Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • PM Modi: ৪ বার ফোন করেন ট্রাম্প, একবারও ধরেননি ক্ষুব্ধ মোদি! বড় দাবি জার্মান পত্রিকার

    PM Modi: ৪ বার ফোন করেন ট্রাম্প, একবারও ধরেননি ক্ষুব্ধ মোদি! বড় দাবি জার্মান পত্রিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে যে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা মানুষ লুকিয়ে রয়েছেন (PM Modi), তা বুঝতে পারেননি সরল সাদাসিধে মানুষটি। যখন বুঝতে পারলেন, তখন মুখের মতো জবাব দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বলছি। ভারত-মার্কিন শুল্ক-সংঘাতের জেরে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে দুই দেশের। তার পর সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, একবারও ফোন ধরেননি প্রধানমন্ত্রী। জার্মান পত্রিকা ‘ফ্র্যাঙ্কুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং’য়ের এক প্রতিবেদনেই এমন দাবি করা হয়েছে। পত্রিকাটির দাবি, ভারতীয় পণ্য নিয়ে ওয়াশিংটনের ধারাবাহিক উসকানিমূলক মন্তব্য এবং শুল্ক বৃদ্ধি আরোপের কারণে এমন পদক্ষেপ করেন ক্ষুব্ধ ও সতর্ক মোদি।

    জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদন (PM Modi)

    ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প এর আগে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’র দেশ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পরে ফের একপ্রস্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৩১ জুলাই ট্রাম্প বলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করতে পারে।” এরই কয়েক দিন পর ১০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষে পাল্টা জবাব দেন ট্রাম্পকে। তিনি ঘোষণা করেন, ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে একটি হওয়ার পথে এগোচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্প বাণিজ্যিক বিরোধে প্রায় সব প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে সফল হয়েছেন। ব্যতিক্রম ভারত। বরং নয়াদিল্লি পুরনো দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে এখন তার শক্তিশালী প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন (PM Modi)। এ পর্যন্ত ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ একটি নির্দিষ্ট ধারা মেনে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ, শুল্কের হুমকি, এরপর উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা যেখানে বিদেশি নেতারা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন, শেষমেশ শুল্ক কার্যকর করা হয়, পরে আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা শিথিলও করা হয়। একে নিজের সাফল্য বলেই জাহির করতে থাকেন ট্রাম্প। তবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে থাকা দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশটিকে চোখ রাঙাবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)।

    বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল। লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। আশা করা হচ্ছিল, এ বছরের শেষের দিকে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তখন, যখন ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। আমেরিকার দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। তাই এই শাস্তি (PM Modi)।ভারতের বিদেশমন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে সমালোচনাকে অন্যায্য বলে নিন্দে করেছে। শুল্ক বৃদ্ধির পর ২৫ অগাস্ট নয়াদিল্লিতে যে ষষ্ঠ দফা আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, তাও বাতিল করা হয়।

    এক্স হ্যান্ডেলে জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদন

    বার্লিনের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক থরস্টেন বেনার এক্স হ্যান্ডেলে জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদনটি তুলে ধরে লিখেছেন, “ফ্র্যাঙ্কুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং দাবি করেছে যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ট্রাম্প মোদিকে চারবার ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মোদি ফোন ধরেননি।” পত্রিকাটি মনে করিয়ে দেয় যে ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ফোনে একটি চুক্তি নতুন করে আলোচনা করেছিলেন। তারপরে একতরফাভাবে অনলাইনে সেটিকে সফল ঘোষণা করেছিলেন। মোদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তিনি ট্রাম্পের পাতা ওই ফাঁদে পা দেবেন না (PM Modi)।

    বিপাকে ট্রাম্প

    ভারত তার মোট রফতানির প্রায় পাঁচভাগের একভাগই পাঠায় আমেরিকায়। এর সিংহভাগই হল বস্ত্র, রত্নপাথর ও অটো পার্টস। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এতে ভারতের প্রবৃদ্ধি বার্ষিক ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে ৫.৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে (Donald Trump)। তবে অভ্যন্তরীণভাবে সমঝোতায় পৌঁছানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে। যদিও জনমত তীব্রভাবে ট্রাম্পবিরোধী হয়ে উঠেছে। জার্মান ওই পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপকে (যার মধ্যে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে একটি নৈশভোজও রয়েছে) উসকানি হিসেবেই দেখেছে ভারত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সাত বছর পর প্রথমবারের মতো চিন সফরে যাচ্ছেন এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনে অংশ নিতে। এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস-সহ আরও অনেক নেতাও উপস্থিত থাকবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতেই ভয় পাচ্ছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তাই বোধহয় সম্পর্কের (PM Modi) বরফ গলাতে মোদিকে চারবার ফোন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

  • Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুকে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে নেপাল থেকে ইজরায়েলে গিয়েছিলেন নেপালের হিন্দু তরুণ শিক্ষার্থী বিপিন জোশী (Bipin Joshi)। তিনি গিয়েছিলেন ইজরায়েলে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির তালিম নিতে। গত অক্টোবরে হামাস (Hamas) জঙ্গিরা হামলা চালায় কিবুটজে। হামাসের গুলি বর্ষণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ১৭ জন নেপালি হিন্দু ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ১০জনকেই সেখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাকিরা প্রাণভিক্ষে করেছিলেন। সেই দলে ছিলেন বিপিনও। জঙ্গিরা তাঁকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের ডেরার। নভেম্বরে প্রকাশিত এক ভয়ঙ্কর ভিডিওতে দেখা যায়, অপহরণকারীরা গাজার শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বিপিনকে। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই নেপালি এই হিন্দু পড়ুয়ার।

    অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত (Bipin Joshi)

    বিপিনের মতো হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তামাম বিশ্ব। হলুদ ফিতে পরে জানিয়েছে সমবেদনা। অথচ বিপিন হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত। যখন ইহুদি শিল্পীরা মহাদেশজুড়ে বন্দিদের জন্য ক্যাম্পেন চালাচ্ছেন, তখন ভারতের শিল্পী, চলচ্চিত্র তারকা এবং তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা। এখানেই উঠেছে মোক্ষম প্রশ্নটি। বিপিন যদি ভারত কিংবা নেপালের একজন মুসলিম যুবক হতেন, তবে কি একই রকম প্রতিক্রিয়া হত? জেএনইউ থেকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত কি মোমবাতি মিছিল হত না? গলা ফাটাতেন না মানবাধিকার কর্মীরা? এখন তাঁরা কোথায় গেলেন? কিন্তু বিপিন হিন্দু হওয়ায় তাঁকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই তথাকথিত এলিট শ্রেণির।

    বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়

    নয়াদিল্লির প্যালেস্তাইন দূতাবাসের সামনে কোনও প্রতিবাদ নেই, নেই কোনও আন্তর্জাতিক ক্ষোভও (Bipin Joshi)। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলতেন, “যে কোনও জায়গার অবিচার মানেই সর্বত্র অবিচার।” তবে একজন হিন্দু যখন ইসলামি জেহাদি সন্ত্রাসের শিকার হয়, তখন কেন এই সত্য প্রযোজ্য হয় না? বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়, এটা আমাদের সকলের সামনে ধরা একটি আয়না (Hamas)। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন ধর্ম অসংখ্য আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, তবুও আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা শত্রুর তলোয়ার নয়, বরং হিন্দুর হিরন্ময় নীরবতা। তাই একজোট হতে হবে হিন্দুদের। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে আওয়াজ তুলতে হবে ‘বিপিন জোশীকে (Bipin Joshi) মুক্তি দাও’।

  • Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথায় ফলে সোনার ফসল, সোনার কমল ফোটে রে—সেই আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে। না, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখায় কবিতার লাইনগুলো ইউনূস জমানার (Yunus Government) বাংলাদেশে আর কাটে না। গণতন্ত্র সেখানে মুখ লুকিয়েছে, বাক্‌স্বাধীনতা নিহত, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অবাধ অত্যাচার তো সেখানে চলছেই। অহরহ খবর আসে গণপিটুনিতে হিন্দু হত্যার কথা। নির্যাতনের ইস্যুতে হিন্দুরা সেখানে সরবও হয়েছেন।। প্রতিবাদও জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মেঘনা নদীতে ভেসে ওঠে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের (Bibhuranjan Sarkar) দেহ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক। রাজনৈতিক দিকে বামপন্থায় বিশ্বাস রাখতেন বিভুরঞ্জন।

    ১৯৫৪ সালে জন্ম বিভুরঞ্জনের (Bibhuranjan Sarkar)

    ১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া বিভুরঞ্জন সরকার লেখাপড়া করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সেসময় তিনি ছিলেন বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক আজাদ, দৈনিক মাতৃভূমি, সাপ্তাহিক চলতিপত্রের সম্পাদক, সাপ্তাহিকএকতা এবং সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে ‘তারেক ইব্রাহিম’ ছদ্মনামে লেখা তার রাজনৈতিক নিবন্ধ পাঠকপ্রিয় হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।” এই ঘটনার তদন্ত চলছে—কীভাবে বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু হল, তা খুঁজে দেখছে সে দেশের পুলিশ। কিন্তু বিভুরঞ্জনের মৃত্যু হতেই একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন, যা তিনি তুলেছিলেন তার শেষ লেখায়। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ আগস্ট।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় সিপিবি নেতা মাজহারুল ইসলাম বাবলার ‘ইতিহাসের ঘটনাবহুল অগাস্ট’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যার দায়িত্বে ছিলেন বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar)। অভিযোগ উঠেছে, ওই নিবন্ধে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত থাকায় ক্ষুব্ধ হন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। অভিযোগ, শফিকুল আলম এরপর আজকের পত্রিকার সম্পাদককে সরাসরি ফোন করে পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল ও গোয়েন্দা সংস্থা লেলিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর হুমকি দেন। একইসঙ্গে তিনি আটজন সাংবাদিকের একটি তালিকা দিয়ে তাদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় বাংলাদেশ সরকার

    এই চাপের মুখেই পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় এবং অনলাইন সংস্করণ থেকে নিবন্ধটি সরিয়ে ফেলে। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তাঁকে যেভাবে অপমান করে ছুটিতে পাঠানো হল এবং হুমকি দেওয়া হল, সেটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।। হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar) তাঁর শেষ লেখায় লিখেছেন, গত বছরে সেদেশে সরকার পরিবর্তনের পরে অর্থাৎ ইউনূস জমানায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা আরও কাহিল হয়েছে। বিভুরঞ্জন বাবুর অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন “মন খুলে সমালোচনা করুন”, কিন্তু তাঁর প্রেস বিভাগ তো মন খোলা নয়। মিডিয়াতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবসময় আতঙ্কে রয়েছেন—কখন কোন খবর লেখার জন্য ফোন এসে তুলে নিতে হবে লেখা বা খবর। শেষ লেখায় বিভুরঞ্জন বাবুর আরও অভিযোগ, সম্প্রতি আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগ—তাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে ইউনূস সরকারের তরফ থেকে। কারণ, সেখানে মাজহারুল ইসলাম বাবলা নামের এক জনৈক ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে দিল্লি পাঠিয়েছে। আর পুলিশের গুলিতে নয়, ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’-এর মাধ্যমে জঙ্গিরাও মানুষ হত্যা করেছে। ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ মানে হচ্ছে ‘সুনিপুন পূর্ব পরিকল্পনা’। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিভুরঞ্জন। তিনি বলছেন—এই লেখার মধ্যে অসত্য তথ্য কোথায়? শেখ হাসিনা তো গোপনে পালিয়ে যাননি। হাসিনার পুলিশ না হয় ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালিয়েছে, কিন্তু পুলিশকে হত্যা করল কে বা কারা? বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন, এইটুকু লেখার জন্য পত্রিকার বিরুদ্ধে তৎপরতা দেখা হয়েছে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন, যে শেষ লেখাটি তিনি লিখলেন, সেখানেও তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অসুবিধা—অসুখ, তার ছেলের অসুখ, তার পরিবারের অভাব—এই সব যেমন থাকলো, তেমনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে গেলেন।

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, বাক্‌স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, সেখানে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রশ্ন করা যায় না। যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, তাহলে হুমকি আসে মৌলবাদী প্রশাসনের তরফে। এই সবকিছু মিলিয়েই বিভুরঞ্জন সরকার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? এর দায় কি ইউনূস সরকার এড়িয়ে যেতে পারে? ইউনূস সরকারের চাপে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাঁর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করেছেন বলে অভিযোগ ছিল বিভুরঞ্জন বাবুর। শুধু তাই নয়, বিভুরঞ্জন তাঁর লেখায় বলেছেন যে, ইউনূস সরকারের কোপে পড়েছে তাঁর ছেলে ও মেয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে জীবনে কখনও কোনো পরীক্ষায় ফেল করেননি। বিভুরঞ্জন (Bibhuranjan Sarkar) বাবুর মেয়ে একজন ডাক্তার। কিন্তু গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে এমডি করার সময়, সরকার পরিবর্তনের পর বিভাগের প্রধানের কোপে পড়েন তিনি। ফলে থিসিস পরীক্ষায় তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিভুরঞ্জন বাবু তাঁর শেষ চিঠি ও শেষ প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লেখেন, “আমার মেয়ে তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না, তাহলে তাকে কেন ফেল করানো হলো? তিনি আরও আশঙ্কা করেছেন, তাঁর মেয়েকে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোস্টিং-ও দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, বিভুরঞ্জন বাবুর ছেলে বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। দেশে অনেক চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন বাবু। বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন—“এর কারণ কি শুধু এই যে, সে আমার ছেলে?” অর্থাৎ, পরিষ্কার বোঝা যায়, কীভাবে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে দিনের পর দিন ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা হয়েছে। বিভুরঞ্জন কীভাবের মারা গেলেন তা সময়ই বলবে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু প্রাতিষ্ঠানিক খুন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা অবরুদ্ধ, এই দাবি বিভুরঞ্জনবাবু বারবার করেছেন তাঁর শেষ লেখায়। আর একজন বামপন্থী সাংবাদিকের এই পরিণতি দেখেও কি ঢাকায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন?

  • Pakistan: “১৯৭১-এর ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইব না”, বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন পাক মন্ত্রী

    Pakistan: “১৯৭১-এর ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইব না”, বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন পাক মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১-এর (Bangladesh) ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইবেন না তাঁরা। রবিবার ফের একবার তা স্পষ্ট করে দিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এসব অতীতেই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে আলোচনার আর সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই দ্ব্যর্থহীনভাবে কথাগুলি বললেন দার।

    মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা (Pakistan)

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছিল পাক সেনা। সেই বছর শুধু ২৫ মার্চ রাতেই ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নামে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খুন করা হয় ২৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে। তার পর এতদিন কেটে গেলেও, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য আজও ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের এক মন্ত্রীর সামনে কথাগুলি বললেও, পাক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ দেখা যায়নি বাংলাদেশে। মৃদু প্রতিবাদ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারেরই বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চায় ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চাক পাকিস্তান। আর্থিক ক্ষতিপূরণ করুক।”

    পাক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদও হল না!

    বঙ্গভূমে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে দারের সোজাসাপটা জবাব দেওয়ার পরেও, তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামির আমির শফিকুর রহমান। শনিবারই দারের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির প্রথমসারির নেতারা। রবিবার রাতে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা দারের। একাত্তরের গণহত্যার (Bangladesh) জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি নস্যাৎ করায় অনেকেই ভেবেছিলেন ঢাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়বেন পাক বিদেশমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচি বাতিল করবেন বিএনপি সুপ্রিমো। কিন্তু সেসব কিছুই হল না। শনিবার দু’দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন দার। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও পাঁচটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, দার (Pakistan) এদিন সাফ জানিয়ে দেন, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলির সমাধান করা হয়েছিল দু’বার – প্রথমবার ১৯৭৪ সালে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে। তিনি বলেন, “পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফ ঢাকা সফরের সময় প্রকাশ্যে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে গণহত্যার বিষয়টি ফের নিষ্পত্তি করেছিলেন (Pakistan)।”

  • Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত চড়া শুল্কের (Trump Tariffs) কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবজেক্ট বিশেষজ্ঞরা, যাঁদের ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁদের মতে, ভারতের সঙ্গে এই শুল্ক-সংঘর্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘কৌশলগত ভুল’ (Strategic Blunder)। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক শিবিরকে অবিলম্বে এই নীতি সংশোধনের আহ্বানও জানিয়েছেন। কারণ ভারত হল এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ (Trump Tariffs)

    ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের এই “ভারত নীতিতে বদল” নিয়ে কড়া বার্তা আসছে স্বদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই। একে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুতর কৌশলগত সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে, যাতে তারা স্বল্পমেয়াদি ও ভ্রান্ত বক্তৃতার পেছনে না ছুটে, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নিজেদের ভ্রম সংশোধন করতে পারে।

    মার্কিন অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাকস ভারতের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ককে “যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতির সবচেয়ে নির্বোধ কৌশলগত পদক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এটি একটি আত্মঘাতী এবং ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত। কারণ ভারত হল এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পর্কের দেশগুলির একটি। বৈশ্বিক জোট যখন ইতিমধ্যেই সংকটে রয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হয়নি ভারতের মতো ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে এমন বিপ্রতীপ আচরণ করা।” কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি স্যাকস সারা বিশ্বের বহু সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন (Trump Tariffs)। ক্রিস্টাল বল ও সাগর এনজেটির ব্রেকিং পয়েন্টস অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারতের ওপর এই শুল্ক কোনও কৌশল নয়। এটি নাশকতা।” তাঁর মতে, ভারতের ওপর আরোপিত এই অযৌক্তিক ও বেপরোয়া শুল্ক আমেরিকার অর্থনীতির কোনও উপকারে আসেনি, বরং এটি আরও বেশি করে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের প্রভাব হিসেবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। তাঁর মতে, মার্কিন প্রশাসনের এই শুল্কনীতির ফলস্বরূপ কোনও অর্থনৈতিক সুফল আসেনি, যেমনটি ট্রাম্প প্রশাসন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এর ফলে কেবল বিপরীত প্রতিক্রিয়াই তৈরি হয়েছে (Strategic Blunder)।

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর নিকি হ্যালিও

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও। তিনি আমেরিকার শুল্ক নীতির ভারতের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “নয়াদিল্লির সঙ্গে গত ২৫ বছরের অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়া একটি কৌশলগত বিপর্যয় হবে।” হ্যালি বলেন, “ভারত এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি মূল্যবান স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অংশীদার, যা চিনের আধিপত্য মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ওয়াশিংটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে শক্তিশালী কৌশলগত বার্তাও পাঠিয়েছেন। বলেছেন, “ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, বরং মিত্র হিসেবে দেখতে হবে। কারণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের জন্য নয়াদিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Trump Tariffs)।”

    হ্যালির সাফ কথা

    হ্যালি ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশকে শাস্তি দেওয়া হলেও, চিনের মতো কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে।” ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন ভণ্ডামিকে ওয়াশিংটনের একটি ‘কৌশলগত বিপর্যয়’ (Strategic Blunder) বলে আখ্যা দিয়েছেন হ্যালি। তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। হ্যালির ভাষায়, “এশিয়ায় চিনের আধিপত্যের পাল্টা ভারসাম্য রক্ষার একমাত্র দেশ হল ভারত।” তাঁর মতে, এটা বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠন ও বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। হ্যালির সতর্কবার্তা (Trump Tariffs), ‘যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসচেতনভাবেও সর্বশেষ শুল্ক-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বকে আরও গভীর হতে দেয়, তাহলে এটি আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি ফাটলের সূচনা করবে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, শক্তির ভারসাম্য চলে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।’ হ্যালির প্রস্তাব, ট্রাম্প প্রশাসনকে উচ্চপর্যায়ের আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অবনতির (Strategic Blunder) সর্পিল ধারা বদলে দিতে হবে। তাঁর সাফ কথা, ‘শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ কখনওই কোনও সমাধান হতে পারে না (Trump Tariffs)।’

  • Donald Trump: ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর, কেন তাঁকেই বেছে নিলেন ট্রাম্প?

    Donald Trump: ভারতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর, কেন তাঁকেই বেছে নিলেন ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দীর্ঘদিনের সহযোগী সার্জিও গোরকে (Sergio Gor) ভারতে আমেরিকার নয়া রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হল। বর্তমানে তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল পদে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের ঘোষণা, সার্জিও ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায়। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করবেন। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের সঙ্গে বচসার পর মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক যখন হোয়াইট হাউসের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি সার্জিওকে ‘সাপ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এহেন ‘সাপ’কেই ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হচ্ছে এমন একটা সময়ে, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নজিরবিহীনভাবে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং যার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

    সার্জিওর ভূয়সী প্রশংসা (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্জিওর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, “সার্জিও দারুণ বন্ধু। বহু বছর ধরে উনি আমার পাশে রয়েছেন। আমার হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন। আমার বই প্রকাশ করেছেন, আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করে অনেক কাজ করেছেন। আমেরিকার জনগণের কাছ থেকে আমরা যে দায়িত্ব পেয়েছি, তা বাস্তবায়নে সার্জিওর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” প্রশ্ন হল, কেন গোরের মতো ভারত সম্পর্কে খুবই কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজনকে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রদূত করে পাঠালেন ট্রাম্প? ব্লুমবার্গের মতে, গোরের ভারত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা খুবই কম। তবে এটি খুব কম ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রদূতের পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্যতার কারণ হয়েছে। কারণ দুই দলের প্রেসিডেন্টরাই প্রায়ই রাজনৈতিক সমর্থক, বন্ধু (Sergio Gor) এবং তহবিল সংগ্রাহকদের এই ধরনের পদে নিয়োগ করে থাকেন। যেমনটা করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি ভারতের রাষ্ট্রদূত করে পাঠিয়েছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রাক্তন মেয়র এরিক গারসেটিকে। এই গারসেটি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে বাইডেনের দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন (Donald Trump)।

     গোরের নিয়োগে কোন বার্তা?

    পলিটিকো একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গোরের নিয়োগ কোনও দ্বন্দ্ব প্রশমিত করা বা রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) কর্মী অফিসের পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে নয়। “রাষ্ট্রপতি মোদি সরকারকে শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছেন এমন একজন দূত পাঠিয়ে, যিনি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক চাপের মুখে পড়েছে ট্রাম্পের চড়া শুল্ক হার ঘোষণা এবং রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার কারণে আরোপিত শাস্তির ফলে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, “সার্জিও একটি স্পষ্ট বার্তা। এখন আলোচনা সিরিয়াসলি নিতে হবে এবং সব বার্তা সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে আসবে।”

    প্রাক্তন হোয়াইট হাউস স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন বলেন, “তাঁর কি ভারতের নীতি–সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর জ্ঞান আছে? নেই। কিন্তু এই লোকটা (Sergio Gor) খুব দ্রুত শিখে নিতে পারে। তাঁর শুধু প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছানোর সুযোগই নেই, বরং তাঁর প্রতি এক বিশেষ আস্থা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) তাঁকে বিশ্বাস করেন। তিনি তাঁর সঙ্গে সরাসরি ও সৎভাবে কাজ করছেন।”

  • Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ চুপিসারে বিশাল চাঁদা সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। অপারেশন সিঁদুরে তাদের সংগঠন একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তাই ফের নতুনভাবে (Digital hawala of JeM) পাকিস্তানে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর পন্থায় আছে জৈশ। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, জৈশ গোষ্ঠী পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা তালিম শিবির ও নিরাপদ ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। এই কাজে তারা প্রায় ৩৯০ কোটি পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করতে চাইছে। জৈশ-ই প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar in Pakistan) ও তাঁর ভাই তালহা আল সইফ এই প্রচার চালাচ্ছে।

    নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানার পর, পাকিস্তানে ফের সন্ত্রাসের ডানা মেলাতে সক্রিয় হয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজহার আইএসআই-এর সহযোগিতায় নতুন করে সন্ত্রাসমূলক পরিকাঠামো তৈরির ছক কষছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র। সমর্থকদের কাছে দরাজ হাতে চাঁদা দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ‘ইজিপয়সা’ এবং ‘সদাপে’-র মতো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপ ও তহবিল সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নজর বাঁচিয়ে চলা যাবে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই ডিজিটাল ওয়ালেটগুলি মাসুদ আজহারের পরিবারের ফোন নম্বরের সঙ্গে নথিভুক্ত রয়েছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন তাঁর ভাই ও ছেলে আবদুল্লা আজহার। এছাড়াও, প্রতি শুক্রবার পাকিস্তানের বিভিন্ন মসজিদে গাজাবাসীদের ত্রাণের নাম করে নগদে চাঁদা সংগ্রহ চলছে। কিন্তু, আদতে সেই টাকা যাচ্ছে জৈশের ভাঁড়ারে।

    ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ

    জৈশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেটের (Digital hawala of JeM) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে, যাতে কোনওরকম আন্তর্জাতিক নজরদারির আওতায় না আসে। এর মাধ্যমে তারা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর নজর এড়াতে চায়। পাকিস্তান ২০২২ সালে ফতাফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলেও, ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে—জৈশের কার্যকলাপ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং পাকিস্তান তাদের মদত দিচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, মাসুদ আজহারের (Masood Azhar in Pakistan) পরিবারের সদস্যদের নামে ৫টি ডিজিটাল ওয়ালেট শনাক্ত হয়েছে। যেমন, সদাপে-র একটি অ্যাকাউন্ট তার ভাই তালহা আল সাইফ (তালহা গুলজার)-এর নামে রেজিস্টার করা হয়েছে, যা ব্যবহার করছে হারিপুরের জৈশ কমান্ডার আফতাব আহমেদ। অপরদিকে, ইজিপয়সার একটি ওয়ালেট চালাচ্ছে মাসুদ আজহারের ছেলে আবদুল্লাহ আজহার। একটি অন্য ওয়ালেট ছিল গাজা-র জন্য সহায়তা প্রদানের ছদ্মবেশে তৈরি, যার নম্বরের মালিক কাগজে ছিল খালিদ আহমেদ, তবে এটি পরিচালনা করতেন মাসুদের আরেক ছেলে হাম্মাদ আজহার। জৈশের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সংগঠন আল রহমত ট্রাস্ট বাহাওয়ালপুরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করছে। এই ট্রাস্টের নেপথ্য মালিক খোদ মাসুদ আজহার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

    ৩১৩টি নতুন ‘মারকাজ’ তৈরির পরিকল্পনা

    চাঁদা সংগ্রহের পাশাপাশি জৈশ নেতারা নতুন মারকাজ নির্মাণের কথাও ভেবেছেন। এগুলিকে মাসুদ আজহার সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গোপন ডেরা হিসেবে সংরক্ষিত করা হবে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই নতুন জঙ্গি তালিম শিবির খোলা হবে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। সূত্র এও জানিয়েছে যে, চাঁদা সংগ্রহের অর্থে সংগঠন বিদেশি অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। যেমন মেশিন গান, রকেট লঞ্চার ও মর্টার। এসবের মাধ্যমে জৈশ নতুন পরিকল্পনা করেছে। এই সব কাজে জৈশকে সক্রিয় সহায়তা দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জৈশ-আইএসআই মিলে ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প তৈরি করতে চাইছে। এসব ক্যাম্প গড়ার আড়ালে মসজিদ নির্মাণের ছুতো দিচ্ছে তারা। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিশ্চিত যে এই পরিকাঠামো মূলত সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিটি মারকাজ তৈরির খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।

    বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছে অর্থ সংগ্রহ

    শুক্রবারের নামাজের সময় পাকিস্তানের মসজিদে গাজা-র সহায়তা নাম করে অনুদান তোলা হচ্ছে। পরে এই অর্থ জৈশ-এর কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়া—বিশেষ করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে। মাসুদ আজহারের লেখা পোস্টার, ভিডিও, বার্তা বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে ছড়ানো হচ্ছে যাতে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থ সাহায্য মেলে। জৈশ একসঙ্গে ৭-৮টি ওয়ালেট চালায় এবং প্রতি ৪ মাস অন্তর সেগুলো বদলে দেয়। একটি ওয়ালেটে মোটা অঙ্ক জমলে সেটি ছোট ছোট অঙ্কে ভাগ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৩০টি নতুন ওয়ালেট তৈরি হচ্ছে প্রতি মাসে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক অমিত দুবে জানিয়েছেন, এসব ডিজিটাল ওয়ালেট আসলে ‘ডিজিটাল হাওয়ালা’-র মতো কাজ করছে—যেখানে কোনও প্রথাগত ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না, ফলে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়ানো যায়।

    ৮০-৯০ কোটি টাকার সন্ত্রাসী লেনদেন

    বর্তমানে জৈশ-এর এই ডিজিটাল ওয়ালেট (Digital hawala of JeM) চক্রের মাধ্যমে প্রায় ৮০-৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। এই অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র কেনা, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা, মাসুদের পরিবার চালানো এবং বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে। এই অর্থের বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বার্তা স্পষ্ট — পাকিস্তান যতই ফতাফ-কে মিথ্যা আশ্বাস দিক, বাস্তবে জৈশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠন পাকিস্তান মাটিতে আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে, আর এবার তারা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে তুলেছে।

  • Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

    Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।”

    ‘শেষ প্রতিবেদন’ ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা (Bangladesh)

    বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বিভূরঞ্জন সরকার নিজের মোবাইল ফোন রেখে যান এবং পরিবারকে জানান (Bangladesh), তিনি পত্রিকার অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায়, তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের অফিসে ফোন করে। সেখান থেকে জানানো হয়, তিনি অফিসে যাননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পাওয়ায় তার ছেলে ঋত সরকার রমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিভূরঞ্জন সরকারের শেষ লেখা “খোলা চিঠি” শিরোনামে bdnews24.com-এ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি লেখেন, শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনও রকম সুবিধা পাননি, অথচ তাঁকে আওয়ামী লিগপন্থী বলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের আর্থিক অনিশ্চয়তা, নিজের এবং সন্তানের অসুস্থতার কথা লেখেন। তিনি লেখেন, “আমার জীবনে কোনও সাফল্যের গল্প নেই। এমনকি একজন সাংবাদিক হিসেবেও আমি চেষ্টা করেও কোনও শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে পারিনি।”

    পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে

    শুক্রবার বিকালে মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও, বিভূরঞ্জন সরকারের পরিবার দাবি করেছে—এটি আত্মহত্যা নয়, বরং তাঁকে হত্যা করা হয়েছে (Bangladesh)। রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাসুদ আলম জানান, “বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কীভাবে সেখানে গেলেন, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।” বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের অনেকেই মনে করেন, বিভূরঞ্জন সরকার আওয়ামি লিগের সমর্থক ছিলেন। যদিও তিনি নিজে কখনও সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলীয় পদে যুক্ত ছিলেন না, তাঁর লেখালিখিতে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে সর্বদা। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে সেক্ষেত্রে বিভূরঞ্জন সরকারের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলে মনে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি সহিংসতা, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, জমি দখল, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে—এই সাংবাদিকের মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে।

  • Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী রায় দিল ব্রিটেনের হাইকোর্ট অফ জাস্টিস। এই মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেনের আদালত বলল যে হিন্দু ধর্ম (Hinduism) এবং হিন্দুত্ব হল অভিন্ন—এই দুটোকে কখনো আলাদা করা যায় না। একইসঙ্গে এক ইসলামিক কর্মী মহম্মদ হিজাবের করা মানহানির মামলাও খারিজ করল ব্রিটেনের উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, মহম্মদ হিজাব মামলা করেছিল স্পেক্টেটর নামে একটি পত্রিকা এবং তার লেখক ডগলাস মুরির বিরুদ্ধে।

    হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল এই রায়

    স্বাভাবিকভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুদের (Hinduism) এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এই রায় মর্যাদা আনল এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল। কারণ, হিন্দু ধর্মের সমালোচকরা—প্রায় এদের মধ্যে অনেকে ভারতীয়—দাবি করেন যে হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের জিকির তোলা হচ্ছে, ইত্যাদি। হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা আলাদা ধরনের রাজনৈতিক ও মৌলবাদী মতাদর্শ হিসাবে, এবং হিন্দু-বিরোধীরা এই নেগেটিভ দিকটা তুলে ধরে বলতে চায় যে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম থেকে হিন্দুত্ব পৃথক। কিন্তু এই রায় স্পষ্ট করল যে হিন্দুত্ব হল সনাতন ধর্মেরই অংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে এই রায়ের প্রতিধ্বনি পৌঁছে গেছে ব্রিটেনের বাইরেও—এমনকি আমেরিকাতেও। সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে যেখানে বলা হয়, হিন্দু ধর্ম সত্যিই একটা গ্রহণযোগ্য ধর্ম এবং তার যে আধ্যাত্মিক অংশ রয়েছে, সেটাই। অন্যদিকে হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা মৌলবাদী মতাদর্শ (Hinduism) হিসেবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করল ব্রিটেনের কোর্টের এই রায়।

    জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ

    এর সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ, যারা জনমানুষে হিন্দুদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে জানাচ্ছেন—হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনো আলাদা নয় এবং একে অপরের থেকে পৃথক করা যায় না। এর সঙ্গেই যেভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা এই দুটোকে আলাদা করতে চান, তাদের মুখের উপর জবাব পড়ল। উত্তর আমেরিকায় থাকা হিন্দু সংগঠনগুলি এবং হিন্দু কর্মীদের মধ্যে প্রবল আত্মবিশ্বাসও সঞ্চার করল এই রায়—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব (Hindutva)

    এর সঙ্গে সঙ্গে এক আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব, যেটাকে কিনা বিভিন্ন সময়ে অবমাননা করেছে—বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের এক শ্রেণির একাংশ। শুধুমাত্র তাই নয়, বিভিন্ন বামপন্থী স্কলাররাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে অনেকেই মনে করছেন, যেভাবে হিন্দুত্বকে (Hindutva) আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হল, এর ফলে আগামী দিনে হিন্দু সংগঠনগুলি হিন্দুত্বের দাবিতে যে লড়াই লড়বে, তা অনেক সহজ হয়ে গেল। এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের এই কোর্টের রায়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এবার আসা যাক এই মামলাটি সম্পর্কে—যে মামলায় এই ঐতিহাসিক রায় দিল ব্রিটেনের আদালত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেক্টেটর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল Leicester and the Downside of Diversity. এই প্রতিবেদনটি লেখেন ডগলাস মুরি। এই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয় যে, লেস্টারের দাঙ্গায় মহম্মদ হিজাব জড়িত ছিল এবং বলা হয়, সে সময় সে লেস্টারে ভ্রমণ করেছিল, এবং অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিল। তার নিজের বক্তব্যে হিন্দুদেরকে উপহাস করেছিল মহম্মদ হিজাব। শুধু তাই নয়, সে বলেছিল—হিন্দুরা দুর্বল, কাপুরুষ এবং তারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। তার বিরুদ্ধে এই লেখা সামনে আসতেই মহম্মদ হিজাব একটি মামলা করে, যেখানে সে দাবি করে, এক্ষেত্রে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। এরপরেই, যখন ওই মামলার শুনানি শুরু হয়, তখনই আদালত মহম্মদ হিজাবকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, সে পরিকল্পনামাফিক হিন্দুদেরকে টার্গেট করেছে, তাঁদের উপহাস করেছে এবং হিন্দুদের বিশ্বাস ও ধর্মে (Hinduism) আঘাত দিয়েছে। তখন মহম্মদ হিজাব পাল্টা যুক্তি দেয় যে সে হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছে, হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তার এই কথা একেবারেই গ্রহণ করেনি ব্রিটেনের আদালত। এরপরেই আদালত ঐতিহাসিক রায় দেয় এবং বলে যে হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনও পৃথক নয়। দুটোই সমান—একটিকে অপরটি থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না।

LinkedIn
Share