Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

Operation Sindoor Fresh satellite imagery has confirmed significant damage at Pakistans Murid air base

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে (Operation Sindoor) দুরমুশ করতেই বড় ধস নামল চিনা জে-১০ যুদ্ধবিমানের স্টকে। অন্যদিকে বাড়ল রাফালের (Rafale) শেয়ার দর। অনেকেই মনে করছেন, এতেই পরিষ্কার হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঠিক কতটা সফল! অন্যদিকে, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও ব্যর্থতাও সামনে আনল। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে রাফালের ভয়ঙ্কর আঘাত যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে। একইভাবে চর্চায় রয়েছে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ভারতের দূর্ভেদ্য বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের আকাশই ধ্বংস করে দেয় চিনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই আবহে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতেই চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির স্টকে ১২ শতাংশ পতন দেখা গেল। একইসঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হল রাফালের।

মোদির ভাষণের পরেই চিনা সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে

ভারতের বিরুদ্ধে এই কোম্পানির জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। এবার এতেই দেখা গিয়েছে বড় ধস। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার আরও নীচে নামতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার (Operation Sindoor) পরই এই শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারত যে যুদ্ধ জিতেছে তা এবার প্রতিফলিত হল শেয়ার বাজারের দরেও। সামনে এল চিনা যুদ্ধ সরঞ্জামের বেআব্রু অবস্থা।

রাফালের লক্ষ্মীলাভ (Operation Sindoor)

প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান হল বিশ্বের প্রথমসারির ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম। ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। অপারেশন সিঁদুরে এই যুদ্ধবিমানই (Operation Sindoor) ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। পাক-ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকতে আঘাত হানে এই যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিখুঁত আক্রমণ করে। তার পর থেকেই রাফালের অসামান্য দক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর লাফিয়ে বাড়ছে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষে আদতে লক্ষ্মীলাভ হলো এই ফরাসি সংস্থার (Rafale)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবারই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার খোলার পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে হয় ৩০৪.৪০ ইউরো। তবে শুধুমাত্র শুধু স্টকের দামই নয়, দাসো অ্যাভিয়েশনের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টও এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধিকেই দেখাচ্ছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে হু হু করে, চিনে পতন

চলতি সপ্তাহে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দামের ব্যাপক পতন হয়েছে যেখানে ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। দেখা যাচ্ছে, সোমবার প্রতি শেয়ারের ৯৫.৮৬ ইউয়ানের থেকে অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম ৮৫.২০ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। টানা তিন দিনে ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ।

পাকিস্তানকে কোন কোন অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল চিন

এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবেই চিনা মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়। চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের একাধিক ছবি সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমতে দেখা যায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করে, চিন পাকিস্তানকে যে মিসাইল সরবরাহ করেছিল, তার নাম পিএল-১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে এই মিসাইল।

সহজেই অকেজো হয়ে যায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে ছিল চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তুরস্কের তৈরি বাইকার ইহা কামিকাজে ড্রোন সহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। তবে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত পিএল-১৫ হল একটি বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি খুব সহজেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই কারণেই চিনা কোম্পানির স্টকের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে দেখা গেল।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share