিলতা কাটার পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল দুই দেশ।

  • Green Energy in India: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত

    Green Energy in India: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (Green Energy in India) খাতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে ভারত। ০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে চলেছে দেশ। ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’র ক্ষেত্রে ২০৩০-এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত “পাঞ্চজন্য ইনফ্রা কনক্লেভ ২০২৫”-এ ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

    চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Pralhad Joshi) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কখনও নিজের বা মন্ত্রিসভার জন্য সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করেন না। তিনি সব সময় এমন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য স্থির করেন যা আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করে।” মন্ত্রী যোশী আরও বলেন, “নবীকরণযোগ্য জ্বালানি খাতেও প্রধানমন্ত্রী একটি অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্য পূরণের অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছি।”

    ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন -এর মূল উদ্দেশ্য

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চালু হওয়া ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন (NGHM)’-এর মূল উদ্দেশ্য ভারতের জ্বালানি ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করা এবং দেশকে বিশ্বব্যাপী সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করা। এর জন্য ₹১৯,৭৪৪ কোটির বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্মিত। এগুলি হল নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো, চাহিদা তৈরি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা। মন্ত্রী যোশী (Pralhad Joshi) জানান, ইতিমধ্যেই কাণ্ডলা, পারাদীপ ও তুতিকোরিন বন্দরে বিশেষ হাইড্রোজেন হাব গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ভারতের সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) রফতানির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, এনটিপিসি, রিলায়েন্স, আইওসিএল-এর মতো বড় সংস্থার পাশাপাশি বহু স্টার্ট-আপ এবং এমএসএমই (MSME) সবুজ হাইড্রোজেন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে, যার ফলে গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী ভ্যালু চেইন। তৈরি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই ভারতে সবুজ-বিপ্লব

    ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Energy in India) মিশন-এর লক্ষ্য হল বার্ষিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন, ১২৫ গিগাওয়াট নতুন নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা, ৮ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ৬ লক্ষ নতুন চাকরি, প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গম কমানো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi) জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ফুয়েল বেসড বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ২০৩০-এর মধ্যে ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’ থেকে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জলবায়ু নিয়ে ভারত তার লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। সবুজ ও পরিষ্কার পরিবেশ তৈরির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই হবে ভারতের সবুজ-বিপ্লব। ভবিষ্যৎ হবে স্বনির্ভর।

  • India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    India vs Pakistan: পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইসিসি, নিজেদের লোককেই সাসপেন্ড করল পিসিবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন-বিতর্কে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) দাবি খারিজ করল আইসিসি। এশিয়া কাপ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। না হলে বুধবার আমিরশাহি ম্যাচ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আইসিসির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘‘সোমবার রাতে আইসিসি জবাব পাঠিয়ে দিয়েছে পিসিবিকে যে, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। তাদের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।’’

    পাকিস্তানের দাবি অযৌক্তিক

    আইসিসি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের কোনও দাবি মানা হবে না। আইসিসি কর্তারা পাকিস্তান (India vs Pakistan) ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের দাবি মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই। হ্যান্ডশেক বিতর্কে পাইক্রফ্টের ভূমিকা ছিল অতি নগণ্য। তিনি শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘাকে একটি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছিলেন। টসের সময় হ্যান্ডশেককে কেন্দ্র করে যাতে প্রকাশ্যে কোনও অপ্রীতিকর বা লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে। জিম্বাবোয়ের ৬৯ বছর বয়সি পাইক্রফ্ট আইসিসির এলিট প্যানেলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারিদের অন্যতম। সব মিলিয়ে তিনি ৬৯৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। রবিবারের ম্যাচের ঘটনায় পাইক্রফ্টের কোনও দোষ খুঁজে পাননি আইসিসি কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কী করে সে দিকেই নজর ক্রিকেটবিশ্বের।

    পাক ক্রিকেট কর্তাকেই সরানো হল

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নির্দোষ, আইসিসি-র এই চিঠি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মহসিন নকভির বোর্ড থেকে। সেই নির্দেশ পেয়েই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন পাইক্রফ্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও প্রধান নকভি। দু’টি দায়িত্বই সামলান তিনি। সূত্রের খবর, পিসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশনস উসমান ওয়ালহা তাঁর দলের অধিনায়ককেই জানাননি প্রতিযোগিতা চলাকালীন কী নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর পরেই নাকি ক্ষুব্ধ পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি, যিনি আবার বর্তমান এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও, জাতীয় দল ও অধিনায়ক এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য ওয়ালহাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওয়ালহারই নাকি দায়িত্ব ছিল পাক অধিনায়ক সলমন আঘাকে ‘‘নো-হ্যান্ডশেক’’ নীতি জানানোর। কিন্তু তিনি তা জানাননি। পাকিস্তান অধিনায়ককেও দেখে তাই মনে হচ্ছিল, তিনি কিছু জানেন না। পিসিবির একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘‘টসের সময় ওয়ালহার জানানো উচিত ছিল যখন দুই অধিনায়ক করমর্দন করেননি। তিনি যে ভাবে ওই পরিস্থিতি সামলেছেন তাতে প্রচণ্ড ভাবে ক্ষুব্ধ নকভি।’’

    পাকিস্তানের সরে দাঁড়ানো অসম্ভব

    পিসিবির এক সূত্রের দাবি, ‘পাকিস্তানের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। সেটা করলে, জয় শাহের নেতৃত্বাধীন আইসিসি পিসিবিকে বড় জরিমানা করতে পারে। সেটা আমাদের বোর্ড হতে দিতে পারবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বোর্ডের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না।’ গত পরশু থেকেই পিসিবি (PCB) একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft)। অভিযোগ ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ (Spirit of Cricket) লঙ্ঘনের। এমনকি, পাইক্রফটকে সরানো না হলে পরের ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও শুনিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এমন দাঁড়িয়েছে, যে বয়কট না করলেও এশিয়া কাপ থেকে তাদের ছুটি হয়ে যেতে পারে। পাক শিবিরের আশঙ্কা বাড়িয়েছে পয়েন্ট তালিকা। গ্রুপ এ–তে ভারতের অবস্থান নির্ভেজাল নিরাপদ। শুভমান–সূর্যরা ইতিমধ্যেই সুপার ফোরের টিকিট কেটে ফেলেছেন। অন্যদিকে ওমানকে হারিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) এখন চাঙ্গা মেজাজে। ফলে আগামী বুধবার দুবাইয়ে পাকিস্তান-ইউএই ম্যাচ কার্যত নকআউট। দুই দলের ঝুলিতেই এখন ২ পয়েন্ট। জয়ী দল ৪ পয়েন্টে নিশ্চিত করবে সুপার ফোরের টিকিট। হেরে যাওয়া টিম ছিটকে যাবে।

    রবিবার ফের ভারতের সামনে!

    মঙ্গলবার আইসিসি অ্যাকাডেমিতে ভারত এবং পাকিস্তানের ট্রেনিং করার কথা। সময় আলাদা হলেও, পরের ম্যাচের জন্য একই ভেন্যুতে প্রস্তুতি নেবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সন্ধে ৬টা থেকে রান ৯টা পর্যন্ত ভারতের ট্রেনিং। রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করবে পাকিস্তান। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ পাকিস্তানের। জিতলে রবিবার সুপার ফোরে আবার ভারতের মুখোমুখি। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। কোনও বিভাগেই সূর্যকুমার যাদবদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি সলমন আঘার দল। এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবের প্রথম সদস্য গাভাসকর কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় দল এখন পোপটওয়াড়ি দলের (Pakistan Popatwadi team) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মারাঠি ভাষায় পোপট মানে হল টিয়া পাখি আর ওয়াড়ি মানে মাঝারি। গাভাসকর আদতে মুম্বই নিবাসী। মুম্বইয়ের দুর্বল দলকে বলা হয় পোপটওয়াড়ি দল। ম্যাচের কথা বলতে গেলে, ভারত একতরফাভাবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে সাত উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে। ভারত ২৫ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে পরাজিত করে বর্তমান টুর্নামেন্টে তাদের টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে। জবাবে, ভারত ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান করে ম্যাচটি জিতে নেয়। ভারতীয় বোলারদের পর, ব্যাটাররাও হতাশ করেননি এবং সহজেই লক্ষ্য অর্জন করেন।

    হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক

    হ্যান্ডশেক বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা করেই চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দল ও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর পাক বোর্ডকে কড়া জবাব দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সরকারি ভাবে বিসিসিআই কোনও বিবৃতি না দিলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সূর্যকুমার যাদবেরা যা করেছেন, তা একেবারে ঠিক। ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “দেখুন, ক্রিকেটের নিয়মে খেলা শেষে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নিয়ে কিছু লেখা নেই। সাধারণত সম্মান জানাতে দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলান। বিশ্ব জুড়ে সেটাই দেখা যায়। কিন্তু এর তো কোনও নিয়ম নেই। তা হলে পাকিস্তান কোন ভিত্তিতে অভিযোগ করছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালে সেটাই অস্বাভাবিক হত। সূর্যেরা ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, “যদি কোনও নিয়মই না থাকে তা হলে সূর্যেরা একদম ঠিক করেছে। যে দেশের সঙ্গে আমাদের এত খারাপ সম্পর্ক, যে দেশ সব সময় আমাদের খারাপ চেয়েছে তাদের সঙ্গে হাত কেন মেলাব। কোনও রকম সম্পর্ক রাখব না। সূচি অনুযায়ী ভারত খেলেছে। তার বেশি কোনও সম্মান দেখানো হবে না।”

  • Speed Skating World Championships: স্কেটিংয়ে বিশ্বজয় ভারতের, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া স্বর্ণপদক জয় দুই ভারতীয়র

    Speed Skating World Championships: স্কেটিংয়ে বিশ্বজয় ভারতের, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া স্বর্ণপদক জয় দুই ভারতীয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্পিড স্কেটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপে (Speed Skating World Championships) সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন আনন্দকুমার ভেলকুমার। চিনের বেজিংয়ে তিনি এক হাজার মিটারে সময় করেন ১.২৪.৯২৪। যুব বিভাগে কৃশ শর্মাও এক হাজার মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে স্পিড স্কেটিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপ। চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আনন্দকুমারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আনন্দকুমার-এর সাফল্য

    ২২ বছর বয়সি আনন্দকুমার ভেলকুমার ভারতের হয়ে প্রথমবারের মতো স্পিড স্কেটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (Speed Skating World Championships) স্বর্ণপদক জিতলেন। এর আগে ৫০০ মিটার স্পিড স্কেটিংয়ে ৪৩.০৭২ সেকেন্ডে শেষ করে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন আনন্দকুমার। এটাই ছিল এই প্রতিযোগিতায় প্রথম কোনও ভারতীয়ের জেতা পদক। সোমবার তিনি নেমেছিলেন হাজার মিটার স্প্রিন্টে। আনন্দকুমার ভেলকুমারের কেরিয়ার ইতিমধ্যেই নানা কীর্তিতে ভরপুর। ২০২১ সালে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫ কিমি এলিমিনেশন রেসে রৌপ্য পদক জিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের প্রতিভার পরিচয়ন দেন তিনি। এরপর ২০২৩ সালে হাংঝৌ এশিয়ান গেমসে ৩০০০ মিটার টিম রিলেতে ব্রোঞ্জ এনে দেন ভারতকে। ২০২৫ সালে চেংদু ওয়ার্ল্ড গেমসে ব্রোঞ্জ জয় এবং এরপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ ও ১০০০ মিটারে সোনা, এই দুই কীর্তি ভেলকুমারকে ভারতের প্রথম স্পিড স্কেটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

    রোলার স্পোর্টসে ভারতের উত্থান

    ভারতের হয়ে জুনিয়র বিভাগে ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে নেন কৃষ শর্মা। এটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের দ্বিতীয় সোনার পদক। উল্লেখ্য, চলতি বছর চেংদুতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গেমসে কৃষ শর্মা ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতের হয়ে রোলার স্পোর্টসে প্রথম পদক অর্জন করেন। দুই ভারতীয়ের এই সাফল্য ভারতের রোলার স্পোর্টসে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং পূর্ব এশিয়া যেখানে এতদিন এই খেলার দাপট দেখিয়ে এসেছে, সেখানে ভারতের এই উত্থান বিশ্বমঞ্চে এক বড় বার্তা দিল।

    উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    আনন্দকুমারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘২০২৫ সালের স্পিড স্কেটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে (Speed Skating World Championships) পুরুষদের সিনিয়র ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জেতায় আনন্দকুমার ভেলকুমারের জন্য গর্বিত। দৃঢ়তা, গতি এবং মনোবল তাকে স্কেটিংয়ে ভারতের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে তুলেছে। তার কৃতিত্ব অসংখ্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতের সকল প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রীড়ায় উজ্জ্বল মুহূর্ত। প্রথম ভারতীয় হিসেবে আনন্দকুমার ভেলুকুমার সোনা জিতল স্পিড স্কেটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপের ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে। তোমার জন্য গর্বিত চ্যাম্প।’’

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিনে ‘সেবা পক্ষ’ পালন, ১৫ দিনে বিজেপির কী কী কর্মসূচি?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিনে ‘সেবা পক্ষ’ পালন, ১৫ দিনে বিজেপির কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সেবা সপ্তাহ’ (Seva Parva) পালন করবে বিজেপি। বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, নানারকম সামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করা হবে। গোটা সপ্তাহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে সেবামূলক কাজে যুক্ত হবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় বাদনাওয়ার তহসিলের ভেনসোলা গ্রামে একটি বিশাল টেক্সটাইল পার্ক উদ্বোধন করতে চলেছেন। এই টেক্সটাইল পার্কটি “পিএম মিত্রা” (PM MITRA – PM Mega Integrated Textile Region and Apparel) প্রকল্পের অধীনে তৈরি হচ্ছে, যার লক্ষ্য ভারতে বিশ্বমানের টেক্সটাইল হাব গঠন করে রফতানি ও কর্মসংস্থানে গতি আনা।

    “সেবা পর্ব” হিসেবে পালন

    প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের মেহসানা জেলায়। বিজেপি প্রতি বছর এই দিনটিকে “সেবা পর্ব” হিসেবে পালন করে, যা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, হাসপাতাল ও স্কুলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন। গত কয়েক বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন উপলক্ষে নানান জাতীয় ও সামাজিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

    ২০২৪: ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নারী-কেন্দ্রিক একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন তিনি।

    ২০২৩: ঐতিহ্যবাহী শিল্পী ও কারিগরদের জন্য “পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা” চালু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে তিনি দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার উদ্বোধন করেন ও দিল্লি এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারিত অংশের সূচনা করেন।

    ২০২২: জন্মদিনে আফ্রিকা থেকে আনা চিতাকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করে “চিতা পুনর্বাসন প্রকল্প”-এর সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ২০২১: কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযানের গতি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

    ২০২০: অতিমারির কারণে জন্মদিন পালন হয় নিঃশব্দে, “সেবা সপ্তাহ” নামের সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে।

    ২০১৯: গুজরাটের কেভাড়িয়ায় “নমামি নর্মদা” উৎসবে অংশ নেন এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছে এক বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘স্বস্থ নারী, সশক্ত পরিবার অভিযান’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন কেবল ব্যক্তিগত উদযাপন নয়, বরং তা পরিণত হয়েছে এক জাতীয় কর্মসূচিতে—যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকদের মধ্যে সেবা ও উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ ​​সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে তাঁর জন্মদিনে ‘স্বস্থ নারী, সশক্ত পরিবার অভিযান’ শুরু করতে চলেছেন। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দেশব্যাপী এই অভিযানটি নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নত অ্যাক্সেস, উপযুক্ত যত্নআত্তি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তা পরিচালিত হবে। এছাড়াও এই উদ্যোগের আওতায় সারা দেশে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির, কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার (সিএইচসি) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ৭৫,০০০ স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হবে। এই শিবিরগুলি সরকারের স্বাস্থ্যসেবার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল রেখে নারী ও শিশুদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণ করবে।

    ‘সেবা পাক্ষিক’ পালন

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য জুড়ে একযোগে স্বাস্থ্য শিবির এবং কার্যক্রমের পরিকল্পিত সংখ্যা বিবেচনা করে প্রচারণার মাত্রা একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ডও তৈরি করতে পারে। এক বিজেপি কর্মীর কথায়, “সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পক্ষের অংশগ্রহণ এটিকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি করে তুলবে।” বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি, যার মধ্যে দিল্লিও রয়েছে, প্রচারণার অংশ হিসেবে একাধিক কার্যক্রমের আয়োজন করতে চলেছে। জাতীয় রাজধানীতে নতুন হাসপাতাল ব্লকের উদ্বোধনের পাশাপাশি কর্তব্য পথে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী ১৫ দিনের সেবা পাখওয়াড়াও (Sewa Pakhwada) বা ‘সেবা পাক্ষিক’ পালিত হবে। বিশ্বকর্মা পুজো থেকে শুরু করে নবরাত্রি পর্যন্ত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর টানা এই অনুষ্ঠান চলবে। এই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। সেবা পাক্ষিকের আওতায় রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান, ক্রীড়া উৎসব, প্রদর্শনী, সংলাপ কর্মসূচি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

    ‘মোদি বিকাশ ম্যারাথন’ দৌড়ের আয়োজন

    স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই শরীরকে তরতাজা রাখতে ‘মোদি বিকাশ ম্যারাথন’ দৌড়ের আয়োজনও করা হবে। এদিকে বিজেপির যুব সংগঠন কলকাতা সহ দেশের ৭৫টি শহরে ‘নমো যুব রান’-এর আয়োজন করছে। এতে প্রত্যেক শহরে ১০ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা পাক্ষিকের কর্মসূচি দুটি ধাপে হবে। প্রথম ধাপে, ১৭ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ১,০০০ জেলার বিভিন্ন স্থানে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডলে রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল, পরিবহন কেন্দ্র, মন্দির, পার্ক ও ঐতিহ্যবাহী স্থানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘বিকশিত ভারত’ বিষয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করবে।

  • India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়। এশিয়া কাপে রবিবার পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। যা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। সোমবার এ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া এক বিবৃতিতে এক সিনিয়র বিসিসিআই (BCCI) কর্তা বলেন, “আইসিসি-র নিয়মবিধিতে কোথাও বলা নেই যে ম্যাচ শেষে করমর্দন বাধ্যতামূলক। এটি নিছকই এক সৌজন্যমূলক রীতি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের এমন সৌজন্য প্রকাশে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”

    কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, তৃতীয় কোনও পক্ষের নির্দেশেই নাকি ভারত এই কাজ করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে যে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি দলের সঙ্গে করমর্দন (হাত মেলানো) করতে অস্বীকার করেছেন। পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনার পর পিসিবি বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই (BCCI) জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি। বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “করমর্দন না করা কিংবা ডোর ক্লোজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিসিসিআই-এর কাছে এসিসি থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি।”

    গম্ভীর ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দল ও কোচিং স্টাফরা একটি আলোচনায় বসেন। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। তিনি নাকি প্লেয়ারদের বলেছিলেন, “সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো। বাইরের চিৎকারে কান দিও না। তোমাদের কাজ ভারতের হয়ে খেলা। পহেলগাঁওয়ে কী হয়েছে ভুলে যেও না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাবে না, বাড়তি গুরুত্ব দেবে না। শুধু যাও, নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাও।” এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি বরং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়। গম্ভীর আগেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “যতদিন না সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে, ততদিন কোনও ধরনের ক্রীড়া সম্পর্ক নয় পাকিস্তানের সঙ্গে।”

    হেরে গিয়ে বিচিত্র অভিযোগ পাকিস্তানের

    এশিয়া কাপে ম্যাচ হেরেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণ দাবি করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইতিমধ্যে জয় শাহর আইসিসি- কাছে চিঠি দিয়েছে পিসিবি। ভারতীয় দলকে এই ম্যাচে পাইক্রফ্ট টেনে খেলিয়েছেন বলে দাবি করল পিসিবি। আম্পায়ারকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব থেকে এখনই সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে পিসিবির তরফে। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সলমান আগার দল। মাঠের লড়াই পারেনি। ফলে ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছে। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

    এশিয়া কাপ থেকে সরবে পাকিস্তান

    সূত্রের খবর, ভারতের আচরণে এতই অপমানিত পাক দল, যে সূর্যকুমারদের বিরুদ্ধ পদক্ষেপ না করলে চলতি এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে পাকিস্তান। এই বিষয়ে তারা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (ACC) ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। রবিবার ছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মহাযুদ্ধ। মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান (IND vs PAK)। সমগ্র ম্যাচ জুড়েই ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। তবে ক্রিকেটের লড়াইয়ে প্রথম থেকে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) দল এগিয়ে ছিল। ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা কার্যত পাকা করে নিয়েছে ব্লু ব্রিগেডরা। কোনো সময়েই সালমান আলী আগার (Salman Ali Agha) দল ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পাইনি। অন্যদিকে ম্যাচে কোনভাবেই সৌজন্য দেখায়নি ব্লু ব্রিগেডরা। মাঠের বাইরে গ্যালারিতেও চলছে লড়াই। সেখানেও এগিয়ে ভারত। খেলা যত গড়াচ্ছে তত ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে গ্যালারি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই লড়াই ভারতীয় ক্রিকেটার ও সমর্থকদের কাছে যুদ্ধের থেকে কম নয়।

    ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা

    উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনা এবং আবেগে ভরপুর থাকে। পহেলগাঁও হামলার পর রবিবারের ম্যাচে সেই উত্তেজনা স্পষ্ট ছিল। এমনকি দলের স্কোয়াড তালিকাও দুই অধিনায়কের মধ্যে সরাসরি বিনিময় না করে সরাসরি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার নাভেদ চীমা পরে দাবি করেন, ভারতীয় দলের করমর্দনে অনীহার কথা মাথায় রেখেই রেফারি স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড় সালমান আলি আগাহ-কে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে করমর্দন করতে বারণ করেন। আগামী অক্টোবরে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। তার আগে এশিয়া কাপেও সুপার ফোরে ফের ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে। এখন সেই ম্যাচগুলোতে কী হয় তার দিকেই নজর। তবে আপাতত, পাকিস্তান ম্যাচে ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা। ব্যাটে-বলে বদলাও নিয়েছেন বাইশ গজে।

  • PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামরিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলন শুরু হল কলকাতায়। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম দেশের তিন বাহিনী যৌথ সেনা কমান্ডাররা সম্মেলনে অংশ নিলেন। ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at Fort William)। সোমবার ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমান নাম বিজয় দুর্গ) তিনদিনব্যাপী সেনা সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। বক্তব্য-বৈঠক শেষে দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা থেকে আকাশপথে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন নরেন্দ্র মোদি।

    বিজয় দুর্গে বিশেষ বৈঠকে মোদি

    কলকাতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় দুর্গে (সাবেক ফোর্ট উইলিয়াম) তিন দিনের এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেছেন মোদি (PM Modi at Fort William)। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। থাকবেন ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান, সেনার উচ্চপদস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা। রবিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতা পৌঁছোন। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওনা দেন রাজভবনে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনও কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তাঁর ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছয় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।

    যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধনে মোদি

    সকালে রাজভবন থেকেই যোগ দেন সম্মেলনে। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরোন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi at Fort William)। সাড়ে ৯টায় ঢোকেন বিজয় দুর্গে। সেখানে যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা মোদি বিজয় দুর্গেই ছিলেন। চলতি সম্মেলনের বিষয়বস্তু ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সংস্কার, রূপান্তর এবং পরিবর্তন। আগামী তিন দিন ধরে সেখানে ভারতীয় সেনার লক্ষ্য এবং কর্মপন্থা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে এদিন ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব-সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবেরা।

    মোদির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    উল্লেখ্য, বিজয় দুর্গে মোদির (PM Modi at Fort William) এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। একদিকে অশান্ত বাংলাদেশ। অন্যদিকে চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। পরিবর্ত পরিস্থিতিতে ‘তিন ফ্রন্টে’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার স্ট্র্যাটেজি কী হবে, কতটা প্রস্তুত বাহিনী, তা এদিন খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সুপারস্পাই’ অজিত ডোভালের এই বৈঠকে থাকাও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিরক্ষা আধিকারিকের কথায়, এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য সামরিক কাঠামোয় গভীর সংস্কার, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং বহু-মাত্রিক যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া। জানা যাচ্ছে, সেনার আধুনিকীকরণ এবং পরিকাঠামোগত সরলীকরণ নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে ৷ যা ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় ৷” শেষ সম্মলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে।

    চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুজোর আগে ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে এলেও তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উৎসাহ দেখে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান মোদিও। কয়েকদিন আগেই মেট্রোর নতুন রুটের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ফের শহরে মোদি। সোমবারই তিনি কলকাতা থেকে বিহারে যান। সেখানে তিনি ₹৩৬,০০০ কোটিরও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেন এবং জনসভায় ভাষণ দেন। পাশাপাশি, উত্তর বিহারের বহুপ্রতীক্ষিত বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দাপটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত (India vs Pakistan)। দেশের সেনাবাহিনীকে এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ভারতীয় দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও। খেলা শেষে তিনি বলেন, “দল হিসেবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।”

    সূচি অনুযায়ী খেলা, বাইরে কোনও সম্পর্ক নয়

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের (India vs Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তনেরাও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি নেই তাদের। তবে কোথাও ক্রিকেটারদের মাথাতেও হয়তো প্রতিবাদের কথা ঘুরছে। তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনও রকম সম্মান জানাননি তাঁরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূচি অনুযায়ী খেলছেন। তার বাইরে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।

    বাইশ গজেও বদলা ভারতের

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই দাবিই তুলেছিলেন হরভজন সিং। না ক্রিকেট, না বাণিজ্য— পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও রকম সম্পর্কই দেখতে চাননি তিনি। বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেট হল। ক্রিকেট ম্যাচেও ‘বদলা’ নিল ভারত। শুধু ‘বদলা’ নয়, একেবারে দুরমুশ করে বদলা। রবিবার দুবাইয়ে ভারত জিতল সাত উইকেটে। পড়শি দেশের তোলা ১২৭/৯ ভারত টপকে গেল ২৫ বল বাকি থাকতেই। রবিবার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুলদীপ যাদব। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, শেষটাও সে ভাবেই হল। টসের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একে অপরকে ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানাননি। তবে সৌজন্য না দেখালেও দুই দলের কেউই বিপক্ষকে অসম্মান করেননি। খেলা শেষেও সেটাই করল ভারত। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান গোটা ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি। মাঠেই ‘বদলা’ নিলেন সূর্যেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ছেলেখেলা করে জিতলেন তাঁরা।

    উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত

    ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই (India vs Pakistan) কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।” তবে, ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট। উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত। বার্তা স্পষ্ট, সন্ত্রাসে মদতকারীদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্যই চলে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি টিম ইন্ডিয়া।

    পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে

    রবিবার ছিল সূর্যর জন্মদিন। সেটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠল পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি নিজে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। আর সব শেষে এসে সূর্যর বক্তব্যে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটভক্তরা। তিনি বলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, “কয়েকটা কথা বলতে চাই। এর থেকে ভালো সুযোগ হয়তো পাব না। আমার মনে হয় স্পোর্টসমানশিপের ঊর্ধ্বেও কিছু জিনিস আছে। আমরা পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীরও পাশে রয়েছি। আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, খেলতে আসছি। এর যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলাম। মাঠেই এর যথাযথ জবাব দিয়েছি। বিসিসিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।”

LinkedIn
Share