Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

is mango safe for patients with diabetes or obesity problems eating risks what experts say

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

গরমের মরশুম! তীব্র গরম রাজ্য জুড়ে। তাপমাত্রার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে বাঙালির রসনাতৃপ্তির উপকরণ রয়েছে! পাকা আমের (Mango) মিষ্টি সুবাসে মন ভালো হয় না, এমন বাঙালি প্রায় নেই। গরমকালের যাবতীয় কষ্ট অনেকটাই বাঙালি সহ্য করে নেন বছরের ‘সেরা’ ফলের স্বাদে! কিন্তু নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কতখানি উপকারি? বিশেষত ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কতটা বাড়তি বিপদ বাড়ায় আম (Mango Eating Risks)? আবার তরুণ প্রজন্মের একাংশ এখন স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের জন্য নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কি বাড়তি বিপদ তৈরি করছে না, এমন অনেক প্রশ্নের জেরেই আম খাওয়া নিয়ে ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মরশুমের এই ফল নিয়মিত খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের খেয়াল না রাখলে বিপদ বাড়বে।

ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম কতখানি বিপদ বাড়াতে পারে?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে (Mango Eating Risks)। কিন্তু কিছুটা সতর্কতা নিয়ে চললে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাকা আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাকা আমে যে শর্করা থাকে, তা প্রক্রিয়াজাত নয়। অর্থাৎ, চিনি, কেক, ময়দা শরীরে যে ধরনের ক্ষতি করে, পাকা আম (Mango) তেমন ক্ষতিকারক নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে পাকা আম খেলে অসুবিধা হবে না। তবে মনে রাখা জরুরি, পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই সপ্তাহে সাতদিন একটা করে পাকা আম খেতে পারেন না। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিন এক-দু টুকরো পাকা আম খাওয়া যেতে পারে।

পাকা আম (Mango) কি ওজন বাড়িয়ে দেয়?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাক আমে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই নিয়মিত অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পাকা আম খেলে ওজন বেড়ে যায়। বিশেষত যারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না, দিনের দীর্ঘ সময় বসে থাকেন, তাঁরা প্রত্যেক দিন পাকা আম খেলে খুব তাড়াতাড়ি স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আম খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলেও, নিয়মিত একাধিক পাকা‌ আম খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে ওজন বাড়ার পাশপাশি হজমের সমস্যাও হতে পারে।

কীভাবে পাকা আম খেলে বিপদের ঝুঁকি কমবে?

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় নজরে রাখা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিংবা ওবেসিটি আক্রান্তের ঝুঁকিও তৈরি হবে না। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে খুব হালকা খাবার খাওয়ার পরে কখনই পাকা আম খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks)। তাঁদের পরামর্শ, ভারি খাবার খাওয়ার পরে আম খেলে‌ বিপদের ঝুঁকি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব অল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার ব্যালেন্স করে খাওয়ার পরে এক থেকে দুই টুকরো পাকা আম খাওয়া যায়। এতে শরীরে বাড়তি বিপদ তৈরির ঝুঁকিও কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই খালি পেটে আম খেলে শরীরে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা থাকে। ব্যালেন্স ডায়েটের পরে আম খেলে, সেই ঝুঁকি কমে।

ডায়াবেটিস কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থাকলে আম নিয়মিত খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিনের বেশি আম খাওয়া উচিত নয়। আর আম খেলে ভাত ও রুটির পরিমাণের ক্ষেত্রে বাড়তি সজাগ থাকা দরকার। কারণ একসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট কতখানি শরীরে পৌঁছচ্ছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গরমে অনেকেই শারীরিক কসরত নিয়মিত করেন না। স্থূলতার সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই আমের স্বাদ পেতে চাইলে শারীরিক কসরত নিয়মিত করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যালোরি বার্নের দিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, শারীরিক কসরত করলে আম (Mango) খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম হবে। ডায়বেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share