মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনেরোর এক কিশোরকে আইএসআইএসের মতাদর্শে দীক্ষিত করতে অনুপ্রাণিত করছে কেরলের (Kerala Mother) এক মা! ব্রিটেন-ভিত্তিক এক আইএসআইএস সমর্থকের সঙ্গে যোগাযোগ করে (UK) ওই মা ওই কিশোরকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে চেয়েছিল। অন্তত কেরল পুলিশের এফআইআরে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কিশোরের মগজ ধোলাই করতে তাকে আইএসআইএসের বিভিন্ন প্রচারের ভিডিও দেখানো হয়েছিল। শেখানো হয়েছিল অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা করতে। উৎসাহিত করা হয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটির মতবাদ গ্রহণে।
ইউএপিএ আইনে দায়ের এফআইআর (Kerala Mother)
ইউএপিএ আইনের আওতায় দায়ের করা এই এফআইআরে এই দু’জনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমজন, আনজার নামে পরিচিত, নথিতে তাকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমানে সে বসবাস করছে ব্রিটেনের লেস্টারে। তদন্তকারীদের মতে, সে-ই কিশোরটিকে তার ল্যাপটপে আইএসআইএসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখাত এবং সংগঠনের আদর্শকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ পথ হিসেবে তুলে ধরত। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আনজার কিশোরটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে আইএসআইএস-ই ইসলামের প্রকৃত পথ এবং তাকে অন্যান্য ধর্মের প্রতি শত্রুতা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেছিল। আর দ্বিতীয় অভিযুক্ত হল ওই কিশোরের মা, ফিধা মহম্মদ আলি। তদন্তকারীদের মতে, সে এই র্যাডিকালাইজেশনের চেষ্টা সমর্থন করত, সাহায্যও করত। এফআইআরে বলা হয়েছে, সে আনজারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করত। পুলিশ সূত্রের খবর, এ থেকেই অনুমান এরা দু’জনে মিলেই কিশোরটিকে প্রভাবিত, পরিচালনা এবং মতাদর্শগতভাবে দীক্ষিত করার চেষ্টা করছিল।
তদন্তে এনআইএ
কেরল পুলিশের মতে, এই ঘটনাটি একটি বড় নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারে। প্রাথমিক তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত স্লিপিং সেলের সদস্যরা হয়তো রাজ্যের কিছু এলাকায় সক্রিয় থাকতে পারে। এনআইএ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো তদন্তভার গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে (Kerala Mother)। প্রসঙ্গত, এই আনজারের ভাই সিদ্দিকল ২০১৬ সালের কানাকামালা আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ওই মামলায় কেরল ও তামিলনাড়ুতে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে (UK) চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই তদন্ত চলাকালীন আনজার নজরদারিতে থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি, কারণ সেই সময় সে ইউক্রেনে থাকত (Kerala Mother)।

Leave a Reply