মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে কর্নাটকের (Karnataka) নাগরিকরা ২০২৪ সালে হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা। সে রাজ্যের সিআইডি -এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে সর্বাধিক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে। যেখানে কর্নাটক জুড়ে সংঘটিত মোট সাইবার অপরাধের ৪২.৯ শতাংশই বেঙ্গালুরুতে ঘটেছে (Cyber Fraudsters)।
কীভাবে চলে জালিয়াতি (Karnataka)
রিপোর্টটি ইতিমধ্যেই কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই কারণেই বেঙ্গালুরু শহরের ১৯টি থানায় অসংখ্য এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিআইডি-র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে (Cyber Fraudsters), সাইবার প্রতারকরা প্রথমে নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে। তারা ‘দ্রুত লাভ’, ‘দ্বিগুণ রিটার্ন’ অথবা ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। দেখা গিয়েছে, মোট সাইবার প্রতারণার ৭০.৫ শতাংশ ঘটনা এই ধরনের বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছে প্রতারকরা। চাকরি দেওয়ার নাম করে নানা ফাঁদ পেতে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট করেও টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটেছে
সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামক নতুন প্রতারণার কৌশল। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার জানিয়েছে, এটি সাইবার অপরাধীদের একটি আধুনিক ফাঁদ। কর্নাটকেও (Karnataka) এই ধরনের প্রতারণার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে অপরাধীরা পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার সেজে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে এই ধরনের প্রতারণা চালায়—যেমন ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি, সামাজিক মাধ্যমে ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ, অথবা ভুয়া কল করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু শহর মূলত সাইবার প্রতারকদের টার্গেট হয়ে উঠেছে, কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে অনলাইন লেনদেন হয় এবং শহরজুড়ে অসংখ্য প্রযুক্তি সংস্থা, শিক্ষার্থী ও কর্মরত পেশাজীবীর উপস্থিতি রয়েছে—যাঁরা অনেক সময়ই এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।
Leave a Reply