Delhi Blast: দু’বছর ধরে হামলার ছক, বোমা তৈরিতে খরচ লক্ষাধিক! দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে জেরায় দাবি ধৃতের

delhi red fort blast umar crafted explosive inside vehicle at parking area

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গিগোষ্ঠীর। আর সেই ছক প্রথম তৈরি হয়েছিল ২০২৩ সালে। দীর্ঘ দু’বছর ধরে দিল্লিতে হামলার ছক করেছিল জইশের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিরা। বোমা তৈরিতে খরচ হয়েছিল লক্ষাধিক টাকা। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর মহম্মদের সহযোগী ‘জেহাদি চিকিৎসক’ মুজাম্মিল শাকিলকে জেরা করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এনআইএ-র সূত্র বলছে, গত দু’বছর ধরে ধীরে ধীরে বিস্ফোরকের মশলা জোগাড় করেছেন অভিযুক্তেরা।

হামলার ছক দীর্ঘ দু’বছর ধরে

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে (Delhi Blast) এই হামলার ছক দীর্ঘ দু’বছর ধরে করা হয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছে শাকিল। বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক, রিমোট এবং অন্যান্য সামগ্রীও এই সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছিল। গোটা এই কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে ছিল শাকিল। মুজাম্মিলের দায়িত্ব ছিল ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জোগাড় করার। সূত্রের খবর, হরিয়ানার নুহ এবং গুরুগাঁও থেকে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১৬ কুইন্টাল এনপিকে সার কিনেছিল শাকিল। অন্যান্য বিস্ফোরক দ্রব্যগুলি কেনা হয়েছিল নুহ থেকে। ফরিদাবাদের বাজার থেকে কেনা হয়েছিল ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট-সহ বোমা তৈরির রাসায়নিকগুলি সংরক্ষণের একটি ফ্রিজও কিনেছিল শাকিল। এগুলির সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ অন্য সরঞ্জাম মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা হয়।

২৬ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন জঙ্গিরা

সূত্রের খবর, সেই সার থেকে ইউরিয়া তৈরির দায়িত্ব ছিল উমরের উপরে। যে চারটি মিলে সার পেষাই করে ইউরিয়া তৈরি করেছিলেন উমর, সেগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর। দিল্লি বিস্ফোরণে যে খরচ হয়েছিল, তা জুগিয়েছিলেন অভিযুক্তেরাই। এমনটাই বলছে এনআইএর সূত্র। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদস্যেরা বিস্ফোরকের সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। সূত্র বলছে, সেই টাকা উমরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উমর নিজে দিয়েছিলেন ২ লক্ষ টাকা, এমনটাই জেনেছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের দাবি, মুজাম্মিল দেন ৫ লক্ষ টাকা। গোষ্ঠীর অন্য সদস্য আদিল রাথের দেন আট লক্ষ টাকা। মুজফ্‌ফর রাথের দেন ৬ লক্ষ টাকা। লখনউয়ের শাহীন শাইদ দিয়েছিলেন ৫ লক্ষ টাকা। উমর বিস্ফোরণে আত্মঘাতী। বাকিরা এখন এনআইএ-র হেফাজতে।

হ্যান্ডলারের নামও জানিয়েছেন মুজাম্মিল

তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, জেরায় মুজাম্মিল স্বীকার করেছেন, সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি একে-৪৭ রাইফেল কিনেছিলেন তিনি। পরে আদিলের লকার থেকে তা উদ্ধার হয়। নিজের হ্যান্ডলারের নামও জানিয়েছেন মুজাম্মিল। তাঁর হ্যান্ডলারের নাম মনসুর। উমরের হ্যান্ডলারের নাম হাশিম। সূত্র বলছে, এই দুই হ্যান্ডলারই ইব্রাহিম নামে একজনের অধীনে কাজ করতেন। গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, শাকিল, আদিল, মুজফ্‌ফর ওকাসার নির্দেশে তুরস্কে গিয়েছিলেন। এই ওকাসা তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তানের সদস্য। আফগানিস্তানে প্রবেশের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু হ্যান্ডলারেরা সাহায্য করেননি বলে তা আর হয়ে ওঠেনি। উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share