Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও আগবাড়িয়ে যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ১২ দিন ব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি শেষে, ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেলন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান এবং ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি আসার আগেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্মুখ সমরে থাকা ইরান এবং ইজরায়েল কী বলছে? তারা কি যুদ্ধবিরতিতে রাজি? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের দাবিকে ফুৎকার মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এদিন তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়মগুলিকে জানান, ‘ইরানের সঙ্গে কোনও প্রকারের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়নি।’ এর আগে, মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলাকালীনও, সাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ভারত বরাবরই ট্রাম্পের সেই দাবিকে অস্বীকার করে।

    ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

    মঙ্গলবার ভোররাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতিতে (Iran-Israel Ceasefire) রাজি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প (Donald Trump) লেখেন, ‘আগামী ছ’ঘণ্টার মধ্যে ইরান-ইজরায়েল দু’পক্ষই সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে যাবে। এর শুরুটা করবে ইরান (প্রথম ১২ ঘণ্টা)। তাকে অনুসরণ করবে ইজরায়েল (পরের ১২ ঘণ্টা)। একপক্ষের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করলে অপর পক্ষও শান্তি বজায় রাখবে। ২৪ ঘণ্টা পর বারো দিন ব্যাপী যুদ্ধের ইতি।’ সিএনএন জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, দেশের বিদেশ সচিব তথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তৃতীয় পক্ষ মারফত ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। হোয়াইট হাউসের তরফে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে সম্মত হয় ইজরায়েল। তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ইরান যদি হামলা না চালায়, তারাও আর আঘাত হানবে না।

    ট্রাম্পের দাবি অসত্য

    যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও সমঝোতাই হয়নি। তবে ইজরায়েল নতুন করে হামলা না-করলে, তারাও আর সংঘাতে জড়াতে চায় না। এমনটাই জানিয়েছে ইরান। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই, ওই দাবিকে অস্বীকার করে আসছিল। বিভিন্ন সরকারি সূত্র মারফত তেহরানের সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করছিলেন। শেষে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৬ মিনিটে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি লেখেন ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ইজরায়েল এই হামলা শুরু করেছে। ইরান নয়। ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।’ এর পর ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়ে দেয় ভোর চারটেের পর থেকে  ইরান সংঘর্ষ বিরতিতে রয়েছে। তবে তার আগে ইজরায়েলে ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

    সংঘর্ষ বিরতির আভাস!

    আরাগচি সমাজমাধ্যমে লেখেন, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনও স্থির সমঝোতা হয়নি। তবে স্থানীয় সময় অনুসারে ভোর ৪টের (ভারতীয় সময়ে সকাল ৬টা) পর থেকে ইজরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক। একই সঙ্গে তিনি এ-ও দাবি করেছেন, ইরান কোনও সংঘর্ষ শুরু করেনি। ইজরায়েলই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল। ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্প যে দাবি করেছিলেন, তা এই পোস্টে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। তবে ওই পোস্টটির কিছু ক্ষণ পরেই সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন আরাগচি। সেখানে তিনি লেখেন, ভোর ৪টে (স্থানীয় সময়) বাজার আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইরানের সামরিক বাহিনী ইজরায়েলি আক্রমণের জবাব দিয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শত্রুপক্ষের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের সেনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় এই পোস্টের মাধ্যমে সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার আভাস দিয়েছেন আরাগচি? তবে,  ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির পরও তেহরানে ইজরােলি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    ট্রাম্পের দাদাগিরি!

    হোয়াইট হাউসের দাবি, আমেরিকার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সম্ভব হয়েছে। আমেরিকা তাদের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরই সুর নরম করেছে ইরান। সূত্রের খবর এই যুদ্ধবিরতিতে কাতার মধ্যস্থতা করেছে। সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর পর, দেশের এমিরকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ জানান খোদ ট্রাম্প। সেই মতো কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান। এর পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন একইভাবে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জানান, তাঁর জন্যই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পাকিস্তান সেই নিয়ে কোনও আপত্তি না করলেও, ট্রাম্পের সেই দাবি বারবার নস্যাৎ করেছে ভারত। দিল্লি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা ছিল না। ভারত এবং পাকিস্তান পারস্পরিক সম্মতিতেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছয়। ঠিক একইভাবে এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সংঘর্যবিরতির দাবি সরাসরি খণ্ডন করেছে তেহরান। এমনকি ইজরায়েলও সরকারিভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরাসরি ভাবে মৌলবাদীরা সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে বেশ কিছু ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগও আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা থেকে এমনই এক খবর সামনে এসেছে।

    বাবা-ছেলেকে নির্যাতন (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ধর্ম অবমাননার (Bangladesh) মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিন্দু পরিবারের বাবা ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক নির্যাতন করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিত হওয়া ওই বাবার নাম পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলের নাম বিষ্ণুচন্দ্র শীল। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মৌলবাদী গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হযরত মহম্মদ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন ওই বাবা এবং ছেলে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীরা বাজারে জড়ো হয় এবং বাবা ও ছেলেকে নির্যাতন শুরু করে।

    ২২ জুন রবিবার ঘটে এই ঘটনা (Bangladesh)

    স্থানীয় একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত ২২ জুন মৌলবাদীরা ওই বাবা ও ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর শুরু করে। পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল দুজনেই মৌলবাদীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা এই ধরনের কাজ করেননি। কিন্তু মৌলবাদীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আধঘণ্টা ধরে এভাবেই মারধর চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে মৌলবাদীদের কবল থেকে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এর পরে স্থানীয় এক মৌলবাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে হিন্দু (Hindu) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অজস্র সংখ্যালঘু হিন্দুকে টার্গেট বানানো হচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে আসছে এমন সব ঘটনা।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলকে বাঁচাতে ধর্মান্তরিতও হয়েছিলেন, কে এই রহস্যময়ী?

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলকে বাঁচাতে ধর্মান্তরিতও হয়েছিলেন, কে এই রহস্যময়ী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ কাহিনি হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। ভারত-পাক যুদ্ধের মাঝে চর্চায় এসেছিল জনৈক জ্যোতি মালহোত্র। অভিযোগ, সে ছিল পাক চর। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) আবহেও উঠে এল আরও এক নারীর ‘কীর্তি’র কথা। যিনি ইজরায়েলকে (Mossad Female Spy) বাঁচাতে ধর্মান্তরিত পর্যন্ত হয়েছিলেন।

    হুথিদের নির্বংশ করতেই ইরানে হামলা (Israel Iran Conflict)

    এ কাহিনি শুরু করার আগে জেনে নেওয়া যাক ইজরায়েল এবং ইরানের চরিত্র। ইজরায়েল ইহুদি দেশ। আর ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র। এই ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম হুথি। এদের ডেরা মূলত ইয়েমেনে। তবে এদের সামরিক শাখা আনসারুল্লাকে ইরান মদত দেয় বলে অভিযোগ। এই হুথিদের নির্বংশ করতেই গাজার পর ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। তার পরেই শুরু হয় ইজারায়েল-ইরান যুদ্ধ। এই যুদ্ধের আবহেই চর্চায় চলে এসেছেন ক্যাথারিন পেরেজ শেকড।

    এই মহিলার কৃতিত্বেই কুপোকাত ইরান

    ফ্রান্সের বাসিন্দা শেকড উচ্চ শিক্ষিত, বুদ্ধিমতী এবং সাহসী। তিনি ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোদাসের একজন মহিলা গুপ্তচর। দীর্ঘ পরিকল্পনার পর বছর দুয়েক আগে গোপনে তিনি ঢুকে পড়েন ইরানে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পর তিনি ইরানের সরকারি কর্তাদের সঙ্গে আলাপ করতে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতে তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গেও ভাব জমান মোসাদের এই চর। নানা অছিলায় তিনি ঢুকে পড়তেন ইরানের বিভিন্ন জায়গায়। ছবি তোলার পাশাপাশি সংগ্রহ করেন ইরানের গোপন সব তথ্য। সাংকেতিক ভাষায় সেসব তথ্য তিনি পাচার করেন ইজরায়েলে।

    গত ১৩ থেকে ২১ জুনের মধ্যে ইজরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারিয়েছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর সর্বাধিনায়ককেও উড়িয়ে দিয়েছে ইহুদি ফৌজ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। ইজরায়েলের আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছুই সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি (Israel Iran Conflict)।

    ইরানি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইহুদিদের টার্গেট কিংলিংয়ের ধরন দেখে সন্দেহ হয় ইরানের গুপ্তচর সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইনটেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানে’র। খুনগুলির ব্যাপারে জানতে তদন্তে নামে তারা। তখনই জানা যায়, ইজরায়েলি চর ক্যাথরিন পেরেজ শেকডের নাম। যদিও রবিবার (Mossad Female Spy) দুপুর পর্যন্তও তাঁর টিকি ছুঁতে পারেনি ইরান সরকার (Israel Iran Conflict)।

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে (Iran Israel Conflict) এবার জড়িয়ে পড়ল আমেরিকাও। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমানবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ (US Attacks Iran)। এদিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ইরানি কাঠামোগুলির ওপর খুবই সফল হামলা চালিয়েছে। তেহরান (ইরানের রাজধানী)-কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ না করলে ইরানকে আরও বড় পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে পাঁচটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা সমর বিশেষজ্ঞদের।

    পরিস্থিতি ১ (Iran Israel Conflict)

    ইরান তার তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, “এখন অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক বা সামরিক সদস্য একটি লক্ষ্যবস্তু।” এদিকে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    পরিস্থিতি ২

    ইজরায়েল হাই অ্যালার্ট জারি করতে পারে এবং ইরানের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ওপর আগাম হামলা চালাতে পারে। গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সব অঞ্চল থেকে অপরিহার্য কার্যকলাপ পরিচালিত হবে। শিক্ষাদান, জমায়েত এবং কর্মক্ষেত্র আপাতত বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র (US Attacks Iran)।”

    পরিস্থিতি ৩

    ইরান লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়া থেকে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে হিজবুল্লা ও অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় করতে পারে। হিজবুল্লা, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং গাজায় হামাস — এই গোষ্ঠীগুলো মিলে ইরানের কথিত “প্রতিরোধ অক্ষ” গঠন করেছে, যার লক্ষ্য শক্তি প্রদর্শন, আমেরিকা ও ইজরায়েলি প্রভাব প্রতিহত করা এবং সরাসরি সংঘর্ষ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তবে এই মিত্র গোষ্ঠীগুলি এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের অনেকেই এখন দুর্বল, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং নিজ নিজ সমস্যার সমাধান করতেই ব্যস্ত (Iran Israel Conflict)। সম্প্রতি হিজবুল্লাহ প্রধান শেখ নাইম কাসেম ঘোষণা করে, ইজরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের সংগ্রামে তিনি সব ধরনের সহায়তা দেবেন। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয়। এই তথ্য জেরুজালেম পোস্টই প্রকাশ করেছে।

    পরিস্থিতি ৪

    চিন ও রাশিয়া এই দুই অন্যতম মহা শক্তিধর দেশ এবং যাদের বৈশ্বিক প্রভাবও অনেক, তারা হয়তো শান্তির আবেদন জানাবে। যদিও গোপনে কূটনৈতিকভাবে ইরানকে সমর্থন করতে পারে। মঙ্গলবার চিন অভিযোগ করেছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে তেল ঢেলে দিচ্ছেন। কয়েকদিন পর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একইভাবে রাশিয়া আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ না করে (US Attacks Iran)। রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন, ইজরায়েল যদি ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়, তাহলে তা চেরনোবিল ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    পরিস্থিতি ৫

    ইরানের ওপর হামলার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইরান একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। মার্কিন হামলার জেরে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালী। মনে রাখতে হবে, এটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়।

    ‘দ্য কনভারসেশনে’র মতে, অনেক তেল বিকল্প সরবরাহপথে পাঠানো যেতে পারে। যেমন সৌদি আরবের বিশাল (৬ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন) পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইন, যা লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে যায়, সেই পথে তেল পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি পাইপলাইন, যা হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। তবুও, বাড়তি ঝুঁকি ও পরিবহণ খরচের কারণে পেট্রোল পাম্পে দামের বড়সড় লাফ দেখা যেতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    প্রসঙ্গত, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমানবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে (US Attacks Iran)। তিনি লেখেন, অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। এখন শান্তির সময় এসেছে (Iran Israel Conflict)।

  • Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ৩ বছর ধরে। সম্প্রতি ইউক্রেন (Ukraine) এক বিস্ফোরক দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নরখাদকদের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে (Russian Soldier)। এমনকি কিছু সৈনিক সহযোদ্ধাকে হত্যা করে তাদের দেহ ভক্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করল ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ

    কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রুশ সরকার (Russian Soldier) যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক অপরাধী, খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এমনকি নরখাদকদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে বহু কুখ্যাত অপরাধী, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নরখাদকতার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ডেনিস গোরেন নামের এক অপরাধীকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারজনকে খুন ও অন্তত একজনের দেহ খাওয়ার অভিযোগে আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। নিকোলো ওকোলোবিয়াক নামের আরেক ব্যক্তি দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার দায়ে কারাগারে ছিল। এখন তাদের মতো আরও অনেককেই মুক্তি দিয়ে রুশ সেনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine)।

    সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে, দাবি ইউক্রেনের

    ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দামিত্রি মালিশেভ নামের এক অপরাধী তিনজনকে খুন করে তাদের হৃদপিণ্ড রান্না করে খেয়েছিলেন। তাকেও বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে (Russian Soldier) পাঠানো হয়েছে। একইভাবে আলেকজান্ডার মাসলেনিকভ নামে একজন ধর্ষক ও খুনিকে ২০২৪ সালে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত করা হয়। এইসব অপরাধীদের মানসিকতা যুদ্ধক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের আরও দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে। শুধু শত্রু নয়, নিজেদের সেনাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই অপরাধীদের নিয়ে।

    চলছে যুদ্ধ

    ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ সেনার (Russian Soldier) আক্রমণে প্রায় ৪০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে গেছে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান, সাতটি সাঁজোয়া যান, একটি কামান ও তিনটি সামরিক ট্রাক। রুশ সেনার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৪২৫ জন সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) ঘোষণা করেন যে, তাঁরা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে ও ইজরায়েলের পক্ষে এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, ইজরায়েলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। কিন্তু ঠিক দু’দিনের মাথাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাল।

    কোন তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল মার্কিন বিমান বাহিনী?

    ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও এসফাহান, এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর সব বিমান বর্তমানে নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে অবস্থান করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি পোস্টে লিখেছেন, মহান মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বে আর কোনও সামরিক বাহিনী এটি করতে পারত না, যা তারা করে দেখিয়েছে। এখন শান্তির সময়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইরানকে এখন এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।

    কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু?

    এই হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমি প্রায়ই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি আসে। প্রথমে শক্তি, তারপর শান্তি।” প্রসঙ্গত, ইরানে এই হামলা চালানোর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বিরোধ শেষ না করলে ইরানের ওপর আরও হামলা চালানো হবে।”
    সাংবাদিকদের তিনি (Trump) বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো এভাবেই যুদ্ধ চলবে।” মার্কিন রাষ্ট্রপতি (USA) বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য হল ইরানের পারমাণবিক উৎপাদন এবং পরমাণু বোমার হুমকিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।”

  • Swiss National Bank: গত এক দশকে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

    Swiss National Bank: গত এক দশকে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত এক দশকে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে (Swiss National Bank) ভারতীয় গ্রাহকদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪২৫ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

    করোনার সময় বেড়ে গিয়েছিল আমানতের পরিমাণ (Swiss National Bank)

    ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে তথ্য সামনে এনেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনাকালীন সময়ে ভারতীয় গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় তা পৌঁছে যায় সর্বোচ্চ ৬০২ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। তবে মহামারির পর থেকেই আমানতের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (Swiss National Bank) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৩০৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে ৩৭ মিলিয়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। যদিও ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে বিগত ১০ বছরে টাকা জমানোর প্রবণতা নিম্নমুখী বলেই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে।

    অন্যান্য দেশের নাগরিকদের আমানতও হ্রাস পেয়েছে বিগত এক দশকে

    তবে শুধু ভারত নয়, সুইস ব্যাংকের (Swiss National Bank) তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রধান অর্থনৈতিক দেশের নাগরিকদের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাঁরা আগের চেয়ে অনেক কম টাকা জমা রাখছেন সুইস ব্যাংকে (Swiss National Bank Deposits)। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৫ সালে ব্রিটেনের নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৪ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। একসময় চিনা আমানতের পরিমাণ ছিল ৫.০১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ বিলিয়নে। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার প্রবণতা কমেছে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের আমানতের পরিমাণ ছিল ৯৪৭ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে মাত্র ২৪১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ—অর্থাৎ প্রায় ৭৫ শতাংশ হ্রাস। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১২.৬ মিলিয়নে। প্রায় ৭৩ শতাংশ হ্রাস। সৌদি আরবের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ১০ বছর আগে সৌদি নাগরিকদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮.৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়নে।

  • Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিতকরণ করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সিন্ধ অঞ্চলের একটি পরিবারের তিন বোন ও তাদের এক ভাইকে (Hindu Siblings) অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। যাদের ধর্মারিত করা হয়েছে, তারা হল বছর বাইশের জিয়া বাই, বছর কুড়ির দিয়া বাই, বছর ষোলোর দিশা বাই এবং তাদের বছর তেরোর ভাই হরজিত কুমার। এদের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কম্পিউটার শিক্ষক ফারহান খাসখেলি তাঁর সন্তানদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। তিনি বলেন,  “আমার তিনটি মেয়ে ছিল। ফারহান সবাইকে নিয়ে গিয়েছে।” তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ফেরত পেতে চান। এজন্য তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হস্তক্ষেপও দাবি করেন। পঞ্চায়েতের হিন্দু প্রধান রাজেশ কুমার একে পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

    ধর্মান্তকরণ (Pakistan)

    এদিকে, পরিবারের প্রতিবাদের পর পুলিশ ভাইবোনদের শাহদাদপুর আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে দুই প্রাপ্তবয়স্ক বোন জিয়া ও দিয়া (যারা মেডিকেল শিক্ষার্থী), তাদের করাচির একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক দিশা ও হরজিৎকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণ বলে দাবি করেছে। যদিও অপহৃতদের পরিবার ও তাদের আইনজীবী এই দাবি খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, ওই শিশুদের শাহদাদপুর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে করাচি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদালতে অপহৃতরা পুলিশের চাপে কথা বলছিল। তাই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার খাসখেলি এবং ফরহান অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় (Pakistan)।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলির রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থাগুলি যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ধর্ম অবমাননার আইন ব্যবহৃত হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলি পরিকল্পিতভাবে (Hindu Siblings) হিন্দু পরিবারগুলিকে জমি দখল করে উচ্ছেদ করে। যদিও পাক সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সংরক্ষিত আসন রয়েছে, বাস্তবে এসব সুরক্ষা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ (Pakistan)।

  • Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইন শাখার প্রধান সাঈদ ইজাদি। শনিবার খবরটি নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। জানা গিয়েছে, ইরানের কোম শহরে রাতভর হামলায় নিহত হয়েছেন (Hamas) তিনি (Saeed Izadi)।

    ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বক্তব্য (Saeed Izadi)

    এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, “সাঈদ ইজাদি, যিনি ইজরায়েল ধ্বংসের জন্য ইরানি শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনার একজন মাথা ছিলেন, কোম অঞ্চলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের হামলায় নিহত হয়েছেন।” প্রসঙ্গত, এর আগে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ কোমে রাতে চালানো ইজরায়েলি হামলায় ইজাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানের কোম শহরে হামলায় দেশটির কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইনি কর্পসের কমান্ডার সাঈদ ইজাজি নিহত হয়েছেন।

    কে ছিলেন ইজাদি

    ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, ইজাদি ছিলেন কুদস ফোর্সের প্যালেস্টাইন কর্পসের কমান্ডার। তিনি ইরান সরকার ও হামাসের মধ্যে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন। এই হামলার পর গাজায় একটি প্রাণঘাতী যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে ৫৪,০০০-এর বেশি প্যালেস্তাইনি নিহত হন। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তিনি ছিলেন আইআরজিসি (ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস)–এর ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের সঙ্গে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সামরিক সমন্বয়ের দায়িত্বে (Saeed Izadi)। তাঁর ভূমিকায় ইজাদি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য হামাসকে ইরানের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর দায়িত্বেও ছিলেন।”

    জানা গিয়েছে, ইজাদিকে লেবানন থেকে পরিচালিত হামাস বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ। তিনি হামাসের সামরিক শাখাকে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন, যাতে হামাস গাজায় তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। জানা গিয়েছে, ইজাদি অক্টোবর ৭ এর হামলার আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়েছিলেন। ইজাদির মৃত্যুকে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিরাট সাফল্য (Hamas) এবং নিহত অসামরিক মানুষ ও বন্দিদের জন্য ন্যায়বিচার বলে উল্লেখ করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Saeed Izadi)।

LinkedIn
Share