মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে এসআইআরে বিরাট সংখ্যায় জাল ভোটারদের নাম বাদ যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির পারদ চরমে। এমনই আবহে কাঁথির পরিবর্তন যাত্রায় একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানান, তোষণের রাজনীতি রাজ্যে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের শাসনে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। রাজ্য থেকে শিল্পকে তাড়িয়েছেন খোদ মমতা। সীমান্তে অবৈধ বাংলাদেশির ভিড় বাড়ছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তাঁর মতে, আরজি করের বিচার পেতে বিজেপিকে আনতে হবে। মুসলিমদের তেজপাতার মতো ব্যবহার করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর মাত্র ২ মাস! দেখে নেব (Suvendu Adhikari)
পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় শুভেন্দু, মমতাকে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে বলেন, “বাংলায় কর্মসংস্থান নেই, শিল্প কলকারখানা নেই। বাংলার পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বদল আনতে হবে। রাজ্যে নারী নির্যাতন বন্ধন করতে বিজেপির শাসন চাই। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে দেখুন। সরকার কতটা দায়িত্বশীল তা দেখে শিখতে হবে। ছত্তিশগড়ে ৩১০০ টাকায় ধান কেনা হচ্ছে। রাজস্থানে ২৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসা ফ্রি। বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। হরিয়ানায় ২ লক্ষ ৫৫ হাজার সরকারি শূন্যপদ পূরণ করা হয়েছে। হাতে কাজ, পেতে ভাত এবং মাথায় ছাদ দিতে পারে একমাত্র বিজেপি সরকার। যোগ্যতা এবং মেধা অনুযায়ী চাকরি একমাত্র দিতে পারবে বিজেপি সরকার। ২০১১ সালে টাটাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে তৃণমূল সরকার। আর মাত্র ২ মাস, ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের পর এই সরকার আর কোথায় থাকবে তা দেখে নেব আমরাও।”
সব ভারতীয়র নাম ভোটার তালিকায় থাকবে
এদিন আবার ভগবানপুর থেকে মুসলিম সামজের মানুষকে বার্তা দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনাদের আমাদের মতো জয় শ্রী রাম বলতে হবে না। ভারতমাতা কি জয় বলুন। বন্দে মাতারম বলুন। জয় হিন্দ বলুন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রবাদ, দেশপ্রেম, উন্নয়ন এবং যোগীর সুরক্ষানীতি-সুশাসনকে বাংলায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তৃণমূল আপনাদের তেজপাতা করে রেখে দিয়েছে। এই মুহূর্তে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি ভোট পায় তৃণমূল। আপনারা আমাদের ভোট দেন না জানি। আমরা আপানাদের বিরোধী নই। সব ভারতীয়র নাম ভোটার তালিকায় থাকবে। এটাই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। আমি আহ্বান করেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের, আপনারা আসুন। আপনাদের তেজপাতা করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তরকারিতে লাগে কিন্তু খাওয়া যায় না।”
বাংলার ভোট নিয়ে ভবানীপুরে মমতাকে হারানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি এবার ভবানীপুরেও হারাবো। কেউ ভয় পাবেন না, আমি শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধীদল নেতা। মমতাকে আমি হারিয়েছি, আবার ২০২৬ সালে ভবানীপুরে হারাবো। তৃণমূল কংগ্রেস এখন একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মমতা নিজেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করেছে। বাংলার মানুষ এখন মুক্তি চায়।”

Leave a Reply