মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ফ্রান্সের ফুড সেফটি এজেন্সি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে (French Study)। এই সংস্থা জানিয়েছে, প্যাকেজিং সুরক্ষা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে ধারণা রয়েছে, বাস্তবে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিকের বোতলে বিক্রি হওয়া জল, সোডা, বিয়ার বা মদের তুলনায় কাঁচের বোতলে (Glass Bottles) বিক্রি হওয়া একই ধরনের পানীয়তে অনেক বেশি পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে, কাঁচের বোতলে প্রতি লিটারে গড়ে ১০০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গিয়েছে, যা প্লাস্টিক বা ধাতব পাত্রে থাকা পানীয়র তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি (Glass Bottles)।
গবেষণা দলের সদস্য কী বলছেন এবিষয়ে?
গবেষণা শুরু হওয়ার সময় গবেষকরা ধারণা করেছিলেন যে কাঁচের বোতল তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হবে। গবেষণা দলের সদস্য ইসলাইন শাইব বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম কাচের বোতল (Glass Bottles) বেশি নিরাপদ হবে, কিন্তু দেখা গেল বিষয়টি ঠিক তার উল্টো। গবেষণায় দেখা যায়, প্লাস্টিকের বোতলে প্রতি লিটারে গড়ে ১.৬টি কণা পাওয়া যায়, আর কাঁচের বোতলে পাওয়া যায় গড়ে ৪.৫টি কণা।
কীভাবে কমানো যাবে এই দূষণ?
সব ধরনের পানীয় যেমন, বিয়ার, লেমনেড, এই জাতীয় বোতলজাত পানীয়তে প্রতি লিটারে ৩০ থেকে ৬০টি পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, এসব পানীয়তে উচ্চমাত্রার মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ রয়েছে। গবেষকরা আরও বলেন, অনেক সময় এই ড্রিংকস বোতলগুলো (Glass Bottles) ক্যাপ দিয়ে সিল করা থাকে, তবুও এর ভেতরে দূষণ প্রবেশ করে। তবে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ কমানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে (French Study), যেমন বোতলের ভেতরের অংশ শুকনো করে, জল বা অ্যালকোহল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করলে প্রায় ৬০ শতাংশ দূষণ কমানো সম্ভব। গবেষকরা মনে করেন, পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো এই পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করলে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ অনেকাংশে কমানো যেতে পারে (French Study)।
Leave a Reply