ICC New Rule: পাওয়ারপ্লে নিয়ে নয়া নিয়ম! টি-২০ থেকে টেস্ট, ক্রিকেটে একগুচ্ছ বিধি চালু আইসিসি-র

icc new rule defines exact powerplay overs in shortened t20s

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে আইসিসি (ICC New Rule)। ২২ গজে স্বচ্ছতা রাখতে, ক্রিকেটের মাঠে দুই প্রতিপক্ষকে সমান সুবিধা দিতে সক্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। আইসিসি ঘোষণা করেছে টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের নতুন খেলার নিয়ম, যেখানে বৃষ্টির কারণে খেলা সংক্ষিপ্ত হলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে পাওয়ারপ্লে ওভারের সংখ্যা।  জুলাই মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর লক্ষ্য হল খেলার দৈর্ঘ্য যাই হোক না কেন, ফিল্ডিং বিধিনিষেধে একধরনের মানসম্পন্নতা ও সামঞ্জস্য বজায় রাখা।

সংক্ষিপ্ত ইনিংসে পাওয়ারপ্লে কত হবে?

আইসিসির (ICC New Rule) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চার্ট অনুযায়ী, ৮ ওভারের ইনিংসে পাওয়ারপ্লে হবে ২.২ ওভার, যেখানে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে সর্বোচ্চ ২ জন ফিল্ডার থাকতে পারবে। পূর্বে সংক্ষিপ্ত ম্যাচে প্রায়শই রাউন্ড ফিগারে পাওয়ারপ্লে নির্ধারণ করা হতো, যেমন ৮ ওভারের খেলায় ৩ ওভারের পাওয়ারপ্লে দেওয়া হতো।

৫ ওভার: ১.৩ ওভার

৬ ওভার: ১.৫ ওভার

৭ ওভার: ২.১ ওভার

৮ ওভার: ২.২ ওভার

৯ ওভার: ২.৪ ওভার

১০ ওভার: ৩.০ ওভার

১১ ওভার: ৩.২ ওভার

১২ ওভার: ৩.৪ ওভার

১৩ ওভার: ৩.৫ ওভার

১৪ ওভার: ৪.১ ওভার

১৫ ওভার: ৪.৩ ওভার

১৬ ওভার: ৪.৫ ওভার

টেস্টে কী কী নতুন নিয়ম

স্টপ ক্লক চালু: স্লো ওভার রেট রুখতে টেস্ট ক্রিকেটেও এবার স্টপ ক্লক চালু করা হয়েছে। প্রতি ওভার শেষের ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে ফিল্ডিং দলকে। মাঠে ইলেকট্রনিক ক্লক থাকবে যা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত গণনা করবে। ফিল্ডিং দলকে দু’টি ওয়ার্নিং দেওয়া হবে। তৃতীয়বার নিয়ম ভাঙলে ব্যাটিং দল পাবে ৫ পেনাল্টি রান। এই ওয়ার্নিং ৮০ ওভারের পর থেকে আবার নতুন করে শুরু হবে।

শর্ট রানের ক্ষেত্রে বদল:  অবৈধ শর্ট রানের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি ব্যাটার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রিজে ব্যাট না ছুঁইয়ে দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটে যান, তাহলে ব্যাটিং টিমের ৫ রান কেটে নেওয়া হবে। নট আউট ব্যাটারকে ব্যাটিং প্রান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফিল্ডিং দল নির্ধারণ করবে পরবর্তী বলে কোন ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকবে।

লালার ব্যবহারেও নতুন ব্যাখ্যা: বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে আগের মতোই। তবে এখন থেকে বলের উপর লালার প্রয়োগ হলে বল পরিবর্তন বাধ্যতামূলক নয়। তবে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বল পাল্টানোর উদ্দেশ্যে এমন করলে সেটিও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিআরএস-এ দু’দিক থেকে রিভিউ হলে: যদি একই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটার ও অন-ফিল্ড আম্পায়ার দু’জনেই রিভিউ চায়, তবে আগে যে রিভিউ এসেছে, তা আগে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ ক্যাচ আউট চ্যালেঞ্জ করলে যদি রিভিউতে দেখা যায় বল প্যাডে লেগেছে, তাহলে পরবর্তীভাবে এলবিডব্লিউ রিভিউ হবে এবং ‘আউট’ সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে। বল ট্র্যাকিংয়ে যদি ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখায়, তাহলে ব্যাটারকে আউট বলে ধরা হবে।

নো-বলে ক্যাচ: নো-বলে ক্যাচ নেওয়া হলে এখন থেকে ভিডিও আম্পায়ার দেখবেন ক্যাচটি সঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কি না। যদি ক্যাচ ঠিকঠাক ধরা হয়ে থাকে, তবে ব্যাটিং দল পাবে নো-বলের জন্য একটি অতিরিক্ত রান। যদি ক্যাচ পরিষ্কার না হয়, তবে ব্যাটাররা যত রান নেন তা দেওয়া হবে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share