Tag: bangla news

bangla news

  • Zakir Naik: দিল্লির হঁশিয়ারির পরে সতর্ক বাংলাদেশ! পলাতক জাকিরকে এখন ঢাকা সফরে অনুমতি দিচ্ছেন না ইউনূস

    Zakir Naik: দিল্লির হঁশিয়ারির পরে সতর্ক বাংলাদেশ! পলাতক জাকিরকে এখন ঢাকা সফরে অনুমতি দিচ্ছেন না ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপেই সাবধানী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দিল্লির বার্তার পরে ভারত থেকে পলাতক জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশ সফরের অনুমতি দিচ্ছে না সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাকিরের (Zakir Naik) বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপেও তাঁর যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে এই সিদ্ধান্ত আপাতত। স্থায়ী সিদ্ধান্ত নয়। পাকিস্তানের পথ অনুসরণ করে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। তা দৃশ্যতই। কিন্তু বেড়ে খেলতে গিয়ে, ধাক্কা খেল ঢাকা! আপাতত ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও খারাপ করতে নারাজ বাংলাদেশ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক করেছে মঙ্গলবার। সেই বৈঠকে জাকির নায়েকের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন হতে পারে। জাকির নায়েকের নাকি বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয়তা যে, ব্যাপক ভিড় হবে তাঁকে দেখতে ও তাঁর কথা শুনতে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর পুলিশ অফিসার ও নিরাপত্তরক্ষী প্রয়োজন। এই মুহূর্তে পুরো ফোকাস রয়েছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। তাই জাকির নায়েকের এত নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। তবে, ভারতে সন্ত্রাসে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া জাকিরের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হল আন্তর্জাতিক চাপ। আর সেই চাপের অন্যতম হল ভারত। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারত এই মুহূর্তে কার্যত চালকের আসনে রয়েছে। বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম। আর ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গতি নেই। যতই পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াক, ঢাকা জানে, তাদেরই মতো বা তাদের থেকেও কাঙাল অবস্থা পাকিস্তানের।

    ভারতের চাপের কাছে নতিস্বীকার

    গত সপ্তাহে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেছিলেন জাকির নায়েক (Zakir Naik)  ঢাকায় গেলে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে তাঁকে গ্রেফতার করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। বাংলাদেশের একটি অসরকারি প্রতিষ্ঠান জাকির নায়েককে চলতি মাসের ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। দু’দিনই দুটি বড় স্টেডিয়ামে তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা। এই খবর জানাজানি হতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে ছিল, ঢাকার উচিত হবে জাকির নায়েককে গ্রেফতার করে দিল্লির হাতে তুলে দেওয়া। দীর্ঘদিন যাবত মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ আনে। সেই সময় দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল জাকিরের মন্তব্যকে ঘিরে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছিল। ভারতে একাধিক আদালতে এই ইসলামিক স্কলার ও সুবক্তার বিরুদ্ধে মামলা চালু আছে। জাকিরকে নিয়ে ভারতের চাপের মুখে বাংলাদেশ করা প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শুধু বলেন ভারতের প্রতিক্রিয়ার দিকে তাদের নজর আছে। দেখা গেল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কঠোর মনোভাবের পর বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত করলেন জাকিরকে ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

     

     

     

     

  • Anti Hindu: নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি

    Anti Hindu: নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ ইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। তিনি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী কার্টিস স্লিওয়া এবং নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাস্ত করেন। মামদানি হলেন নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র (Anti Hindu)। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া বছর চৌত্রিশের এই ব্যক্তি কুইন্স স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া মোট ভোটের মাত্র ৭ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি পেয়েছেন। আর ৪০ শতাংশের একটু বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কুয়োমো। চলতি বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে কুয়োমোকে পরাজিত করেছিলেন মামদানি।

    মামদানির ঐতিহাসিক জয় (Anti Hindu)

    মামদানির এই ঐতিহাসিক জয়ের খবর এল এমন একটা সময়, যখন দেশজুড়ে ডেমোক্র্যাটরা বেশ কয়েকটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নরের নির্বাচনও। ডেমোক্র্যাটরা আরও পাঁচটি কংগ্রেশনাল আসনও দখল করে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ নিউ ইয়র্কবাসী ভোট দেন। ১৯৬৯ সালের পর থেকে এটি শহরের মেয়র নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটারের অংশগ্রহণ। মামদানি গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র (Zohran Mamdani)। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর ও আর্থিক কেন্দ্রের প্রথম আফ্রিকায় জন্ম, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। তিনি প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী মেয়রও।

    হাউজিং কাউন্সিলর

    সংবাদ মাধ্যমে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি (Anti Hindu)। উগান্ডার কাম্পালায় অভিবাসী বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন মামদানি। বেড়ে ওঠা ম্যানহাটনে। সেখানকার একটি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। স্নাতক হন নিউ ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তিনি হাউজিং কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ভাড়াটিয়া অধিকার এবং আবাসন ব্যয়সাধ্যতার সমস্যাগুলির ওপর কাজ করেন তিনি। মামদানি মীরা নায়ারের ছেলে। এই মীরা নায়ারই নির্মাণ করেছিলেন ‘মনসুন ওয়েডিং’ এবং ‘সালাম বম্বে’র মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্র। মামদানির বাবা মাহমুদ মামদানি উগান্ডার শিক্ষাবিদ। তিনি উপনিবেশবাদ এবং আফ্রিকান গবেষণা সম্পর্কিত পাণ্ডিত্যের জন্য পরিচিত। তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

    মামদানির পোস্ট

    জয়ের খবর পাওয়ার পর মামদানি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, মেট্রো রেলের দরজা খুলছে, আর দেওয়ালে লেখা, ‘জোহরান ফর নিউ ইয়র্ক সিটি’। মুহূর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। মামদানি বলেন, “এই শহর সবার। আমরা এক সঙ্গে ন্যায় ও সহানুভূতির পথে এগিয়ে যাব। নিউ ইয়র্ক এখন নতুন দিগন্তের দিকে হাঁটছে।”

    হিন্দু বিদ্বেষ

    রাজনীতির জগতে পা রাখার আগে মামদানি ছিলেন নিতান্তই এক অচেনা মুখ। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে দ্রুতই তিনি চলে আসেন খবরের শিরোনামে। ২০২২ সালের (Zohran Mamdani) অগাস্টের একটি ভিডিওয় দেখা যায়, তিনি একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই মিছিলে থাকা লোকজন লাগাতার হিন্দুদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর স্লোগান দিচ্ছিল। ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনকে তিনি একটি ‘মসজিদ ধ্বংসের উদযাপন’ এবং ‘নির্যাতনের অস্ত্র’ আখ্যা দেন (Anti Hindu)।

    মামদানির বিতর্কিত মন্তব্য

    মামদানি গত বছর নিউ ইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ‘হিন্দুত্বের চরমপন্থা’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, “গুজরাট দাঙ্গার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলমানদের হত্যায় সাহায্য করেছিলেন।” মোদির সমর্থক হিন্দুদের তিনি ‘ফ্যাসিবাদী’ও আখ্যা দেন। মে মাসে নিউ ইয়র্ক ফোকাস আয়োজিত এক জনসভায় মামদানি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন। তাঁকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তুলনাও করেন (Anti Hindu)। তিনি ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইনতিফাদার’ মতো ইহুদি-বিরোধী গণহত্যামূলক স্লোগানকেও সমর্থন করেন।

    ইহুদি-বিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

    হিন্দু-বিরোধী সংগঠন ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR)’ এবং অন্যান্য ইহুদি-বিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগের কালিও লেগেছে তাঁর গায়ে। ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, মামদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ থেকে ৩ লাখ ডলারের মধ্যে বলে অনুমান। এর বেশিরভাগই সম্পত্তি উগান্ডায় পারিবারিক মালিকানাধীন জমি থেকে। এর মূল্য দেড় থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যে। নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে তাঁর বার্ষিক বেতন ১.৪২ লাখ ডলার (Zohran Mamdani)।

    ট্রাম্পের হুমকি

    মামদানির জয়ের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। রিপালিকান শিবির থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ‘চরমপন্থী ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির প্রতীক’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। নির্বাচনের দিন সকালেই ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “যদি মামদানি জেতেন, তবে আমি নিউইয়র্ক শহরকে ফেডারেল সরকারের অতিরিক্ত অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেব (Anti Hindu)।”

    এখন ট্রাম্প কী ব্যবস্থা নেন, সেটাই দেখার।

  • Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    Manipur: মণিপুরে ‘অপারেশন খানপি’, খতম ৪ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে খতম চার কুকি জঙ্গি। মণিপুরের (Manipur) চূড়াচাঁদপুর জেলার ঘটনা। সোমবার ভোরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অসম রাইফেলস গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান শুরু করে। ‘অপারেশন খানপি’ নামের এই অভিযান চালানো হয় জেলা সদর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিমি দূরের খানপি গ্রামে। অভিযান শুরু হয় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ। সেই সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists)-র জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মির চার জঙ্গি নিকেশ হয়। ওই দলের বাকি জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয় পাশের জঙ্গলে। ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি একটি নন-সাসপেনশন অফ অপারেশনস গোষ্ঠী, যারা সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি হিংসার ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাম প্রধানকে হত্যা, সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়া এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা। আধিকারিকরা জানান, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল সংগঠনের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা দমন করা এবং স্থানীয় জনগণের ওপর সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করা।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৪ নভেম্বর ২০২৫ সালের সকালে গোয়েন্দা-তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানের সময় জঙ্গিরা বিনা উসকানিতে একটি সেনা কনভয়ের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা অভিযানে চার সশস্ত্র জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনি ও ঘেরাও অভিযান চলছে। কোনও জঙ্গি যেন পালাতে না পারে, তাই এই তল্লাশি (Manipur)।

    প্রসঙ্গত, কুকি-জো গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অপারেশন স্থগিত (SOO) চুক্তির অংশ হলেও, ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (Kuki Terrorists) এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।  তাই তাদের কাজকর্মই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই অভিযান মণিপুরের সংঘাতে দীর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ (Manipur)।

  • Bangladesh Crisis: ইসলামী চরমপন্থীদের কাছে ফের মাথা নত ইউনূসের, বাংলাদেশে বন্ধ সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ

    Bangladesh Crisis: ইসলামী চরমপন্থীদের কাছে ফের মাথা নত ইউনূসের, বাংলাদেশে বন্ধ সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের কবলে ঠেলে দিচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দিন দিন মৌলবাদীদের দাপাদাপি বেড়েই চলেছে পড়শি দেশটিতে (Bangladesh Crisis)। যে দেশ একসময় কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে গর্ব করত, সেই দেশেই এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষকের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ বাতিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান জানান, “অগাস্টে প্রকাশিত নিয়মে চারটি শ্রেণির পদ ছিল, তবে সংশোধিত নিয়মে দুটি পদ রাখা হয়েছে। সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন নিয়মে নেই।”

    মৌলবাদীদের দাবির কাছে নতি স্বীকার

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি চরমপন্থী ইসলামী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত শিক্ষকের পরিবর্তে আলেম নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছিল। জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, “সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও জাতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।” আরেক নেতা মুজিবুর রহমান দাওরায়ে হাদিস ও ফাজিল ডিগ্রিধারী আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আহ্বান জানান। এরপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) ও খেলাফত মজলিশসহ বিভিন্ন সংগঠন সঙ্গীত শিক্ষা ‘নাস্তিকতা’ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে। আইএবির আমির সায়েদ রেজাউল করিম হুমকি দেন, ইসলামী আলেম নিয়োগ না হলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির চাপের কারণে এই সিদ্ধান্ত

    উগ্রবাদীদের হুঙ্কারে এরপরই গুটিয়ে যান নোবেল জয়ী ইউনূস। ইসলামী মৌলবাদীদের আপত্তি থাকায় এবার বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলে সঙ্গীত ও শারীরশিক্ষার প্রশিক্ষনের দেওয়ার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেল। মুছে দেওয়া হল নিয়োগ – বিজ্ঞপ্তি। প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হল ইউনূস প্রশাসনকে। সংশোধিত বিধিমালায় সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগের বিষয়টি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাসুদ আখতার খান জানান, গত অগাস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ টি শ্রেণীর পদ থাকলেও, নতুন সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে দুটি শ্রেণীই রাখা হয়েছে। সেখানে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ রাখা হয়নি। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির চাপের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, আখতার খান কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    ইউনুসের ইসলামপন্থী তোষণ নীতি

    কোরান ও হাদিসের বিভিন্ন উদ্ধৃতি অনুযায়ী ইসলামে সঙ্গীত হারাম বলে বিবেচিত। ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে ইসলামপন্থার উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি প্রথমে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামী পুনরায় বৈধতা দেন, পরে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর নেতা জাসিমউদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাগুলোকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মন্তব্য করেন ইউনুস। আওয়ামি লিগ ও তার ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে তিনি ইসলামপন্থীদের আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ করে দেন।

    মৌলবাদ ও নারীবিদ্বেষের উত্থান

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) কিছুই আর ঠিকঠাক নেই, ইসলামী মৌলবাদ সেখানে ক্রমশ প্রাধান্য পাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপ ধর্মীয় মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের সময় সীমিত পরিসরের সংগঠনগুলি এখন প্রকাশ্যে সক্রিয় এবং সরকারের উপর নীতিগত চাপ প্রয়োগ করছে। এই একই সংগঠনগুলি সম্প্রতি ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে, যাকে তারা ‘চরমপন্থী সংগঠন’ বলে অভিহিত করেছে। তদুপরি, তারা নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে হিংসার হুমকি দিয়েছে। জুলাই ২০২৫-এ বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দেয় যে মহিলা কর্মীরা ছোট পোশাক, ছোট হাতা জামা বা লেগিংস পরতে পারবেন না। নির্দেশনায় হিজাব পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। নারী অধিকার রক্ষা কর্মীরা একে “তালেবানি নির্দেশনা” বলে নিন্দা জানান। একই বছর ইসলামী দল ‘জমায়াত-চরমোনাই’ ঘোষণা দেয়, তারা নির্বাচনে জিতলে বাংলাদেশকে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী অধিকার কমিশন বিলুপ্তির দাবি তোলেন মৌলবাদীরা।

    বাংলাদেশ অন্ধকারের পথে

    মহম্মদ ইউনুসের শাসনামলে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ধর্মীয় উগ্রতা, নারীর ওপর সহিংসতা, ও সাংস্কৃতিক দমন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপরীতে, আজকের বাংলাদেশ ক্রমশ তালেবানি রূপ নিচ্ছে—যেখানে সঙ্গীত, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ইউনূসের এহেন সিদ্ধান্তে অবাক হচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্তই নিয়ে চলেছে মসনদে বসার পর থেকে। এর আগে দেখা গিয়েছে, মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের কোপ পড়েছিল লালন স্মরণোৎসবে। লালনের মতাদর্শ সঠিক নয় ও ইসলাম বিরোধী এরকম দাবি তুলে প্রশাসনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানটি। এইভাবে দিন দিন মৌলবাদীদের দাপাদাপি বেড়েই চলেছে। ফলে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় অবাক হওয়ার কিছু নেই ‘নতুন’ বাংলাদেশে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

     

     

     

     

     

  • Guru Nanak Jayanti 2025: “চারটি বেদই সত্য, সেগুলিকে সঠিকভাবে বোঝা ও অনুশীলন করাই প্রকৃত জ্ঞান” , বলেছিলেন গুরু নানক

    Guru Nanak Jayanti 2025: “চারটি বেদই সত্য, সেগুলিকে সঠিকভাবে বোঝা ও অনুশীলন করাই প্রকৃত জ্ঞান” , বলেছিলেন গুরু নানক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ধর্মগুরু গুরু নানক দেব ১৪৬৯ সালে কার্তিক পূর্ণিমার দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তাই প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় গুরু নানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti 2025) পালিত হয়। চলতি বছর ৫ নভেম্বর নানক জয়ন্তী পালিত হবে। শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই তিথিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকাশ উৎসব ও গুরু পর্ব বলা হয়ে থাকে। শিখ ধর্মাবলম্বীরা পূর্ণিমার দুদিন আগে থেকে উৎসবে মেতে ওঠেন। গুরু নানক দেব জি ভারতীয় সমাজে এক নতুন আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন—সত্য, করুণা ও প্রজ্ঞার মিশ্রণে গড়ে ওঠা মানবতার পথ। তাঁর উপদেশ ও জীবনদর্শন আজও সমাজ সংস্কারের প্রেরণাস্বরূপ। গুরু নানক জয়ন্তী উপলক্ষে সমগ্র দেশজুড়ে তাঁর শিক্ষার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

    প্রকাশ উৎসবের মাহাত্ম্য

    সারা বছরের পবিত্র পূর্ণিমার মধ্যে অন্যতম হল কার্তিক পূর্ণিমা। এদিন যা দান-পুণ্য করা হয় তা বিশেষ ফলদায়ী। এ দিন দীপদানেরও বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। কার্তিক পূর্ণিমার দুদিন আগে থেকে প্রকাশ উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম দিন অখণ্ড পাঠ করা হয়। এ সময় গুরুদ্বারা ফুল ও আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। প্রধান দিন অমৃত বেলায় এই উৎসব শুরু হবে। সকালে ভজন করার পর কাহিনি পাঠ এবং কীর্তন করা হয়ে থাকে। প্রার্থনার পর লঙ্গর বা ভান্ডারা করা হয়। লঙ্গরের পর কথা ও কীর্তনের পাঠ জারী রাখা হয়। রাতে গুরবাণী গায়নের পর উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। গুরু নানক জয়ন্তীর শুভ দিনে শিখ সম্প্রদায়ভুক্তরা নানান স্থানে লঙ্গরের আয়োজন করেন। এখানে শুদ্ধ ও নিরামিষ খাবার যেমন কড়ি, চাল, লুচি, আলু, ডাল রুটি এবং পায়েস খাওয়ানো হয়।

    গুরু নানকের পথ

    গুরু নানক দেব জি (Guru Nanak Jayanti 2025) সেই সময়ের ভারতীয় সমাজে ছড়িয়ে পড়া কুসংস্কার, ধর্মীয় ভণ্ডামি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তবে তিনি কখনওই প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান বা বেদ-বেদান্তের বিরোধিতা করেননি। বরং, তিনি বলেন—“চারে বেদ হো এ সচি আর, পড়হ গুনা তনহ চার বি চার।” অর্থাৎ, চারটি বেদই সত্য, কিন্তু সেগুলিকে সঠিকভাবে বোঝা ও অনুশীলন করাই প্রকৃত জ্ঞান। মাত্র নয় বছর বয়সে, তাঁর ‘জানেও’ (পবিত্র সুতো) অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকার করেন তিনি। সমাজে তখন অনেকেই এই ধর্মীয় রীতি পালন করলেও মননে ও আচরণে বৈষম্য ও অন্যায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গুরু নানক জি বলেন— “দইয়া কাপাহ সন্তোখু সূত্রু, জতু গণ্ডী সত্যু ভাটু।” অর্থাৎ, করুণা হবে সুতোর তুলো, সন্তোষ হবে সুতো, আর সত্য হবে তার পাক। এই উপমার মাধ্যমে তিনি প্রকৃত ধার্মিকতার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

    মানবতার পতাকা তুলে ধরেন

    গুরু নানকের সময়ে সমাজ ছিল অস্থির—দেশে বিদেশি আক্রমণ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুকুলগুলির ধ্বংস, এবং সমাজের পথপ্রদর্শকদের বিভ্রান্তি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। এই কঠিন সময়েই গুরু নানক দেব জি মানবতার পতাকা উঁচিয়ে ধরেন। ভ্রান্তাচারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা জ্ঞানী বা সন্ন্যাসীর বেশে সমাজবিমুখ হয়েছে, তারা আসলে কোনো উপকার করছে না। বিখ্যাত ভক্ত ভাই গুরদাস জি গুরু নানক দেব জির আবির্ভাব নিয়ে লিখেছিলেন— “সতগুরু নানক প্রগটিয়া, মিটি ধুন্ধ জগ চানন হোয়া।” অর্থাৎ, অন্ধকারে মোড়া সমাজে সত্যগুরু নানকের আবির্ভাবে আলো ছড়িয়ে পড়েছিল।

    নানকের উপদেশ প্রচার

    গুরু নানক (Guru Nanak Jayanti 2025) তাঁর নিজের উপদেশ প্রচারের জন্য তিনি কার্তারপুরে একটি নতুন নগর স্থাপন করেন এবং সেখানে ‘লঙ্গর’ প্রথার সূচনা করেন—যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষ একসঙ্গে বসে আহার করেন। এটি ছিল সমতার এক অনন্য প্রতীক। আচল বাতালায় যোগীদের সঙ্গে বিতর্কে তিনি গার্হস্থ্য জীবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গার্হস্থ্য জীবন ত্যাগ নয়, বরং সেবার ও ন্যায়ের মাধ্যমে ঈশ্বরসাধনা সম্ভব। ‘জপজি সাহিব’-এ গুরু নানক দেব জি কর্মফল তত্ত্বের সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন—
    “চঙ্গাইয়াইয়া বুরাইয়াইয়া ভিতর ধরম হদুর, করমি আপো আপণী কে নেডে কে দূর।” অর্থাৎ, মানুষ নিজের কর্মফলের দ্বারাই ঈশ্বরের নিকট বা দূরে হয়।

    সৎজনের সেবা ও ঈশ্বর স্মরণ

    গুরু নানক জি (Guru Nanak Jayanti 2025) চার পুরুষার্থ—ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ—সম্পর্কেও বলেছেন যে, সৎজনের সেবা ও ঈশ্বরস্মরণই এদের অর্জনের পথ। গুরু নানক দেব জি সত্যিই ভারতীয় জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সহজ ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, এমনকি আরব দেশ পর্যন্ত তাঁর বার্তা পৌঁছে গিয়েছিল। তাঁর শিক্ষায় আজও সমাজে সত্য, করুণা ও মানবতার আলো জ্বলছে। উন্নত সমাজ গঠনে, গুরু নানক দেবের মূল্যবোধ ও আদর্শ গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। গুরু নানক জি’র, সত্য,ন্যায় বিচার এবং সহানুভূতির বার্তা সমাজকে সাফল্যের শিক্ষা দেয়। একই সঙ্গে গুরু নানক জি সততার সঙ্গে জীবন যাপন ও সম্পদের সমবন্টন নীতির প্রচারক ছিলেন। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তাঁর পথ গুরুত্বপূর্ণ।

     

     

     

     

     

  • Rash Purnima 2025: আজ কার্তিক পূর্ণিমা, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব ও দেব দীপাবলি

    Rash Purnima 2025: আজ কার্তিক পূর্ণিমা, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব ও দেব দীপাবলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Purnima 2025) মূলত বৈষ্ণবদের উৎসব। জয়দেবের ‘গীতগবিন্দম্‌, চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যে রাসের কথা বলা হয়েছে। বৃন্দাবন রাস, বসন্ত রাস খুব উল্লেখযোগ্য। এই বৈষ্ণব ভাবনায় শ্রীকৃষ্ণপ্রেম এবং প্রকৃতিস্বরূপ রাধা (Radha-Krishna) সাধনাই হল রাস। এই উৎসবের কথা বিভিন্ন পুরাণেও রয়েছে। শারদ রাস এবং বসন্ত রাস-দুটিই বৈষ্ণবদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    আজ, বুধবার, বাংলা তথা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাসযাত্রা। একইসঙ্গে, এ বছর রাস পূর্ণিমা বা কার্তিক পূর্ণিমার সঙ্গে একইদিনে পড়ছে গুরু নানকের জন্মতিথির (Guru Nanak Birthday) দিন। রাস পূর্ণিমা বাংলার আপামার বাঙালির কাছে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনের কথা জানা যায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সময়ের পরবর্তী সময়ে রাস পূর্ণিমা আরও জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়। কার্তিক পূর্ণিমার তিথিতে অন্যদিকে দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। দেবতাদের দীপাবলি উৎসবে সেজে উঠেছে বারাণসী (Varanasi)। সন্ধ্য়ায় কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। কাশীধাম জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি।

    পঞ্জিকা মতে রাস পূর্ণিমার তিথি কখন?

    বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারে, পূর্ণিমা লেগেছে ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে, বাংলা ১৮ কার্তিক এবং পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে ৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে। আবার গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা শুরু হয়েছে ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাত রাত ৯টা ২২ মিনিটে। তিথি শেষ হচ্ছে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে। উভয় পঞ্জিকা অনুযায়ী, উদয়া তিথি ধরে আজ, বুধবার, ৫ নভেম্বর, বাংলায় ১৮ কার্তিক শ্রীরাধা-শ্রীকৃষ্ণের প্রেম উৎসব রাসযাত্রা (Rash Purnima 2025) পালিত হবে।

    রাসের তাৎপর্য কী (Rash Purnima 2025)?

    প্রেমভাব বৈষ্ণব ভাবনার একটি প্রধান ভাব। রাস শব্দ এসেছে রস থেকে। রসের বিরাট ব্যাপ্তি। আনন্দ আস্বাদনই মূল কথা রাসের। বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে পঞ্চম রস, শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর রস সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবে বলা হয়েছে। বৃন্দাবনদাসের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত’ এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-কাব্যে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে রস বা লীলা সম্পর্কে। রাস মানেই মিলন (Rash Purnima 2025)। কৃষ্ণ প্রেমের ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় মিলনের বাসনাই রাসের মূল ভরকেন্দ্র। পূর্ণ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহাভাবের একমাত্র অধিকারিণী শ্রীরাধারানি। কৃষ্ণ হলেন জগতের আসল পুরুষ, বাকি মানবসামজ প্রকৃতিতুল্য। তাই সকল গোপিনী এবং নরনারী রাধাভাব বা মঞ্জরী ভাবনায় ভাবিত হন। এই পরম জ্ঞানের কথা জানানোর জন্যই কৃষ্ণের বৃহৎ লীলা বা রাসের প্রকাশ।

    মুক্তির পথ দেখান কৃষ্ণস্বরূপ জ্ঞান

    কৃষ্ণপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার ত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে গিয়ে সকলে কৃষ্ণপ্রেমে সমবেত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু গোপিনীরা মানতে অস্বীকার করেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের এই ভাবনায় মনে অহংকার ভাব এলে রাধাকে নিয়ে চলে যান। পরে গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। অহংকার ভুলে গিয়ে কৃষ্ণপ্রেমে স্তব পাঠ শুরু করেন। এদিকে তাঁদের স্তবে কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ফিরে আসেন। এরপর গোপিনীদের জীবন সম্পর্কে গভীর তত্ত্বকথার উপদেশ দেন। প্রত্যক গোপিনীর মনোবাঞ্ছা পূরণ করে জাগতিক দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দর্শান। এই কৃষ্ণ (Rash Purnima 2025) হলেন প্রকৃত জ্ঞানের আধার। আর জগতস্বরূপ জ্ঞান হলেন স্বয়ং রাধা। সকল গোপিনীরা হলেন রাধা শক্তির প্রকাশ মাত্র।

    বাংলাজুড়ে রাস-উৎসব

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস (Rash Purnima 2025) বাংলা, মথুরা, বৃন্দাবন, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, পূর্ববঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। তবে মূল আরাধ্য রাধাকৃষ্ণ হলেও অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতে দেখা যায়। যেমন-কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস হয় এবং এক মাস মেলা বসে এখানে। এই মেলা বিরাট বিখ্যাত। এখানে রাসে দুর্গাপুজো, কালীপুজোও করতে দেখা যায়। আবার নবদ্বীপ, শান্তিপুর, ফুলিয়া, বর্ধমানের বেশ কিছু বৈষ্ণবপাট বাড়ি, সমাজবাড়ি এবং আখড়ায় মাটির মূর্তিতে রাধাকৃষ্ণের পুজো হয়। গৌর-নিতাই, পঞ্চতত্ত্বের নামে চলে নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত জায়াগায় পালন হয় বিশেষ পুজো। কীর্তন, পদাবলী, পালাগান এবং রাসের সখীদের অষ্টকলা প্রদর্শন মূল আকর্ষণ থাকে। পিছিয়ে নেই পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া। পুরুলিয়ার রাসমেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং এটি রাস পূর্ণিমার পাঁচ দিন পর থেকে শুরু হয়।

    কার্তিক পূর্ণিমা, দেব দীপাবলি ও ত্রিপুরী পূর্ণিমা

    রাস পূর্ণিমাকে (Rash Purnima 2025) অনেকে কার্তিক পূর্ণিমা বলে থাকেন। কার্তিক পুজো ঘিরে কাটোয়া ও তার সংলগ্ন নানান এলাকা খ্যাত। কাটোয়া এবং হুগলি জেলার চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো খুব বিখ্যাত। এই পুজো ঘিরে বহু মানুষের ভিড় হয় এলাকায়। কার্তিক পুজো পালিত হয় কার্তিক পূর্ণিমায়। এই সময়ে সূর্য ওঠার আগে স্নান করলে শুভকর্ম ফল হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্যলাভ হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে দেবলোকে দীপাবলি (Dev Deepavali) পালন করা হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। দেবতাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মর্ত্যেও এ দিন প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। বিশেষ করে এ দিন বেনারস ও হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাট আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়। হাজার হাজার মানুষ গঙ্গার ঘাটের শোভা দেখতে বেনারস ও হরিদ্বারে ভিড় করেন। অন্য পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই রাস পূর্ণিমায় ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত। ভগবান শ্রীবিষ্ণু (Radha-Krishna) এই দিনে মৎস্য অবতার ধারণ করেছিলেন।

  • Daily Horoscope 05 November 2025: সামাজিক সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 05 November 2025: সামাজিক সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) কাজের ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

     

     

    মিথুন

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন।

    ৩) সখপূরণ হবে।

     

     

    কর্কট

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শারীরিক কষ্টের কারণে কাজের সময় নষ্ট।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তি থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 499: “কি জানো, ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য! জীব, জগৎ, বাড়ি-ঘর-দ্বার, ছেলেপিলে, এ-সব বাজিকরের ভেলকি”

    Ramakrishna 499: “কি জানো, ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য! জীব, জগৎ, বাড়ি-ঘর-দ্বার, ছেলেপিলে, এ-সব বাজিকরের ভেলকি”

    শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীরাধিকাতত্ত্ব—জন্মমৃত্যুতত্ত্ব

    পুত্র-কন্যা বিয়োগ জন্য শোক ও শ্রীরামকৃষ্ণ–পূর্বকথা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ব্রাহ্মণী ও ভক্তদের প্রতি— একজন এসেছিল। খানিকক্ষণ বসে বলছে, ‘যাই একবার ছেলের চাঁদমুখটি দেখিগে।’

    “আমি আর থাকতে পারলাম না। বললাম (Kathamrita), তবে রে শালা! ওঠ্‌ এখান থেকে। ঈশ্বরের চাঁদমুখের চেয়ে ছেলের চাঁদমুখ?”

    জন্মমৃত্যুতত্ত্ব—বাজিকরের ভেলকি

    (মাস্টারের প্রতি)—“কি জানো, ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য! জীব, জগৎ, বাড়ি-ঘর-দ্বার, ছেলেপিলে, এ-সব বাজিকরের ভেলকি! বাজিকর কাঠি দিয়ে বাজনা বাজাচ্ছে, আর বলছে, লাগ লাগ লাগ! ঢাকা খুলে দেখ, কতকগুলি পাখি আকাশে উড়ে গেল। কিন্তু বাজিকরই সত্য, আর সব অনিত্য! এই আছে, এই নাই!

    “কৈলাসে শিব বসে আছেন, নন্দী কাছে আছেন। এমন সময় একটা ভারী শব্দ হল। নন্দী জিজ্ঞাসা করলে, ঠাকুর! এ কিসের শব্দ হল? শিব বললেন, ‘রাবণ জন্মগ্রহণ করলে, তাই শব্দ।’ খানিক পরে আবার একটি ভয়ানক শব্দ হল। নন্দী জিজ্ঞাসা করলে—‘এবার কিসের শব্দ?’ শিব হেসে বললেন, ‘এবার রাবণ বধ হল!’ জন্মমৃত্যু—এ-সব ভেলকির মতো! এই আছে এই নাই! ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য। জলই সত্য, জলের ভুড়ভুড়ি, এই আছে, এই নাই; ভুড়ভুড়ি জলে মিশে যায়,—যে জলে উৎপত্তি সেই জলেই লয়।

    “ঈশ্বর যেন মহাসমুদ্র, জীবেরা যেন ভুড়ভুড়ি; তাঁতেই জন্ম, তাঁতেই লয়।

    “ছেলেমেয়ে,—যেমন একটা বড় ভুড়ভুড়ির সঙ্গে পাঁচটা ছটা ছোট ভুড়ভুড়ি।

    “ঈশ্বরই সত্য। তাঁর উপরে কিরূপে ভক্তি হয়, তাঁকে কেমন করে লাভ করা যায়, এখন এই চেষ্টা করো। শোক করে কি হবে?”

    সকলে চুপ করিয়া আছেন। ব্রাহ্মণী বলিলেন(Kathamrita), ‘তবে আমি আসি।’

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ব্রাহ্মণীর প্রতি সস্নেহে—তুমি এখন যাবে? বড় ধুপ!—কেন, এদের সঙ্গে গাড়ি করে যাবে।

    আজ জৈষ্ঠ মাসের সংক্রান্তি, বেলা প্রায় তিনটা-চারটা। ভারী গ্রীষ্ম। একটি ভক্ত ঠাকুরকে একখানি নূতন চন্দনের পাখা আনিয়া দিলেন। ঠাকুর পাখা পাইয়া আনন্দিত হইলেন ও বলিলেন, “বা! বা!” “ওঁ তৎসৎ! কালী!” এই বলিয়া প্রথমেই ঠাকুরদের হাওয়া করিতেছেন। তাহার পরে মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখ, দেখ, কেমন হাওয়া।” মাস্টারও আনন্দিত হইয়া দেখিতেছেন।

  • Cancel Flight: ফ্লাইট বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তনে লাগবে না চার্জ, জানাল ডিজিসিএ

    Cancel Flight: ফ্লাইট বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তনে লাগবে না চার্জ, জানাল ডিজিসিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বিনামূল্যে ফ্লাইট বাতিল (Cancel Flight) কিংবা যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করা যাবে। বিমান পরিষেবায় যাত্রীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর দিল ডিজিসিএ। বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর ডিজিসিএ (DGCA) জানিয়েছে, রিফান্ড এবং বাতিলের নিয়মে এখন থেকে অনেক সংস্করণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়াও প্রকাশ করেছে। আর তাতেই বলা হয়েছে, যাত্রীরা অতরিক্ত টাকা ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বুকিং বা সংশোধন করতে পারবেন। অবশ্য বিমানযাত্রীদের অনেক দিন ধরেই অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। এবার তা কার্যকর হয়েছে।

    অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না (Cancel Flight) 

    সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট বা সিএআর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমটিকে আরও যাত্রী-বান্ধব করতে আগ্রহী সংস্থা। বিশেষ করে যখন যাত্রীরা শেষ মুহূর্তে নিজেদের টিকিট বাতিল বা সময় পরিবর্তন করতে চান, সেই সময় সেই সময় বিমান সংস্থার নানা পোর্টাল থেকে সঠিক সময়ে কার্যকর রেসপন্স পাওয়া যায় না। ডিজিসির নতুন নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, সমস্ত বিমান সংস্থাকে বুকিংয়ের সময় থেকে ৪৮ ঘণ্টার লুক-ইন পিরিয়ড প্রদান করা হবে। ফলে কোনও যাত্রীই অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না। যদি কোনও যাত্রী টিকিট বাতিল করে অন্য কোনও ফ্লাইটে পুনরায় টিকিট (Cancel Flight) কাটতে চান তাহলে তাঁকে কেবলমাত্র পার্থক্যের ভাড়াটা দিতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে

    ডিজিসিএ (DGCA) আরও জানিয়েছে, যখন ট্র্যাভেল এজেন্ট বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকিট বুক (Cancel Flight) করে তখন টাকা ফেরতের দায়িত্ব বিমান সংস্থার ওপর বর্তায়। কারণ এজেন্টরা কেবল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এই নিয়মের একমাত্র উদ্দেশ্য হল যাত্রী, ট্র্যাভেল এজেন্ট এবং বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে রিফান্ড দেরির ফলে তৈরি হওয়া নানাবিধ বিরোধ ও জটিলতা দূর করা। নতুন নিয়মের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ছোটখাটো নামের ভুল সংশোধনের জন্য কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। তবে বুকিং করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। টিকিট সরাসরি বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হবে।

    একই ভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ের জন্য যদি ফ্লাইট বাতিল হয় তাহলে টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার জন্য ক্রেডিট সেল দিতে হবে। এই মর্মে বিমান সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকা ফেরত দেবে, তা সংস্থার বিচারাধীন। ডিজিসিএর এক কর্তা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল ভারতীয় বিমান চলাচলের মান আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যাত্রীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ সুনিশ্চিত করা।”

  • SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সব মিলিয়ে ওই তালিকায় নাম রয়েছে ৩ হাজার ৫১২ জনের (Tainted Staff)। সোমবার সন্ধে ৭টার পর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ (SSC)

    এদিনই এসএসসির তরফে প্রকাশ করা হয় গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির জন্য আলাদা অযোগ্যদের তালিকা। এসএসসির তরফে প্রকাশিত ওই তালিকায় গ্রুপ-সিতে ১ হাজার ১৬৩ জন এবং গ্রুপ-ডিতে ২ হাজার ৩৪৯ জন অযোগ্যের নাম রয়েছে। এঁদের মধ্যে গ্রুপ-সিতে ওএমআর শিটে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছিলেন ৭৮৩ জন। সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি পেয়েছিলেন ৫৭ জন অযোগ্য। গ্রুপ-ডির তালিকায় দাগি রয়েছেন ১ হাজার ৭৪১ জন। ওএমআর শিটে জালিয়াতির পাশাপাশি র‌্যাঙ্ক জাম্পেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অযোগ্যদের নাম ও রোল নম্বর দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এদিনের তালিকায় যাঁদের নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির নয়া নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গত অগাস্ট মাসে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৮০৪জনের নাম ছিল ওই তালিকায়। এবার গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)। এই তালিকা প্রকাশ করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কমিশন। শীর্ষ আদালতের রায়ে গত ৩ এপ্রিল চাকরি খুইয়েছিলেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পুরানো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়ও। সেই সব নিয়ম মেনেই আপাতত চলছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার পালা শিক্ষাকর্মী নিয়োগের। এই মর্মে ১০ অক্টোবরহ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল এসএসসি। আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকে, চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এতে অংশ নিতে পারবেন না দাগিরা।

    উল্লেখ্য, এই দাগিদের (Tainted Staff) তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতি, বাঁকুড়ার তৃণমূল বুথ সভাপতি, শিলিগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা, দুর্গাপুরের তৃণমূল শ্রমিক নেতার ছেলে। তৃণমূল কর্মী কিংবা তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নামও ওই তালিকায় রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর (SSC)।

LinkedIn
Share