Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবি

Hindus under attack roundup week

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এখনও চলছে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে তামাম বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তি উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে ভারতে।

এলআরপিএফ সরকার (Hindus Under Attack)

আদিবাসী আইন সংস্থা এলআরপিএফ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে যে গুন্টুরের জরিপ নং ৩৫২-এর আকহাাদ জমি শেখ সলিমের কাছে হস্তান্তরের জন্য অবৈধ বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। চিক্কামাগালুরুতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে যখন এমইএস কলেজ তাদের বার্ষিক ৪১ দিনের ব্রত পালনকারী দুই হিন্দু ছাত্রকে অয়্যাপ্পা মালা পরিধানের কারণে কলেজ থেকে বের করে দেয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুই ছাত্র নির্ধারিত কলেজ ইউনিফর্ম পরেই এসেছিলেন এবং তার সঙ্গে অয়্যাপ্পা দীক্ষার সময় ব্যবহৃত প্রচলিত কালো পোশাকও পরেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়েই তাদের (Hindus Under Attack) প্রধান গেটের কাছেই থামিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। মালা খুলে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়।

অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অভিযোগ

তাঁদের দাবি, এটি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের শামিল। ছাত্ররা অস্বীকার করলে তাঁদের কলেজ চত্বর থেকে বের করে দেওয়া হয়। ইন্দোরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তাঁর বছর চব্বিশের মুসলিম সহপাঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রাণনাশের হুমকি এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও আনা হয়েছে। এই অভিযোগ মধ্যপ্রদেশ ধর্ম স্বাধীনতা আইনের সম্প্রসারিত ধারার অধীনে করা হয়েছে, যা সাধারণত লাভ জেহাদ মামলায় ব্যবহৃত হয়। পুলিশ তিলক নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম হামস শেখ, ইন্দোরের সঞ্চার নগরের বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ নির্দিষ্ট ধর্মীয় উপদেশ ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দু-বিরোধী ঘৃণা স্পষ্ট হলেও, ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম ধরনের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব বিদ্যমান, যা হিন্দু-বিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম, দৈনন্দিন বৈষম্যগুলি সহজে ধরা পড়ে না, যদি না প্রচলিত আইন ও আচরণের ধরন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।

দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে এটি (Roundup Week) পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে দেখলে হিন্দু উৎসবগুলির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও নিষেধাজ্ঞার পিছনে সুস্পষ্ট যুক্তির অভাব এই দ্বৈত নীতিই স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে (Hindus Under Attack)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share