মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং আধার আইনের অধীনে আধারকে (AADHAAR) জন্মতারিখ, বাসস্থানের প্রমাণ বা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা যায় না”, সাফ জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। ভোটার তালিকা প্রণয়নে আধারের ব্যবহারের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, আধার নম্বর প্রদান সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। আধার আইন ও ১৯৫০ সালের জনগণ প্রতিনিধিত্ব আইন উভয়েরই অধীনে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (Gyanesh Kumar)
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং আধার আইনের অধীনে আধারকে জন্মতারিখ, বাসস্থানের প্রমাণ বা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা যায় না। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরির ফর্মের মধ্যেই আধার কার্ডের অনুরোধ করেছিল। তবে আধার নম্বর প্রদান আধার আইনের অধীনে বাধ্যতামূলক নয়, তেমনি ১৯৫০ সালের জনগণ প্রতিনিধিত্ব আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ীও নয়। এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। এটি আধার কার্ডধারীর ওপর নির্ভর করে। আধার আইনের অধীনেও আধার কার্ড না বাসস্থানের প্রমাণ, না নাগরিকত্বের প্রমাণ।”
আধার বাধ্যতামূলক নয়
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন তালিকাভুক্তির ফর্মে আধার গ্রহণ করলেও এটি বাধ্যতামূলক নয় এবং যোগ্যতা প্রমাণের জন্য অন্যান্য নথিও প্রয়োজন হতে পারে, যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar) বলেন, “যদি কেউ ২০২৩ সালের পর আধার কার্ড করে থাকেন বা ২০২৩ সালের পর আধার কার্ড ডাউনলোড করে থাকেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ডেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে যে আধার কার্ড জন্ম তারিখের প্রমাণ নয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এবং আমরা সেই নির্দেশই মেনে চলছি যে আধার কার্ড গ্রহণ করতে হবে। আমরা গণনার ফর্মে আধার কার্ড গ্রহণ করছিলাম এবং এখনও করছি। তবে সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে এটাও স্পষ্ট করেছে (AADHAAR) যে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য অন্যান্য নথিরও প্রয়োজন হতে পারে (Gyanesh Kumar)।”
Leave a Reply