Telangana: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রেশম চাষ, এমবিএ যুবক করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা আয়

Telangana MBA Youth Scripts Success Story With Silkworm Rearing

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেলেঙ্গনার (Telangana) সিদ্দিপেট জেলার চান্দলাপুরের বাসিন্দা রামাস্বামী। এমবিএ ডিগ্রিধারী রামাস্বামীর কাছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ কখনও পছন্দের ছিল না। এরপর ২০২১ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে রেশম চাষ শুরু করেন। সঙ্গে ছিল তাঁর বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা। তাঁর পরিবার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তুঁত চাষের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। রামাস্বামী জানিয়েছেন, বিগত চার বছরে রেশম পোকা পালনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন তিনি।

ছোট থেকেই চাষের কাজে হাত লাগিয়েছেন রামাস্বামী (Telangana)

জানা যায়, ছাত্রাবস্থাতেই রামাস্বামী তাঁর বাবা নরসিমলু এবং মা ভুলক্ষ্মীকে তুঁত চাষে সাহায্য করতেন। এই চাষ খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেন তিনি, এরপরেই ধীরে ধীরে রামস্বামীর (Telangana) আগ্রহ তৈরি হয় এই চাষের প্রতি। এরপরেই তিনি মাত্র দুই একর জমিতে রেশম পোকা পালন শুরু করেন। তাঁর সংকল্প এবং স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখন সাত একরে এই চাষ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। রেশম চাষ করার আগে রামাস্বামী বেঙ্গালুরুতে তিন মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফিরে আসার পর, তিনি সাকি সেন্টার ব্র্যান্ড নামে একটি রেশম পোকার ডিম উৎপাদন ইউনিট চালু করেন। এখানেই তিনি কর্মী হিসেবে পাঁচজনকে নিয়োগ করেন।

রেশম চাষ

প্রসঙ্গত, রেশমের দিক থেকে ভারত পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ (Telangana)। রেশম পোকারা গুটিকা তৈরি করে, যা পরে রেশমের সুতোয় পরিণত হয় এবং কাপড় বোনা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে গুটিকা সংগ্রহ করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই গাছ ৩০ বছর পর্যন্ত উৎপাদনশীল (Telangana) থাকে। রেশম চাষ করতে হলে তুঁত গাছের চাষ করতে হয়। কারণ রেশম পোকা তুঁত গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। সাদা তুঁত, কালো তুঁত এবং লাল তুঁত-এ তিন প্রজাতির গাছে রেশম পোকা চাষ করা যায়। তবে সাদা তুঁত গাছই রেশম পোকার সবচেয়ে পছন্দের। তুঁত গাছ একবার লাগালে ২০-২৫ বছর ধরে পাতা দেয়।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share