Blog

  • Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশে চলছে এসআইআর। এই পর্বের শেষেই শুরু হয়ে যাবে জনগণনার (Census) কাজ। অন্তত এমনই জানাল (Digital Survey) কেন্দ্র। ২০২৭ সালে হবে জনগণনা। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদে এমনই ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে চলতি বছরের ১৬ জুন। মোট দু’দফায় হবে এই সেনসাসের কাজ। প্রথম পর্যায়ে হবে গৃহ তালিকাভুক্তি ও আবাসন জনগণনা। এটি চলবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে জনগণনা। এটি হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের মতো পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে যেহেতু তুষারপাত হয়, তাই সেই সব জায়গায় জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Digital Survey)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, “দেশের সর্বত্র গণনার জন্য ২০২৭ সালের ১ মার্চকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বরফ-ঢাকা অঞ্চলগুলির জন্য জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর রেফারেন্স তারিখ গণ্য হবে। এই প্রক্রিয়াটিতে পূর্ববর্তী অনুশীলনগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    প্রশ্নপত্র তৈরি

    প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে জনগণের মতামত সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এমএইচএ জানিয়েছে (Digital Survey), জনগণনার প্রশ্নাবলী কেবল মাত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, ব্যবহারকারী সংস্থা এবং বিষয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত করা হয়। জনগণনা ২০২৭ সালের মধ্যে দেশব্যাপী একটি প্রি-টেস্ট গত ৩০ নভেম্বরে শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত প্রশ্নাবলী শীঘ্রই বিজ্ঞাপিত হবে বলেই মন্ত্রক জানিয়েছে। জনগণনা বিধি, ১৯৯০ সালের ৬ নম্বর বিধি অনুযায়ী, জনগণনার প্রশ্নাবলী এবং তফশিলগুলি আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১) এর অধীনে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপিত হয় সরকারি গেজেটের মাধ্যমে। প্রশ্নাবলী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনারের কার্যালয়।

    আগামী জনগণনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হবে ৭০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা। এটি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল জনগণনাও। এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। তবে যেসব অঞ্চলে এই সুবিধা নেই, সেখানে কাগজ-ভিত্তিক ফর্মও (Census) পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে সেই সময় হয়নি (Digital Survey)।

  • Delhi Red Fort Blast: ড্রোন-রকেটে হামাস ধাঁচে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ছক! এনআইএ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Red Fort Blast: ড্রোন-রকেটে হামাস ধাঁচে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ছক! এনআইএ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণের (Delhi Red Fort Blast) তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রকারীরা হামাসের (Hamas Style Attack) মতো সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। অভিযুক্তের মোবাইল থেকে মিলেছে ড্রোন এবং রকেট হামলার ভিডিও। গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে এক বিশাল বিস্ফোরণে জাতীয় রাজধানী কেঁপে ওঠে, যার ফলে ১২ জনের বেশি লোক নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিল। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মোহম্মদের সাথে যুক্ত একটি আন্তঃরাজ্য জঙ্গি মডিউল এই বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার নাশকতা মূলক জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কাজিগুন্ডের বাসিন্দা জসির বিলাল ওয়ানিকে গ্রফতার করেছিল এনআইএ। তার মোবাইল থেকে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    অ্যাপে হামলার ছক (Delhi Red Fort Blast)

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ অভিযুক্ত জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশের ফোন পরীক্ষা করেছে। তাকে গত মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এনআইএ তদন্তের সময় জানতে পেড়েছে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের (Delhi Red Fort Blast) অংশ হিসাবে হামাস (Hamas Style Attack)-ধাঁচের হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অস্ত্রধারী ড্রোন ব্যবহার করার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। জসির বিলাল ওয়ানিওর ফোনের ফোল্ডারে ড্রোন-রকেট লঞ্চারের কয়েক ডজন ছবি এবং ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। যদিও সকল ছবি নিজেই আগে ডিলিট করে দিয়েছিল। তবে মুছে ফেলা ফোল্ডারের তথ্যে ড্রোনে বিস্ফোরক স্থাপনের ভিডিও টিউটোরিয়াল অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওগুলি ওয়ানির কাছে বিদেশি হ্যান্ডলাররা একটি অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে। এনআইএ এই নাশকতা মূলক অ্যাপটিতে বেশ কয়েকটি বিদেশী হ্যান্ডলারদেও খুঁজে পেয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে তথ্য জোগাড়ের কাজ করছে।

    বিস্তৃত অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পরিকল্পনা

    আবার তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার (Delhi Red Fort Blast) ষড়যন্ত্রকারীরা ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে এমন একটি ড্রোন তৈরির কাজ করছিল। জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারীরা হামাসের (Hamas Style Attack) ব্যবহৃত গ্লাইডিং রকেটের মতো গ্লাইডিং রকেটও বিশেষ ভাবে পড়াশুনা করছিল। ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্দোউইংসের সিইও প্রতিষ্ঠাতা পারস জৈনকেও ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য এই রকেটগুলি মাটি থেকে বা এমনকি হাতেও নিক্ষেপ করা যেতে পারে। এগুলি মিসাইলের চেয়ে কম খরচের বিকল্প বিস্ফোরক হিসবে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি রকেট দিয়ে হামলা করতে ২০ সেকেন্ড সময় লাগে এবং ৩ মিনিটের মধ্যে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা যায়। ধৃত জানিয়েছে বিস্তৃত অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে হামাস প্রচুর পরিমাণে রকেট ব্যবহার যে যাবে করেছিল তাদেরও ঠিক একই পরিকল্পনা ছিল।

    ইসালামের নামে শহিদ হতে চেয়েছিল

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ওয়ানি সন্ত্রাসী মডিউলের কারিগরি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি এবং ক্যামেরা দিয়ে ড্রোনগুলিকে পরিবর্তন করার কাজে পারদর্শী হয়ে উঠেছিল। ওয়ানি ড্রোনগুলিতে বিস্ফোরক (Delhi Red Fort Blast) পেলোড সংযুক্ত করার এবং ক্ষুদ্র রকেট তৈরির চেষ্টাও করছিল।

    ২০২৪ সালের অক্টোবরে কুলগামের একটি মসজিদে ওয়ানির সাথে লালকেল্লার বোমা হামলাকারী ডক্টর উমর উন নবীর দেখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বেশ কয়েক মাস ধরে নবী ওয়ানিকে গভীরভাবে জিহাদ বিষয়ে প্রভাবিত করেছিল। আত্মঘাতী বোমা হামলা (Hamas Style Attack) চালানোর জন্য তাকে রাজি করানোর চেষ্টাও করেছিল। তবে, নবী তাকে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর জন্য বারবার নানাভাবে প্রচেষ্টা চালায়। তা সত্ত্বেও ওয়ানি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তবে ওয়ানি ২০২৫ সালের এপ্রিলে নবীর সঙ্গে সম্পর্কেকে অস্বীকার করে। আর্থিক সমস্যার জন্যই ইসলামের জন্য শহিদ হতে চেয়েছিল। তবে এনআইএ আরও জানিয়েছে, ওয়ানির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে রাজি না হওয়ায় তাকে সন্ত্রাসী মডিউলের প্রযুক্তিগত সহায়তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই হামলা যে হামাসের ছকে বড়সড় পরিকল্পনার অংশ ছিল তা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।

  • Calcutta High Court: ৩২ হাজার শিক্ষকের স্বস্তি, চাকরি বাতিল হচ্ছে না জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩২ হাজার শিক্ষকের স্বস্তি, চাকরি বাতিল হচ্ছে না জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বহাল থাকছে বত্রিশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের র্যবেক্ষণ, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। বিচারপতি বলেন, “যাঁরা ৯ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁদের পরিবারের কথাও ভাবতে হবে। যাঁরা সফল হননি তাঁদের জন্য সব ড্যামেজ করা যায় না।”

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    প্রাথমিক স্কুলের ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের ‘টেট’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরে ২০২৩ সালের মে মাসের ১২ তারিখ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে চাকরিচ্যুত হন প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষক। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোর্ট যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়েছে। এখানে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সিবিআই-এরও। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না।

    গোটা প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা যায় না

    দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের পড়াশোনা করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তৃতীয়ত, যখন এই সাক্ষাৎকার পর্ব (ইন্টারভিউ প্রসেস) চলছিল, সেই সময় যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি টাকা নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রমাণ নেই। যার ফলে গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে যে গলদ হয়েছে সেটা একেবারে বলা যাচ্ছে না। এদিন কোর্ট এও বলেছে, মামলা যাঁরা করেছিলেন, তাঁরা কেউ চাকরি করছিলেন না। ফলে যাঁরা পাশ করেননি তাঁদের জন্য গোটা প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা যায় না। আর সেই যুক্তিতেই ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়কে খারিজ করল।

    একগুচ্ছ অভিযোগ

    প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের নিয়োগের আইন মানা হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ বিধি মানা হয়নি।নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও সিলেকশন কমিটি ছিল না। থার্ড পার্টি এজেন্সি প‍্যানেল তৈরি করেছিল। অ‍্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়নি। অ‍্যাপটিটিউট টেস্টের কোনও গাইডলাইনই ছিল না। অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। ⁠কাট অব মার্কস নিয়ে উপযুক্ত তথ‍্য ছিল না বোর্ডের কাছে। শূন‍্যপদের অতিরিক্ত নিয়োগ হয়। এবং ⁠নূন্যতম যোগ্যতা নেই, এমন প্রার্থীরাও চাকরি পান। তবে এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় কিছু নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে, কিন্তু তার জন্য সবার চাকরি বাতিল করা উচিত বলে মনে করে না হাইকোর্ট।

     

     

     

  • Kashai: শ্বেত যজুর্বেদের অন্যতম কঠিন আবৃত্তি-প্রথা দন্তক্রাম পারায়ণম রপ্ত করে রেকর্ড গড়লেন তরুণ

    Kashai: শ্বেত যজুর্বেদের অন্যতম কঠিন আবৃত্তি-প্রথা দন্তক্রাম পারায়ণম রপ্ত করে রেকর্ড গড়লেন তরুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্রই উনিশ। এই বয়সেই নজির গড়ে ফেলেছেন বারাণসীর বৈদিক প্রতিভা বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে (Mahesh Rekhe)। শ্বেত যজুর্বেদের অন্যতম কঠিন এবং অত্যন্ত কম অনুশীলিত (Kashai) আবৃত্তি-প্রথা দন্তক্রাম পারায়ণম সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। তাঁর এই দক্ষতা কেবল প্রযুক্তিগত নিপুণতার জন্য নয়, বরং এমন একটি শাস্ত্রীয় রূপ পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ, যা প্রায় দু’শতাব্দী ধরে তাঁর বিশুদ্ধ রূপে সম্পাদিত হয়নি বলে মনে করা হয়।

    দন্তক্রাম (Kashai)

    এই সাফল্যের ব্যাপকতা দন্তক্রামের প্রকৃতিতেই নিহিত। শ্বেত যজুর্বেদের মধ্যন্দিন শাখায় প্রায় ২ হাজার মন্ত্র রয়েছে। এই আবৃত্তি প্রক্রিয়ায় ছন্দ, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং স্বরের কঠোর নিয়মানুবর্তিতা অনুসরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অসীম শৃঙ্খলার। পুরো ক্রমটি পাঠ্যগ্রন্থের কোনও সাহায্য ছাড়া, সম্পূর্ণ মুখস্থ, বিন্দুমাত্র ভুল ছাড়া এবং এমন স্বরনিয়ম মেনে আবৃত্তি করতে হয় যা ইতিহাসে মাত্র অল্প কয়েকজন পণ্ডিতই পূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছেন। টানা ৫০ দিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে এটি সম্পন্ন করা দেবব্রতকে ইতিহাসে এই প্রাচীন বৈদিক প্রথার সবচেয়ে বিরল অনুশীলনকারীদের মধ্যে এক অনন্য স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর সাফল্যের মূল ভিত্তি হল তাঁর পিতা তথা গুরু, মহারাষ্ট্রের সুপ্রতিষ্ঠিত বৈদিক পণ্ডিত বেদব্রহ্মশ্রী মহেশ চন্দ্রকান্ত রেখের বহু বছরের কঠোর দিকনির্দেশনা (Kashai)।

    শুক্ল যজুর্বেদ

    শৃঙ্গেরী পীঠের বেদ পোষক সভার অধীনে শুক্ল যজুর্বেদ মধ্যন্দিন শাখার প্রধান পরীক্ষক হিসেবে মহেশ রেখে বহু দশক ধরে বৈদিক মৌখিক উচ্চারণের প্রকৃত পদ্ধতি সংরক্ষণ করে আসছেন। এটি আজ তাঁর ছেলের অসাধারণ কৃতিত্বে প্রতিফলিত হয়েছে। মহেশের এই কৃতিত্বে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “১৯ বছর বয়সী বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে যা করেছেন, তা আগামী প্রজন্ম স্মরণ রাখবে! ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি (Mahesh Rekhe) যাদের ভালোবাসা আছে, তাদের প্রত্যেকেই তার জন্য গর্বিত। কাশীর সাংসদ হিসেবে আমি আনন্দিত যে এই অসাধারণ কীর্তি এই পবিত্র নগরীতে সম্পন্ন হয়েছে (Kashai)।”

  • Mohan Bhagwat: “মোদির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিশ্বনেতারা”, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “মোদির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন বিশ্বনেতারা”, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের শক্তি এখন প্রকাশ পাচ্ছে, দেশ খুঁজে পাচ্ছে তার যোগ্য জায়গা। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যখন কথা বলেন, তখন বিশ্বের নেতারা তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।” পুণেতে আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “কেউ যেন জয়ন্তী বা শতবার্ষিকীর মতো মাইলস্টোন উদযাপনের অপেক্ষায় না থাকে, বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্পিত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অবিচল থাকে।”

    ভাগবতের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    ভাগবত বলেন, “সংঘ সেই কাজটাই করে আসছে। সংঘ শতবর্ষ পূরণ করেছে, নানা চ্যালেঞ্জ এবং ঝড়ঝাপটা অতিক্রম করেছে, কিন্তু এখন আত্মসমালোচনার সময়। তবে সমগ্র সমাজকে একত্রিত করার কাজ করতে এত দীর্ঘ সময় কেন লাগল?” তাঁর মতে, সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় যে ভারত যখন উঠে দাঁড়ায়, তখন বিশ্বের নানা সমস্যার সমাধান হয়, সংঘাত কমে যায়, প্রতিষ্ঠিত হয় কাঙ্খিত শান্তি। সরসংঘ চালক বলেন,  “ইতিহাসে এই ঘটনা লেখা রয়েছে। আমাদের তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমান সময়ে এটিই সবচেয়ে জরুরি। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তামাম বিশ্ব ভারতের কাছ থেকে এই প্রত্যাশাই করে। আর সেই কারণেই সংঘের স্বয়ংসেবকরা প্রথম দিন থেকেই এই সংকল্প নিয়ে কাজ করে আসছেন।”

    মোদির কথা কেন বিশ্ব এত মনোযোগ দিয়ে শোনে

    ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক মর্যাদা তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা কেন বিশ্ব এত মনোযোগ দিয়ে শোনে, জানেন? তাঁর কথা এখন শোনা হচ্ছে কারণ ভারতের শক্তি এখন সেই সব জায়গায় প্রকাশ পেতে শুরু করেছে, যেখানে তার থাকা উচিত। আর এই কারণেই বিশ্ব ভারতের দিকে নজর দিচ্ছে (Mohan Bhagwat)।” এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি স্মরণ করেন আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের ত্যাগ ও অবদানের কথা। তিনি বলেন, “১৯২৫ সালে নাগপুরে হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার পর সংঘের স্বয়ংসেবকরা বহু প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তাঁদের দায়িত্ব পালনের যাত্রা শুরু করেছিলেন।” ভাগবত জানান, তাঁদের কাজ ইতিবাচক ফল দেবে, এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। বলেন, “সংঘ স্বয়ংসেবকরা সাফল্যের বীজ বপন করেছিলেন এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে পরিবর্তনের পথ তৈরি করেছিলেন। তাঁদের প্রতি আমাদের সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকা উচিত (PM Modi)।”

    সরসংঘ চালক বলেন, “আমাদের ভিত্তি বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে ঐক্যে নিহিত। তাই আমাদের এক সঙ্গে চলতে হবে। আর তার জন্য ধর্ম অপরিহার্য। ভারতের সব দার্শনিক মতবাদ একটি উৎস থেকেই উদ্ভূত। কারণ সব কিছুই পরস্পর সংযুক্ত। আমাদের সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগোতে হবে (Mohan Bhagwat)।”

  • Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin visit India)। বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে দিল্লি আসবেন পুতিন। র আগে মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তিতে অনুমোদন দিয়ে রাখল রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা। দু’দেশের মধ্যে লজিস্টিক সাহায্যের আদানপ্রদানের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির নাম ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস। দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার দিক থেকে এই চুক্তিটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পুতিন এমন এক সময়ে দিল্লিতে আসছেন, যখন আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ফলে এই সফরে দিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি করতে চাইছেন পুতিন। এ ক্ষেত্রে রুশ তেলের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত বিষয়ও।

    পুতিনের সফরসূচি

    প্রেসিডেন্ট পুতিন ৪ ডিসেম্বর সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে পৌঁছবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ধে ৭টায় ৭ লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। পরের দিন, ৫ ডিসেম্বর, সকাল ৯ টায়, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে পুতিনকে (Putin visit India) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তিন বাহিনীর একটি গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। তারপর, সকাল ১০ টার মধ্যে, পুতিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে পৌঁছবেন। সকাল ১১ টায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পুতিন হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, মহাকাশ এবং কৌশলগত সহযোগিতা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার পর উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতিও জারি করবেন। বিকেল ৪টায়, দুই নেতা ভারত-রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামেও ভাষণ দেবেন। এখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে আলোচনা হবে। এই পর্যায়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৫ ডিসেম্বর সন্ধে ৭টায় রাষ্ট্রপতি পুতিনের সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করবেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রায় ৩০ ঘণ্টার ভারত সফর শেষে সন্ধেয় ভারত থেকে রাশিয়া ফিরবেন।

    আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাণিজ্য চুক্তি, একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তার আগে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহেই এই চুক্তিটিতে অনুমোদনের জন্য রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাঠান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন। মঙ্গলবার তাতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নিম্নকক্ষ। স্টেট ডুমার স্পিরাক ভ্যাচেস্লভ ভলোদিন বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত এবং সার্বিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্কের কদর করি। এই চুক্তির অনুমোদন পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

    আরইএলওএস চুক্তি কী

    আরইএলওএস চুক্তিতে রুশ সামরিক সরঞ্জাম, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান রাশিয়া থেকে ভারতে সরবরাহের পদ্ধতিগত বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। একই রকম ভাবে ভারতের থেকেও সামরিক সহযোগিতার পদ্ধতিগত দিকও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। এটি দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি। দু’দেশের বাহিনীর যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সামরিক আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। পুতিনের ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে। অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সাহায্যের পথ আরও দৃঢ় করতে একটি সমঝোতা স্মারক (মউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। পুতিনের সফরের আগে এমন একটি সমঝোতা স্মারকে অনুমোদন দিয়েছে রুশ মন্ত্রিসভা। রাশিয়ার তরফে এই সমঝোতায় সই করবে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটম। তারা আগে থেকেই তামিলনাড়ুতে বেশ কিছু পরমাণু রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে।

    দিল্লি-মস্কো সম্পর্ক অটুট

    ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম ভারত সফর। এই সফরের দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতীয় পণ্যে দুই দফায় ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বললেন, ‘ভারতের উপরে যে চাপ রয়েছে আমরা জানি।’ ট্রাম্পের হুমকি এবং পশ্চিমের বেশ কিছু দেশের আপত্তির পরেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। রুশ তেল আমদানি সামান্য কিছুটা কমলেও, তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। এখনও ভারতে জ্বালানি তেলের সিংহ ভাগই আসে রাশিয়া থেকেই। ট্রাম্পের হুমকির যাতে কোনও প্রভাব দিল্লি-মস্কো বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরে না পড়ে, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দিনের ভারত সফরে তা নিশ্চিত করতে চাইবেন পুতিন।

  • Suvendu Adhikari: মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল! ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল! ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআরের (SIR) কথা ঘোষণা হতেই ফুঁসে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। সৌজন্য তো বটেই, হেটো রাজনীতি করতে গিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে (বিরোধীদের অভিযোগ) এসআইআরের প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন (Suvendu Adhikari), ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের বাঁচিয়ে রেখে দিব্যি গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূল। এসআইআর হলে বাদ পড়বে এদের নাম। স্বাভাবিকভাবেই গদি খুইয়ে পথে বসতে হবে তৃণমূলেশ্বরীকে। রাজ্যের বিরোধী দল প্রথম থেকেই এই দাবিটাই করে আসছে।

    হাতে গরম প্রমাণ (Suvendu Adhikari)

    তাঁদের অভিযোগ, ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের কার্ড কাজে লাগিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল। তাই এই বিরোধিতা। বিরোধীদের এহেন দাবি যে নিছক গল্পগাছা নয়, তার ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ছবিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বিডিওদের দিয়ে অপকর্ম করানো হচ্ছে। প্রশাসনকে অপব্যবহার করে প্রভাবিত করা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়াকে। শুভেন্দুর দাবি, “কুলতলি, জয়নগর বিধানসভা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিএলওদের চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে।”

    কথোপকথনের নমুনা

    কুলতলির বিডিও যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন তার কথোপকথন নমুনা হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নিধেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যে ভোটাররা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, তাঁদের তথ্যও অপরিবর্তিত রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে (SIR)।” বিধায়কের (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অমান্য করে প্রশাসন আদৌ কি এই রকম নির্দেশ দিতে পারে?” এই ইস্যুটি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের পোস্টের পর এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

    আইপ্যাককে নিয়ে প্রশ্ন

    সোমবারই সিইও অফিসে গিয়ে মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। সিইও-র সঙ্গে বৈঠকের সময় আইপ্যাককে নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আইপ্যাকের সাহস হয় কীভাবে, ডেটা এন্ট্রিতে ঢুকছে?” এজন্য সিবিআই তদন্তও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আইপ্যাককে নিয়ে আগেও বোমা ফাটিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আইপ্যাকের সাহায্য নিয়ে ভোটার তালিকায় ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নাম রাখছে (SIR)। তাঁর প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশন কি এই প্রশাসনিক অন্তর্ঘাত উপলব্ধি করতে পারছে না?”

    দলদাস প্রশাসনের কীর্তি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “দলদাস প্রশাসনের কীর্তি দেখুন। এই ভয়েস ক্লিপিং ফলতারই একজন বিএলওর যিনি পরিষ্কার অভিযোগ করেছেন, ফলতার বিডিও এবং এআরও গতকাল বিকেল তিনটের পর সব বিএলওদের ফোন করে নির্দেশ দেন, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও মৃত ব্যক্তির নাম কাটা যাবে না। অথচ পরিবারের লোক মৃতদের এনুমারেশন ফর্মে ডিক্লিয়ারেশন স্বাক্ষর করেছেন (Suvendu Adhikari)। বিএলওদের বলা হচ্ছে, ফর্মগুলি আপলোড না করে, অ্যানিম্যাপিং করে ছেড়ে দিতে, কেন যাতে পরে জোচ্চুরি করা যায়!” শুভেন্দু বলেন, “ফলতা নিয়ে অডিও ট্যুইট করেছি। তার পরে কুলতলিতে স্ক্রিনশট দিয়েছি। বলছে, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া মৃত ভোটারের নাম কাটা যাবে না। অথচ তাঁর বাড়ির লোক লিখে দিচ্ছেন ডেড। তবুও রাখতে হবে। এরা হাইকোর্ট, কাউকে মানে না। এদের কপালে অনেক দুঃখ আছে (SIR)।”

    অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিল সিপিএমও

    এদিকে, মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রেখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমন মারাত্মক অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিল সিপিএমও (Suvendu Adhikari)। এর প্রায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করে কার্যত একই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, এই অডিও ক্লিপে একটি কণ্ঠস্বর এক বিএলওর। যিনি ফলতার বিডিও এবং এআরওর নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন। সোমবার সিইওর দফতরে সিপিএমের তরফে যে অডিও ক্লিপ জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও শোনা গিয়েছে, মৃতদের নাম ভোটার লিস্টে রেখে দিতে, ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়ার প্রসঙ্গ।

    এদিকে, নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে ১০০ শতাংশ পূরণ করা এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ এই পোলিং স্টেশনগুলিতে না কোনও মৃত ভোটার আছে, না কোনও স্থানান্তরিত ভোটার। এমনটা কি আদৌ সম্ভব? এই পরিসংখ্যান নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই বারংবার প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভোটার তালিকায় মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে রাখার মরিয়া (SIR) চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল (Suvendu Adhikari)?

  • Suvendu Adhikari: হিন্দু শরণার্থীদের ভোটার লিস্টে নাম না তোলার নির্দেশ মমতার, কল রেকর্ড ফাঁসে বিস্ফোরক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হিন্দু শরণার্থীদের ভোটার লিস্টে নাম না তোলার নির্দেশ মমতার, কল রেকর্ড ফাঁসে বিস্ফোরক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নাকি খুব স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও হিন্দুদের যেন ভোটার তালিকায় নাম না ওঠে। এবার এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মমতাবালা ঠাকুর সমর্থিত তৃণমূলের একটি মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশি শরণার্থীদের এমন মন্তব্য যে করেছেন সেই রেকর্ড নাকি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে আছে। ঠিক এমন দাবি তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তবে রাজ্যে এসআইআর আবহে বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে ফের একবার রাজনৈতিক পারদ চরম শিখরে।

    হিন্দু বিরোধী মমতা (Suvendu Adhikari)

    মালদার ইংরেজ বাজারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন বাংলাদেশ থেকে ধর্মরক্ষার জন্য আসা হিন্দুদের নাম যেন না তোলা হয়। শুধু তাই নয় উত্তর ২৪ পরগনার ডিএম-কে কোট করে বলেছেন নাম যেন না তোলা হয় ভোটার লিস্টে। আমার কাছে রেকর্ডিং রয়েছে। আর এরপর থেকেই জেলাশাসক ভোট কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ধর্ম বাঁচানোর জন্য যারা এই দেশে এসেছেন তাদের নাম যাতে বাদ দেওয়া হয় তার জন্যই নির্দেশ দিয়েছেন। ইনিই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, উনি সম্পূর্ণ হিন্দু বিরোধী।”

    রাজধর্ম পালনের বদলে চলেছে তোষণ

    মালদায় এদিন বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভাষা, জাতের নামে বিভক্ত করা যাবে না। হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেউ কেউ বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তবে পশ্চিমবঙ্গে ধর্ম যার, রক্ষা করার দায়িত্বও তার। যদি আমরা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র জাতের নামে বিভক্ত হয় তাহলে শত্রুরা সুযোগ নেবে। তাই হিন্দুদের নাম, জাত পাতের ভিত্তিতে আলাদা হওয়া যাবে না। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল খুব পরিকল্পনা করে আমাদের উপর আক্রমণ করছে। আমাদের লোকজন যেখানে সংখ্যা কম সেখানে আমাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যাদের রাজধর্ম পালনের কথা তাঁরা এখন তোষণের রাজনীতি করছে। আমরা অনেক নিরপেক্ষতার পোশাক গায়ে দিয়ে নিজেদের ক্ষতি করেছি। আমরা কাউকেই আঘাত করতে চাই না। আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাস করি। আমরাই কেন আক্রান্ত হবো?”

  • Expired Flood Relief: মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণ পাঠাল পাকিস্তান! বন্যাবিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাকে এ কেমন সহায়তা শরিফ সরকারের?

    Expired Flood Relief: মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণ পাঠাল পাকিস্তান! বন্যাবিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাকে এ কেমন সহায়তা শরিফ সরকারের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি, বন্যা, সবশেষে ঘূর্ণিঝড় দিটওয়া-র (Cyclone Ditwah) কবলে পড়ে বিধ্বস্ত অবস্থা শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)। মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে, আশ্রয়হীন বহু মানুষ। অধিকাংশ এলাকা জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে সেই সাহায্যের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানকে ঘিরে। অভিযোগ, পাকিস্তান যে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে (Pakistan sends expiry relief fund to Sri Lanka), সেগুলির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসে পাকিস্তান হাইকমিশনের (Pakistan High Commission) একটি পোস্ট থেকে।

    মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণ সামগ্রী

    গত ৩০ নভেম্বর কলম্বোয় পাকিস্তানের হাই কমিশন শ্রীলঙ্কাকে পাঠানো ত্রাণের ছবি পোস্ট করেছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে লিখেছে,‘শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের ভাই-বোনদের জন্য পাকিস্তান সফল ভাবে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। পাকিস্তান আজ এবং ভবিষ্যতে সব সময় শ্রীলঙ্কার পাশে।’ সেই পোস্টে ত্রাণসামগ্রীর (Expired flood relief) কিছু ছবি দিয়েছে পাকিস্তান। তাতে দেখা গিয়েছে, খাবারের প্যাকেটে তার মেয়াদের তারিখ লেখা রয়েছে— ২০২৪ সালের অক্টোবর। সেই মেয়াদ অনেক দিন আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে।

    নেটিজেনদের সমালোচনা

    এর পরেই নেটিজেনদের একাংশ সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের। কেউ বলেছেন, বিপাকে পড়া মানুষজনকে আদতে অপমান করছে পাকিস্তান। অনেকে বলছেন, খাবারের প্যাকেটের ছবি পোস্ট করার আগে তার মেয়াদ খতিয়ে দেখা উচিত ছিল পাকিস্তানের হাই কমিশনের। সমালোচনা বাড়তেই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। তবে বিতর্ক এড়াতে ভারতকেই (India) কাঠগড়ায় তুলছে পাক সরকার। তারা দাবি করেন, শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ পাঠাতে বাধা দিচ্ছে ভারত। তাঁদের আকাশসীমায় তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

    ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি

    দিল্লির তরফে এই দাবি ইতিমধ্যেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ১ ডিসেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ পাকিস্তান ভারতের (India-Pakistan) কাছে অনুরোধ জানায়, শ্রীলঙ্কার (Srilanka) বন্যা-পরিস্থিতিতে সাহায্য পাঠানোর জন্য তাদের বিমানকে ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক। বিষয়টি মানবিক সহায়তার হওয়ায় ভারত তৎক্ষণাৎ প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই অনুমোদন দিয়ে দেয়। অর্থাৎ, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই সবুজ সংকেত পায় পাকিস্তান।

    প্রতিবেশীর পাশে ভারত

    গত সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার। তার কয়েক দিনের মাথায় ফের তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় দিটওয়া। এই দুইয়ের জেরে সাগর সংলগ্ন একাধিক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ভারত ইতিমধ্যেই ত্রাণ পাঠাতে শুরু করেছে। নৌবাহিনী, বায়ুসেনা ও এনডিআরএফ- ‘অপারেশন সাগর বন্ধু’-র আওতায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিলিতে অংশ নিচ্ছে। খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী, বিশেষ উদ্ধারকারী দল, জাহাজ- সবই পাঠানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৩ টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা ডিসানায়েকের (Anura Kumara Dissanayake) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি শ্রীলঙ্কার মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আরও সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দেন।

  • Suvendu Attacks Mamata: ‘দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি’! মুখ্যমন্ত্রীর ‘উন্নয়নের পাঁচালিকে’ কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: ‘দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি’! মুখ্যমন্ত্রীর ‘উন্নয়নের পাঁচালিকে’ কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পেরোলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগেই ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে ১৪ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে মানুষের আদালতে চার্জশিট পেশ করবে বিজেপি৷ মঙ্গলবার এদিন ৩৫ ফুট হনুমান মূর্তির উদ্বোধনে মালদায় আসেন শুভেন্দু ৷ মূর্তি উদ্বোধন কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যায় তিনি পুরাতন মালদার একটি বিলাসবহুল হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৷ সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা৷

    আয়ুষ্মান ভারত চালু করুন

    এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রয়াত রতন টাটা যেটা বলে গেছেন, সেটাই সঠিক। যে ট্রিগার মাথায় রেখে আমাকে রাজ্য থেকে তাঁড়ানো হল। আমি খারাপ এম-এর কাছ থেকে ভাল এম-এর কাছে গেলাম। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর এই রাজ্য থেকে বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন আপনি। ..আপনার সার্টিফিকেট প্রয়াত রতন টাটা দিয়ে গিয়েছেন। আপনাকে শিল্প নিয়ে আর কিছু করতে হবে না।..আবার আজকে বলেছেন দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে! আপনি নির্বাচনে চালিয়ে যাচ্ছেন। ৪২ লক্ষ ছেলে মেয়েকে স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এরও তালিকা আমরা দেখতে চাই। আপনার আমলে, স্বাস্থ্য বাজেটে ছয় গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। আপনি অবিলম্বে আয়ুষ্মান ভারত চালু করুন।’’

    স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি

    শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন। এবং আমরা বলি এটা জলাঞ্জলির পাঁচালি। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলার গৌরব, সংষ্কৃতি, মায়ের সম্মান, কন্যার সুরক্ষা, আপনার হাতেই, জলাঞ্জলি হয়েছে। এর উত্তর অভয়ার বাবা-মা সঠিকভাবে দিতে পারবেন। তাই এই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি, যথা সময়ে রাজ্যস্তরে ব্যর্থতার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা শুধু নয়, ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে, আপনি ১১, ১৬, ২১ এর বাজেটে, ডিপার্টমেন্টাল বাজেটে, কী কমিট করেছেন, আর কী করেছেন, আমরা জানুয়ারি মাসে প্রতিটা বিধানসভাতে, উপস্থিত হয়ে আপনার বিরুদ্ধে, আপনার নির্বাচিত এমএলএ-দের বিরুদ্ধে, চার্জশিট দাখিল করব।’’

    উন্নয়নের পাঁচালি-কে কটাক্ষ

    ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই, মঙ্গলবার নবান্নে তৃণমূল সরকারের সাড়ে ১৪ বছরের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দফতর ভিত্তিক কাজের খতিয়ানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের পাঁচালি’। একে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আইপ্যাকের তৈরি করা চিত্রনাট্য, উন্নয়নের পাঁচালি প্রকাশ করেছেন ৷ আজ তৃণমূলের একটি প্রচার অভিযানের সূচনা হয়েছে ৷ এটা উন্নয়ন নয়, ঢপের পাঁচালি, হতশ্রী পাঁচালি, জলাঞ্জলির পাঁচালি ৷ এতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫ জনের দল গঠন করা হয়েছে ৷ মিথ্যা প্রচার করার জন্য প্রতিটি দলকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ এরা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে মন্দির দর্শন করবে ৷ তারপর জনসভা, কমিউনিটি লাঞ্চ করে একজন দলীয় কর্মীর বাড়ি পরিদর্শন করবে ৷ সন্ধ্যায় স্ট্রিট কর্ণার করে এলইডি ভ্যানের মাধ্যমে পিসি’র প্রচার হবে ৷ সেই প্রচারের সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই ৷’’

    তৃণমূলের চাকরি চুরি

    নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘তিনি বলেছেন, রাজ্যের জিএসডিপি হয়েছে ২০ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা ৷ পুরোপুরি মিথ্যা ৷ দারিদ্র সীমার বাইরে আনা হয়েছে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে ৷ প্রধানমন্ত্রীর অন্ন সুরক্ষা যোজনার চাল আর গম যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলেই বোঝা যাবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অবস্থা কী ৷ তিনি বলছেন, বেকারত্বের হার কমিয়েছেন ৪০ শতাংশ ৷ আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, তিনি কাদের চাকরি দিয়েছেন, তাদের নাম, বাবার নাম আর ঠিকানা দিয়ে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করুন ৷’’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘এই মুখ্যমন্ত্রী বামফ্রন্টের রেখে যাওয়া এক কোটি বেকারকে ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকারে পরিণত করেছেন ৷ এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ২০১৫ সালে শেষ এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিল ৷ ২০১৭ সালে শেষবার পিএসসি পরীক্ষা হয়েছিল ৷ দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে কোনও পরীক্ষা হয়নি ৷ চাকরিও হয়নি ৷ বরং, চাকরি চুরি হয়েছে ৷’’

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীকে বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, ‘‘রাজ্যের ৫১ টি কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র বন্ধ কেন? যুবশ্রীর কী হল? আপনি বলেছেন কৃষিক্ষেত্রে ৯.১৬ গুণ উন্নয়ন হয়েছে ৷ আপনাকে বলতে হবে সারের কালোবাজারি হয় কেন? রাজ্যে যত সরকারি জমি রয়েছে, আপনার লোকজন তার রেকর্ড পাল্টে দিয়েছে ৷ ভূমি দফতর আপনারই হাতে ৷ আমি বলছি, রাজ্যে একটাও কর্মসংস্থান হবে না ৷ তাজপুর বন্দর আর দেউচা পাঁচামি নিয়ে আপনি তিনটি নির্বাচনে ভাঙা টেপ রেকর্ড চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ আসলে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের পাঁচালি-কে দুর্নীতি, তোষণ আর সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি বলে অভিমত শুভেন্দুর।’’

     

     

     

     

LinkedIn
Share