Bharat: এআই কো-পাইলট সহ অ্যামকার নকশা চূড়ান্ত করল এডিএ, কবে প্রথম উড়ান?

Bharat indigenous 5th gen stealth jet with ai co pilot to take first flight by 2027

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক। এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (অ্যামকা)-এর নকশা চূড়ান্ত করেছে (5th Gen Stealth Jet)। এটি ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও), হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এবং শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ এই জেটের প্রথম উড়ান সম্পন্ন হবে।

অ্যামকা প্রকল্পের অধিকর্তার বক্তব্য

অ্যামকা প্রকল্পের অধিকর্তা কৃষ্ণ রাজেন্দ্র এই সময়সূচি নিশ্চিত করেছেন এবং একে ভারতের সামরিক বিমান চলাচলে প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতার যাত্রার একটি মোড় পরিবর্তনের মুহূর্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি প্রোটোটাইপ তৈরি হবে, তারপর গণউৎপাদন শুরু হবে। আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিমানবাহিনীর বহর আধুনিকীকরণের জরুরি প্রয়োজনে ভারত অ্যামকা প্রকল্পটি দ্রুততর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিগ-২১ এবং জাগুয়ারের মতো পুরনো বিমান অবসরের পথে থাকায়, অ্যামকা ভবিষ্যতে ভারতের বিমান শক্তির মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে, তেজস এবং রাফালের মতো জেটের পাশাপাশি। স্বল্পমেয়াদে, ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের ঐতিহাসিকভাবে কম স্কোয়াড্রন শক্তি পূরণ করতে ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান চেয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে, একবার অ্যামকা উৎপাদনে গেলে বিদেশি যুদ্ধবিমানের ওপর নির্ভরতা (5th Gen Stealth Jet) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে (Bharat)।

ভারতের অ্যামকার প্রধান বৈশিষ্ট্য

ভারতের অ্যামকার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল – ডিজাইন: দুই-ইঞ্জিন, এক আসনের নকশা, সর্বোচ্চ টেক-অফ ওজন ২৫ টন। স্টেলথ মোড: অভ্যন্তরীণ অস্ত্রভাণ্ডার, যেখানে ১.৫ টন পেলোড বহন করা যায়, এর ফলে রেডারে দৃশ্যমানতা কম হয়। নন-স্টেলথ মোড: বহিরাগত পাইলনে ৫ টন পর্যন্ত অস্ত্র বহন সম্ভব, তবে এতে স্টেলথ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সুপার-ক্রুজ ক্ষমতা: আফটারবার্নার ব্যবহার না করেই টানা সুপারসনিক গতিতে উড্ডয়ন। আইসা রেডার ও সেন্সর ফিউশন: যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবসময়ের পূর্ণাঙ্গ সচেতনতা প্রদান করে। এআই-ভিত্তিক ‘ইলেকট্রনিক কো-পাইলট’: ভার্চুয়াল সহ-পাইলটের মতো কাজ করে। নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধ ব্যবস্থা: আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে পূর্ণ সংযুক্তি নিশ্চিত করে।

অ্যামকার নকশা

এএমসিএ-এর নকশা আন্তর্জাতিক পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের সঙ্গে তুলনীয়—যেমন মার্কিন এফ ৩৫ লাইটনিং ২, চিনের জে-২০, এবং রাশিয়ার এসইউ- ৫৭। এর সার্পেন্টাইন এয়ার ইনটেকস, রাডার-তরঙ্গ শোষণ প্রযুক্তি এবং সর্বাঙ্গীণ স্টেলথ নকশা বিমানের দৃশ্যমানতা যে কোনও কোণ থেকে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনে। এগুলি ছাড়াও আরও কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। এগুলি হল, তাপ স্বাক্ষর হ্রাস ব্যবস্থা: ইনফ্রারেড সেন্সর এড়াতে সক্ষম। নিম্ন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্বাক্ষর: ইলেকট্রনিক নজরদারি এড়াতে সাহায্য করে। অভ্যন্তরীণ অস্ত্রভাণ্ডার: স্টেলথ মিশনের সময় গোপনীয়তা বাড়ায় (Bharat)।

দ্বৈত ক্ষমতা

এএসসিএ-র অন্যতম শক্তি হল এর দ্বৈত ক্ষমতা। স্টেলথ মোডে: অদৃশ্য থাকার জন্য পেলোড কমিয়ে অস্ত্র অভ্যন্তরে বহন করে। নন-স্টেলথ মোডে: বহিরাগত পাইলনে অস্ত্র বহন করে সর্বাধিক অগ্নিশক্তি অর্জন করে। এটি প্রচলিত মিশনের জন্য উপযুক্ত, যেখানে স্টেলথ ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় (5th Gen Stealth Jet)। এএমসএ-এর মাধ্যমে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশগুলির এক বিশেষ ক্লাবে যোগ দেবে, যাদের নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি রয়েছে। এই প্রকল্প কেবল ভারতের সামরিক সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে দেশের দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকেও আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে (Bharat)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share