মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানে ফিরে যান” সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের বাইরে ইউনূসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা (Bangladesh)। গত ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতারিত কররা পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে জামাত, তৌহিদি এবং বিএনপির কট্টর সমর্থকেরা। যে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সম্পর্ক ছিল না, আজ ইউনূসের (Muhammad Yunus) জমানায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। বিনা ভিসায় অবাদ যাতায়েত শুরু হয়েছে। আবার দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে একাধিক সামরিক চুক্তি। ফলে এই অশান্ত বাংলাদেশ নির্মাণের আসল কারিগর প্রধান উপদেষ্টা। তাই সামনে পেয়ে আমেরিকার মাটিতে বিক্ষোভ দেখান আম বাংলাদেশি জনতা।
সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার (Bangladesh)
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সদর দফতরের বাইরেই শোনা যায়, “ইউনূস পাকিস্তানি। দ্রুত পাকিস্তানে ফিরে যাও।” হাসিনা সমর্থক এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শান্তিতে জয়ী অশান্তির জনক মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, “বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসন ব্যবস্থার আকস্মিক পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার নেমে এসেছে। দেশে যেভাবে হিংসা এবং ভয়ের বাতাবরণ নেমে এসেছে, তাতে অনেক মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দুষ্কৃতীদের মনে ভয় নেই।”
ধ্বংসের পথে বাংলাদেশ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক বিক্ষোভকারী বলেন, “ইসলামী মৌলবাদী এবং কট্টর সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশে ইউনূস (Muhammad Yunus) ক্ষমতায় টিকে আছেন। বাংলাদেশকে তালিবানিদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এবং জৈনদের নিঃশেষ করার খেলা খেলছে সন্ত্রাসীরা। হিন্দু ধর্মের একজন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রেখেছে এই অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য ভাস্কার্যকে চির তরে ধ্বংস করেছে দুষ্কৃতীরা। দেশের অর্থনীতি এবং শিল্প-বাণিজ্য সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসের পথে। বাংলাদেশকে (Bangladesh) মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে দেওয়ার কাজ করছে এই নির্মম সরকার।”
Leave a Reply