Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

another-election-another-defeat-give-rahul-a-reward-says-amit-malviya

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি নির্বাচন, আরও একটি পরাজয়! বিহারে হারের (Bihar Election Results) পর রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তোপ দাগল বিজেপি। বিহারে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে গত দুই দশকে ৯৫টি নির্বাচনী পরাজয় দেখিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেছে বিজেপি। কার্যত রাহুলের নেতৃত্বে লালুপুত্র তেজস্বীকেও বড়সড় হারের মুখে পড়তে হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সোনিয়া গান্ধীর পর দলের কমান সামলেছেন পুত্র রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে আশানুরূপভাবে সাফল্য পায়নি দল। একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য হাত ছাড়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহার ভোটের প্রচারে রাহুল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং এসআইআর ইস্যুতে ভোট চুরির প্রসঙ্গ তুলে ধরলেও, বিহারবাসী ইভিএমের ভোটে তার কড়া জবাব দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

পরাজয়ের পুরস্কার (Rahul Gandhi)!

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি পোস্ট করে রাহুলকে নিশানা করে বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নানা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেখানে যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে সেখানে পরাজয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। বিহারের এই নির্বাচন (Bihar Election Results) আরও এক পরাজয়। তবে হ্যাঁ এই পরাজয় ধারবাহিক পরাজয়। এভাবে লাগাতার পরাজয়ের জন্য যদি কোনও পুরস্কার থেকে থাকতো তাহলে সবগুলি পুরস্কার তিনি একাই পেতেন।”

লোকসভা বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয়

ভারতের একটি মানচিত্রের গ্রাফিক্স প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা মালব্য। তাতে রাজ্যগুলির ৯৫টি তির চিহ্ন দিয়ে মানচিত্রও শেয়ার করেছেন। সেখানে রাহুল দলের কেন্দ্রীয় প্রচারক হয়ে ভোট প্রচারে যাওয়ার জন্য সেখানে সেখানে কংগ্রেসকে পরাজয়ের মুখ দেখাতে হয়েছে। এই তালিকায় প্রায় প্রতিটি প্রধান রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন- হিমাচল প্রদেশ (২০০৭, ২০১৭) এবং পাঞ্জাব (২০০৭, ২০১২, ২০২২) থেকে শুরু করে গুজরাট (২০০৭, ২০১২, ২০১৭, ২০২২), মধ্যপ্রদেশ (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮, ২০২৩), মহারাষ্ট্র (২০১৪, ২০১৯, ২০২৪) এবং দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাধিক ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তবে এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরাজয় এবং ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের নানা আসনও রয়েছে। ওই মানচিত্রে ভোটকেন্দ্র এবং আসনগুলি লোকসভা এবং বিধানসভা উভয় কেন্দ্রের পরাজয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সরকার গড়ার পথে এগিয়ে এনডিএ

বিহারে (Bihar Election Results) বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসয়ানের দল, জিতেন রাম মাঝির দল এখন বিরাট জয়ের পথে। সরকার গড়তে গেলে বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২২টি আসন প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত ২০৩টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই জয় নিশ্চিত মনে করেছে এনডিএ জোট। অপরে বাম কংগ্রেস এবং আরজেডি মহাজোট ৩৬ আসনে এগিয়ে।

মোদির সভায় বেশি জয়

এই জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “সুশাসন, বিকাশ, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে। বিহারে শাসকজোটের এই সাফল্য ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব। মানুষের এই রায় সাধারণ জনতার সেবা করার এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্পে কাজ করার শক্তি দেবে আমাদের।” উল্লেখ্য এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী যে যে এলাকায় সভা করেছেন সেখানে সেখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। আর রাহুল (Rahul Gandhi) যেসব এলাকায় প্রচারে গিয়েছেন, সেখানে কংগ্রেসের ভোট কমেছে।

প্রভাব ফেলেছে এসআইআর

পরিসংখ্যান বলছে, বিহার নির্বাচনে ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রে এসআইআরের কারণে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে। পটনা, মধুবনি এবং পূর্ব চম্পারণ জেলা বাতিলের তালিকায় শীর্ষে। এসআইআর প্রভাবিত এই ১০৬টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায়ই জয়ী হতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। মহাগঠবন্ধনের দখলে থাকতে পারে হাতেগোনা কয়েকটি আসন। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, এসআইআরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অপপ্রচার এবং অভিযোগ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেনি।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share