মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মরক্কো (Morocco), যেখানে ৯৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বসবাস করে। সেখানে এ বছরের ঈদ-উল-আযহা বা বকরিদ (Bakrid) উপলক্ষে পশু জবাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং তীব্র খরার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে (Morocco)
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন পশুর হাট ও বাজার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর প্রশাসনের মতে, দেশে পশু জবাইয়ের কারণে গবাদি পশুর সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে যাচ্ছে তাই এমন সিদ্ধান্ত। সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে সাপ্তাহিক ভেড়ার হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, পশু বিক্রি সংক্রান্ত যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গবাদি পশুগুলিকেও নিয়ে এসেছে। যাতে ঈদে সেগুলো হত্যা না করা হয়। একইসঙ্গে, কিছু এলাকার কসাইখানা সাময়িকভাবে (Morocco) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশু জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মরোক্কোতে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে (Morocco)
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের নাগরিকদের আর্থিক চাপ কমাতে এবং গবাদি পশু সংরক্ষণের জন্য কোরবানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, দেশের সমস্ত নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিনিই একমাত্র পশু জবাই করবেন কোরবানিতে। বিগত ছয় বছর ধরে মরক্কো তীব্র খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এর ফলে দেশে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, মরোক্কোতে (Morocco) ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে পশুখাদ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পশু জবাই বন্ধ করে সংরক্ষণের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে মরক্কো সরকার (Bakrid)।
Leave a Reply