Author: pranabjyoti

  • Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার পর্যটকদের ভিড়ে মিশেছিল জঙ্গিরা (Pakistan)। পরে স্বমূর্তি ধারণ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। গুলি চালানোর আগে পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ও জানতে চায় জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, এদিন যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই হিন্দু। বৈসরন এলাকার এই হত্যালীলা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়াবহ অসামরিক হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রক্সি গোষ্ঠী।

    হতাশার বহিঃপ্রকাশ! (Pahalgam Attack)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাহেলগাঁওয়ে এই হামলা একটি বৃহত্তর ও আরও উদ্বেগজনক ধারার অংশ। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ হওয়ার পরে নির্বাচনও হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। ক্ষমতায় এসেছে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার। এর পরেই কৌশল বদলায় পাকিস্তান। তারা কাশ্মীর থেকে তাদের ফোকাস ঘোরায় শান্ত এবং হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর পার্বত্য জেলাগুলিতে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিশ্চিন্তে বসবাস করছিলেন রাজৌরি, রেয়াসি এবং পুঞ্চের বাসিন্দারা। এই জায়গাগুলিকেই ফোকাস করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এভাবে তারা যেমন একদিকে ভারতের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চেয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ভারতের দুর্বলতাও খুঁজতে চেয়েছে। এসব অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক সুবিধাও নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও অনুপ্রবেশের নিরন্তর চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে পাক সেনা। সম্প্রতি জে সেক্টরে তারা এলওসি অতিক্রম করেছিল। যদিও ভারতীয় সেনা তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। পাক সেনাদের এহেন কাজকর্ম একাধিক ফ্রন্টে ভারতের কৌশলগত অবস্থানের একটি পরীক্ষাও বটে।

    পাকিস্তানের মুখে চুনকালি

    উনিশ সালে (Pahalgam Attack) ভূস্বর্গ থেকে লুপ্ত করা হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভারতের কাশ্মীরের ওপর থেকে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে থাকে। অথচ মোদি সরকার যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখন থেকে কূটনৈতিক, সামরিক কিংবা বাকযুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঢের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের মুখে পড়েছ চুনকালি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ছিল নির্বিকার। ওআইসি কেবল আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েই খালাস। ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর কাশ্মীরে বয়ে গিয়েছে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। শান্তির ভূস্বর্গে ক্রমেই নামছিল পর্যটকদের ঢল। অর্থনীতি চাঙা হয়েছিল ভূস্বর্গের। অবাধে হয়েছে নির্বাচন। জম্মু-কাশ্মীরের রাশ গিয়েছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি সরকারের হাতে। রাওয়ালপিন্ডি এক সময় যে স্বাভাবিকতার প্রতীকগুলিকে উপহাস করত, সেগুলিই ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কাশ্মীরে। তাই স্থানীয় কাশ্মীরিদের খেপিয়ে তোলার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে পাক সেনার।

    পাক সেনার ইন্ধন

    এহেন প্রেক্ষাপটে (Pahalgam Attack) ইন্ধন জুগিয়েছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ঘোষণা (Pakistan)। তিনি কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের জীবনরেখা’ বলে উল্লেখ করেছেন। জিয়া আমলের পর থেকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেননি কোনও পাক রাজনীতিক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি কোনও কৌশলগত সংকেত নয়, বরং পাকিস্তানের গলায় হতাশার সুর স্পষ্ট, যে নিজের চোখের সামনে তার নিজের আদর্শিক পরিচয়ের মূলস্তম্ভকে হাতছাড়া হতে দেখছে। পাক সেনার বক্তব্য যতই জোরালো হচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাওয়ালপিন্ডি আর কাশ্মীরের ডিসকোর্স নির্ধারণ করছে না, বরং পরোক্ষে তাদের পরাজয়েরই মোকাবিলা করছে।

    কেন প্ররোচনা?

    আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একের পর এক সমস্যায় যখন জর্জরিত পাকিস্তান, তখন পাক সেনার এহেন প্ররোচনা (কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ কিংবা হামলার ছক) অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। উপজাতীয় অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তান তাদের ওপর আধিপত্য বজায় রাখছে। বালোচ বিদ্রোহীরা সৈন্যদের আস্ত একটি ট্রেনকে পণবন্দি করেছিল। পড়শি দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন তলানিতে। দৃশ্যতই দেশটি বর্তমানে গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশের এই দুঃসময়ে ভারতের কাশ্মীর নিয়ে মাতল কেন পাকিস্তান? এর (Pahalgam Attack) এক এবং একমাত্র উত্তর হল, দেশে যখনই ভয়ঙ্কর কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন পাকিস্তানিরা যাতে সরকার কিংবা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে না দেন, তাই ভারতকে চিরশত্রু হিসেবে তাক করা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা, হামলা চালানো, প্রতিশোধের ঝুঁকি নেওয়া – এসবই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পাক সেনার পুরানো চাল। এদিক থেকে বিচার করলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলাও যুক্তিসঙ্গত হয়ে ওঠে। কারণ ‘ভারত-কার্ড’ খেলে দিয়ে পাক সেনা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি আদতে দেশের অভ্যন্তরীণ (Pakistan) সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী ঘোরানোরই চেষ্টা করেছে (Pahalgam Attack)।

  • Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলাকে জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছে আরএসএস (RSS)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) এক বিবৃতিতে এই হামলায় প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

    কী বলছেন আরএসএস কর্তা (Dattatreya Hosabale)

    হোসাবলে তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার এই জঘন্য কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হৃদয়বিদারক। আমরা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং এই হামলায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এটি আমাদের জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর একটি আক্রমণ। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে তাদের মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এই সন্ত্রাসী কাজের নিন্দা করতে হবে।” হোসাবলে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সাহায্য পায় সরকারের উচিত তা নিশ্চিত করা। এই হামলার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তিও যেন দেওয়া হয়।”

    ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’

    পহেলগাঁওয়ের যে এলাকায় জঙ্গিরা পর্যটকদের নিশানা করে, সেই বৈসরন উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত। ফি বছর কয়েক লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন ভূস্বর্গে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি (Dattatreya Hosabale) প্রক্সি গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল ৪ থেকে ৬ জন। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরি। বাকিরা পাকিস্তানের নাগরিক।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলাকে জঘন্য কাণ্ড বলে নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে বুধবার ভোরেই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই হামলার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “পাকিস্তানিরা যেন তাদের সন্তানদের (RSS) হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে চরম পার্থক্য রয়েছে, তা শেখান (Dattatreya Hosabale)।”

  • PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (PM Modi) ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে গুগল। তাই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও ভারতের সমীক্ষা দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে তাদের প্লে স্টোর থেকে চিনা চ্যাট অ্যাপ ‘অ্যাবলো’ সরায়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের যুক্তি, অ্যাপটিতে ভারতের আঞ্চলিক সীমানা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি (Chinese App)।

    সরকারি নোটিশ (PM Modi)

    সরকারি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, চিন-ভিত্তিক এই ভিডিও চ্যাট প্ল্যাটফর্ম, যার গুগল প্লে-তে ১০ হাজারেরও বেশি ডাউনলোড রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং মানচিত্র থেকে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছে। এই নির্দেশনায় ফৌজদারি আইন (সংশোধন) আইন, ১৯৯০-এরও উল্লেখ করা হয়েছে, যা এই ধরনের ভুল উপস্থাপনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। এই অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ ছ’মাসের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

    ‘অ্যাবলো’ অ্যাপ

    নোটিশে বলা হয়েছে, “এটি স্পষ্ট যে গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ ‘অ্যাবলো’ অ্যাপটির মানচিত্রে ভারতের বাহ্যিক সীমানা ভুলভাবে দেখানো হয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।” ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক গুগলকে পাঠানো নোটিশে তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ধারা ৭৯(৩)(খ) উল্লেখ করেছে, যা প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় আইন লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে বা অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করতে বাধ্য করে (PM Modi)। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল মানচিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে উঠে এসেছে। মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ওই অ্যাপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

    তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের শ্রেয়া সিংহাল বনাম ভারত ইউনিয়ন রায়েরও উল্লেখ করেছে, যা সরকারের বৈধ আদেশ মানতে প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্য করে। গুগল এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ অ্যাপটির গুগল প্লে স্টোর ল্যান্ডিং পেজে এখন লেখা দেখা যাচ্ছে (Chinese App), “আমরা দুঃখিত, এই সার্ভারে অনুরোধ করা ইউআরএল খুঁজে পাওয়া যায়নি”। অ্যাপটি এখন ভারতীয় ইউজারদের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোরেও অনুপলব্ধ (PM Modi)।

  • Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পর্যটকদের ওপর হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়েই মিশেছিল জঙ্গিরা। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

    ট্রেকিংয়ের সময় হামলা (Jammu And Kashmir)

    এদিন বেশ কয়েকজন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় হামলা চালানো হয় তাঁদের ওপর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পর্যটকদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাকি তিনজন রাজস্থানের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। ফি বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন এখানে। এদিন সেরকমই এক পর্যটক দলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পেয়ে তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নেন ভূস্বর্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির খবর। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শাহ।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Jammu And Kashmir) প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই জঘন্য অপরাধের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি। আক্রান্তদের সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।” তিনি লেখেন, “এই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অটল প্রতিজ্ঞা অটুট, বরং আরও দৃঢ় হবে।”

    পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পর্যটকদের ওপর এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। এই ঘটনা বর্বরোচিত। হামলাকারীরা পশুর সমান, নির্মম, ঘৃণার যোগ্য। তাদের জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে সরকারিভাবে জানানো হবে। সম্প্রতি বছরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড় (Terrorist Attack)।” ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

  • Alphabet: ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পিক্সেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যালফাবেট!

    Alphabet: ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পিক্সেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যালফাবেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট (Alphabet) তাদের পিক্সেল (Pixel Production) স্মার্টফোন উৎপাদনের একটি বড় অংশ ভিয়েতনাম থেকে ভারতে সরিয়ে নিয়ে আসছে। এজন্য তারা চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডিক্সন টেকনোলজিস ও ফক্সকনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলেও খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পদক্ষেপটি অ্যালফাবেটের সরবরাহ শৃঙ্খল ডাইভার্সিফাই করার পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার ঝুঁকি কমানোর বৃহত্তর কৌশলেরও অংশ। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পিক্সেল স্মার্টফোনের বর্তমান প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৪৬ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করেছে। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার মাত্রই ২৬ শতাংশ। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নতুন শুল্ক হার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন, তবে বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক এখনও কার্যকর রয়েছে।

    পিক্সেল স্মার্টফোন (Alphabet)

    বর্তমানে ভারতে তৈরি পিক্সেল স্মার্টফোনগুলি মূলত দেশীয় বাজারের জন্য তৈরি, যেখানে আমদানি শুল্ক ১৬.৫ শতাংশ। ডিভাইসগুলি নয়ডার ডিক্সন এবং তামিলনাড়ুর ফক্সকন দ্বারা একত্রিত করা হয়। এখানে ডিক্সন নতুন মডেল তৈরি করে এবং ফক্সকন পুরানো মডেলগুলি তৈরি করে (Pixel Production)। ভারতে তৈরি পিক্সেলের প্রায় ৭০ শতাংশই ডিক্সনে তৈরি হয়। ফক্সকনই প্রথম ২০২৩ সালের অগাস্টে এখানে উৎপাদন শুরু করে। তাইওয়ানের কম্পাল ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিসেম্বরে ডিক্সন এই প্রচেষ্টায় যোগ দেন (Alphabet)।

    ভারতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

    সূত্রের খবর, অ্যালফাবেট প্রাথমিকভাবে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পিক্সেল উৎপাদন ধীরে ধীরে ভারতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সম্ভাব্য মার্কিন-ভিয়েতনাম শুল্ক ব্যবস্থার কারণে কোম্পানিটি তার কৌশল দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাটি এখন ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশেও সম্ভাব্য চালান অনুসন্ধান করছে।

    এই অগ্রগতি নয়াদিল্লির বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কাজ করছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমান ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা (Pixel Production)।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গুগলের পিক্সেল স্মার্টফোনের বাজার শেয়ার সাম্প্রতিক লঞ্চের পর প্রায় ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতে প্রিমিয়াম মূল্য নীতির কারণে এই ব্র্যান্ডটি এখনও একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যদিও অফলাইন রিটেল চ্যানেলে প্রবেশের পর থেকে কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে (Alphabet)।

  • Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও সৌদি আরবের (Saudi Arabia) মধ্যে সম্পর্কে নতুন গতি আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এপ্রিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী গেলেন সৌদি সফরে। তবে জেড্ডা শহরে এই প্রথম (Kashmir) পা রাখবেন তিনি। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, এবং মনমোহন সিংয়ের পর মোদিই সৌদি আরব সফরকারী চতুর্থ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ভারত প্রধান তেল রফতানিকারী ও ওপেক নেতৃত্বাধীন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে (Saudi Arabia)

    ভারত ও সৌদি আরব বছরের পর বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রসারিত করেছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, শক্তি খাতের সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফল হল কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেশটির পরিবর্তিত অবস্থান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় সৌদি আরব প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অবস্থান বদলেছে। সৌদি আরব যে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করত, তা মূলত গড়ে উঠেছিল তাদের যৌথ ইসলামিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। তবে যুবরাজের নেতৃত্বে রাষ্ট্রটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক পন্থা গ্রহণ করেছে, যা নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (Saudi Arabia)।

    সৌদি বিনিয়োগ

    বছরের পর বছর ধরে এই পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সৌদি আরব এখন ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, অন্যদিকে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রিন্স সালমান ভারতের মধ্যে সৌদি বিনিয়োগ আগামী কয়েক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত ইতিমধ্যেই সৌদি অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান গন্তব্য এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শক্তি জায়ান্ট সৌদি আরামকো দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে (Kashmir)।রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের ভারতের মধ্যে মোট বিনিয়োগ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল (পিআইএফ) রিলায়েন্সের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্জিত শেয়ারও।

    ভারতের আমদানির পরিমাণ

    ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সৌদি আরব থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ১১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Saudi Arabia)। সৌদি আরব ভারত, ইউএই এবং ইইউয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আইএমইসি (ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর) চালু করেছে। এটি একটি বড় পরিকাঠামোগত উদ্যোগ। এর লক্ষ্যই হল ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। একই সময়ে সৌদি আরব একাধিকবার পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটি যুবরাজ সালমানের বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে প্রিন্স সালমান ভারত সফরের সময় পাকিস্তান সফরে যাননি। এটি সৌদি আরবের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরদার করার প্রতি তাঁর সচেতন মনোভাব প্রকাশ করে।

    সন্ত্রাসবাদের নিন্দা

    এই সফরে যুবরাজ সালমান এবং মোদি যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Kashmir)। ২০২০ সালে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধের দাবি জানায় এবং ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল ক্রেডিট সুবিধা রিনিউ করতে অস্বীকার করে। এই আর্থিক সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয় (Saudi Arabia)। ২০২৪ সালে সৌদি আরবের গলায় শোনা যায় ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রতিধ্বনি। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কার্যত নয়াদিল্লির অবস্থানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে।

    ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের গভীরতর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাশ্মীর নিয়ে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং পাকিস্তানের প্রতি কূটনৈতিক ঠান্ডা আচরণের বিপরীতে একটি স্পষ্ট বৈপরীত্য তুলে ধরে। এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। তাঁর গত ১০ বছরের রাজত্বকালে তিনি তিনবার সৌদি সফরে গিয়েছেন (Kashmir)। তার জেরেই মজবুত হয়েছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক (Saudi Arabia)।

  • India Bangladesh Relation: ভারত বিরোধিতাই কাল হল বাংলাদেশের! ঘোর বিপাকে ইউনূস সরকার

    India Bangladesh Relation: ভারত বিরোধিতাই কাল হল বাংলাদেশের! ঘোর বিপাকে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিরোধিতাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation)! যতই দিন যাচ্ছে ততই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা ভালোই বুঝতে পারছেন ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করায় কী খেসারতটাই না দিতে হচ্ছে! বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডই হল রেডিমেড পোশাক শিল্প। এটিই একমাত্র শিল্প যা দেশের মোট রফতানির প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং (India) মোট জিডিপির ১৩ শতাংশ অবদান রাখে। প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ এই পোশাক শিল্পে কাজ করেন। এঁদের সিংহভাগই নারী।

    করোনা পর্যায়ে বাংলাদেশকে সাহায্য ভারতের (India Bangladesh Relation)

    করোনা অতিমারির সময় যখন সারা বিশ্বে মাস্ক, মেডিক্যাল টেক্সটাইল, গ্লাভস এবং হাসপাতালের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা ছিল, তখন বাংলাদেশের কাছে বিক্রির জন্য পণ্য মজুত থাকলেও, বিশ্ববাজারে সরবরাহের উপায় ছিল না। ভারতেরও বিশ্বব্যাপী পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কোনও উপায় ছিল না। তা সত্ত্বেও পড়শি দেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল ভারত। সেই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সরবরাহ শৃঙ্খলা সংশোধনের জন্য নয়াদিল্লির কাছে সাহায্য চেয়েছিল। এরপর ভারত বাংলাদেশকে সাহায্যের পাশাপাশি তার জন্য নিজেদের সরবরাহ শৃঙ্খলার দরজাও খুলে দেয়। ভারত বাংলাদেশকে নিজ বন্দর ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা দেয়, অতিমারির বাজারে যা বাংলাদেশকে বিশেষ মাইলেজ দেয়।

    পণ্য সরবরাহের পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই

    বাংলাদেশের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলির বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহের পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই। তাছাড়া, বাংলাদেশ যদি নিজেদের বিমানবন্দর ও বন্দর থেকে পণ্য বিক্রি করে, তাহলে এর খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। উল্টোদিকে, কলকাতা থেকে পণ্য পাঠানোর খরচ পড়ে কিলোগ্রাম প্রতি মাত্র ২ থেকে ২.৫ মার্কিন ডলার। কিন্তু সরাসরি বাংলাদেশ থেকে একই পণ্য পাঠালে কিলোগ্রাম প্রতি ৫ থেকে ৬ মার্কিন ডলার খরচ হয়। তাই ভারত (India) যখন বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা দিয়েছিল, তা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। সেই সময় ভারত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নামমাত্র ফি নিয়েছিল (India Bangladesh Relation)।

    ভারতের মাটি ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি

    বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারতের মাটি ব্যবহার করে তাঁদের পণ্য বিক্রি করতেন। ভারতীয় রুটে পণ্য ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দরে আনা হত, তারপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে পাঠানো হত। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে পেট্রাপোল-বেনাপোলের মতো ভারতের স্থল বন্দরে পণ্য আনতেন। পরে সেগুলি কলকাতা, হলদিয়া, নহবা শেভার মতো বড় বড় বন্দর বা দিল্লি ও কলকাতার বিমানবন্দরে পাঠানো হতো। সেখান থেকে সমুদ্রপথে বা আকাশপথে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ করা হত। অর্থাৎ, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যদি নিজ দেশ থেকে কোনও পণ্য ইউরোপের দেশে পাঠাতেন, তাহলে ভারতের মাধ্যমে পাঠানোর তুলনায় খরচ তিন গুণ বেড়ে যেত।

    ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিল

    ভারত বাংলাদেশকে প্রদত্ত ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিলের কারণ হিসেবে নিজেদের বন্দর ও বিমানবন্দরে বাড়তে থাকা জটিলতার উল্লেখ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা একে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত অকারণে এমন ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বন্ধ করেনি। এর আগে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে স্থলবন্দরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং ভারত থেকে সুতা (India) আমদানিকে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশের এহেন আচরণ ভারত পছন্দ করেনি। তাছাড়া, মহম্মদ ইউনূস যখন বেইজিংয়ে ভারতের ‘চিকেন নেক’কে টার্গেট করার চেষ্টা করেছিলেন, বস্তুত তখনই ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। ভারতের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ টানা প্রয়োজন হয়ে পড়ে এবং তারা সেটিই করেছে। তবে ভারত ইউনূসকে তাঁর ভুল সংশোধনের শেষ একটি সুযোগ দিয়েছিল। ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করেছিল। কিন্তু তার পরেও যখন ইউনূস নিজেকে সংশোধন করেননি, তখনই ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিল করে দেয় (India Bangladesh Relation)।

    ১৭০টি কারখানা বন্ধ

    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বেক্সিমকো শিল্প পার্কে ইতিমধ্যেই ১৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র এই একটি শিল্পাঞ্চলেই চাকরি খুইয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ। এখন বাংলাদেশকে তার পণ্য প্রথমে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে তারপর রফতানি করতে হবে। এটি ব্যয়বহুল হবে। যার ফলে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাবে বিক্রি (India)। বাংলাদেশ ভারতীয় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে। ইউনূস প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রফতানিকারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে অনেক কম দামে সুতা কিনতেন। বাংলাদেশের সুতা আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি ছিল। এই সুতা আমদানির ৯৫ শতাংশই আসে ভারত থেকে। কিন্তু এখন তাকে অন্যান্য দেশ থেকে কিনতে হবে। যার জন্য গুণতে হবে চড়া দর (India Bangladesh Relation)।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন (Peace Appeal) জানানো হয়েছিল বিজেপি-আরএসএসের তরফে। এই শান্তির আবেদন নাকি হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে! অন্তত এমনই দাবি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police)।

    ব্যাপক হিংসা মুর্শিদাবাদে (West Bengal Police)

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি স্থানীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে হিন্দুরা আশ্রয় নেন মালদায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধীর পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলেও খবর।

    বিজেপির সমালোচনা

    সমালোচকদের দাবি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রোধ বা সহিংসতায় ঘরছাড়া মানুষদের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকে প্রতিবেশী মালদা জেলায় পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই তৎপর পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে। সমালোচকদের যুক্তি, চার পাতার এই আবেদনে কেবল শান্তির আহ্বান জানানো হয়নি, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনাও করা হয়েছে (West Bengal Police)।

    কী বলছে পুলিশ

    পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল দ্বারা ইংরেজি ও বাংলায় শেয়ার করা এই ‘শান্তির আবেদনে’ বিজেপি এবং আরএসএসের সমালোচনা করে তাদের ‘আক্রমনাত্মক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে (Peace Appeal)। পুলিশের ওই আবেদনে দাবি করা হয়, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিভাজনমূলক রাজনীতি উসকে দিচ্ছে এবং ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিশি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা ‘অশুভ’ বলে দাবি করা হয়েছে।

    ‘আগুন নিয়ে খেলা’

    প্রমাণ না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করেছিলেন যে বিজেপি এবং আরএসএস রাম নবমীতে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র পরিকল্পনা করছে। সমালোচকদের মতে, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাঁর মুসলিম সমর্থক গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত বলে কথিত হিংসা থেকে জনতার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ও তাদের মিত্রদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য ‘সনাতন হিন্দুধর্মকে কলঙ্কিত’ করার অভিযোগও তোলেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা শেয়ার ও প্রসার করতে থাকে (West Bengal Police)।

    প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ও তাদের মিত্ররা মিথ্যা ও সংকীর্ণ কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। তাদের বক্তব্য ভুল উদ্ধৃতির ওপর গড়ে তোলা মিথ্যার স্তূপ। তাদের বিশ্বাস করবেন না। তারা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, যা সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে (Peace Appeal)।” মুর্শিদাবাদের হিংসায় স্থানীয় মুসলিমদের একাংশের হাত রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রায় সকলেই মুসলমান। দুই প্রতিমা শিল্পী খুনে মূল চক্রী জিয়াউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেও মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ফাটল ধরে, তাই আওড়েছেন মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, দাঙ্গা হিন্দু বা মুসলমান কারও দ্বারা সৃষ্টি হয় না—দাঙ্গা সৃষ্টি করে অপরাধীরা।” সমালোচকদের মতে, এটি তাঁর তোষণমূলক রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ (West Bengal Police)।

    ভোটব্যাংকের স্বার্থেই তোষণের রাজনীতি!

    এই ভোটব্যাংকের স্বার্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির জন্য দায়ী স্থানীয়রা নয়, বহিরাগতরা। তিনি বলেন, “দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা সর্বদা বাইরে থেকে এসে চলে যায়। কিছু বহিরাগতকে বিশ্বাস করবেন না যারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা সৃষ্টি করে।” অথচ ঘটনা হল, মূল চক্রী জিয়াউল বাইরের কেউ নন, তিনি মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ভোটব্যাংকের রাজনীতির কূট চাল ধরে ফেলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁদের সাফ কথা, মুর্শিদাবাদে হিংসার মূল হোতা ছিল স্থানীয় মুসলিমরাই। মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত এই মন্তব্য ও এই বৈপরীত্য সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে তাঁর ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে তা আরও প্রচার করে (Peace Appeal)।

    দলদাস পুলিশের (West Bengal Police) কবে সম্বিত ফিরবে? প্রশ্ন বিরোধীদের।

  • Demographic Shift: নিজভূমেই পরবাসী অস্ট্রিয়াবাসী! কমছে খ্রিস্টান, বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বিপন্ন আদি-বাসিন্দারা

    Demographic Shift: নিজভূমেই পরবাসী অস্ট্রিয়াবাসী! কমছে খ্রিস্টান, বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বিপন্ন আদি-বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপের দেশ ভিয়েনায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (Demographic Shift)। সাম্প্রতিক এক সরকারি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে (Vienna School) এখন খ্রিস্টানদের চেয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। শহরের স্কুল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, এই সব স্কুলের ৪১.২ শতাংশ শিক্ষার্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের, অন্যদিকে সব খ্রিস্টান সম্প্রদায় মিলে রয়েছে মাত্র ৩৪.৫ শতাংশ।

    সংগৃহীত তথ্য (Demographic Shift) 

    ভিয়েনার শিক্ষা বিষয়ক সিটি কাউন্সিলর বেটিনা এমারলিংয়ের (নিওস) অফিস এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে সব ধরণের স্কুলের প্রায় ১,১২,৬০০ শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে জার্মান ভাষা ক্রমশ দ্বিতীয় ভাষায় পরিণত হচ্ছে, যা শিক্ষাদানকে কঠিন করে তুলেছে। অস্ট্রিয়ান প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ইভেলিন কোমেটারের মতে, শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতিটি বাক্য ১০ থেকে ১২ বার বলতে হচ্ছে। এতে ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। শহরের স্কুলগুলো থেকে জাতিগত অস্ট্রিয়ান পরিবারগুলি পালাতে শুরু করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

    ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য

    অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি এই পরিস্থিতিকে অভিবাসন নয়, স্থানচ্যুতি বলে অভিহিত করেছে। দলের তরফে হানেস অ্যামেসবাউয়ার বলেন, “অস্ট্রিয়ানরা শীঘ্রই নিজ দেশেই বিদেশিতে পরিণত হবে।” সরকার সহনশীলতা, বৈচিত্র্য ও সামাজিক সংহতি বাড়াতে গণতন্ত্রে বসবাস নামে একটি নতুন বিষয় চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, সমন্বয়ের সমস্যা এর চেয়ে ঢের বেশি গভীর। ভিয়েনার জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন (Demographic Shift) কোনও আকস্মিক বা এক রাতের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। বছরের পর বছর ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ—বিশেষত জার্মানি, সুইডেন ও অস্ট্রিয়া—এক ধরনের “খোলা দরজার অভিবাসন নীতি” অনুসরণ করেছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসলামি দেশগুলি থেকে আগত সকলকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। তবে স্থানীয় সমাজে সম্পূর্ণ ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির এই গোষ্ঠীগুলিকে কীভাবে একীভূত করা যায়, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনাই তারা করেনি (Vienna School)।

    বিষময় ফল

    প্রাথমিকভাবে, বহুসংস্কৃতিবাদ ও মানবিক উদ্বেগের নামে এই অভিবাসন নীতিগুলি প্রচার করা হয়েছিল। তবে এগুলির ফল হয়েছে মারাত্মক। বিচ্ছিন্ন মহল্লা, শ্রেণিকক্ষে ভাষাগত সঙ্কট, অপরাধ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে দেশটিতে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলির বিভিন্ন অংশে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ইহুদি ও প্রকাশ্যে সমকামিতায় জড়িতদের মতো কিছু ব্যক্তিকে ইসলামি সম্প্রদায়-অধ্যুষিত তথাকথিত “নো-গো জোন” এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। ইসলামি দেশগুলি থেকে যে কেউ ও সবাইকে প্রবেশাধিকার দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলি। বাম-উদারপন্থীরা এই উদ্বেগগুলিকে ভীতি ছড়ানো হিসাবে খারিজ করে দিয়েছিল। তবে এখন মূলধারার তথ্য – শ্রেণিকক্ষের ধর্মীয় অনুপাত, অপরাধের পরিসংখ্যান থেকে গণবিরোধিতা পর্যন্ত সবেতেই এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হচ্ছে। সাধারণ জনতা, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব সকলের কাছ থেকেই অভিবাসন নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে। এমনকি মধ্য-পন্থী দলগুলিও স্বীকার করেছে যে নিরঙ্কুশ অভিবাসনের মডেল ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সংহতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে (Demographic Shift)।

    সীমান্ত নীতি কঠোর করার কথা বিবেচনা

    জানা গিয়েছে, জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি সীমান্ত নীতি কঠোর করার কথা বিবেচনা করেছে। ডেনমার্কে, ঐতিহ্যগতভাবে মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে। যার ফলে ইসলামি দেশগুলি থেকে আসা অভিবাসীদের ঠাঁই মিলছে না (Vienna School)। প্রসঙ্গত, গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছিল যে সুইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং ফিনল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় দেশগুলি কঠোর অভিবাসন নীতি আনার অঙ্গীকার করেছে। উল্লেখ যে, এগুলিকে “অতি ডানপন্থীদের চাপের ফল” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলির অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারের বার্ষিক সংখ্যা ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ফ্রন্টেক্স কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারের হার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল—যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর ৩৮০,০০০ জন অনিয়মিতভাবে ইইউতে প্রবেশ করে। তবে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে এই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল (Demographic Shift)।

    ইসলামি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

    ইউরোপ বর্তমানে যা ইসলামি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলে বর্ণনা করা যায়, তার তীব্র মোকাবিলা করছে। এদিকে, ভারত দীর্ঘকাল ধরে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের প্রভাব সহ্য করে আসছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ট্র্যাজিক উদাহরণ হল কাশ্মীর, যেখানে ১৯৯০-এর দশকে লক্ষাধিক কাশ্মীরি হিন্দুকে টার্গেট করে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হয়েছিল। ইসলামিস্ট  চরমপন্থীদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে তাঁরা নিজেদের জমি-জিরেত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। বস্তুত, নিজের দেশেই তাঁরা পরিণত হয়েছিলেন শরণার্থীতে (Vienna School)।

    উদ্বেগজনক প্রবণতা ভারতেও

    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত-নেপাল সীমান্তেও একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে কিছু জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা জাতীয় গড় ১৪ শতাংশের তুলনায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তসংলগ্ন অনেক গ্রামে সম্পূর্ণ জনসংখ্যাগত উলটপালটের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার চরমপন্থা রোধে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির দাবি জোরালো করছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শহরগুলিতে দেখা গিয়েছে, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, সেখানে হিন্দুদের টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। “এই বাড়িটি বিক্রয়ের জন্য” লেখা সাইনবোর্ডযুক্ত বাড়িগুলি প্রায়ই সেই সব অঞ্চলে দেখা যায়, যেখানে স্থানীয় ইসলামিস্ট গুন্ডাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন হিন্দুরা (Demographic Shift)।

    উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। ২০২৫ সালের এপ্রিলের শুরুতে ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পর বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মুসলিম জনতা প্রথমে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালি দিয়ে চিহ্নিত করেছিল। পরে বোমাবর্ষণ, ভাঙচুর চালায়। লুটপাট করে, করে অগ্নিসংযোগও। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে ছিলেন, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ (Vienna School)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে বহু হিন্দু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। নিদারুণ অত্যাচারের আতঙ্কে বহু হিন্দু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছে, যা ২০২১-এর নির্বাচন-উত্তর বাংলার হিংসার সময়কার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দেয় (Demographic Shift)।

    বিপদ সঙ্কেত!

    বিভিন্ন হিন্দু নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কিছু অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তবে, ধর্মনিরপেক্ষ মহল এই উদ্বেগগুলিকে “প্রান্তিক আতঙ্ক” বলে খাটো করে দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সর্বত্রই এক— মুর্শিদাবাদের একজন হিন্দু শিক্ষক, দিল্লিতে দশক ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাসকারী (Vienna School) কাশ্মীরি পণ্ডিত, বা ভিয়েনার একজন অস্ট্রিয়ান অভিভাবক—সবক্ষেত্রেই পরিণতি ও বেদনা অভিন্ন (Demographic Shift)।

  • PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

    নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

    অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

    তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

    ভারত শীর্ষে

    প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

    প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

    প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

    দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

LinkedIn
Share