Hair Fall Problem: বর্ষায় চুল নিয়ে দুর্ভোগ! এই সময়ে চুলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, কোনও রোগের ইঙ্গিত?

hairfall problem monsoon hair fall reasons what remedies treatment say experts stop hair loss

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

একনাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। জল যন্ত্রণা, নানান রোগের পাশপাশি অনেকেই চুলের সমস্যাতেও জেরবার। বর্ষায় চুল অতিরিক্ত ঝরে পড়ার (Monsoon Hair Treatment) সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যাকে বলা হয় হেয়ার ফল প্রবলেম (Hairfall Problem)। আবার অনেকের মাথার চামড়ায় অতিরিক্ত চুলকানি হয়। লাল গোল দাগ হয়ে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়া এবং এই ধরনের মস্তিষ্কের ত্বকের সমস্যার জেরে ভোগান্তি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এই সমস্যা অন্য রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। সতর্ক না থাকলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুলের যে কোনও সমস্যার (Hairfall Problem) প্রধান কারণ মস্তিষ্কের ত্বক। চুলের গোড়া আটকে আছে সেই ত্বকে। তাই সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা হলেই চুলে তার প্রভাব পড়বে। চিকিৎসকদের ভাষায় মাথার ত্বকে রোগ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে যাচাই করা দরকার। অর্থাৎ মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, কিংবা কোনো ধরনের অ্যালার্জি হয়েছে কিনা, সেটা পরীক্ষা জরুরি। বর্ষায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ একনাগাড়ে বৃষ্টিতে পরিবেশে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব তৈরি হয়। এই জন্য ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি পায়। সক্রিয়তা ও বাড়ে। তাই এই সময়ে চুলের সমস্যাও বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় অনেকেই এই ধরনের ছত্রাক সংক্রমণে আক্রান্ত হন। শরীরের অন্যান্য অংশে না হলেও, চুলের ভিতরে অর্থাৎ মাথার ত্বকে সংক্রমণ হয়। তাই চুলের সমস্যা (Hairfall Problem) বাড়ে‌।

কীভাবে সমাধান পাওয়া যাবে?

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সবচেয়ে প্রথম উপায় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকলেও শরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। অর্থাৎ নিয়মিত পরিষ্কার জলে স্নান জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের অন্যান্য অংশে পরিষ্কারের পাশপাশি নিয়মিত মাথার ত্বকও পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে কোনো রকম সংক্রমণ না হয়। মাথা পরিষ্কার জলে ধোয়ার পরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে (Hairfall Problem)।

নিয়মিত অত্যাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত চুলে এবং মাথার ত্বকে একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন (Monsoon Hair Treatment)। সাজসজ্জার অংশ হিসাবেই এই ব্যবহার হয়। কিন্তু মারাত্মক পরিমাণে নিয়মিত এই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার মস্তিষ্কের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে। এর ফলে শুষ্কতা বাড়ছে। এছাড়াও ত্বকে নানান রকমের অ্যালার্জি দেখা দিচ্ছে। মাথার ত্বকে বারবার ফুসকুড়ি দেখা দিলে, লাল গোল চাকা হয়ে উঠলে কিংবা চুলকানি বাড়লে অবহেলা করা উচিত নয়। বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

 

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share