Caste Census: ১৬ বছর পর জাতীয় জনগণনা হবে ২০২৭ সালে, এবার হবে জাতিভিত্তিক গণনাও

Caste census population count likely to begin from march

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৬ বছর পর জাতীয় জনগণনা (Population Count) হবে ২০২৭ সালে। এই প্রথমবার এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে জাতিভিত্তিক গণনাও (Caste Census)। বুধবার সরকারি এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, এই জনগণনা পরিচালিত হবে দুটি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে হাউসলিস্টিং ও জনসংখ্যা নিরূপণ এবং দ্বিতীয় ধাপে সংগ্রহ করা হবে জাতিগত ও সামাজিক-অর্থনৈতিক তথ্য। সর্বভারতীয় এই গণনায় এবার প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে চলেছে জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত প্রশ্নপত্র। গণনার রেফারেন্স তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা সেই সময় তুষারাবৃত থাকবে। তাই ওই এলাকাগুলিতে ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ। মোদি জমানায় এটাই হবে প্রথম জনগণনা। ২০২৮ সালে সামনে আসতে পারে এ সংক্রান্ত তথ্য।

জনগণনা (Caste Census)

সরকারি রীতি অনুযায়ী, ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই হিসেবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার জানায় যে জনগণনা হতে চলেছে। আগামী জনগণনায় জাতিভিত্তিক সুমারিও হবে। প্রসঙ্গত, গৃহতালিকা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল ২০১০ সালে। সর্বশেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই জনগণনায় জানা গিয়েছিল ভারতের জনসংখ্যা ১২১ কোটির বেশি রেকর্ড করা হয়, যা ১৭.৭ শতাংশ বৃদ্ধির হারকে নির্দেশ করে।

আসন পুনর্বিন্যাস

২০২৭ সালের জনগণনা শেষ হওয়ার পর নতুন জনসংখ্যা তথ্যের (Population Count) ভিত্তিতে লোকসভা ও বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে (Caste Census)। এর লক্ষ্য হল, প্রতিটি সাংসদ বা বিধায়ক প্রায় সমসংখ্যক জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা যায়। প্রসঙ্গত, ভারতে এই প্রক্রিয়া সাধারণত প্রতিটি জনগণনার পর সংবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ১৯৭৬ সাল থেকে এই আসন পুনর্বিন্যাস স্থগিত রয়েছে। এর প্রধান কারণ হল সেই সময়কার সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে উৎসাহ দিতে চেয়েছিল এবং চাইছিল না যে যেসব রাজ্যে জন্মহার বেশি (প্রধানত উত্তর ভারত) তারা বেশি আসন পেয়ে যাক, যার ফলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল দক্ষিণের রাজ্যগুলি আসন হারাতে পারে। এই পুনর্বিন্যাস ফের চালু হলে ভারতের রাজনৈতিক ভারসাম্যে (Population Count) উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটতে পারে (Caste Census)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share