মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) বাসভবন থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ টাকা। তার জেরে শুরু হয়ে গেল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের (Probe Panel) কথা ঘোষণা করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার, মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মনিন্দর মোহন এবং প্রবীণ আইনজীবী বিভি আচার্য। এদিন মোট ১৪৬ জন সাংসদের সই-সহ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গ্রহণ করেন স্পিকার। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি।
ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া (Justice Yashwant Varma)
সংবিধানের ১২৪ (৪) ধারা অনুযায়ী চালিত হয় কোনও বিচারপতির ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। এজন্য সবার আগে প্রস্তাব পেশ করা হয় লোকসভায়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করতে হয় সাংসদদের। পরে তা জমা দিতে হয় স্পিকারের কাছে। এর পরেই স্পিকার গঠন করেন কমিটি। তদন্ত করে সেই কমিটিই রিপোর্ট দেয় স্পিকারের কাছে। লোকসভার স্পিকার যে কমিটি গঠন করেন, সেই কমিটির হাতে থাকে প্রমাণ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের জেরা করার ক্ষমতা। অভিযুক্ত বিচারপতি দোষী প্রমাণিত হলে, যে সংসদে প্রথমে প্রস্তাবটি তোলা হয়েছিল, সেখানেই পেশ করা হয় রিপোর্ট। তারপর হয় ভোটাভুটি। এই প্রক্রিয়া চলে দুই কক্ষেই। সংসদের উভয় কক্ষেই উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেলেই কার্যকর হবে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া।
নগদ টাকার সন্ধান
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ দিল্লিতে বিচারপতির সরকারি বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় নগদ টাকার সন্ধান মেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে (Probe Panel) হাতখানেক উঁচু টাকার স্তূপ। সেই সময় অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না বিচারপতি বর্মা (Justice Yashwant Varma)।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। যদিও তাঁর হাতে আর কোনও বিচারকার্যের ভার দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস তদন্ত কমিটি ৫৫ জন সাক্ষীর বয়ান শোনার পর জানিয়ে দেয়, অভিযোগের যথেষ্ট (Probe Panel) ভিত্তি রয়েছে। তার পরেই বর্মাকে অপসারণের সুপারিশ করা হয় (Justice Yashwant Varma)।
Leave a Reply