মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”
দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)
জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।
অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা
প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

Leave a Reply