মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জুন অযোধ্যায় রাম দরবারের আটটি মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই আবহে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সহ-সভাপতি শ্রী চম্পত রাই অর্গানাইজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম মন্দিরের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় তাৎপর্য তুলে ধরেন (Ram Mandir)। তাঁর মতে, ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’
এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক
চম্পত রাই বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের তাৎপর্য শুধুমাত্র ধর্মীয় দিকেই নেই এটি একটি সভ্যতার প্রতীক। ভারতের জাতীয় গৌরবের পুনরুত্থান সম্ভব হয়েছে এই মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে। এপ্রসঙ্গে তিনি ইতিহাসও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘‘১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে রাম মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল এবং আজ আমরা তা পুনরায় স্থাপন করেছি। এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক।’’ তিনি (Champat Rai) বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের পুনরুত্থান লক্ষ লক্ষ ভক্তের বিশ্বাস ও মর্যাদার এক জীবন্ত দলিল। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে মন্দির পরিচালনা করছে। ভক্তদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, নির্মাণ পরিকাঠামোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ভক্তদের বিশ্রামাগার ইত্য়াদি সবই রয়েছে।
স্থানীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি (Ram Mandir)
রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে অযোধ্যার স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলেও তিনি জানান। চম্পত রাইয়ের (Champat Rai) মতে, ২০১৯ সালের আগে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৪০০০ মানুষ অযোধ্যায় আসতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর প্রতিদিন প্রায় চার লক্ষ তীর্থযাত্রী মন্দির পরিদর্শনে আসতে শুরু করেন সেই সময়টাতে। এর ফলে অযোধ্যায় ব্যাপক অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
বেড়েছে দিন মজুরদের রোজগার
তাঁর মতে, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পর থেকেই অযোধ্যার স্থানীয় শ্রমিকদের রোজগার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন, তাঁরা এখন প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, রাম মন্দির নির্মাণের ফলে অযোধ্যায় কতটা অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাম মন্দিরকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ভুল হবে এটি ভারতের জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’
Leave a Reply