US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

Us iran conflict White house rejects intel report on failed strike on Iranian nuclear sites

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়লেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (White House)। ইরানের তিন-তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি (US Iran Conflict)। কিন্তু সে দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছিল, তাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কোমর ভেঙে দেওয়া যায়নি। বরং যে গতিতে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল ইরানে, তাকে কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই নিজের দেশেই প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশবাসীর নজর ঘোরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা রিপোর্ট কীভাবে ফাঁস হল, তা নিয়ে। গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস হওয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘দেশদ্রোহ’ বলে দেগে দিয়েছেন।

কি বলছে রিপোর্ট (US Iran Conflict)

দিন কয়েক আগে ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে দেশের সামরিক বিভাগ পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। মার্কিন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল উপাদানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি। ধ্বংস করা যায়নি সে দেশের ইউরেনিয়ামের ভান্ডারও। মার্কিন হামলার আগেই ইরান মজুত রাখা ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।

সিএনএনের বক্তব্য

ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট জমা পড়ার কথা স্বীকার করলেও, হামলায় ইরানের যে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তা অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোসিন লেভিট বলেন, “ওই রিপোর্ট ভুল। রিপোর্টটি গোপন থাকার কথা। কিন্তু নিম্নস্তরের কেউ সেটি ফাঁস করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খাটো করা (US Iran Conflict), তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, যুদ্ধবিমানের বীর পাইলটদের অপমান করা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিশ্চিহ্ন করতে নিপুণ হাতে কাজ করেছেন তাঁরা। ৩০ হাজার পাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করলে কী হয়, তা সকলেই জানেন।” গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস করাকে দেশদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফও। তিনি বলেন, “অত্যন্ত জঘন্য বিষয় (White House)। এটি দেশদ্রোহ। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত (US Iran Conflict)।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share