Ramakrishna 526: “ঈশ্বরীয় রূপ কত যে দর্শন হয়েছে, তা বলা যায় না। সেই সময়ে বড় পেটের ব্যামো”

ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-526th-copy

৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

নবম পরিচ্ছেদ

১৮৮৫, ১৫ই জুলাই
শ্রীরামকৃষ্ণের কুষ্ঠি — পূর্বকথা — ঠাকুরের ঈশ্বরদর্শন
রাম, লক্ষ্মণ ও পার্থসারথি-দর্শন—ন্যাংটা পরমহংসমূর্তি

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে সেই ছোট ঘরে কথা কহিতেছেন। মহেন্দ্র মুখুজ্জে, বলরাম, তুলসী, হরিপদ, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তেরা বসিয়া আছেন। গিরিশ ঠাকুরের কৃপা পাইয়া সাত-আট মাস যাতায়াত করিতেছেন। মাস্টার ইতিমধ্যে গঙ্গাস্নান করিয়া ফিরিয়াছেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া তাঁহার কাছে বসিয়াছেন। ঠাকুর তাঁহার অদ্ভুত ঈশ্বর-দর্শনকথা একটু একটু বলিতেছেন (Kathamrita)।

“কালীঘরে একদিন ন্যাংটা আর হলধারী অধ্যাত্ম (রামায়ণ) পড়ছে। হঠাৎ দেখলাম নদী, তার পাশে বন, সবুজ রঙ গাছপালা,—রাম লক্ষ্মণ জাঙ্গিয়া পরা, চলে যাচ্ছেন। একদিন কুঠির সম্মুখে অর্জুনের রথ দেখলাম।—সারথির বেশে ঠাকুর বসে আছেন। সে এখনও মনে আছে।

“আর একদিন, দেশে কীর্তন হচ্ছে,—সম্মুখে গৌরাঙ্গমূর্তি।

“একজন ন্যাংটা সঙ্গে সঙ্গে থাকত—তার ধনে হাত দিয়ে ফচকিমি করতুম। তখন খুব হাসতুম। এ ন্যাংটোমূর্তি আমারই ভিতর থেকে বেরুত। পরমহংসমূর্তি,—বালকের ন্যায়।

“ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) রূপ কত যে দর্শন হয়েছে, তা বলা যায় না। সেই সময়ে বড় পেটের ব্যামো। ওই সকল অবস্থায় পেটের ব্যামো বড় বেড়ে যেত। তাই রূপ দেখলে শেষে থু-থু করতুম—কিন্তু পেছেনে গিয়ে ভূত পাওয়ার মতো আবার আমায় ধরত! ভাবে বিভোর হয়ে থাকতাম, দিনরাত কোথা দিয়ে যেত! তার পরদিন পেট ধুয়ে ভাব বেরুত!” (হাস্য)

গিরিশ (সহাস্যে)—আপনার কুষ্ঠি দেখছি।

শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দ্বিতীয়ার চাঁদে জন্ম। আর রবি, চন্দ্র, বুধ—এছাড়া আর কিছু বড় একটা নাই।

গিরিশ—কুম্ভরাশি। কর্কট আর বৃষে রাম আর কৃষ্ণ;—সিংহে চৈতন্যদেব।

শ্রীরামকৃষ্ণ—দুটি সাধ ছিল (Kathamrita)। প্রথম—ভক্তের রাজা হব, দ্বিতীয় শুঁটকে সাধু হবো না।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share