Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল! নাম না করে কল্যাণ-মদনকে নারী বিদ্বেষী বললেন মহুয়া

Mahua Moitra remarks on TMC leaders remarks on Kasba Gangrape

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এল। মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ নতুন কিছু নয়—এর আগেও একাধিকবার তাঁদের পরস্পরকে কটূক্তি করতে শোনা গেছে (Kasba Gangrape)। এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) স্পষ্ট করে জানান যে, কল্যাণ ও মদনের মন্তব্য ব্যক্তিগত মত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, “যদি কোনও বন্ধু তার বন্ধুকে ধর্ষণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী করা যেতে পারে?” অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র মন্তব্য করেন, “ওই ছাত্রী যদি ঘটনাস্থলে না যেতেন, তাহলে তো এই ধরনের অপরাধ ঘটতই না।” শনিবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ মহুয়া লেখেন, “ভারতে নারী বিদ্বেষ সব রাজনৈতিক দলেই আছে।” এনিয়েই অনেকে বলছেন, তবে কি মহুয়া মেনে নিলেন তাঁর দল নারী বিদ্বেষী!

কসবাকাণ্ড (Kasba Gangrape)

বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য (Kasba Gangrape)

ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পরে গ্রেফতার করা হয় নিরাপত্তারক্ষীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share