Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন রাশিয়ার Ukraine Russia War ) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শর্ত সাপেক্ষে — কিয়েভকে বড় অংশের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে এবং ক্রিমিয়ার উপর মস্কোর অধিকার স্বীকার করতে হবে। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে এই প্রস্তাব দেন পুতিন। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। একাধিকবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তার মাঝে শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প এবং পুতিনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়— দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। বৈঠক শেষে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। উভয়েরই দাবি, বৈঠক ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক হয়েছে।

    ভূখণ্ডের বিনিময়ে শান্তি ও ক্রিমিয়া স্বীকৃতি চায় রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা জোরকদমে চলছে। সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেনকে পুরোপুরি ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অগ্রগতি বন্ধ রাখবে। পাশাপাশি রাশিয়া ক্ষুদ্র কিছু দখলকৃত এলাকা — যেমন সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৪৪০ বর্গকিমি জমি — ফেরত দিতে পারে।

    রাশিয়ার প্রধান দাবিগুলো হলো

    ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে

    রাশিয়া এই দুই অঞ্চল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে

    সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে

    ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হবে না

    রাশিয়ার উপর আরোপিত কিছু ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে

    ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে রুশ ভাষাকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    ইউক্রেনে রুশ অর্থোডক্স চার্চ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে

    ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে; তবে ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে

    নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে, পুতিন ইউক্রেনকে “ডনবাস পুরোপুরি ছাড়তে” বলেছেন — এটি রাশিয়ার বহু পুরনো অবস্থান।

    ইউরোপের উদ্বেগ ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া

    ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে এই চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট একে “পুতিনের স্পষ্ট জয় এবং ট্রাম্পের পরাজয়” বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফিওনা হিল বলেন, “ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আদায় করতে পারেননি — যেটি ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশের কোনো অংশ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ডনবাস রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের ক্ষেত্র হতে পারে। যদিও তিনি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন-জেলেনস্কি) সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন।

    ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি

    আপাতত ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ আছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর ডোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অংশ আছে রাশিয়ার দখলে। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক চেয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরো জায়গাই আপাতত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে, ইউক্রেন। পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে বৈঠকের পর আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাঁকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি। তার পরে কী হয়, আপাতত সে দিকেই চোখ সারা বিশ্বের।

    থাকছেন ইউরোপের অন্য নেতারাও

    শুধু ট্রাম্প-জেলেনস্কি নন, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা একাধিক ইউরোপীয় নেতার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন আলোচনায় অংশ নেবেন। ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই বৈঠক সোমবার দুপুর ১টায় (মার্কিন সময়) অনুষ্ঠিত হবে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সময় অনুসারে, বৈঠকটি শুরু হবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।

  • Sanatan Dharma: বিশ্বজুড়ে সনাতনের প্রসার, বিগত ২২ বছরে বিভিন্ন দেশে স্থাপিত হয়েছে ১১টি বৃহৎ দেবমূর্তি

    Sanatan Dharma: বিশ্বজুড়ে সনাতনের প্রসার, বিগত ২২ বছরে বিভিন্ন দেশে স্থাপিত হয়েছে ১১টি বৃহৎ দেবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে হিন্দু মন্দির ও দেবদেবীর বিশাল মূর্তি নির্মিত হয়েছে। এসব মূর্তি ও মন্দির শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (Sanatan Dharma)। প্রতিটি মন্দির ও মূর্তির নকশা সেখানে হিন্দু সংস্কৃতি ও প্রাসঙ্গিক পৌরাণিক আখ্যানকে ধারণ করে তৈরি হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আলোচিত হল ভারতের বাইরে নির্মিত ১১টি বিশাল হিন্দু দেব মূর্তি নিয়ে।

    ১. কানাডায় ৫১ ফুট প্রভু রামের আবক্ষ মূর্তি (২০২৫)

    ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট কানাডার হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে ৫১ ফুট উচ্চতার প্রভু রামের আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় রামের মূর্তি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১০,০০০-এর বেশি ভক্ত (Sanatan Dharma)।

    ২. টেক্সাস, আমেরিকায় ৯০ ফুট হনুমান মূর্তি (২০২৪)

    ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আমেরিকার টেক্সাসের সুগারল্যান্ডে অবস্থিত অস্ত্রাক্ষী মন্দিরে ৯০ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তির উদ্বোধন হয়। এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন শ্রী চিন্না জেয়ার স্বামীজি।

    ৩. ইন্দোনেশিয়ায় ১২১ মিটার গরুড় মূর্তি (২০১৮)

    ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গরুড়ের ১২১ মিটার দীর্ঘ মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মূর্তি। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে গরুড়কে (Sanatan Dharma) ভগবান বিষ্ণুর বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    ৪. মরিশাসে ১০৮ ফুট দুর্গা মূর্তি (২০১৭)

    ২০১৭ সালে মরিশাসে উদ্বোধন করা হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্গা মূর্তি। এই মূর্তির উচ্চতা ১০৮ ফুট, যা হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যাও বটে।

    ৫. থাইল্যান্ডে ৩৯ মিটার গণেশ মূর্তি (২০১২)

    ২০১২ সালে থাইল্যান্ডে স্থাপন করা হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণেশ মূর্তি, যার উচ্চতা ৩৯ মিটার।

    ৬. ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৪৬ মিটার গণেশ মূর্তি (২০১১)

    ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার তামান সাফারি বালিতে ৪৬ মিটার উচ্চতার গণেশ মূর্তির উদ্বোধন হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বড় গণেশ প্রতিমা।

    ৭. নেপালে ৪৪ মিটার কৈলাসনাথ মহাদেব মূর্তি (২০১০)

    ২০১০ সালের ২১ জুন নেপালের সাঙ্গায় কৈলাসনাথ মহাদেব মূর্তির উদ্বোধন করা হয়। ৪৪ মিটার উচ্চতার এই মূর্তিটি বিশ্বের বৃহত্তম শিব মূর্তিগুলোর একটি।

    ৮. মরিশাসে ১০৮ ফুট মঙ্গল মহাদেব (২০০৭)

    ২০০৭ সালে মরিশাসে গঙ্গা তালাও এলাকায় স্থাপন করা হয় ১০৮ ফুট উচ্চতার মঙ্গল মহাদেব মূর্তি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।

    ৯. মালয়েশিয়ায় ৪২.৭ মিটার মুরুগান মূর্তি (২০০৬)

    ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরের বাতু কেভসে উদ্বোধন করা হয় ৪২.৭ মিটার উচ্চতার ভগবান মুরুগানের মূর্তি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুরুগান মূর্তি।

    ১০. সুইজারল্যান্ডে ২ মিটার ব্রোঞ্জ নির্মিত নটরাজ মূর্তি (২০০৪)

    ২০০৪ সালের ১৮ জুন সুইজারল্যান্ডে উদ্বোধন করা হয় ২ মিটার উচ্চতার ব্রোঞ্জের নটরাজ মূর্তি।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ৮৫ ফুট হনুমান মূর্তি (২০০৩)

    ২০০৩ সালের ৯ জুন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর দরাত্রেয় মন্দিরে উদ্বোধন করা হয় ৮৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তি। এটি ভারতের বাইরে সবচেয়ে বড় হনুমান মূর্তিগুলোর একটি (Statues)। এই মূর্তিগুলো শুধু ধর্মীয় ভক্তির নিদর্শন নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি স্থাপনাই হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস, ও কল্পচিত্রের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

  • Flash Floods: পাকিস্তানে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৩৫০, হাহাকার

    Flash Floods: পাকিস্তানে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৩৫০, হাহাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের (Pakistan) বিস্তীর্ণ এলাকা। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অনেক জেলা হড়পা বানে (Flash Floods) ভেসে গিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।

    হড়পা বানের জেরে বিপর্যয় (Flash Floods)

    খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের জেলায় হড়পা বানের জেরে এই বিপর্যয়। শুক্রবার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। বুনেরের পীরবাবা, মালিকপুরার মতো গ্রাম জলের তোড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কোথা থেকে হঠাৎ করে বন্যার জল চলে এল, আমরা জানি না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব ভেসে গেল। অনেকে বাড়ি থেকে বেরনোরই সময় পায়নি।” স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের অধিকাংশই শিশু এবং পুরুষ। কারণ বান আসার সময় গ্রামের মহিলারা হয় কাঠ কাঠতে, না হলে গরু চরাতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান বলছে, শুধু চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টিতে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং গিলগিট বালটিস্তানে ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে। পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন অনেক পর্যটকও। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে (Flash Floods)।

    ২০২২ সালেও বর্ষার বিধ্বংসী মরশুম দেখেছিল পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বর্ষার সব চেয়ে বিধ্বংসী মরশুম দেখেছিল পাকিস্তান। সেবার বন্যা এবং হড়পা বানে মারা গিয়েছিলেন ১৭০০-রও বেশি মানুষ। ক্ষতি হয়েছিল কয়েকশো কোটি টাকার। সেবার সবার প্রথমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। নানাভাবে সাহায্য করেছিল নয়াদিল্লি। সেই ধাক্কা পুরোপুরি সমলে ওঠার আগে ফের একবার হড়পা বানে ভাসল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশ। চলতি মরশুমে পাকিস্তানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেছে সে দেশের হাওয়া অফিস। পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান (Pakistan) অনুযায়ী, গত ২ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের বর্ষণজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০ (Flash Floods)।

  • Pakistan: পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

    Pakistan: পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) এবং পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরে ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটাই জানা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাখতুনখোয়া

    সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজ জোরকদমে চলছে, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গম এলাকা থেকেও মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তাতে পাঁচজন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ও গিলগিট-বালতিস্তানে প্রাণহানি

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে নয় জন এবং উত্তরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

    দুর্যোগপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত

    পাকিস্তান সরকারের (Pakistan) তরফে জানানো হয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কিছু এলাকা ইতোমধ্যেই দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একজন বন্যা থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম, যেন পুরো পাহাড়টা ধসে পড়ছে। আমি ছুটে বাইরে বেরিয়ে দেখি, পুরো এলাকা কাঁপছে। মনে হচ্ছিল পৃথিবীর শেষ সময় এসে গেছে।”

    জম্মু ও কাশ্মীরেও হড়পা বান, নিহত ৬০

    অন্যদিকে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে একই রকম দুর্যোগ। শুক্রবার হঠাৎ হড়পা বানের ফলে সেখানে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

    বর্ষাকালেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি

    উল্লেখযোগ্য যে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই সময় দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় (Flood)। জম্মু-কাশ্মীর সহ পাহাড়ি এলাকাগুলিতে এই সময় ভূমিধস এবং হড়পা বান নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ, যেখানে দেশটির অর্ধেক জনগণ বাস করে, সেখানে এই বছর গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভূমিধস, বন্যা এবং রেকর্ড সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানের সেনা নিহত হয়েছে। এই খবর উঠে এসেছিল পাকিস্তানেরই এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে। যদিও দ্রুত সেই খবর সরিয়ে ফেলা হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কোনওভাবেই দুর্বল পাকিস্তানের ছবি সামনে আনতে চায় না ইসলামাবাদ। সব সময়ই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি গোপন করার চেষ্টা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার। তা পাক যুদ্ধ বিমান ধ্বংসই হোক বা পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা।

    কী উঠে এল প্রতিবেদনে

    প্রকাশিত ও পরে মুছে ফেলা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রেসিডেন্ট “অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস”-এ অংশগ্রহণকারী সেনাদের বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সামরিক পদক প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই তালিকাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—অনেক পদকপ্রাপ্ত সেনার নামের পাশে লেখা “শহিদ”, অর্থাৎ তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইমতিয়াজি সানাদ পেয়েছেন ১৪৬ জন শহিদ সেনা। এই সনদ সাধারণত কর্তব্যে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। তাছাড়া, তামগা-ই-বাসালাত পদক পেয়েছেন আরও ৪৫ জন, যাদের মধ্যে ৪ জনের পুরস্কার মরণোত্তর। উচ্চতর বীরত্বের জন্য দেওয়া সিতারা-ই-বাসালাতেও একজন শহিদের নাম ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়—তামগা-ই-জুরাত, যেটি ভারতের বীর চক্রের সমতুল্য, সেটি দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে, যার মধ্যে ৪ জনই শহিদ।

    কূটনৈতিক মহলে আলোচনা

    এই তথ্য সামনে আসতেই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকের মতে, এই ঘটনা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে পাকিস্তান তাদের মৃত সেনার সংখ্যা গোপন করেছিল। এমনকি অনেক শহিদের দেহ ফিরিয়েও নেওয়া হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রে “গোপনীয়তা নীতি” বজায় রেখেই এই প্রতিবেদন দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি প্রতিবেদনটি সত্য হয়, তবে বলা যায় যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম বড় আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনো পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তান, কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

  • Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পদক্ষেপ করুক ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এমনই অনুরোধ জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে আলাস্কায় ইউক্রেনের অুনপস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সমালোচনাও করলেন তিনি। অন্যদিকে, টানা তিন ঘণ্টা পর আলাস্কায় শেষ হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Trump-Putin Meet) বৈঠক। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেল না।  যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৈঠকে একমত হওয়ার চেষ্টা

    আলাস্কায় বৈঠকের পরে ট্রাম্প অবশ‍্য জানিয়েছেন, ‘ভাল অগ্রগতি’ হয়েছে। শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে হবে ইউক্রেন ও ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বহু বিষয়েই আমরা একমত হয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি যে দুই বিষয়ে আমরা নজর রেখেছিলাম, তার সমাধান মেলেনি। কিন্তু কিছুটা এগনো গিয়েছে। বলা যায়, ততক্ষণ চুক্তি হবে না, যতক্ষণ আমরা ঐক্যমত্যে পৌঁছাই। তবে কয়েকটা বিষয় বাকি আছে। তার মধ্যে কিছু অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটাই। আর তার সমাধান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখনও করতে পারিনি। আমরা আশাবাদী সেই সমাধানেও আমরা খুব দ্রুত পৌঁছোতে পারব।”

    সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে

    আর বৈঠকের পর পুতিনের বক্তব্য, “যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, “আমেরিকা ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।” যুদ্ধবিরতির জন্য ‘উদ্যোগী’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ‘শর্ত’ হিসাবে ‘ভূমি বিনিময়’ (ল্যান্ড সোয়াপিং)-এর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল মস্কো। পুতিনের বক্তব্য, শান্তিপ্রক্রিয়ায় ইউক্রেনবাসী বা রাশিয়াবাসী কেউই বাধা সৃষ্টি করবে না। শুক্রবারের বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে দাবি করেছেন তিনি। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসঙ্গেও।

    সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক

    শুক্রবারের বৈঠকের পরে শান্তি নিয়ে স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দু’জনে।  এই বৈঠকের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, একটি বৈঠকে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সমাধান হবে না। দ্বিতীয় বৈঠক হবে। এবং সেটিই হবে ‘আসল গুরুত্বপূর্ণ’। ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিনের বার্তা, দ্বিতীয় সেই সাক্ষাৎ হতে পারে মস্কোয়।  ট্রাম্প হাসিমুখে উত্তর দেন, “মজার প্রস্তাব,” যদিও স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। তবে তিনি দরজা খোলা রেখেছেন, বলেছেন,“যদি সেটা সম্ভব হয়।”

    বৈঠকে না থাকতে পারায় হতাশ ইউক্রেন

    তবে, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা, পুতিনকে দেখে ট্রাম্পের হাততালি দেওয়া বা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এক গাড়িতে যাওয়া, রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো দেখে ইউক্রেনবাসীদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে আলাস্কার এই বৈঠকে আমন্ত্রিতই ছিলেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যথেষ্ট আপত্তি তুলেছে। বিবদমান দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধবিরতি নিয়েই আলোচনা, তখন একপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কীসের সিদ্ধান্ত হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে ভারতকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। জেলেনস্কি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্ভব সব ধরনের অবদান রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের উচিত আমাদের শান্তি প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়া এবং আমাদের অবস্থান ভাগ করে নেওয়া… ইউক্রেনকে ঘিরে যে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নেওয়া উচিত। আলাস্কার ওই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যেন ইউক্রেনের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।”

    ভারতকে অনুরোধ জেলনস্কির

    ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। ভারতকে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত এই যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করবে, যাতে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সত্যিকার অর্থেই সুরক্ষিত হয়।” তিনি এটিকে “স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য লড়াই” বলে অভিহিত করেন। চলমান প্রায় চার বছরব্যাপী যুদ্ধে ভারত মস্কো ও কিয়েভ—উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। যার ফলে ভারত একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে, বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। বিশ্বমঞ্চে ভারতের বাড়তে থাকা অবস্থান ও রাশিয়া এবং পশ্চিম বিশ্বের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতকে একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান একইসঙ্গে প্রতীকী ও কৌশলগত। একটি সার্বভৌম এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য ভারতকে “নৈতিক অংশীদার” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

  • Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মেলবোর্নে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের সময় খালিস্তানপন্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। শুক্রবার সকালে মেলবোর্নের প্রবাসী ভারতীয়রা কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য। কিন্তু সেই সময় আচমকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তবে তাদের দেখে ভারতীয়রা স্লোগান তোলেন এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।

    পিছু হটে খালিস্তানপন্থীরা (Australia)

    একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়রা যখন দেশাত্মবোধক গান গাইছেন, তখন খালিস্তানপন্থীরা হট্টগোল সৃষ্টি করছে। একটি অস্ট্রেলিয়ান (Australia) সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, মেলবোর্নে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে খালিস্তানি গুন্ডারা গোলমাল সৃষ্টি করে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতবিরোধী স্লোগান তুলতে থাকে। কিন্তু খালি গলায় তাদের সেই স্লোগান শোনা যায়নি, কারণ লাউডস্পিকারে ভারতীয়রা দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন। এরপরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে এবং শেষে সঠিকভাবে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান প্রবাসী ভারতীয়দের

    তিরঙ্গা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ভারতীয়রা (Australia) “ভারত মাতা কি জয়”, “বন্দেমাতরম” প্রভৃতি ধ্বনি দেন। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) প্রভাব এবং তাদের কার্যকলাপ। সম্প্রতি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁতে ঘৃণামূলক গ্রাফিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি অ্যাডিলেডে সামান্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

    অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ছে খালিস্তানি কার্যকলাপ (Australia)

    শুধু তাই নয়, গত বছর যখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, সেই সময় ডিসেম্বর মাসে চলছিল চতুর্থ টেস্ট। তখনই খালিস্তানপন্থীরা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের গালিগালাজ করে। জানা যায়, ওই খালিস্তান সমর্থকরা তখন টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসেও তারা একইরকম প্রয়াস চালায়। তবে উপস্থিত ভারতীয়দের সামনে তারা টিকতে পারেনি (Khalistani)।

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে পাকিস্তানের গলাগলির সম্পর্ক ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে নয়াদিল্লির। ক্রিপ্টো অংশীদারিত্ব ও তেল সরবরাহ থেকে শুরু করে বিরল খনিজ সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট। এই পরিবর্তনটা এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক-সমর্থিত জঙ্গি হামলার জবাবে নয়াদিল্লির অপারেশন সিঁদুরের পর (Pakistan)।

    ট্রাম্পের দাবি (Donald Trump)

    ট্রাম্প স্বয়ং বারবার নিজেকে কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য সংঘাত প্রশমিত করার জন্য। তিনি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। সমর্থন করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য চুক্তিকেও। এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে। পাকিস্তান তার কূটনীতিকে সাধুবাদ জানালেও, ভারতের সমালোচকরা এর নেপথ্যে দেখছে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্যোগ ও খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার থেকে শুরু করে চিনা প্রভাব মোকাবিলা করা পর্যন্ত সব। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন দেশের এই উৎসাহ তেলের চেয়েও বেশি বিরল খনিজ পাওয়ার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে, যা মার্কিন অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও, এই সময় পাকিস্তানের জেনারেলদের প্রতি প্রকাশ্য প্রশংসা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এই দুয়ে মিলে ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের নীতিগত পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।

    পাকিস্তান পেতে চলেছে অপরিশোধিত তেলের চালান

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এ বছরের শেষের দিকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের প্রথম অপরিশোধিত তেলের চালান পেতে চলেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করার পর, এই প্রথম হবে অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা (Pakistan)। ইসলামাবাদকে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে বৃহৎ তেল মজুদ উন্নয়নে সাহায্য করবে। আমেরিকা ও পাকিস্তানের এই চুক্তি একাধিক দফা আলোচনার ফল। এই আলোচনা শুরু হয়েছিল এপ্রিলে, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানি আমদানির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি, সিনার্জিকো, আমেরিকান অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য ভিটল কোম্পানির সঙ্গে এক মিলিয়ন ব্যারেলের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এটি পাকিস্তানের প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনার ঘটনা। ভাইস চেয়ারম্যান উসামা কুরেশি দুই দেশের এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তেল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আমদানি পণ্য, যার মূল্য ১১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রিপ্টো চুক্তি

    গত এপ্রিলে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন (ডি-ফাই) প্ল্যাটফর্ম, যার ৬০ শতাংশ মালিকানাই ট্রাম্পের পরিবারের। এই প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর লক্ষ্য হল দেশের ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন। উল্লেখ্য যে, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে যেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন পর্যটককে, তার মাত্র পাঁচ দিন পরেই (Pakistan)। দ্য ডন  নামের সংবাদপত্র জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড লিবার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেখানে তারা পাকিস্তান জুড়ে ব্লকচেইন উদ্ভাবন, স্টেবলকয়েন গ্রহণ এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন একীকরণকে ত্বরান্বিত করতে ইন্টেন্ট লেটারে স্বাক্ষর করেছে। ডিটি মার্কস ডি-ফাই এলএলসি যুক্ত ট্রাম্প (Donald Trump) পরিবারের সঙ্গে। এটি ওয়ার্ল্ড লিবার্টির মূল প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো রাজস্বের ৭৫ শতাংশ পাওয়ার দাবি করে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প আছেন ‘চিফ ক্রিপ্টো অ্যাডভোকেট’ পদে, এরিক ও ডোনাল্ড জুনিয়র ‘ওয়েব৩ অ্যাম্বাসাডর’ এবং ব্যারন ট্রাম্প ‘ডি-ফাই ভিশনারি’ হিসেবে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি বজায় রাখতে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। পাকিস্তানের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তাঁর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কৃতিত্বের জন্যই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত। আর ট্রাম্প স্বয়ং দাবি করেছেন, “আমার তো চার-পাঁচবার এটা পাওয়া উচিত ছিল। তারা আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। কারণ তারা কেবল এটা উদারপন্থীদেরই দেয়।” পহেলগাঁও হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকার দাবি প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ট্রাম্প বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমিই যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তবে আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি (Pakistan)।” ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক আবার পাকিস্তানের অনাবিষ্কৃত বিরল খনিজ ভাণ্ডারের দিকে শ্যেন দৃষ্টি দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন এই খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। সেই চিনের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার জেরে ওয়াশিংটনের আগ্রহ বেড়েছে বিকল্প উৎসের প্রতি। মার্কিন আধিকারিকরা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান মিনারেলস ইনভেস্টমেন্ট ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন বলে খবর (Donald Trump)।

    পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে চিনের ভূমিকা

    চিন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণের গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে ২ হাজার মাইল দীর্ঘ পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণ করছে। তবে বালুচিস্তানে স্বাধীনতাকামীদের বিদ্রোহ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালিবানদের তৎপরতা এসব প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সম্প্রতি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খনির ট্রাকে হামলা চালিয়ে সতর্ক করেছে যে, যে কেউ বালুচ জাতীয় সম্পদ লুটে জড়িত থাকবে, তাদেরই টার্গেট করা হবে। এদিকে, সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) এবং এর সশস্ত্র শাখা সংগঠন মাজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটি ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। তার আগে অবশ্য সমস্ত রীতি ভেঙে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক পাকিস্তানের অপ্রচলিত রেয়ার আর্থ খনিজ ভান্ডারের দিকে নজর দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Donald Trump)।

    মুনিরের আমেরিকা সফর

    এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের এক প্যানেলের সাক্ষ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এক অসাধারণ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তারা মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রত্যর্পণে সদিচ্ছা দেখিয়েছে। কুরিলা ভূয়সী প্রশংসা করেন পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, যিনি ২০২১ সালের কাবুল বিমানবন্দর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল (Pakistan)। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য মুনির আমেরিকা সফর করেন। কিন্তু মুনিরের এই সফর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র দমন করার অভিযোগ এনেছেন। ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা মুনিরকে “স্বৈরাচারী” ও “প্রতারক” আখ্যা দেন (Donald Trump)।

    সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছে। সমালোচকদের মতে, অসামরিক নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে আমেরিকার সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব আরও শক্তিশালী করছে (Pakistan)।

  • Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসিম মুনির (Asim Munir) হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন।” পাক (Pakistan) সেনাপ্রধান সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ যুদ্ধোন্মাদ আচরণের মাধ্যমে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে।” রুবিন পাকিস্তানের কার্যত সামরিক শাসক মুনিরকে ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি বিশ্বের কাছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (Pakistan)

    বিতর্কের সূত্রপাত মুনিরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেছিলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” ভারত মুনিরের পারমাণবিক যুদ্ধের এই হুমকির আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করেছে। বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পারমাণবিক অস্ত্রের ঝনঝনানি পাকিস্তানের চিরাচরিত কৌশল এবং দুঃখের বিষয় হল এ ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটি থেকে করা হয়েছে (Asim Munir)।”

    মুনিরকে ধুয়ে দিলেন রুবিন

    কেবল ভারত নয়, মুনিরকে ধুয়ে দিয়েছেন রুবিনও। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদকে ক্ষোভের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা অনেক জঙ্গির আদর্শগত ভিত্তি বোঝে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন (Pakistan)।” প্রাক্তন মার্কিন আধিকারিক রুবিনের ইঙ্গিত, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তাঁর যুক্তি, পাকিস্তান ঐতিহ্যগত কূটনৈতিক বিরোধের তুলনায় মৌলিকভাবে এক ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। রুবিন বলেন, “মুনিরের বক্তব্য অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম?” তিনি বলেন, “একজন ফিল্ড মার্শালের কথাবার্তা আমাদের ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে শোনা বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    রুবিনের প্রস্তাব

    রুবিনের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক (Asim Munir) সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে তার ভাষায় পরিকল্পিত পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে দেওয়া, যার মধ্যে বালুচিস্তানের মতো বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তিনি এমনকি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “সময় প্রায় এসে গিয়েছে যখন ভবিষ্যতের কোনও প্রশাসনকে অন্য এসইএএল টিম পাঠিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে তার পারমাণবিক অস্ত্র সুরক্ষিত করতে হবে। কারণ বিকল্পটি এতটাই ভয়াবহ যে সেটি সহ্য করার মতো নয়।”

    পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত

    রুবিনের মতে, এমন (Pakistan) কোনও কারণ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র হিসেবে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হওয়া উচিত প্রথম প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র, যাকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তার আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য থাকা উচিত নয়।” কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রুবিন বলেন, “আসিম মুনিরকে আমেরিকার উচিত অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করা এবং যেন কখনওই তিনি আমেরিকান ভিসা না পান। একই সঙ্গে কোনও পাকিস্তানি কর্মকর্তাও নয়, যতক্ষণ না পাকিস্তান নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং মুনিরের এহেন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চায় (Asim Munir)।”

    ওসামা বিন লাদেনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে

    রুবিন বলেন, “আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের এহেন হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। ইসালামাবাদের এই হুমকি বিশ্বের সামনে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই দেশ কি আদৌ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবে অথবা শেষ সময় চলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানি (Pakistan) ফিল্ড মার্সালের উসকানিমূলক ধমক ওসামা বিন লাদেনের মুখের কথাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে দেখে অভাব-বঞ্চনার চশমা চোখে। তারা বোঝে না বহু জঙ্গির মনে আদর্শগত আক্রোশ চোরা স্রোতের মতো ঘুরে বেড়ায়।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন

    মার্কিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে মুনিরের এহেন মন্তব্যের পরেও ট্রাম্প কোনও পদক্ষেপ না করায় ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পেন্টাগনের এই প্রাক্তন কর্তা। তিনি বলেন, “আসিম মুনির যখন এই মন্তব্য করেছিলেন, তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল।” একই সঙ্গে ভারতের বক্তব্যকে সমর্থন করে (Asim Munir) পেন্টাগনের এই প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা হোক (Pakistan)।”

LinkedIn
Share