Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে নামই বদলে ফেলল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নাম হচ্ছে আল-মুরাবিতুন। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘ইসলামের রক্ষক’। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই ইউসুফ আজহারের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ উন্মোচনের সময় থেকে সংগঠনের নতুন নামটি ব্যবহার করা হবে। একে তো আন্তর্জাতিক নজরদারি। তার উপর নিষেধাজ্ঞা। জোড়া ধাক্কায় অর্থ সংগ্রহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই নাম বদল জইশের।

    কেন নাম পরিবর্তন

    সংগঠনের নয়া নামকরণ একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা, ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উরি ও পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর উপর হামলার জন্য দায়ী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জইশ-ই-মহম্মদ’। গোটা বিশ্বেই এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ফলে অতি পরিচিত জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) নামে তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ছে। পাকিস্তানও মুখরক্ষায় প্রকাশ্য়ে এই সংগঠনকে সহায়তা করতে পারে না। এইসব অসুবিধা দূর করতেই জইশের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তহবিল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মুখোমুখি তহবিল চ্যালেঞ্জের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এফএটিএফ জানিয়েছে যে, জইশ এখন ডিজিটাল পেমেন্ট, অর্থাৎ ই-ওয়ালেট এবং ইউপিআই ট্রান্সফার ব্যবহার করে নিজেদের পুনর্গঠনে অর্থ ব্যবহার করছে।

    কবে থেকে পরিবর্তিত নাম ব্যবহার

    আগামী সপ্তাহে মাসুদ আজহারের নিহত ভাই ইউসুফ আজহারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও জইশের (Jaish-e-Mohammed) বদলে উদ্যোক্তা হিসেবে আল-মুরাবিতুন নামটির ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রাণ কেড়েছিল মাসুদ আজহারের ভাইয়ের। আগামী সপ্তাহে পেশোয়ারের মারকাজ শাহিদ মুকসুদাবাদে ইউসুফ আজহারের এই স্মরণসভা হবে। সূত্রের খবর, সেখানে জইশের শীর্ষ কমান্ডার ও নেতারা উপস্থিত থাকবে। সেখানে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। তবে শুধুমাত্র পাকিস্তানেই এই নয়া নামে কাজ করবে তারা। এফএটিএফ অনুসারে, এখন পর্যন্ত পাঁচটি ই-ওয়ালেট শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটিরই জঙ্গি গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ওই সংগঠনের লক্ষ্য হল প্রায় চার বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করা- যাতে ৩০০ টিরও বেশি ‘মারকাজ’ অর্থাৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা কেন্দ্র স্থাপন করা যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিগোষ্ঠীদের মদতদাতা পাক সরকারকে বাঁচানোও নাম পরিবর্তনের আর একটি কারণ বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    পাকিস্তানকে বাঁচাতেই নাম বদল

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি সরিয়ে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে বলে ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ফলে নতুন করে ঘাঁটি তৈরির ক্ষেত্রে ওইসব এলাকাকে আর নিরাপদ বলে মনে করছে না জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেই কারণেই কৌশলগত ও অবস্থানগতভাবে নিরাপদ খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশকে তারা বেছে নিয়েছে। আর এই ডেরা স্থানান্তরের কাজে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলেও ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলায় অবস্থিত গারহি হাবিবুল্লা শহরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন জঙ্গি নিয়োগের লক্ষ্যে একটি শিবির করে জয়েশ। সেই শিবিরে এসেছিল মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা মুফতি মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি। জইশের সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গেই নতুন নিয়োগের সেই শিবির পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান পুলিশকেও।

  • Prabowo Subianto: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ‘ওম শান্তি ওম’ বলে ভাষণ শেষ করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    Prabowo Subianto: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ‘ওম শান্তি ওম’ বলে ভাষণ শেষ করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রতিনিধি। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। বুধবার সেই ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো (Prabowo Subianto) স্বদেশের সংস্কৃতি মেনেই ভাষণ শুরু করলেন ‘ওম স্বস্তিয়াস্তু’ বলে। আর শেষ করলেন ‘ওম শান্তি ওম’ (Om Shanti) বলে। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই ঘটনা। রাষ্ট্রসংঘের ৮০তম সাধারণ সভায় অংশ নিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তিনি উচ্চারণ করেন ‘ওম শান্তি ওম’। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    ‘ওম শান্তি ওম’ (Prabowo Subianto)

    দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ নাগরিকই মুসলমান। সেই দেশেরই প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণ শুরু করেন ‘ওম স্বস্তিয়াস্তু’ বলে। বক্তব্যের একেবারে শেষে বলেন ‘ওম শান্তি ওম’। তাঁর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তাঁকে কুর্নিশ জানান নেটিজেনরা। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, “ইহুদি, মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ সব ধর্মই এক। আমাদের সকলের একটা মানব পরিবার হিসেবে বসবাস করা উচিত। ইন্দোনেশিয়া এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট? 

    ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “যেখানেই শান্তি রক্ষার প্রয়োজন, সেখানেই সেবা দেওয়ার অঙ্গীকারে অটল আমরা।” তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া গাজা বা প্যালেস্তাইনের অন্য কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০ হাজার কিংবা তারও বেশি সংখ্যক আমাদের সন্তানদের পাঠাতে প্রস্তুত।” সুবিয়ান্তো (Prabowo Subianto) বলেন, “আজ ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম বৃহৎ অবদানকারী দেশ। আমরা কেবল কথায় নয়, বাস্তবে মাটিতে উপস্থিত থেকে যেখানে শান্তি রক্ষার প্রয়োজন, সেখানেই সেবা দিতে থাকব।” যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন – দু’টিই যেন স্বাধীন ও সার্বভৌম হয় এবং হুমকি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত থেকে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারে।” গাজায় বিধ্বংসী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (Prabowo Subianto) বলেন, “জাতিসমূহের এই সমাজকে অবশ্যই দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এই বিপর্যয় থামানোর জন্য। না হলে পৃথিবী প্রবেশ করবে এক অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায়, যেখানে যুদ্ধ হবে অবিরাম এবং হিংসা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে (Om Shanti)।”

  • India Mocks Pakistan: “নিজেদের জনগণের ওপরই বোমাবর্ষণ করছে”, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের

    India Mocks Pakistan: “নিজেদের জনগণের ওপরই বোমাবর্ষণ করছে”, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল ভারত (India Mocks Pakistan)। নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনার জন্য ইসলামাবাদকে কাঠগড়ায় তোলে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান নিজেই নিজেদের জনগণের ওপরই বোমাবর্ষণ করছে এবং এই মঞ্চের অপব্যবহার করছে।

    তিরা উপত্যকায় বিমান হামলা (India Mocks Pakistan)

    ভারতের এহেন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে এল এমন সব প্রতিবেদন প্রকাশের পর যেখানে বলা হয়েছে, পাক বিমানবাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরা উপত্যকায় বিমান হামলা  চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য – ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, পোড়া যানবাহন এবং ধসে পড়া ভবনের ভেতর থেকে দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে (Air Attack)।

    ভারতের তোপ

    রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় ফরেন সার্ভিস আধিকারিক ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন, “যে প্রতিনিধি দল এই দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ উল্টো মত উপস্থাপন করে, তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এই মঞ্চকে ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের ভূখণ্ড দখল করার লোভ না করে, তাদের উচিত বেআইনিভাবে দখল করা ভারতীয় ভূখণ্ড খালি করা এবং মনোযোগ দেওয়া—একটি অর্থনীতি উদ্ধার করতে যা কেবলমাত্র জীবনধারণ যন্ত্রে টিকে আছে, একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেটি সামরিক প্রভাবশালী শাসনে স্তব্ধ, এবং একটি মানবাধিকার রেকর্ড যেটি নির্যাতনের কলঙ্কে কলঙ্কিত। হয়তো, তারা যখন সন্ত্রাসবাদ রফতানি, রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দান এবং নিজেদের জনগণকে বোমা মারার কাজ থেকে কিছুটা সময় পাবে, তখনই তা করতে পারবে।”

    জোরালো বিস্ফোরণ

    প্রসঙ্গত, সোমবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরা ভ্যালিতে পাকিস্তানি তালিবানের মালিকানাধীন একটি কম্পাউন্ডে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ২৪ জন মানুষ, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল, নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন জখম হয়েছেন। অনুমান, ওই বিস্ফোরণ পাকিস্তানি তালিবান যোদ্ধাদের মজুত করা বোমা তৈরির উপকরণ থেকেই ঘটে। তবে অন্য কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের (Air Attack) জঙ্গিবিমানগুলিই বিমান হামলা চালায় (India Mocks Pakistan)।পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরণটি সেই কম্পাউন্ডেই ঘটে যেখানে পাকিস্তানি তালিবান সদস্যরা বোমা তৈরির উপকরণ মজুত করে রেখেছিল। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষ, যাঁদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছে এবং ১৪ জন জঙ্গি নিহত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। বিস্ফোরণে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

    সক্রিয় টিটিপি

    খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরা উপত্যকায় টিটিপি (তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান) নামক জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয়। স্থানীয় পুলিশ এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের মোকাবিলার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় পাক নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানও চলছে বলে খবর। তার মধ্যেই ঘটে সোমবারের বিস্ফোরণ (Air Attack)। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “বিমান থেকে পর পর কয়েকটি বোমা ফেলা হয়েছে ওই অঞ্চলে। এলাকার পাঁচটি বাড়ি এর ফলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে (India Mocks Pakistan)।”

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ

    পাকিস্তানে যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম টিটিপি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের নানা প্রান্তে জঙ্গি হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। অভিযোগ, অনেক টিটিপি নেতাই এখন আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের আশ্রয়ে রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে তুলে ধরে আসছে ভারত। জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপের নেপথ্যে থাকে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিই (India Mocks Pakistan)।

    পাক পুলিশের বক্তব্য

    পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিরা যে পাকিস্তানেরই ক্ষতি করবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ইসলামাবাদ। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জাফর খান জানান, তিরা উপত্যকার একটি ভবনে ঘাঁটি গেড়েছিল টিটিপির দুই জঙ্গি নেতা আমন গুল এবং মাসুদ খান। পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল সাধারণ মানুষকে। ওই জঙ্গিঘাঁটিতেই তৈরি করা হচ্ছিল বোমা। বোমা তৈরির নানা উপাদানও মজুত করা ছিল সেখানে। সেখান থেকেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আশপাশের অনেকগুলি বাড়ি (Air Attack)। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষের। এছাড়াও যে ১৪ জন নিহত হয়েছে, তারা সবাই জঙ্গি (India Mocks Pakistan)।

  • Scientists List: স্ট্যানফোর্ড এলসেভিয়ার শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানী তালিকায় ঠাঁই ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষকের

    Scientists List: স্ট্যানফোর্ড এলসেভিয়ার শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানী তালিকায় ঠাঁই ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ার ‘টপ ২ পারসেন্ট সায়েন্টিস্টস লিস্ট’ (Scientists List) ২০২৫। এই বৈশ্বিক ডেটাবেসে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এঁদের র‍্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২২টি প্রধান ক্ষেত্র ও ১৭৪টি উপক্ষেত্রে তাঁদের সাইটেশন ইমপ্যাক্ট অনুযায়ী (PU Teachers)।

    ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষক (Scientists List)

    ২০২৫ সালের তালিকায় মোট ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষক স্থান পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এলসেভিয়ারের সহযোগিতায় যে তালিকাটি তৈরি করেছে, তা স্কোপাস ডেটার ওপর ভিত্তি করে এবং এতে একটি যৌথ উদ্ধৃতি স্কোর ব্যবহার করা হয়েছে, যা সহ-লেখকত্ব ও লেখকের অবস্থান অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়। অর্থাৎ, এটি শুধু বেশি প্রকাশনা নয়, বরং কাজটির প্রভাবের ওপর গুরুত্ব দেয়। বিজ্ঞানীদের র‍্যাঙ্ক করা হয়েছে একটি যৌগিক উদ্ধৃতি স্কোরের ভিত্তিতে, যেখানে লেখকত্ব, সহলেখকত্বের সমন্বয় এবং স্ব-উদ্ধৃতির হিসাব রাখা হয়েছে, যাতে প্রভাব মূল্যায়ন আরও ন্যায্য হয়। ২০২৪ সালে ৫৩০০-রও বেশি ভারতীয় বিজ্ঞানী এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

    র‍্যাঙ্কিং কীভাবে কাজ করে

    তালিকাটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘমেয়াদি (ক্যারিয়ার-ভিত্তিক) প্রভাব এবং ২০২৪ সালের এক বছরের উদ্ধৃতি-সংক্রান্ত তথ্য, দুই-ই দেয়। এতে প্রত্যাহৃত গবেষণাপত্রগুলিও ধরা হয় এবং অতিরিক্ত বা ফুলিয়ে-ফাঁপানো উদ্ধৃতি সংখ্যার সংশোধন করা হয়। এ বছরের ডেটাসেটটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের ২,৩০,০০০-এরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (Scientists List)। প্রসঙ্গত, ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এরপর রয়েছে বড় বড় আইআইটিগুলি। দীর্ঘমেয়াদি ডেটাসেটে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা হল—

    আইআইএসসি-১৩৩

    আইআইটি দিল্লি -১০৫

    আইআইটি খড়গপুর – ৯১

    আইআইটি মাদ্রাজ – ৭৫

    আইআইটি বম্বে – ৭০

    আইআইটি রুরকি -৫৬

    আইআইটি কানপুর -৪৯

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদানকারীদের মধ্যে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৪০), ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (৩৯), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (৩৮) এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৮)। এ বছর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় (PU Teachers) ৪৮ জন শিক্ষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট স্থানীয় সাফল্য।

    তালিকার পরিসর

    প্রসঙ্গত, তালিকাটি ২২টি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র জুড়ে তৈরি, যেখানে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং টেকনোলজি সম্পর্কিত বিশেষ শাখাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানের বেশ কিছু সুপরিচিত নামও এতে রয়েছে। চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও এবং অশোক সেন—এই দুজনই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, যারা ভারতীয় বিজ্ঞানকে অনুসরণ করেন তাঁদের কাছে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।বড় গবেষণা কেন্দ্রগুলি সংখ্যার দিক থেকে প্রাধান্য পেলেও, বেশ কিছু ছোট বা ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান—আঞ্চলিক কলেজ, একক ল্যাব ইউনিট এবং বিশেষায়িত গবেষণা কেন্দ্র থেকেও এক বা দু’জন গবেষকের নাম এসেছে। এই বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর প্রভাব কখনও অপ্রত্যাশিত স্থান থেকেও আসতে পারে (Scientists List)।

    ডেটাসেটের ক্ষেত্র

    ডেটাসেটটি ২২টি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র জুড়ে বিস্তৃত, ফলে উপস্থিতি রয়েছে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞানসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে। এখানে দুটি কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একটি হল দীর্ঘ-মেয়াদি কর্মজীবনের প্রভাব এবং একক-বছরের প্রভাব। টপ সায়নেটের অনুসন্ধানযোগ্য ডাটাবেস গবেষকদের প্রোফাইল খুঁজে বের করতে, দাবি করতে এবং আপডেট করতে সাহায্য করে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ সংশোধনের একটি দ্রুত উপায় (PU Teachers)। এই তথ্য ব্যবহার করে সহযোগিতা পরিকল্পনা করুন, কৌশলগতভাবে নিয়োগ করুন এবং যেখানে উদ্ধৃতির গতি বাড়ছে সেখানে অর্থায়নকে টার্গেট করুন।

    অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতার গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড

    প্রতিষ্ঠান ও তরুণ গবেষকদের জন্য স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ তালিকা অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হয়ে উঠেছে। এটি কেবল বৈজ্ঞানিক সাফল্য উদযাপনই করে না, বরং তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণার প্রভাব কীভাবে মাপা হয় তার আরও আন্ডারস্ট্যান্ডিংকে উৎসাহিত করে (Scientists List)। প্রসঙ্গত, স্ট্যানফোর্ড টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীনদের তালিকা হল একটি সরল কিন্তু কার্যকর প্রতিফলন – যা ২০২৫ সালে ভারতের উদ্ধৃত গবেষণার শক্তি কোথায় রয়েছে, তা দেখায়। বড় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইআইটিগুলি মূল অংশ দখল করে রয়েছে, এবং প্রচলিত সীমার বাইরে উৎকর্ষতার (PU Teachers) নতুন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে (Scientists List)।

  • Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্টো পথে হেঁটে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে শীর্ষ (Indian Origin CEOs) পদে বসাল আমেরিকারই দু’টি বড় কোম্পানি। সোমবারই এ খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই খবরটি এমন একটা সময়ে এল যখন ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার (H1B Visa) নিয়মগুলি কঠোর করছে।

    ‘শ্রীনি’ গোপালন (Indian Origin CEOs)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট টি-মোবাইলের প্রধান এক্সিকিউটিভ আধিকারিক হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব নেবেন বছর পঞ্চান্নর শ্রীনিবাস ‘শ্রীনি’ গোপালন। আইআইএম আমেদাবাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী গোপালন বর্তমানে টি-মোবাইলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে কর্মরত। তিনি মাইক সিভার্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই সিভার্ট ২০২০ সাল থেকে কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁকে বসানো হচ্ছে অধুনা সৃষ্ট ভাইস চেয়ারম্যান পদে। লিঙ্কডইনের এক পোস্টে গোপালন লেখেন, “টি-মোবাইলের পরবর্তী সিইও (প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক) হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি দারুনভাবে সম্মানিত। এই কোম্পানি যা অর্জন করেছে, তা আমায় দীর্ঘদিন ধরে মুগ্ধ করেছে—গ্রাহকদের এমনভাবে সেবা দেওয়ার জন্য তারা নির্ভীকভাবে বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে, যা আগে কেউ ভাবতেও পারেনি।”

    গোপালনের কেরিয়ার

    গোপালনের কেরিয়ার মহাদেশ এবং ইন্ডাস্ট্রিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারে ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি হিসেবে শুরু করে তিনি ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, ক্যাপিটাল ওয়ান এবং ডয়চে টেলিকমে সিনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন (H1B Visa)। সেখানে তিনি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ করেছেন। লাখ  লাখ বাড়িতে ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছেন। জার্মানিতে রেকর্ড পরিমাণ মোবাইল বাজারের শেয়ারও ধরে ফেলেছিলেন তিনি (Indian Origin CEOs)। টি-মোবাইলে তিনি প্রযুক্তি, ভোক্তা এবং ব্যবসা বিভাগগুলির তত্ত্বাবধান করেছেন। ৫জি, এআই এবং ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্যোগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন গোপালন। গোপালনকে অত্যন্ত দক্ষ, আবেগপ্রবণ এবং অবিশ্বাস্যভাবে জ্ঞানসম্পন্ন বলে অভিহিত করেছেন সিভার্ট। তিনি জানান, গোপালনের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি আমাদের কর্মী ও গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

    নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও

    এদিকে, শিকাগো-ভিত্তিক পানীয় জায়ান্ট মলসন কুরস তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে বছর ঊনপঞ্চাশের রাহুল গোয়েলকে। ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। গোয়েল বসছেন গ্যাভিন হ্যাটার্সলির জায়গায় (H1B Visa)। হ্যাটার্সলি এই বছরের শেষ পর্যন্ত উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ২৪ বছর ধরে (Indian Origin CEOs)।

    ভারতে জন্ম রাহুল গোয়েলের। মাইসুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরে যান বিজনেস স্টাডি পড়তে। সেখানেই সেটেলড হয়ে যান। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ভারতে কুরস ও মলসন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন। মলসন কুয়ার্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড কুয়ার্স বলেন, “একটি দীর্ঘ সিইও উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার পর স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আমাদের পরবর্তী প্রবৃদ্ধির ধাপকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি রাহুলই নিয়ে এসেছেন।” গোয়েল জানান (H1B Visa), তিনি কোম্পানির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত (Indian Origin CEOs)।

  • Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” সোমবার নিউ ইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের পর কথাগুলি বলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। অস্থির অংশীদারিত্বকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ওই বৈঠকে বসেছিলেন রুবিও এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Rubio Jaishankar Meet)। এই বৈঠকেরই দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa Row) জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের ফি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেও রুবিও-র এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Rubio Jaishankar Meet)

    রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। কারণ এই গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া হারে মার্কিন শুল্ক আরোপিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে দুই নেতাই আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বার্তা তুলে ধরতে আগ্রহী ছিল।

    ভারত মার্কিন সম্পর্ক

    এদিন বৈঠক শেষে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রুবিও বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” তিনি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে নয়াদিল্লির অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, “কোয়াডের মাধ্যমেও একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” ফের একবার ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার কথার উল্লেখ করে বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “আমাদের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় (Rubio Jaishankar Meet) অন্তর্ভুক্ত ছিল। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতি আনতে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা যোগাযোগ বজায় রাখব।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভিসা ঘোষণা

    শুক্রবার ভিসা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তামাম বিশ্বে, বিশেষত ভারতে। কারণ এইচ-১বি ভিসার সব চেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ ভারত। গত বছর যেখানে মোট অনুমোদনের ৭১ শতাংশ ভারত পেয়েছিল, সেখানে চিন পেয়েছিল ১২ শতাংশেরও নীচে। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া  এই ফি ভারতীয় আইটি পরিষেবা (H 1B Visa Row) দানকারীদের ব্যয় অত্যধিক বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ তারা এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল (Rubio Jaishankar Meet)।

    শুল্ক বিবাদ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই আঘাতটি দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। গত জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরে আবারও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে। শুধু তাই নয়, সেই তেল বিক্রিও করছে ভারত। স্রেফ এই কারণ দর্শিয়েই চুপ করে যাননি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারিও দেন  যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে মাশুল গুণতে হবে নয়াদিল্লিকে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক আরোপের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার ওপর প্রভাব পড়ে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে উভয় পক্ষই ফের আলোচনায় বসেছিল। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একে ইতিবাচক আলোচনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি একটি চুক্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে (H 1B Visa Row)।

    কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত

    নানান বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। জুলাই মাসে রুবিও এবং জয়শঙ্কর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াডের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। সোমবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, যা শুল্কবিরোধ বাড়ার পর প্রথম, তার উদ্দেশ্যই ছিল এই বার্তা দেওয়া যে দুই দেশের সহযোগিতা এখনও অটুট রয়েছে (Rubio Jaishankar Meet)।

    প্রসঙ্গত, শুল্কবিতর্কে থমকে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই। দিন কয়েক আগেই বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি এসেছিল আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল। সোমবার ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আমেরিকার গিয়েছেন (H 1B Visa Row)। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই পথ আরও মসৃণ করতেই ফের ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা (Rubio Jaishankar Meet)।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও প্রবল সংঘর্ষ চলছে প্যালেস্তাইনের গাজা শহরে। হামাস নির্মূল করতে অভিযানের পরিসর আরও বাড়াল ইজরায়েল (Israel) ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। লক্ষ্যভিত্তিক বিমান হামলার পাশাপাশি ইজরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি সশস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারী গোলাবর্ষণ করছে। এখনও গাজা শহরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ রয়েছেন। নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

    সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য (Israel)

    এদিকে, ইজরায়েল তাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য পেল। তারা জানিয়ে দিয়েছে, একটি সুনির্দিষ্ট বিমান হামলায় হত্যা করা হয়েছে হামাস নেতা (Hamas Commander) মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়েরকে। এই আবু আল-খায়েরকে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু হামাসের সামরিক নেতৃত্ব কাঠামোর পক্ষে এক বিরাট ক্ষতি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আইডিএফের সাফ কথা

    আইডিএফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া, একই সঙ্গে অসামরিক মানুষের ক্ষতি যতটা সম্ভব কমানো। এই উদ্দেশ্যেই ইজরায়েল গাজা শহরের বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাঁদের আল-রাশিদ রোড ব্যবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এটিই একমাত্র নিরাপদ পথ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য খোলা একটি অস্থায়ী মানবিক করিডর দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সফলভাবে সরিয়ে নেওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটি (Israel)।

    অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন রয়েই গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজের জন্য কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চেয়েছেন। প্রস্তাবিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৩০টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আধুনিক যানবাহন এবং ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য। ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্যাকেজ সাহায্য প্রমাণ করে যে, ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে থাকা অবস্থায়ও ইজরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার অটল (Hamas Commander)। ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যাঁরা সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য নিরাপদ পথ এখনও খোলা রয়েছে (Israel)।

  • JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর হাঁটু কেঁপে গিয়েছে জঙ্গিদের। দিন কয়েক আগে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি যে নিছক মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার, প্রতিরক্ষা ও সামরিক সূত্রে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সিংহ-বিক্রমে আক্ষরিক অর্থেই ভয় পেয়ে গিয়েছে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, সেই ভয়েই জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন (JEM Hizbul Mujahideen) তাদের ঘাঁটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে পাকিস্তানেরই (POK) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত এই জঙ্গি সংগঠনগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অভিযোজন। তারা এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আফগান সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

    অপারেশন সিঁদুর (JEM Hizbul Mujahideen)

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ। চার দিন পরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পূর্ণ মদত এবং প্রত্যক্ষ সাহায্যে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি ডেরা বদলাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সুরক্ষায় জেইএমের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক-ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের সহযোগিতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ

    প্রসঙ্গত, এই সব তথ্য ভারতের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথভাবে প্রস্তুত করা একটি ডসিয়ারের অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলার গড়ি হাবিবুল্লাহ শহরে (JEM Hizbul Mujahideen)। এখানে জেইএম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় সাত ঘণ্টা আগে প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ কর্মসূচি চালায়। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি ছিল জেইএম এবং জেইউআইয়ের যৌথভাবে পরিচালিত একটি গণ-সমাবেশ। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা মুফতি (POK) মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি ওরফে আবু মহম্মদ। তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং কাশ্মীর অঞ্চলে জেইএমের শীর্ষ নেতা।

    ইলিয়াস কাশ্মিরি মোস্ট ওয়ান্টেড

    ইলিয়াস কাশ্মিরি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড টার্গেট। তিনি জেইএমের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সূত্রের খবর, এম৪ রাইফেল হাতে জেইএম সশস্ত্র ক্যাডার ও স্থানীয় পুলিশ প্রহরায় জনসভায় তাঁর উপস্থিতি পাকিস্তানের জেইএমের প্রতি প্রত্যক্ষ মদতই প্রমাণ করে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে জইশ কমান্ডার ইলিয়াসকে বলে শোনা যায়, “সেনা সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে যাতে পদস্থ পাক কমান্ডাররা উপস্থিত থাকেন। তিনি এও বলেন, শহিদদের সম্মান জানাতে জওয়ানদের সেনার পোশাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এমনকী কিছু জওয়ানকে সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সদর দফতর থেকে। তাঁর দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের সৎকারে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ (POK) দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান খোদ আসিম মুনিরই (JEM Hizbul Mujahideen)।

    প্রকাশ্যে পাক মদত

    অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শেষকৃত্য করেছিল পাক সেনা। গান স্যালুট দিয়ে জঙ্গিদের শহিদ তকমা দিতেও শোনা গিয়েছিল তাঁদের। ইলিয়াসের দাবি, এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সেনবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় থেকে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দিল্লি এবং মুম্বই হামলায় মাদুস আজহারের হাত ছিল বলেও কবুল করেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, “দিল্লির তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং শত্রুদের কবল থেকে পালানোর পর আমির-উল-মুজাহিদিন মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বালাকোটে বসেই দিল্লির সংসদ ভবন এবং মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ছক কষেছিলেন (POK)। এই মাটি, এর প্রতিটি কণা, তাঁর কাছে ঋণী (JEM Hizbul Mujahideen)।’’

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান যে কেবল জঙ্গিদের আশ্রয়ই দেয় না, বরং ভারত-বিরোধী জঙ্গি হামলায় সরাসরি মদত দেয়, এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বারংবার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার স্বয়ং জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তির পর ভারতের দাবি যে আরও স্পষ্ট হল, তা বলাই বাহুল্য (JEM Hizbul Mujahideen)।

LinkedIn
Share